ঢাকা ১১:৩৭ অপরাহ্ন, বৃহস্পতিবার, ২৫ এপ্রিল ২০২৪, ১২ বৈশাখ ১৪৩১ বঙ্গাব্দ
বাংলা বাংলা English English हिन्दी हिन्दी

ছুটির দিনে জমেছে পর্যটন মেলা

প্রতিনিধির নাম
  • আপডেট সময় : ০৮:২১:২৩ অপরাহ্ন, শুক্রবার, ৩ মার্চ ২০২৩
  • / ৪৩৭ বার পড়া হয়েছে
বাংলা খবর বিডি অনলাইনের সর্বশেষ নিউজ পেতে অনুসরণ করুন গুগল নিউজ (Google News) ফিডটি

নিজস্ব প্রতিবেদক : 

ট্যুর অপারেটরস অ্যাসোসিয়েশন অব বাংলাদেশের (টোয়াব) আয়োজনে বৃহস্পতিবার ২ মার্চ থেকে শুরু হয়েছে ১১তম বাংলাদেশ ট্রাভেল অ্যান্ড ট্যুরিজম ফেয়ার (বিটিটিএফ)। রাজধানীর বঙ্গবন্ধু আন্তর্জাতিক সম্মেলন কেন্দ্রে এ পর্যটন মেলা চলবে আগামী ৪ মার্চ পর্যন্ত। এবারের আন্তর্জাতিক এ পর্যটন মেলায় টাইটেল স্পন্সর হিসেবে থাকছে ফার্স্ট ট্রিপ।

বৃহস্পতিবার (১ মার্চ) থেকে শুরু হলেও মেলার দ্বিতীয় দিনে শুক্রবার (০৩ মার্চ) সাপ্তাহিক ছুটির হওয়ায় দর্শনার্থী, ভ্রমণপিপাসু, উৎসুক মানুষের পদচারণায় জমে উঠেছে পর্যটন মেলা। জুমার নামাজের পর থেকেই মেলায় আসতে শুরু করেন নানা শ্রেণি পেশার মানুষ। শনিবার (০৪ মার্চ) শেষ হবে এই মেলা। মেলা প্রতিদিন সকাল ১০টা থেকে রাত ৮টা পর্যন্ত দর্শনার্থীদের জন্য উন্মুক্ত থাকছে।

বিকেল চারটার দিকে মেলায় প্রাঙ্গণে দেখা যায়, রঙ-বেরঙের কারুকাজ দিয়ে সাজানো হয়েছে স্টলগুলো। অনেকেই পরিবার পরিজন নিয়ে মেলায় এসেছেন। আবার কেউ কেউ একাই এসেছেন ভ্রমণ বিষয়ক বিভিন্ন ছাড়, অফার, ডিসকাউন্টের খোঁজ নিতে। এসব ভ্রমণপ্রেমী মানুষেরা মেলায় স্টলে স্টলে ঘুরছেন আর ভ্রমণ বিষয়ক বিভিন্ন প্যাকেজ, ছাড় এবং সেবা সম্পর্কে জেনে নিচ্ছেন। অন্যদিকে এসব ছাড়, প্যাকেজ, অফার নিয়ে মেলায় উপস্থিত রয়েছেন বিভিন্ন ট্রাভেল এজেন্সিসহ পর্যটন সংশ্লিষ্টরা।

আন্তর্জাতিক এই মেলার আয়োজন করেছে দেশের পর্যটন শিল্পের শীর্ষস্থানীয় বাণিজ্য সংগঠন ট্যুর অপারেটরস অ্যাসোসিয়েশন অব বাংলাদেশ (টোয়াব)। পর্যটন মেলার ১১তম আসর এটি। মেলায় প্রবেশ মূল্য ৩০ টাকা। তবে ছাত্র-ছাত্রীদের টাকা লাগছে না।

এবারের মেলা আগের বছরের তুলনায় অনেক আকর্ষণীয় ও জাঁকজমকপূর্ণ করার উদ্যোগ নেওয়া হয়েছে। এই মেলার সার্বিক সহযোগিতায় রয়েছে বেসামরিক বিমান পরিবহন ও পর্যটন মন্ত্রণালয়, বাংলাদেশ পর্যটন করপোরেশন, বাংলাদেশ ট্যুরিজম বোর্ড, এফবিসিসিআই এবং বাংলাদেশ ট্যুরিস্ট পুলিশ।

