ঢাকা ১০:৩৪ অপরাহ্ন, শুক্রবার, ১৯ এপ্রিল ২০২৪, ৬ বৈশাখ ১৪৩১ বঙ্গাব্দ
বাংলা বাংলা English English हिन्दी हिन्दी

চিড়িয়াখানায় সিংহ বেড়িয়ে পড়ায় আতঙ্ক

প্রতিনিধির নাম
  • আপডেট সময় : ১১:৪৭:০০ অপরাহ্ন, বুধবার, ২ নভেম্বর ২০২২
  • / ৪৪৫ বার পড়া হয়েছে
বাংলা খবর বিডি অনলাইনের সর্বশেষ নিউজ পেতে অনুসরণ করুন গুগল নিউজ (Google News) ফিডটি

আন্তর্জাতিক ডেস্ক : 

অস্ট্রেলিয়ার দক্ষিণ পশ্চিমাঞ্চলীয় রাজ্য নিউ সাউথ ওয়েলসের রাজধানী ও দেশটির সবচেয়ে জনবহুল শহর সিডনির একটি চিড়িয়াখানার খাঁচা থেকে ৫টি সিংহ বেরিয়ে যাওয়ায় জরুরিভিত্তিতে কিছু সময়ের জন্য চিড়িয়াখানা এলাকায় লকডাউন জারি করেছিল কর্তৃপক্ষ।

অবশ্য দ্রুত সিংহগুলোকে খাঁচায় ফেরত পাঠানো সম্ভব হওয়ায় অল্প সময়ের মধ্যেই তুলে নেওয়া হয় সেই লকডাউন। মঙ্গলবার (০১ নভেম্বর) সিডনির তারোঙ্গা চিড়িয়াখানায় ঘটেছে এই ঘটনা।

বিবিসির এক প্রতিবেদনে বলা হয়েছে, সকাল সাড়ে ছয়টার দিকে চিড়িয়াখানায় চার শাবকসহ একটি পূর্ণবয়স্ক সিংহকে খাঁচার বাইরে হেঁটে বেড়াতে দেখা যায়।

সিংহ খাঁচা থেকে বেরিয়ে যাওয়ার প্রায় ১০ মিনিট পর সিসিটিভি ফুটেজে এই দৃশ্য দেখেন চিড়িয়াখানার একজন রক্ষী; এবং তা দেখামাত্র অ্যালার্ম বাজাতে শুরু করেন তিনি।

অ্যালার্ম বাজানোর পরপরই চিড়িয়াখানা লকডাউন করা হয় চিড়িয়াখানা। তারপর যত দ্রুত সম্ভব মানুষজনকে নিরাপদ স্থানে সরাতে শুরু করে চিড়িয়াখানা কর্মীরা।

চিড়িয়াখানার নির্বাহী পরিচালক সিমন ডাফি স্থানীয় গণমাধ্যমকে বলেছেন, সিংহগুলো তাদের খাঁচার কাছেই ছোট্ট এলাকায় চলে এসেছিল। সেখান থেকে ১০০ মিটার দূরেই ছিলেন কিছু অতিথি। তারা চিড়িয়াখানায় সারারাত ছিলেন।
পাঁচ সিংহকে খাঁচায় ফেরাতে অবশ্য বেশি সময় নেয়নি তারোঙ্গো কর্তৃপক্ষ। কয়েক মিনিটের মধ্যেই সিংহ ও তিনটি শাবক খাঁচায় ফিরে গেছে। একটি শাবককে ট্রাঙ্কুলাইজার দিয়ে ঘুম পাড়িয়ে খাঁচায় ফেরানো হয়।

কঠোর নিরাপত্তার পরও চিড়িয়াখানার সাতটির মধ্যে পাঁচটি সিংহই কিভাবে বেরিয়ে পড়েছিল তার কোনও ব্যাখ্যা অবশ্য দেয়নি কর্তৃপক্ষ। তবে নির্বাহী পরিচালক সিমন ডাফি এ ঘটনাকে ‘গুরুত্বপূর্ণ’ উল্লেখ করে বলেছেন, বিষয়টি তদন্ত করা হবে।

১০০ ভাগ নিরাপত্তা নিশ্চিত না হওয়া পর্যন্ত চিড়িয়াখানায় সিংহের প্রদর্শনী বন্ধ থাকবে বলেও জানিয়েছেন তিনি।
অস্ট্রেলিয়ায় চিড়িয়াখানায় খাঁচা থেকে প্রাণীদের বেরিয়ে যাওয়ার ঘটনা বিরল। এর আগে ২০০৯ সালে সিডনির দক্ষিণে মোগো চিড়িয়াখানা থেকে একটি সিংহী বেরিয়ে গিয়েছিল। পরে মানুষের ওপর হামলা করতে পারে আশঙ্কায় সেটিকে গুলি করে হত্যা করা হয়।

