ঢাকা ০৪:০০ অপরাহ্ন, বুধবার, ২৪ এপ্রিল ২০২৪, ১১ বৈশাখ ১৪৩১ বঙ্গাব্দ
বাংলা বাংলা English English हिन्दी हिन्दी

চাহিদার চেয়ে বেশি উৎপাদনের ক্ষমতা আছে ঢাকা ওয়াসার : স্থানীয় সরকারমন্ত্রী

প্রতিনিধির নাম
  • আপডেট সময় : ১০:২০:১০ অপরাহ্ন, সোমবার, ৯ জানুয়ারী ২০২৩
  • / ৪৪৬ বার পড়া হয়েছে
বাংলা খবর বিডি অনলাইনের সর্বশেষ নিউজ পেতে অনুসরণ করুন গুগল নিউজ (Google News) ফিডটি

নিজস্ব প্রতিবেদক : 

ঢাকা ওয়াসা চাহিদার তুলনায় উদ্বৃত্ত পানি উৎপাদনের সক্ষমতা অর্জন করেছে বলে জাতীয় সংসদে জানিয়ে স্থানীয় সরকারমন্ত্রী তাজুল ইসলাম বলেন, ঢাকা শহরে দৈনিক পানির চাহিদা ২৬০-২৬৫ কোটি লিটার। আর উৎপাদন ক্ষমতা ২৭০-২৭৫ কোটি লিটার। যদিও গ্রীষ্ম ও শীত মৌসুমে পানির চাহিদার তারতম্য হয়ে থাকে।

সোমবার (৯ জানুয়ারি) জাতীয় সংসদে প্রশ্নোত্তর পর্বে স্থানীয় সরকারমন্ত্রী এসব কথা বলেন। স্পিকার শিরীন শারমিন চৌধুরীর সভাপতিত্বে প্রশ্নোত্তর টেবিলে উপস্থাপন করা হয়।

জাতীয় পার্টির সংসদ সদস্য সৈয়দ আবু হোসেনের প্রশ্নের জবাবে স্থানীয় সরকার মন্ত্রী বলেন, ঢাকা উত্তর সিটি করপোরেশনের দৈনিক পানির চাহিদা প্রায় একশ ৩৫ কোটি লিটার। আর দক্ষিণ সিটি করপোরেশনের দৈনিক চাহিদা একশ ২৫ কোটি লিটার।

তিনি বলেন, পানি বিশুদ্ধকরণের কাজটি অত্যাধুনিক কেমিক্যাল পিএসি এলাম সালফেট ও ক্লোরিনেশনের মাধ্যমে করা হয়। বিশ্ব স্বাস্থ্য সংস্থা ও ইসিআর-৯৭ অনুসরণ করে পানির গুণগত মান নিশ্চিত হওয়ার পর নেটওয়ার্কে সরবরাহ করা হয়। ঢাকা ওয়াসা মহানগরীর ১৫০-১৬০টি স্থান হতে নমুনা পানি সংগ্রহ করে তা নিয়মিত পরীক্ষা করে থাকে।

সরকার দলীয় সংসদ সদস্য সৈয়দা রুবিনা আক্তারের প্রশ্নের জবাবে স্থানীয় সরকারমন্ত্রী তাজুল ইসলাম বলেন, বরিশাল মহানগরীতে দৈনিক পানির চাহিদা ৫ কোটি ৪০ লাখ লিটার। দৈনিক পানি সরবরাহ হয় ২ কোটি ৮৫ লাখ লিটার। ঘাটতি রয়েছে ২ কোটি ৫৫ লাখ লিটার। বর্তমানে বরিশাল মহানগরীতে ৩৮টি উৎপাদক গভীর নলকূপের মাধ্যমে পানি সরবরাহ করা হচ্ছে।