মেলায় ইউএস-বাংলার প্যাভিলিয়নে গিয়ে দেখা গেছে, মেলায় আগত দর্শনার্থীরা বিভিন্ন অফার, ডিসকাউন্টের বিষয়ে খোঁজ খবর নিচ্ছেন। অনেকে প্যাভিলিয়ন থেকেই বুকিং দিচ্ছেন বিভিন্ন গন্তব্যের টিকিটের।

প্যাভিলিয়নে দায়িত্বে থাকা ইউএস-বাংলা এয়ারলাইন্সের কাস্টমার এক্সিকিউটিভ মাহমুদা খানম বলেন, ট্রাভেল অ্যান্ড ট্যুরিজম ফেয়ার উপলক্ষে আমাদের আন্তর্জাতিক ও অভ্যন্তরীণ টিকিটে ১০ শতাংশ ছাড় চলছে। যেকেউ মেলা চলাকালীন সময়ে ১০ শতাংশ মূল্যছাড়ে টিকিট সংগ্রহ করতে পারবেন।

তিনি জানান, এছাড়া ইউএস-বাংলার এয়ারলাইন্সে ঢাকা-মালদ্বীপ-ঢাকায় রিটার্ন টিকিটসহ ২ রাত ৩ দিনের প্যাকেজ চালু আছে, যা জনপ্রতি ৪৩ হাজার ৯৯০ টাকা থেকে শুরু। এছাড়া ঢাকা-কক্সবাজার ঢাকা দুই রাত তিনদিনের প্যাকেজ চালু আছে, যা জনপ্রতি ১০ হাজার ৪৯০ টাকা থেকে শুরু হয়েছে।

রাজধানীর গুলশান ২ থেকে পর্যটন মেলায় এসেছেন সাফায়েত হোসেন এবং তার বান্ধবী নীলা আক্তার। তারাও ঘুরছিলেন বিভিন্ন স্টলগুলোতে। আলাপকালে সাফায়েত হোসেন বলেন, গতকালও মেলায় এসেছিলাম, তবে একা। কিন্তু আজ বন্ধুকে সঙ্গে নিয়ে এসেছি। গতকাল তেমন ভিড় না থাকলেও আজ মেলায় অনেক মানুষের উপস্থিতি দেখা যাচ্ছে। মেলায় বিভিন্ন প্রতিষ্ঠান বিভিন্ন অফারসহ ছাড় দিচ্ছে। আমরা মূলত মালদ্বীপে ঘুরতে যাওয়ার উদ্দেশেই প্যাকেজগুলোর খোঁজ নিতে এখানে এসেছি।

মেলায় বেঙ্গালুরু অ্যাপোলো হাসপাতালটির স্টলের দায়িত্বে থাকা পাবলিক রিলেশন অফিসার ফারহাদ হোসেন বলেন, পর্যটন মেলা উপলক্ষে আমাদের ১০ শতাংশ ছাড়ের অফারটি দেওয়া হয়েছে। আজ থেকে ৪ মার্চ মেলা চলাকালীন সময়ে যেকোনো দিন নিবন্ধন করে এ ছাড় পেতে পারেন। বেঙ্গালুরু অ্যাপোলো হাসপাতালে চিকিৎসা নেওয়ার পর যে বিল আসবে তার ওপরে এই ছাড় দেওয়া হবে। যেকোনো ধরনের অপারেশন, টেস্ট, চেকআপে, ডায়ালাইসিস, ল্যাব টেস্ট, সিটি স্ক্যানসহ যাবতীয় সেবার উপর এই ১০ শতাংশ ছাড় দেওয়া হবে। এছাড়া আমাদের স্টলে এসেও যে কেউ সব ধরনের তথ্য পেতে পারবেন।

