ঢাকা ০১:৪৮ পূর্বাহ্ন, শনিবার, ২০ এপ্রিল ২০২৪, ৬ বৈশাখ ১৪৩১ বঙ্গাব্দ
বাংলা বাংলা English English हिन्दी हिन्दी

চাল কালোবাজারির সাথে নাম জড়ানোয় প্রতিবাদ জানিয়ে হাসেম মেম্বারের সংবাদ সম্মেলন

প্রতিনিধির নাম
  • আপডেট সময় : ০৫:২২:৫৯ অপরাহ্ন, শনিবার, ১৮ ফেব্রুয়ারী ২০২৩
  • / ৪৬৪ বার পড়া হয়েছে
বাংলা খবর বিডি অনলাইনের সর্বশেষ নিউজ পেতে অনুসরণ করুন গুগল নিউজ (Google News) ফিডটি
নিজস্ব প্রতিবেদক :
সিরাজগঞ্জের শাহজাদপুর উপজেলার পোরজনা ইউনিয়ন পরিষদের বাইরে একটি অটোভ্যানে প্লাস্টিকের সাদা বস্তায় থাকা চাউল আটকিয়ে এলাকাবাসী ইউপি সদস্য আবুল হাশেমের নাম জড়িয়ে চাউল পাচারের অভিযোগ তুলে যে প্রচারণা চালিয়েছে তার প্রতিবাদ জানিয়ে সংবাদ সম্মেলন করেছেন মেম্বার আবুল হাসেম। শনিবার (১৮ ফেব্রুয়ারি) বেলা সাড়ে ১১টার দিকে পোরজনা বাজারের আলহাজ্ব আজাহার আলী সুপার মার্কেটের দ্বিতীয় তলায় এ সংবাদ সম্মেলন অনুষ্ঠিত হয়।
সংবাদ সম্মেলনে লিখিত বক্তব্যে পোরজনা ইউনিয়ন পরিষদের সদস্য আবুল হাসেম দাবী করেন, ‘আমি প্রায় ৪ বছর যাবৎ সুনামের সাথে আমার ওয়ার্ডের মানুষের সেবা করার পাশাপাশি নানা উন্নয়ন কর্মকান্ডে ভূমিকা পালন করে আসছি। এতে ইর্ষান্বিত হয়ে কিছু প্রভাবশালী কুচক্রিমহল নানা রকম চক্রান্তসহ বিভিন্ন সময় আমার কাছে চাঁদা দাবী করতো। এসব অনৈতিক দাবী মেনে না নেয়ায় আমার উপর ক্ষিপ্ত হয়ে আমাকে সামাজিকভাবে হেয় প্রতিপন্ন করতে গত ১২ ফেব্রুয়ারি পোরজনা ইউনিয়ন পরিষদের সামনে ভ্যানে চাউল রেখে আমার নামে মিথ্যা অভিযোগ ও অপপ্রচার করছে। অটোভ্যানে ৩টি প্লাস্টিকের বস্তায় জব্দকৃত চাউল আমার হুকুমে গোডাউন থেকে নেয়ার যে অভিযোগ করা হয় তা সম্পূর্ণ মিথ্যা ও ভিত্তিহীন।
তিনি আরও বলেন, ‘ঘটনার সময় ইউনিয়ন পরিষদের সবগুলো কক্ষ তালাবদ্ধ ছিলো। অথচ পরিষদের বাইরে ভ্যানে থাকা চাউল নিয়ে অপপ্রচার চালানো হচ্ছে। আর এই প্রপাগান্ডা চালানোর জন্য ব্যবহার করা হয়েছে ইউনিয়ন পরিষদের নিরীহ গ্রাম পুলিশকে। ওই সময় দায়িত্বরত গ্রাম পুলিশ একরামুলকে মারপিটের মুখে তুলে নিয়ে একটি গলির মধ্যে নিয়ে গিয়ে জোর করে আমার নাম বলানো হয়। সেইসাথে কুচক্রীরা পরিকল্পিত ভাবে আমার ব্যবহৃত মোটরসাইকেল ভাঙচুর করে।’
এ সময় সংবাদ সম্মেলনে উপস্থিত গ্রাম পুলিশ একরামুল বলেন, গত ১২ ফেব্রুয়ারি আমি ইউনিয়ন পরিষদে ডিউটি করার সময় পরিষদের বাইরে একটি ভ্যানে কয়েকটি সাদা বস্তা দেখতে পেয়ে এগিয়ে যাই। সেখানে কি আছে জিজ্ঞেস করতেই কয়েকজন মারমুখী হয়ে তেড়ে আসে এবং আমাকে ধরে নিয়ে একটি গলির মধ্যে নিয়ে ভ্যানের চাউলের সাথে হাসেম মেম্বারের নাম বলতে বলে। না বলরে আমাকে  মেরে ফেলার হুমকি দেয়। তাই জীবন বাঁচাতে মেম্বারের নাম বলেছি ওই সময়।
সংবাদ সম্মেলনে  আরও উপস্থিত ছিলেন, সাবেক মৎসজীবী প্রতিনিধি আবু হানিফ, গ্রাম প্রধান রোস্তম বেপারী, বারেন প্রামানিক, জেলে প্রতিনিধি মাধব হালদার, ভাষা হালদার, সুবিধাভোগী মৎস্যজীবীরা এবং শাহজাদপুরে কর্মরত ইলেকট্রনিক ও প্রিন্ট মিডিয়ার সংবাদ কর্মীরা।
বা/খ : এসআর।