১০টি ভ্রাম্যমাণ পানির ট্যাংক দিয়ে বরিশাল সিটি করপোরেশনের কলোনিসহ গুরুত্বপূর্ণ এলাকায় ৪০ হাজার লিটার বিশুদ্ধ খাবার পানি প্রতিদিন সরবরাহ করা হচ্ছে বলে জানান স্থানীয় সরকার। তিনি বলেন, ঘাটতির অংশ নগরবাসী ব্যক্তিগত গভীর নলকূপ, খাল-নদী-নালা এবং জলাশয়ের পানি দ্বারা পূরণ করছে।

বরিশাল সিটি করপোরেশনের মোট পানি সরবরাহের প্রায় ৭০ শতাংশ ভূ-গর্ভস্থ পানির ওপর নির্ভরশীল বলে জানান স্থানীয় সরকারমন্ত্রী। তিনি বলেন, ভূ-গর্ভস্থ পানির ওপর নির্ভরশীলতা কমানোর জন্য ভূ-পৃষ্ঠ পানির ওপর নির্ভরশীল হতে হবে। সে ক্ষেত্রে, নিরাপদ পানি সরবরাহের লক্ষ্যে সারফেস ওয়াটার ট্রিটমেন্ট প্ল্যান্ট নির্মাণ ও চালুর ব্যবস্থা করতে হবে।

মো. তাজুল ইসলাম বলেন, স্থানীয় সরকার বিভাগের আওতাধীন জনস্বাস্থ্য প্রকৌশল অধিদফতর কর্তৃক ৯৬টি পৌরসভায় বিভিন্ন প্রকল্পের আওতায় পাইপ লাইনের মাধ্যমে পানি সরবরাহ কার্যক্রম বাস্তবায়নাধীন রয়েছে।

সংসদ সদস্য মন্ত্রীর কাছে জানতে চান- মন্ত্রী মহোদয় অনুগ্রহ করে বলবেন কি, এটা সত্য কিনা যে, দেশের শহরগুলোতে বসবাসকারী পরিবারের ২১ শতাংশ মানুষ তাদের খাবার পানি নিয়ে দুশ্চিন্তায় থাকেন; বিষয়টি উঠে আসছে বিবিএসের জরিপে; বিষয়টি সত্য হলে, শহরের এসব মানুষদের দুশ্চিন্তা লাঘবে সরকার কোনো পদক্ষেপ গ্রহণ করবে কিনা; করলে, তা কী?
শহরগুলোতে বসবাসকারী মানুষের খাবার পানি নিয়ে দুশ্চিন্তার কথা স্বীকার করে মো. তাজুল ইসলাম বলেন, দেশের শহরগুলোতে বসবাসকারী পরিবারের ২১ শতাংশ মানুষের খাবার পানি নিয়ে দুশ্চিন্তা লাঘবে স্থানীয় সরকার বিভাগের আওতাধীন জনস্বাস্থ্য প্রকৌশল অধিদপ্তর বিভিন্ন কার্যকর পদক্ষেপ গ্রহণ করেছে।

সরকার দলীয় সংসদ সদস্য এম আবদুল লতিফের প্রশ্নের জবাবে মন্ত্রী আরও বলেন, পৌরসভাগুলোতে সুপেয় পানির জন্য দেশের সব পৌরসভায় পয়েন্ট সোর্সের মাধ্যমে বিশুদ্ধ পানি সরবরাহ ব্যবস্থা চালু আছে এবং অধিকাংশ পৌরসভায় পাইপ লাইনের মাধ্যমে বিশুদ্ধ পানি সরবরাহ করা হচ্ছে। পৌরসভাসমূহে পানি সরবরাহ কভারেজ প্রায় ৯৯.৬ শতাংশ যার মধ্যে পয়েন্ট ওয়াটার সাপ্লাই ও পাইপড ওয়াটার সাপ্লাইয়ের মাধ্যমে যথাক্রমে ৬১.৬ শতাংশ ও ৩৮ শতাংশ জনগণ পানি সরবরাহ সুবিধা পাচ্ছে (বাংলাদেশ পরিসংখ্যান ব্যুরো ও ইউনিসেফের যৌথ জরিপ প্রতিবেদন Multiple Indicator Cluster Survey (MICS) ২০১৯ অনুযায়ী)। পর্যায়ক্রমে সব পৌরসভাসমূহে পাইপ লাইনের মাধ্যমে বিশুদ্ধ পানি সরবরাহ ব্যবস্থা চালু করার নিমিত্ত কার্যক্রম অব্যাহত রয়েছে।