মেলায় শ্রীলঙ্কা-মালদ্বীপের টিকিটে মিলছে ১৫ শতাংশ ছাড়

আন্তর্জাতিক এই পর্যটন মেলায় পাহাড়ের কোলে জলে-জঙ্গলে হারিয়ে যাওয়া ট্যুর প্যাকেজ নিয়ে এসেছে আর্ক ডি কাপ্তাই। এটি মূলত রাঙামাটিতে ২ দিন এক রাত ঘোরার জন্য বোট সার্ভিস। এর নাম দেওয়া হয়েছে ‘লেকের বুকে ভাসমান বাড়ি’। থাকা খাওয়াসহ সব কিছু মিলিয়ে প্রতি ২ জনের জন্য খরচ ধরা হয়েছে ২৭ হাজার টাকা (কর্মদিবসে)। এছাড়া ছুটির দিনে ২ জনের জন্য এই প্যাকেজ মূল্য পড়বে ৩০ হাজার টাকা।

এছাড়াও দেশের বিভিন্ন প্রতিষ্ঠানের পাশাপাশি ভারত, নেপাল, মালদ্বীপ, শ্রীলংকা, সংযুক্ত আরব আমিরাত, ভিয়েতনাম, জাপান ও তুরস্কের বিভিন্ন পর্যটন বিষয়ক প্রতিষ্ঠান মেলায় অংশ নিয়েছে। পাশাপাশি মেলায় বিমান পরিবহন, ট্যুর অপারেটর, হোটেল, অনলাইন ট্রাভেল এজেন্সি, রিসোর্ট, হাসপাতালসহ পর্যটন খাতের বিভিন্ন প্রতিষ্ঠান অংশ নিচ্ছে। তারা নিজেদের সেবার ওপর বিশেষ মূল্যছাড়সহ নানা সুবিধা দিচ্ছে। এছাড়াও ট্যুর অপারেটররা বিভিন্ন আকর্ষণীয় প্যাকেজ অফার করছেন।

মেলায় বিভিন্ন দেশের জাতীয় পর্যটন সংস্থা ও ট্যুরিজম অ্যাসোসিয়েশন মেলায় অংশ নেবে। ভারত, নেপাল, মালদ্বীপ, শ্রীলঙ্কা, সংযুক্ত আরব আমিরাত, ভিয়েতনাম, জাপান ও তুরস্কের ট্যুর অপারেটর ও ট্রাভেল এজেন্টরা মেলায় অংশ নিয়েছে। এছাড়াও আন্তর্জাতিক ও দেশি এয়ারলাইন্স, ট্যুরিজম বোর্ড, ট্রাভেল এজেন্সি, ট্যুর অপারেটর, হোটেল, রিসোর্ট, ক্রুজ লাইনার, হসপিটালও মেলায় অংশ নিচ্ছে। তিনটি হলে ১৪টি প্যাভেলিয়নসহ ১৪৬টি স্টল রয়েছে।

এছাড়াও থাকবে মুজিব বাংলাদেশ কর্নার ও ফটো বুথ। মেলায় সাইডলাইন ইভেন্ট হিসাবে থাকবে বি টু বি সেশন, সেমিনার ও রাউন্ড টেবিল ডিসকাশন। এছাড়া মেলায় আসা দর্শনার্থীদের জন্য প্রতিদিন সাংস্কৃতিক আয়োজন এবং দেশের পর্যটন গন্তব্যের ওপর প্রামাণ্যচিত্র প্রদর্শিত হচ্ছে।

আয়োজকরা জানান, দেশের সবচেয়ে বড় পর্যটন এ মেলায় মুক্তিযোদ্ধা ও শিক্ষার্থীদের জন্য প্রবেশ ফি লাগবে না। বাকিরা ৩০ টাকা এন্ট্রি ফি দিয়ে মেলায় অংশগ্রহণ করতে পারবেন। মেলায় আন্তর্জাতিক ও দেশি এয়ারলাইন্স, ট্যুরিজম বোর্ড, ট্রাভেল এজেন্সি, ট্যুর অপারেটর, হোটেল, রিসোর্ট, ক্রুজ লাইনার ও হাসপাতাল অংশ নিয়েছে। মেলায় ৩টি হলে ১৪টি প্যাভিলিয়নসহ ১৫০টি স্টল রয়েছে। প্রতিদিন সকাল ১০টা থেকে রাত ৮টা পর্যন্ত দর্শনার্থীদের জন্য উন্মুক্ত থাকবে মেলা। এবার মেলায় আয়োজন করা হয়েছে দুইটি সেমিনার।

