ঢাকা ০৫:৫৬ অপরাহ্ন, শুক্রবার, ১৯ এপ্রিল ২০২৪, ৬ বৈশাখ ১৪৩১ বঙ্গাব্দ
বাংলা বাংলা English English हिन्दी हिन्दी

চৌহালীতে  জনবল সংকটে প্রাথমিক শিক্ষা  কার্যক্রম ব্যাহত

প্রতিনিধির নাম
  • আপডেট সময় : ০৬:৪৫:২০ অপরাহ্ন, মঙ্গলবার, ২৮ মার্চ ২০২৩
  • / ৪৫৫ বার পড়া হয়েছে
বাংলা খবর বিডি অনলাইনের সর্বশেষ নিউজ পেতে অনুসরণ করুন গুগল নিউজ (Google News) ফিডটি
রোকনুজ্জামান রকু, চৌহালী প্রতিনিধি :
সিরাজগঞ্জের চৌহালীতে  শিক্ষকসহ শিক্ষা অফিসের জনবল সংকটের কারণে প্রাথমিক শিক্ষা কার্যক্রম ব্যাহত হচ্ছে। উপজেলা প্রাথমিক শিক্ষা অফিসে ১০টি পদের মধ্যে ৭টি পদই শূন্য থাকায় সেবা দিতে হিমশিম খাচ্ছেন দায়িত্বরতরা।
উপজেলা শিক্ষা অফিস সূত্রে জানা গেছে, চৌহালী উপজেলায়  ৭টি ইউনিয়নে মোট ১২৮ টি সরকারি প্রাথমিক বিদ্যালয় রয়েছে। তার মধ্যে পূর্ণ প্রধান শিক্ষক ৭৮ জন এবং চলতি দায়িত্বে প্রধান শিক্ষক রয়েছেন ৩০ জন। সেখানে প্রধান শিক্ষকেরই পদ শূন্য রয়েছে ৫০টি। এছাড়া অনুমোদিত সহকারী শিক্ষক পদ ৭৫০টির মধ্যে কর্মরত আছেন ৬৮৬ জন। শূন্য রয়েছে ৩১টি পদ।
জানা যায়, চৌহালী উপজেলা প্রাথমিক শিক্ষা অফিসে অনুমোদিত পদগুলো হলো- উপজেলা শিক্ষা অফিসার ১ জন, সহকারী শিক্ষা অফিসার ৩ জন, অফিস সহকারী ২ জন এবং ১ জন অফিস সহায়ক। তার মধ্যে কর্মরত আছেন ২ জন সহকারী শিক্ষা অফিসার এবং ১ জন অফিস হিসাবরক্ষণ। ১০ জনের কাজ ৩ জনে করতে হচ্ছে। যে কারণে তাদের যেমন বেগ পেতে হচ্ছে তেমনি অফিসিয়াল কাজে এসে শিক্ষকদেরও পড়তে হয় ভোগান্তিতে। এসব পদ শূন্য থাকায় একদিকে যেমন নিয়মিত বিদ্যালয় তদারকি হয় না তেমনি দাপ্তরিক সেবা নিতে গ্রাম থেকে এসে শিক্ষকদের ঘণ্টার পর ঘণ্টা শিক্ষা অফিসে অপেক্ষা করতে হয়।
উপজেলার ১২৮টি স্কুল নিয়ে ৭টি সাব-ক্লাস্টার গঠন করা হয়েছিল। কিন্তু নানা কারণে দীর্ঘদিন ধরে সাব-ক্লাস্টারগুলোর মিটিং কার্যক্রম বন্ধ রয়েছে। তবে দীর্ঘদিন বন্ধ থাকার পর সম্প্রতি চালু হয়েছে মাসিক সমন্বয় সভা।