নিউজটি শেয়ার করুন

চিড়িয়াখানায় সিংহ বেড়িয়ে পড়ায় আতঙ্ক

আপডেট সময় : ১১:৪৭:০০ অপরাহ্ন, বুধবার, ২ নভেম্বর ২০২২

আন্তর্জাতিক ডেস্ক : 

অস্ট্রেলিয়ার দক্ষিণ পশ্চিমাঞ্চলীয় রাজ্য নিউ সাউথ ওয়েলসের রাজধানী ও দেশটির সবচেয়ে জনবহুল শহর সিডনির একটি চিড়িয়াখানার খাঁচা থেকে ৫টি সিংহ বেরিয়ে যাওয়ায় জরুরিভিত্তিতে কিছু সময়ের জন্য চিড়িয়াখানা এলাকায় লকডাউন জারি করেছিল কর্তৃপক্ষ।

অবশ্য দ্রুত সিংহগুলোকে খাঁচায় ফেরত পাঠানো সম্ভব হওয়ায় অল্প সময়ের মধ্যেই তুলে নেওয়া হয় সেই লকডাউন। মঙ্গলবার (০১ নভেম্বর) সিডনির তারোঙ্গা চিড়িয়াখানায় ঘটেছে এই ঘটনা।

বিবিসির এক প্রতিবেদনে বলা হয়েছে, সকাল সাড়ে ছয়টার দিকে চিড়িয়াখানায় চার শাবকসহ একটি পূর্ণবয়স্ক সিংহকে খাঁচার বাইরে হেঁটে বেড়াতে দেখা যায়।

সিংহ খাঁচা থেকে বেরিয়ে যাওয়ার প্রায় ১০ মিনিট পর সিসিটিভি ফুটেজে এই দৃশ্য দেখেন চিড়িয়াখানার একজন রক্ষী; এবং তা দেখামাত্র অ্যালার্ম বাজাতে শুরু করেন তিনি।

অ্যালার্ম বাজানোর পরপরই চিড়িয়াখানা লকডাউন করা হয় চিড়িয়াখানা। তারপর যত দ্রুত সম্ভব মানুষজনকে নিরাপদ স্থানে সরাতে শুরু করে চিড়িয়াখানা কর্মীরা।

চিড়িয়াখানার নির্বাহী পরিচালক সিমন ডাফি স্থানীয় গণমাধ্যমকে বলেছেন, সিংহগুলো তাদের খাঁচার কাছেই ছোট্ট এলাকায় চলে এসেছিল। সেখান থেকে ১০০ মিটার দূরেই ছিলেন কিছু অতিথি। তারা চিড়িয়াখানায় সারারাত ছিলেন।
পাঁচ সিংহকে খাঁচায় ফেরাতে অবশ্য বেশি সময় নেয়নি তারোঙ্গো কর্তৃপক্ষ। কয়েক মিনিটের মধ্যেই সিংহ ও তিনটি শাবক খাঁচায় ফিরে গেছে। একটি শাবককে ট্রাঙ্কুলাইজার দিয়ে ঘুম পাড়িয়ে খাঁচায় ফেরানো হয়।

কঠোর নিরাপত্তার পরও চিড়িয়াখানার সাতটির মধ্যে পাঁচটি সিংহই কিভাবে বেরিয়ে পড়েছিল তার কোনও ব্যাখ্যা অবশ্য দেয়নি কর্তৃপক্ষ। তবে নির্বাহী পরিচালক সিমন ডাফি এ ঘটনাকে ‘গুরুত্বপূর্ণ’ উল্লেখ করে বলেছেন, বিষয়টি তদন্ত করা হবে।

১০০ ভাগ নিরাপত্তা নিশ্চিত না হওয়া পর্যন্ত চিড়িয়াখানায় সিংহের প্রদর্শনী বন্ধ থাকবে বলেও জানিয়েছেন তিনি।
অস্ট্রেলিয়ায় চিড়িয়াখানায় খাঁচা থেকে প্রাণীদের বেরিয়ে যাওয়ার ঘটনা বিরল। এর আগে ২০০৯ সালে সিডনির দক্ষিণে মোগো চিড়িয়াখানা থেকে একটি সিংহী বেরিয়ে গিয়েছিল। পরে মানুষের ওপর হামলা করতে পারে আশঙ্কায় সেটিকে গুলি করে হত্যা করা হয়।