নিউজটি শেয়ার করুন

ছুটির দিনে জমেছে পর্যটন মেলা

আপডেট সময় : ০৮:২১:২৩ অপরাহ্ন, শুক্রবার, ৩ মার্চ ২০২৩

নিজস্ব প্রতিবেদক : 

ট্যুর অপারেটরস অ্যাসোসিয়েশন অব বাংলাদেশের (টোয়াব) আয়োজনে বৃহস্পতিবার ২ মার্চ থেকে শুরু হয়েছে ১১তম বাংলাদেশ ট্রাভেল অ্যান্ড ট্যুরিজম ফেয়ার (বিটিটিএফ)। রাজধানীর বঙ্গবন্ধু আন্তর্জাতিক সম্মেলন কেন্দ্রে এ পর্যটন মেলা চলবে আগামী ৪ মার্চ পর্যন্ত। এবারের আন্তর্জাতিক এ পর্যটন মেলায় টাইটেল স্পন্সর হিসেবে থাকছে ফার্স্ট ট্রিপ।

বৃহস্পতিবার (১ মার্চ) থেকে শুরু হলেও মেলার দ্বিতীয় দিনে শুক্রবার (০৩ মার্চ) সাপ্তাহিক ছুটির হওয়ায় দর্শনার্থী, ভ্রমণপিপাসু, উৎসুক মানুষের পদচারণায় জমে উঠেছে পর্যটন মেলা। জুমার নামাজের পর থেকেই মেলায় আসতে শুরু করেন নানা শ্রেণি পেশার মানুষ। শনিবার (০৪ মার্চ) শেষ হবে এই মেলা। মেলা প্রতিদিন সকাল ১০টা থেকে রাত ৮টা পর্যন্ত দর্শনার্থীদের জন্য উন্মুক্ত থাকছে।

বিকেল চারটার দিকে মেলায় প্রাঙ্গণে দেখা যায়, রঙ-বেরঙের কারুকাজ দিয়ে সাজানো হয়েছে স্টলগুলো। অনেকেই পরিবার পরিজন নিয়ে মেলায় এসেছেন। আবার কেউ কেউ একাই এসেছেন ভ্রমণ বিষয়ক বিভিন্ন ছাড়, অফার, ডিসকাউন্টের খোঁজ নিতে। এসব ভ্রমণপ্রেমী মানুষেরা মেলায় স্টলে স্টলে ঘুরছেন আর ভ্রমণ বিষয়ক বিভিন্ন প্যাকেজ, ছাড় এবং সেবা সম্পর্কে জেনে নিচ্ছেন। অন্যদিকে এসব ছাড়, প্যাকেজ, অফার নিয়ে মেলায় উপস্থিত রয়েছেন বিভিন্ন ট্রাভেল এজেন্সিসহ পর্যটন সংশ্লিষ্টরা।

আন্তর্জাতিক এই মেলার আয়োজন করেছে দেশের পর্যটন শিল্পের শীর্ষস্থানীয় বাণিজ্য সংগঠন ট্যুর অপারেটরস অ্যাসোসিয়েশন অব বাংলাদেশ (টোয়াব)। পর্যটন মেলার ১১তম আসর এটি। মেলায় প্রবেশ মূল্য ৩০ টাকা। তবে ছাত্র-ছাত্রীদের টাকা লাগছে না।

এবারের মেলা আগের বছরের তুলনায় অনেক আকর্ষণীয় ও জাঁকজমকপূর্ণ করার উদ্যোগ নেওয়া হয়েছে। এই মেলার সার্বিক সহযোগিতায় রয়েছে বেসামরিক বিমান পরিবহন ও পর্যটন মন্ত্রণালয়, বাংলাদেশ পর্যটন করপোরেশন, বাংলাদেশ ট্যুরিজম বোর্ড, এফবিসিসিআই এবং বাংলাদেশ ট্যুরিস্ট পুলিশ।