এসব বিষয়ে কথা হলে উপজেলা প্রাথমিক শিক্ষক সমিতির সাবেক সাধারণ  সম্পাদক শরিফুল মাষ্টার বলেন, শিক্ষা অফিসের গুরুত্বপূর্ণ পদগুলো শূন্য থাকায় শিক্ষকরা অফিসের কাজে এসে চরম দুর্ভোগের শিকার হচ্ছেন। জনবল সংকটের কারণ দেখিয়ে শিক্ষকদের ঘোরানো হচ্ছে। তাছাড়া অফিসে বসার জায়গা না থাকায় শিক্ষক/ শিক্ষিকাদের চরম দুর্ভোগ পোহাতে হয়।
শিক্ষকরা আরও  বলেন, জনবল সংকটের পাশাপাশি আমাদের অনেকগুলো প্রাথমিক বিদ্যালয়ের প্রবেশপথের সমস্যা রয়েছে। বন্যার কারণে এ সমস্যা আরো প্রকট হয়েছে। বেশ কিছু স্কুলের প্রবেশপথ না থাকায শিক্ষকসহ শিক্ষার্থীদের স্কুলে যেতে সমস্যা হয়। শিক্ষার পরিবেশ ভালো রাখার জন্য বিদ্যালয়গুলোতে বাউন্ডারির প্রয়োজন। জরুরি ভিত্তিতে শিক্ষকসহ শূন্যপদগুলো পূরণ করতে তারা ঊর্ধ্বতন কর্তৃপক্ষের কাছে জোর দাবি জানান। উপজেলা প্রাথমিক শিক্ষা কমিটির সভাপতি ও উপজেলা পরিষদ চেয়ারম্যান মো: ফারুক হোসেন  বলেন, উপজেলা প্রাথমিক শিক্ষা অফিসের গুরুত্বপূর্ণ পদগুলো শূন্য থাকায় অচল অবস্থার সৃষ্টি হয়েছে। অনেক স্কুলেই প্রধান শিক্ষক না থাকায় শিক্ষা কার্যক্রম ব্যাহত হচ্ছে। উপজেলা শিক্ষা অফিসের উচ্চমান সহকারী মো: আতিকুর রহমান বলেন, উপজেলা শিক্ষা অফিসারসহ ১০ পদের ৭পদই শূন্য থাকায় ১০ জনের কাজ ৩ জনে করতে হচ্ছে। এতে আমাদের হিমশিম খেতে হয়।
ভারপ্রাপ্ত শিক্ষা কর্মকর্তা মো: শাহজাহান মিয়া বলেন, জনবল সংকটনের কারণে শিক্ষা কার্যক্রমে কিছুটা ব্যাঘাত তো সৃষ্টি হচ্ছেই৷ আর এদিকে জেলা প্রাথমিক শিক্ষা অফিসার মো: আমিনুল ইসলাম মন্ডল জানান, জনবল সংকটের কারণে উপজেলা প্রাথমিক শিক্ষা অফিসের কার্যক্রম ব্যাহত হচ্ছে ৷এবিষয়ে  উর্ধ্বতন কর্তৃপক্ষকে  জানানো হয়েছে আশা করি খুব দ্রুত সমস্যা সমাধান হবে ৷
বা/খ: জই