নিউজটি শেয়ার করুন

চাল কালোবাজারির সাথে নাম জড়ানোয় প্রতিবাদ জানিয়ে হাসেম মেম্বারের সংবাদ সম্মেলন

আপডেট সময় : ০৫:২২:৫৯ অপরাহ্ন, শনিবার, ১৮ ফেব্রুয়ারী ২০২৩
নিজস্ব প্রতিবেদক :
সিরাজগঞ্জের শাহজাদপুর উপজেলার পোরজনা ইউনিয়ন পরিষদের বাইরে একটি অটোভ্যানে প্লাস্টিকের সাদা বস্তায় থাকা চাউল আটকিয়ে এলাকাবাসী ইউপি সদস্য আবুল হাশেমের নাম জড়িয়ে চাউল পাচারের অভিযোগ তুলে যে প্রচারণা চালিয়েছে তার প্রতিবাদ জানিয়ে সংবাদ সম্মেলন করেছেন মেম্বার আবুল হাসেম। শনিবার (১৮ ফেব্রুয়ারি) বেলা সাড়ে ১১টার দিকে পোরজনা বাজারের আলহাজ্ব আজাহার আলী সুপার মার্কেটের দ্বিতীয় তলায় এ সংবাদ সম্মেলন অনুষ্ঠিত হয়।
সংবাদ সম্মেলনে লিখিত বক্তব্যে পোরজনা ইউনিয়ন পরিষদের সদস্য আবুল হাসেম দাবী করেন, ‘আমি প্রায় ৪ বছর যাবৎ সুনামের সাথে আমার ওয়ার্ডের মানুষের সেবা করার পাশাপাশি নানা উন্নয়ন কর্মকান্ডে ভূমিকা পালন করে আসছি। এতে ইর্ষান্বিত হয়ে কিছু প্রভাবশালী কুচক্রিমহল নানা রকম চক্রান্তসহ বিভিন্ন সময় আমার কাছে চাঁদা দাবী করতো। এসব অনৈতিক দাবী মেনে না নেয়ায় আমার উপর ক্ষিপ্ত হয়ে আমাকে সামাজিকভাবে হেয় প্রতিপন্ন করতে গত ১২ ফেব্রুয়ারি পোরজনা ইউনিয়ন পরিষদের সামনে ভ্যানে চাউল রেখে আমার নামে মিথ্যা অভিযোগ ও অপপ্রচার করছে। অটোভ্যানে ৩টি প্লাস্টিকের বস্তায় জব্দকৃত চাউল আমার হুকুমে গোডাউন থেকে নেয়ার যে অভিযোগ করা হয় তা সম্পূর্ণ মিথ্যা ও ভিত্তিহীন।
তিনি আরও বলেন, ‘ঘটনার সময় ইউনিয়ন পরিষদের সবগুলো কক্ষ তালাবদ্ধ ছিলো। অথচ পরিষদের বাইরে ভ্যানে থাকা চাউল নিয়ে অপপ্রচার চালানো হচ্ছে। আর এই প্রপাগান্ডা চালানোর জন্য ব্যবহার করা হয়েছে ইউনিয়ন পরিষদের নিরীহ গ্রাম পুলিশকে। ওই সময় দায়িত্বরত গ্রাম পুলিশ একরামুলকে মারপিটের মুখে তুলে নিয়ে একটি গলির মধ্যে নিয়ে গিয়ে জোর করে আমার নাম বলানো হয়। সেইসাথে কুচক্রীরা পরিকল্পিত ভাবে আমার ব্যবহৃত মোটরসাইকেল ভাঙচুর করে।’
এ সময় সংবাদ সম্মেলনে উপস্থিত গ্রাম পুলিশ একরামুল বলেন, গত ১২ ফেব্রুয়ারি আমি ইউনিয়ন পরিষদে ডিউটি করার সময় পরিষদের বাইরে একটি ভ্যানে কয়েকটি সাদা বস্তা দেখতে পেয়ে এগিয়ে যাই। সেখানে কি আছে জিজ্ঞেস করতেই কয়েকজন মারমুখী হয়ে তেড়ে আসে এবং আমাকে ধরে নিয়ে একটি গলির মধ্যে নিয়ে ভ্যানের চাউলের সাথে হাসেম মেম্বারের নাম বলতে বলে। না বলরে আমাকে  মেরে ফেলার হুমকি দেয়। তাই জীবন বাঁচাতে মেম্বারের নাম বলেছি ওই সময়।
সংবাদ সম্মেলনে  আরও উপস্থিত ছিলেন, সাবেক মৎসজীবী প্রতিনিধি আবু হানিফ, গ্রাম প্রধান রোস্তম বেপারী, বারেন প্রামানিক, জেলে প্রতিনিধি মাধব হালদার, ভাষা হালদার, সুবিধাভোগী মৎস্যজীবীরা এবং শাহজাদপুরে কর্মরত ইলেকট্রনিক ও প্রিন্ট মিডিয়ার সংবাদ কর্মীরা।
বা/খ : এসআর।