মেলায় ইউএস-বাংলার প্যাভিলিয়নে গিয়ে দেখা গেছে, মেলায় আগত দর্শনার্থীরা বিভিন্ন অফার, ডিসকাউন্টের বিষয়ে খোঁজ খবর নিচ্ছেন। অনেকে প্যাভিলিয়ন থেকেই বুকিং দিচ্ছেন বিভিন্ন গন্তব্যের টিকিটের।

প্যাভিলিয়নে দায়িত্বে থাকা ইউএস-বাংলা এয়ারলাইন্সের কাস্টমার এক্সিকিউটিভ মাহমুদা খানম বলেন, ট্রাভেল অ্যান্ড ট্যুরিজম ফেয়ার উপলক্ষে আমাদের আন্তর্জাতিক ও অভ্যন্তরীণ টিকিটে ১০ শতাংশ ছাড় চলছে। যেকেউ মেলা চলাকালীন সময়ে ১০ শতাংশ মূল্যছাড়ে টিকিট সংগ্রহ করতে পারবেন।

তিনি জানান, এছাড়া ইউএস-বাংলার এয়ারলাইন্সে ঢাকা-মালদ্বীপ-ঢাকায় রিটার্ন টিকিটসহ ২ রাত ৩ দিনের প্যাকেজ চালু আছে, যা জনপ্রতি ৪৩ হাজার ৯৯০ টাকা থেকে শুরু। এছাড়া ঢাকা-কক্সবাজার ঢাকা দুই রাত তিনদিনের প্যাকেজ চালু আছে, যা জনপ্রতি ১০ হাজার ৪৯০ টাকা থেকে শুরু হয়েছে।

রাজধানীর গুলশান ২ থেকে পর্যটন মেলায় এসেছেন সাফায়েত হোসেন এবং তার বান্ধবী নীলা আক্তার। তারাও ঘুরছিলেন বিভিন্ন স্টলগুলোতে। আলাপকালে সাফায়েত হোসেন বলেন, গতকালও মেলায় এসেছিলাম, তবে একা। কিন্তু আজ বন্ধুকে সঙ্গে নিয়ে এসেছি। গতকাল তেমন ভিড় না থাকলেও আজ মেলায় অনেক মানুষের উপস্থিতি দেখা যাচ্ছে। মেলায় বিভিন্ন প্রতিষ্ঠান বিভিন্ন অফারসহ ছাড় দিচ্ছে। আমরা মূলত মালদ্বীপে ঘুরতে যাওয়ার উদ্দেশেই প্যাকেজগুলোর খোঁজ নিতে এখানে এসেছি।

মেলায় বেঙ্গালুরু অ্যাপোলো হাসপাতালটির স্টলের দায়িত্বে থাকা পাবলিক রিলেশন অফিসার ফারহাদ হোসেন বলেন, পর্যটন মেলা উপলক্ষে আমাদের ১০ শতাংশ ছাড়ের অফারটি দেওয়া হয়েছে। আজ থেকে ৪ মার্চ মেলা চলাকালীন সময়ে যেকোনো দিন নিবন্ধন করে এ ছাড় পেতে পারেন। বেঙ্গালুরু অ্যাপোলো হাসপাতালে চিকিৎসা নেওয়ার পর যে বিল আসবে তার ওপরে এই ছাড় দেওয়া হবে। যেকোনো ধরনের অপারেশন, টেস্ট, চেকআপে, ডায়ালাইসিস, ল্যাব টেস্ট, সিটি স্ক্যানসহ যাবতীয় সেবার উপর এই ১০ শতাংশ ছাড় দেওয়া হবে। এছাড়া আমাদের স্টলে এসেও যে কেউ সব ধরনের তথ্য পেতে পারবেন।

