গাধা জল ঘোলা করে খায়, বিএনপির একই অবস্থা : তথ্যমন্ত্রী
- আপডেট সময় : ০৭:২২:৪৩ অপরাহ্ন, রবিবার, ৬ নভেম্বর ২০২২
- / ৪৪০ বার পড়া হয়েছে
নিজস্ব প্রতিবেদক :
বর্তমান সরকারের অধীনে নির্বাচনে না যাওয়া নিয়ে বিএনপির বক্তব্য প্রসঙ্গে তথ্য ও সম্প্রচারমন্ত্রী এবং আওয়ামী লীগের যুগ্ম সাধারণ সম্পাদক ড. হাছান মাহমুদ বলেন, গাধা জল ঘোলা করে খায়। ২০১৮ সালেও গাধা জল ঘোলা করে খেয়েছিল। নির্বাচনের বহু আগে থেকে আমরা সরকারের অধীনে নির্বাচনে যাবো না বলে এসেছিল। পরে গাধা জল ঘোলা করে খেয়েছে। নির্বাচনে গিয়েছে।
রোববার (৬ নভেম্বর) সচিবালয়ে আসন্ন বিশ্ব জলবায়ু সম্মেলন কপ-২৭ উপলক্ষে বাংলাদেশ ক্লাইমেট চেঞ্জ জার্নালিস্ট ফোরামের সঙ্গে মতবিনিময় শেষে সাংবাদিকদের এক প্রশ্নের জবাবে তিনি এসব কথা বলেন।
মন্ত্রী বলেন, বিএনপি এবারও বলছে তারা নির্বাচনে যাবে না। বিএনপির অনেক নেতাকে আমি জানি, তারা নির্বাচনে যেতে উদগ্রীব হয়ে আছেন। মির্জা আলমগীর যাই বলুন, বিএনপির নেতারা উদগ্রীব হয়েই বসে আছেন।
তিনি বলেন, বেগম খালেদা জিয়া প্রধানমন্ত্রীর বদান্যতায় জেলখানার বাহিরে আছেন। এ ধরনের ঘটনা আমাদের দেশের ইতিহাসে বিরল। কিন্তু কেউ যদি এই বদান্যতার মূল্য না বোঝে, প্রধানমন্ত্রীকে নিয়ে অশোভন-অশালীন বক্তব্য দেন এবং এই বদান্যতা দুর্বলতা মনে করেন, তাহলে সে ক্ষেত্রে বদান্যতা দেখানোর প্রয়োজন আছে বলে আমি ব্যক্তিগতভাবে মনে করি না।
এদিন সকালে জাতীয় জাদুঘরে বাংলাদেশ আওয়ামী লীগ আয়োজিত ‘অগ্নিসন্ত্রাসের আর্তনাদ’ শীর্ষক প্রদর্শনীর কথা উল্লেখ করে সম্প্রচারমন্ত্রী হাছান বলেন, আমি একটু আগে সেই প্রোগ্রাম থেকে এসেছি, যেখানে বিএনপি-জামায়াতের অগ্নিসন্ত্রাস, নৈরাজ্যের শিকার, নিহতদের পরিবার এবং আহতদের আর্তনাদ পুরো মিলনায়তনকে কাঁদিয়েছে। বিদেশি কূটনীতিকরা সেখানে ছিলেন, তারা কেঁদেছেন। আমি নিজে কাঁদতে বাধ্য হয়েছি। সাংবাদিকরা কেঁদেছেন। প্রধানমন্ত্রী সেখানে তারও চোখের জল ধরে রাখতে পারেননি।
তিনি বলেন, প্রত্যেক বক্তা তার বক্তৃতায় বলেছেন, আমরা যেন আমাদের জীবদ্দশায় আমার স্বামী বা আমার সন্তান বা আমার পিতা হত্যার বিচার দেখে যেতে পারি। ১৯৭৭ সালে বিনা বিচারে নিহতের সন্তানরা বলেছেন, আমার বাবার কবর কোথায় আমি জানি না। প্রধানমন্ত্রীর কাছে তারা দাবি দিয়েছেন, তারা যেন তাদের বাবার কবর কোথায় সেটি জানতে পারেন এবং এই হত্যাকাণ্ডের যাতে বিচার হয়।
তথ্যমন্ত্রী বলেন, ১৯৭৭ সালে জিয়াউর রহমান হাজারো সেনা সদস্যকে বিনা বিচারে ফাঁসিতে ঝুলিয়েছিল। জামায়াতকে সঙ্গে নিয়ে যারা অগ্নিসন্ত্রাস, নৈরাজ্য করেছিল, বিএনপি সেই দল। যারা মাঠে গিয়ে বোমা নিক্ষেপ করেছে, শুধু তারা নয়, এগুলোর পেছনে অর্থায়ন আছে, হুকুমদাতা আছে। বিএনপির হুকুমদাতা আর অর্থদাতাদের বিচারের আওতায় আনতে হবে। এটি সময়ের দাবি এখন এবং যাদের আর্তনাদ শুনেছি তাদের দাবি।
ড. হাছান বলেন, ‘আপনারা জানেন শনিবার (৫ নভেম্বর) বরিশালেও তারা বিশৃঙ্খলা তৈরি করেছে। যুবলীগের ওপর হামলা করেছে, দেশের অন্যান্য জায়গায়ও তারা এ চেষ্টা করছে। সেই প্রেক্ষাপটে তো সরকার বসে থাকতে পারে না। সরকারের দায়িত্ব তো জনজীবনে শান্তি-স্থিতিশীলতা স্থাপন করা। কারো জেলের বাহিরে থাকার সুবাদে তার পরামর্শ নিয়ে যখন দেশ অস্থিতিশীল করার চেষ্টা হয়, তখন তো কারো প্রতি বদান্যতা দেখানোর প্রয়োজন আছে বলে আমি মনে করি না।