নিউজটি শেয়ার করুন

চাহিদার চেয়ে বেশি উৎপাদনের ক্ষমতা আছে ঢাকা ওয়াসার : স্থানীয় সরকারমন্ত্রী

আপডেট সময় : ১০:২০:১০ অপরাহ্ন, সোমবার, ৯ জানুয়ারী ২০২৩

নিজস্ব প্রতিবেদক : 

ঢাকা ওয়াসা চাহিদার তুলনায় উদ্বৃত্ত পানি উৎপাদনের সক্ষমতা অর্জন করেছে বলে জাতীয় সংসদে জানিয়ে স্থানীয় সরকারমন্ত্রী তাজুল ইসলাম বলেন, ঢাকা শহরে দৈনিক পানির চাহিদা ২৬০-২৬৫ কোটি লিটার। আর উৎপাদন ক্ষমতা ২৭০-২৭৫ কোটি লিটার। যদিও গ্রীষ্ম ও শীত মৌসুমে পানির চাহিদার তারতম্য হয়ে থাকে।

সোমবার (৯ জানুয়ারি) জাতীয় সংসদে প্রশ্নোত্তর পর্বে স্থানীয় সরকারমন্ত্রী এসব কথা বলেন। স্পিকার শিরীন শারমিন চৌধুরীর সভাপতিত্বে প্রশ্নোত্তর টেবিলে উপস্থাপন করা হয়।

জাতীয় পার্টির সংসদ সদস্য সৈয়দ আবু হোসেনের প্রশ্নের জবাবে স্থানীয় সরকার মন্ত্রী বলেন, ঢাকা উত্তর সিটি করপোরেশনের দৈনিক পানির চাহিদা প্রায় একশ ৩৫ কোটি লিটার। আর দক্ষিণ সিটি করপোরেশনের দৈনিক চাহিদা একশ ২৫ কোটি লিটার।

তিনি বলেন, পানি বিশুদ্ধকরণের কাজটি অত্যাধুনিক কেমিক্যাল পিএসি এলাম সালফেট ও ক্লোরিনেশনের মাধ্যমে করা হয়। বিশ্ব স্বাস্থ্য সংস্থা ও ইসিআর-৯৭ অনুসরণ করে পানির গুণগত মান নিশ্চিত হওয়ার পর নেটওয়ার্কে সরবরাহ করা হয়। ঢাকা ওয়াসা মহানগরীর ১৫০-১৬০টি স্থান হতে নমুনা পানি সংগ্রহ করে তা নিয়মিত পরীক্ষা করে থাকে।

সরকার দলীয় সংসদ সদস্য সৈয়দা রুবিনা আক্তারের প্রশ্নের জবাবে স্থানীয় সরকারমন্ত্রী তাজুল ইসলাম বলেন, বরিশাল মহানগরীতে দৈনিক পানির চাহিদা ৫ কোটি ৪০ লাখ লিটার। দৈনিক পানি সরবরাহ হয় ২ কোটি ৮৫ লাখ লিটার। ঘাটতি রয়েছে ২ কোটি ৫৫ লাখ লিটার। বর্তমানে বরিশাল মহানগরীতে ৩৮টি উৎপাদক গভীর নলকূপের মাধ্যমে পানি সরবরাহ করা হচ্ছে।

১০টি ভ্রাম্যমাণ পানির ট্যাংক দিয়ে বরিশাল সিটি করপোরেশনের কলোনিসহ গুরুত্বপূর্ণ এলাকায় ৪০ হাজার লিটার বিশুদ্ধ খাবার পানি প্রতিদিন সরবরাহ করা হচ্ছে বলে জানান স্থানীয় সরকার। তিনি বলেন, ঘাটতির অংশ নগরবাসী ব্যক্তিগত গভীর নলকূপ, খাল-নদী-নালা এবং জলাশয়ের পানি দ্বারা পূরণ করছে।