নিউজটি শেয়ার করুন

চৌহালীতে  জনবল সংকটে প্রাথমিক শিক্ষা  কার্যক্রম ব্যাহত

আপডেট সময় : ০৬:৪৫:২০ অপরাহ্ন, মঙ্গলবার, ২৮ মার্চ ২০২৩
রোকনুজ্জামান রকু, চৌহালী প্রতিনিধি :
সিরাজগঞ্জের চৌহালীতে  শিক্ষকসহ শিক্ষা অফিসের জনবল সংকটের কারণে প্রাথমিক শিক্ষা কার্যক্রম ব্যাহত হচ্ছে। উপজেলা প্রাথমিক শিক্ষা অফিসে ১০টি পদের মধ্যে ৭টি পদই শূন্য থাকায় সেবা দিতে হিমশিম খাচ্ছেন দায়িত্বরতরা।
উপজেলা শিক্ষা অফিস সূত্রে জানা গেছে, চৌহালী উপজেলায়  ৭টি ইউনিয়নে মোট ১২৮ টি সরকারি প্রাথমিক বিদ্যালয় রয়েছে। তার মধ্যে পূর্ণ প্রধান শিক্ষক ৭৮ জন এবং চলতি দায়িত্বে প্রধান শিক্ষক রয়েছেন ৩০ জন। সেখানে প্রধান শিক্ষকেরই পদ শূন্য রয়েছে ৫০টি। এছাড়া অনুমোদিত সহকারী শিক্ষক পদ ৭৫০টির মধ্যে কর্মরত আছেন ৬৮৬ জন। শূন্য রয়েছে ৩১টি পদ।
জানা যায়, চৌহালী উপজেলা প্রাথমিক শিক্ষা অফিসে অনুমোদিত পদগুলো হলো- উপজেলা শিক্ষা অফিসার ১ জন, সহকারী শিক্ষা অফিসার ৩ জন, অফিস সহকারী ২ জন এবং ১ জন অফিস সহায়ক। তার মধ্যে কর্মরত আছেন ২ জন সহকারী শিক্ষা অফিসার এবং ১ জন অফিস হিসাবরক্ষণ। ১০ জনের কাজ ৩ জনে করতে হচ্ছে। যে কারণে তাদের যেমন বেগ পেতে হচ্ছে তেমনি অফিসিয়াল কাজে এসে শিক্ষকদেরও পড়তে হয় ভোগান্তিতে। এসব পদ শূন্য থাকায় একদিকে যেমন নিয়মিত বিদ্যালয় তদারকি হয় না তেমনি দাপ্তরিক সেবা নিতে গ্রাম থেকে এসে শিক্ষকদের ঘণ্টার পর ঘণ্টা শিক্ষা অফিসে অপেক্ষা করতে হয়।
উপজেলার ১২৮টি স্কুল নিয়ে ৭টি সাব-ক্লাস্টার গঠন করা হয়েছিল। কিন্তু নানা কারণে দীর্ঘদিন ধরে সাব-ক্লাস্টারগুলোর মিটিং কার্যক্রম বন্ধ রয়েছে। তবে দীর্ঘদিন বন্ধ থাকার পর সম্প্রতি চালু হয়েছে মাসিক সমন্বয় সভা।
এসব বিষয়ে কথা হলে উপজেলা প্রাথমিক শিক্ষক সমিতির সাবেক সাধারণ  সম্পাদক শরিফুল মাষ্টার বলেন, শিক্ষা অফিসের গুরুত্বপূর্ণ পদগুলো শূন্য থাকায় শিক্ষকরা অফিসের কাজে এসে চরম দুর্ভোগের শিকার হচ্ছেন। জনবল সংকটের কারণ দেখিয়ে শিক্ষকদের ঘোরানো হচ্ছে। তাছাড়া অফিসে বসার জায়গা না থাকায় শিক্ষক/ শিক্ষিকাদের চরম দুর্ভোগ পোহাতে হয়।
শিক্ষকরা আরও  বলেন, জনবল সংকটের পাশাপাশি আমাদের অনেকগুলো প্রাথমিক বিদ্যালয়ের প্রবেশপথের সমস্যা রয়েছে। বন্যার কারণে এ সমস্যা আরো প্রকট হয়েছে। বেশ কিছু স্কুলের প্রবেশপথ না থাকায শিক্ষকসহ শিক্ষার্থীদের স্কুলে যেতে সমস্যা হয়। শিক্ষার পরিবেশ ভালো রাখার জন্য বিদ্যালয়গুলোতে বাউন্ডারির প্রয়োজন। জরুরি ভিত্তিতে শিক্ষকসহ শূন্যপদগুলো পূরণ করতে তারা ঊর্ধ্বতন কর্তৃপক্ষের কাছে জোর দাবি জানান। উপজেলা প্রাথমিক শিক্ষা কমিটির সভাপতি ও উপজেলা পরিষদ চেয়ারম্যান মো: ফারুক হোসেন  বলেন, উপজেলা প্রাথমিক শিক্ষা অফিসের গুরুত্বপূর্ণ পদগুলো শূন্য থাকায় অচল অবস্থার সৃষ্টি হয়েছে। অনেক স্কুলেই প্রধান শিক্ষক না থাকায় শিক্ষা কার্যক্রম ব্যাহত হচ্ছে। উপজেলা শিক্ষা অফিসের উচ্চমান সহকারী মো: আতিকুর রহমান বলেন, উপজেলা শিক্ষা অফিসারসহ ১০ পদের ৭পদই শূন্য থাকায় ১০ জনের কাজ ৩ জনে করতে হচ্ছে। এতে আমাদের হিমশিম খেতে হয়।
ভারপ্রাপ্ত শিক্ষা কর্মকর্তা মো: শাহজাহান মিয়া বলেন, জনবল সংকটনের কারণে শিক্ষা কার্যক্রমে কিছুটা ব্যাঘাত তো সৃষ্টি হচ্ছেই৷ আর এদিকে জেলা প্রাথমিক শিক্ষা অফিসার মো: আমিনুল ইসলাম মন্ডল জানান, জনবল সংকটের কারণে উপজেলা প্রাথমিক শিক্ষা অফিসের কার্যক্রম ব্যাহত হচ্ছে ৷এবিষয়ে  উর্ধ্বতন কর্তৃপক্ষকে  জানানো হয়েছে আশা করি খুব দ্রুত সমস্যা সমাধান হবে ৷
বা/খ: জই