মেলায় শ্রীলঙ্কা-মালদ্বীপের টিকিটে মিলছে ১৫ শতাংশ ছাড়

আন্তর্জাতিক এই পর্যটন মেলায় পাহাড়ের কোলে জলে-জঙ্গলে হারিয়ে যাওয়া ট্যুর প্যাকেজ নিয়ে এসেছে আর্ক ডি কাপ্তাই। এটি মূলত রাঙামাটিতে ২ দিন এক রাত ঘোরার জন্য বোট সার্ভিস। এর নাম দেওয়া হয়েছে ‘লেকের বুকে ভাসমান বাড়ি’। থাকা খাওয়াসহ সব কিছু মিলিয়ে প্রতি ২ জনের জন্য খরচ ধরা হয়েছে ২৭ হাজার টাকা (কর্মদিবসে)। এছাড়া ছুটির দিনে ২ জনের জন্য এই প্যাকেজ মূল্য পড়বে ৩০ হাজার টাকা।

এছাড়াও দেশের বিভিন্ন প্রতিষ্ঠানের পাশাপাশি ভারত, নেপাল, মালদ্বীপ, শ্রীলংকা, সংযুক্ত আরব আমিরাত, ভিয়েতনাম, জাপান ও তুরস্কের বিভিন্ন পর্যটন বিষয়ক প্রতিষ্ঠান মেলায় অংশ নিয়েছে। পাশাপাশি মেলায় বিমান পরিবহন, ট্যুর অপারেটর, হোটেল, অনলাইন ট্রাভেল এজেন্সি, রিসোর্ট, হাসপাতালসহ পর্যটন খাতের বিভিন্ন প্রতিষ্ঠান অংশ নিচ্ছে। তারা নিজেদের সেবার ওপর বিশেষ মূল্যছাড়সহ নানা সুবিধা দিচ্ছে। এছাড়াও ট্যুর অপারেটররা বিভিন্ন আকর্ষণীয় প্যাকেজ অফার করছেন।

মেলায় বিভিন্ন দেশের জাতীয় পর্যটন সংস্থা ও ট্যুরিজম অ্যাসোসিয়েশন মেলায় অংশ নেবে। ভারত, নেপাল, মালদ্বীপ, শ্রীলঙ্কা, সংযুক্ত আরব আমিরাত, ভিয়েতনাম, জাপান ও তুরস্কের ট্যুর অপারেটর ও ট্রাভেল এজেন্টরা মেলায় অংশ নিয়েছে। এছাড়াও আন্তর্জাতিক ও দেশি এয়ারলাইন্স, ট্যুরিজম বোর্ড, ট্রাভেল এজেন্সি, ট্যুর অপারেটর, হোটেল, রিসোর্ট, ক্রুজ লাইনার, হসপিটালও মেলায় অংশ নিচ্ছে। তিনটি হলে ১৪টি প্যাভেলিয়নসহ ১৪৬টি স্টল রয়েছে।

এছাড়াও থাকবে মুজিব বাংলাদেশ কর্নার ও ফটো বুথ। মেলায় সাইডলাইন ইভেন্ট হিসাবে থাকবে বি টু বি সেশন, সেমিনার ও রাউন্ড টেবিল ডিসকাশন। এছাড়া মেলায় আসা দর্শনার্থীদের জন্য প্রতিদিন সাংস্কৃতিক আয়োজন এবং দেশের পর্যটন গন্তব্যের ওপর প্রামাণ্যচিত্র প্রদর্শিত হচ্ছে।

আয়োজকরা জানান, দেশের সবচেয়ে বড় পর্যটন এ মেলায় মুক্তিযোদ্ধা ও শিক্ষার্থীদের জন্য প্রবেশ ফি লাগবে না। বাকিরা ৩০ টাকা এন্ট্রি ফি দিয়ে মেলায় অংশগ্রহণ করতে পারবেন। মেলায় আন্তর্জাতিক ও দেশি এয়ারলাইন্স, ট্যুরিজম বোর্ড, ট্রাভেল এজেন্সি, ট্যুর অপারেটর, হোটেল, রিসোর্ট, ক্রুজ লাইনার ও হাসপাতাল অংশ নিয়েছে। মেলায় ৩টি হলে ১৪টি প্যাভিলিয়নসহ ১৫০টি স্টল রয়েছে। প্রতিদিন সকাল ১০টা থেকে রাত ৮টা পর্যন্ত দর্শনার্থীদের জন্য উন্মুক্ত থাকবে মেলা। এবার মেলায় আয়োজন করা হয়েছে দুইটি সেমিনার।