বরিশাল সিটি করপোরেশনের মোট পানি সরবরাহের প্রায় ৭০ শতাংশ ভূ-গর্ভস্থ পানির ওপর নির্ভরশীল বলে জানান স্থানীয় সরকারমন্ত্রী। তিনি বলেন, ভূ-গর্ভস্থ পানির ওপর নির্ভরশীলতা কমানোর জন্য ভূ-পৃষ্ঠ পানির ওপর নির্ভরশীল হতে হবে। সে ক্ষেত্রে, নিরাপদ পানি সরবরাহের লক্ষ্যে সারফেস ওয়াটার ট্রিটমেন্ট প্ল্যান্ট নির্মাণ ও চালুর ব্যবস্থা করতে হবে।

মো. তাজুল ইসলাম বলেন, স্থানীয় সরকার বিভাগের আওতাধীন জনস্বাস্থ্য প্রকৌশল অধিদফতর কর্তৃক ৯৬টি পৌরসভায় বিভিন্ন প্রকল্পের আওতায় পাইপ লাইনের মাধ্যমে পানি সরবরাহ কার্যক্রম বাস্তবায়নাধীন রয়েছে।

সংসদ সদস্য মন্ত্রীর কাছে জানতে চান- মন্ত্রী মহোদয় অনুগ্রহ করে বলবেন কি, এটা সত্য কিনা যে, দেশের শহরগুলোতে বসবাসকারী পরিবারের ২১ শতাংশ মানুষ তাদের খাবার পানি নিয়ে দুশ্চিন্তায় থাকেন; বিষয়টি উঠে আসছে বিবিএসের জরিপে; বিষয়টি সত্য হলে, শহরের এসব মানুষদের দুশ্চিন্তা লাঘবে সরকার কোনো পদক্ষেপ গ্রহণ করবে কিনা; করলে, তা কী?
শহরগুলোতে বসবাসকারী মানুষের খাবার পানি নিয়ে দুশ্চিন্তার কথা স্বীকার করে মো. তাজুল ইসলাম বলেন, দেশের শহরগুলোতে বসবাসকারী পরিবারের ২১ শতাংশ মানুষের খাবার পানি নিয়ে দুশ্চিন্তা লাঘবে স্থানীয় সরকার বিভাগের আওতাধীন জনস্বাস্থ্য প্রকৌশল অধিদপ্তর বিভিন্ন কার্যকর পদক্ষেপ গ্রহণ করেছে।

সরকার দলীয় সংসদ সদস্য এম আবদুল লতিফের প্রশ্নের জবাবে মন্ত্রী আরও বলেন, পৌরসভাগুলোতে সুপেয় পানির জন্য দেশের সব পৌরসভায় পয়েন্ট সোর্সের মাধ্যমে বিশুদ্ধ পানি সরবরাহ ব্যবস্থা চালু আছে এবং অধিকাংশ পৌরসভায় পাইপ লাইনের মাধ্যমে বিশুদ্ধ পানি সরবরাহ করা হচ্ছে। পৌরসভাসমূহে পানি সরবরাহ কভারেজ প্রায় ৯৯.৬ শতাংশ যার মধ্যে পয়েন্ট ওয়াটার সাপ্লাই ও পাইপড ওয়াটার সাপ্লাইয়ের মাধ্যমে যথাক্রমে ৬১.৬ শতাংশ ও ৩৮ শতাংশ জনগণ পানি সরবরাহ সুবিধা পাচ্ছে (বাংলাদেশ পরিসংখ্যান ব্যুরো ও ইউনিসেফের যৌথ জরিপ প্রতিবেদন Multiple Indicator Cluster Survey (MICS) ২০১৯ অনুযায়ী)। পর্যায়ক্রমে সব পৌরসভাসমূহে পাইপ লাইনের মাধ্যমে বিশুদ্ধ পানি সরবরাহ ব্যবস্থা চালু করার নিমিত্ত কার্যক্রম অব্যাহত রয়েছে।