ঢাকা ০১:৩৩ পূর্বাহ্ন, বৃহস্পতিবার, ২৫ এপ্রিল ২০২৪, ১১ বৈশাখ ১৪৩১ বঙ্গাব্দ
বাংলা বাংলা English English हिन्दी हिन्दी

গাড়ির ওয়ার্কশপে ভয়াবহ অগ্নিকান্ড, মালিকের চোখের সামনেই পুড়ল কোটি টাকার সম্পদ

প্রতিনিধির নাম
  • আপডেট সময় : ০৪:৪২:১১ অপরাহ্ন, শুক্রবার, ২৫ নভেম্বর ২০২২
  • / ৪৪৯ বার পড়া হয়েছে
বাংলা খবর বিডি অনলাইনের সর্বশেষ নিউজ পেতে অনুসরণ করুন গুগল নিউজ (Google News) ফিডটি

রাজশাহী ব্যুরো :

রাজশাহীর মহানগরীর কুমারপাড়া এলাকায় একটি গাড়ির ওয়ার্কশপে ভয়াবহ অগ্নিকাণ্ডের ঘটনা ঘটেছে।

শুক্রবার রাত চারটার সময় কুমারপাড়া এলাকায় কার-কেয়ার সেন্টারে এ অগ্নিকাণ্ডের সূত্রপাত হয়। ওয়ার্কশপটিতে দ্রুত আগুন ছড়িয়ে পড়ে। পরে পাশের ১২ তলা নূরে হায়াত গার্ডেন ভবনের দুই তলায় পর্যন্ত আগুন ধরে যায়।

খবর পেয়ে ফায়ার সার্ভিস ও সিভিল ডিফেন্স এর দুইটি ইউনিট ঘটনাস্থলে আসে। আগুনের ভয়াবহতা বেশি দেখতে পেয়ে আরো কয়েকটি ইউনিটকে ঘটনাস্থলে ডাকে। মোট ১২ টি ইউনিট একসাথে কাজ করে দুই ঘন্টায় আগুন নিয়ন্ত্রণে আনে।

ওয়ার্কশপের পাশে ১২ তলা ভবন নূরে হায়াত গার্ডেনের দুই তলায় গ্র্যান্ড তোফা নামে একটি কমিউনিটি সেন্টারে আগুন ছড়িয়ে পড়ে।কমিউনিটি সেন্টারে মানুষ না থাকায় হতাহতের ঘটনা ঘটেনি।

স্থানীয়রা জানান, রাত চারটায় কার কেয়ার সেন্টার নামে ঐ গাড়ির ওয়ার্কশপে আগুনের সূত্রপাত হওয়ায় ফায়ার সার্ভিসকে খবর দিলে তারা দ্রুত ঘটনাস্থলে এসে কাজ শুরু করে। তাদের সহযোগিতায় ভবনের সকলকে নিরাপদে নিচে নামানো হয়। এ সময় ওয়ার্কশপে থাকা দুইটি গ্যাস সিলিন্ডার বিস্ফোরিত হয়ে পাশের রাস্তায় পড়ে। এসময় আশপাশে থাকা মানুষের মধ্যে ব্যাপক আতঙ্ক ছড়িয়ে পড়ে।

কার সেন্টার ও কনভেনশন সেন্টারের মালিক আশিব মাহবুব সানি জানান, কার সেন্টারে তার নিজস্ব দুইটি এবং গ্রাহকের তিনটি গাড়ি, আধুনিক যন্ত্রপাতি, বিভিন্ন মালামাল ও নগদ টাকা ছিল, যা আগুনে পুড়ে গেছে। আর কনভেনশন সেন্টারের পাঁচটি এসি, টিভিসহ বিভিন্ন আসবাবপত্র ছিল। আর দামি ইন্টেরিয়র ডেকোরেশন করা ছিল যা আগুনে পুড়ে গেছে। এই ঘটনায় তার প্রায় ১০ কোটি টাকার সম্পদের ক্ষয়-ক্ষতি হয়েছে।

এ ব্যাপারে রাজশাহী ফায়ার সার্ভিসের সহকারি পরিচালক রফিকুল ইসলাম জানান,আগুন লাগার একটু পরে এসে আমরা কাজ শুরু করি।মোট ১২ টি ইউনিট ২ ঘন্টা একযোগে কাজ করে আগুন নিভাতে সক্ষম হই। ধারণা করা হচ্ছে বিদ্যুতের শর্ট-সার্কিট থেকে আগুনের সূত্রপাত হতে পারে। আমরা দ্রুত আসায় আগুন তিন তলা পর্যন্ত যায়নি। দুই তলায় কমিউনিটি সেন্টার থাকায় সেখানে মানুষ ছিলো না।

তিনি বলেন, ১২তলা ভবনে ৫০ টি পরিবারের দুই শতাধিক মানুষ বসবাস করে। তাৎক্ষণিক সকলকে নিচে নামাতে সক্ষম হলেও তিন শিশু, তিনজন বৃদ্ধসহ মোট ১০ জন ভবনের ছাদে গিয়ে আশ্রয় নেয়। পরে তাদেরকে উদ্ধার করা হয়েছে। কোন হতাহতের ঘটনা ঘটেনি।

ঘটনাস্থল পরিদর্শনের পর ফায়ার সার্ভিস ও সিভিল ডিফেন্স রাজশাহী বিভাগীয় উপ-পরিচালক (ডিডি) ওহিদুল ইসলাম জানান, তারা প্রাথমিকভাবে ধারণা করছেন বৈদ্যুতিক শর্ট সার্কিট থেকেই কার সেন্টারে আগুনের সূত্রপাত হয়েছে। পরে তা পুরো কার সেন্টার এবং পাশের ভবনের দোতলায় অবস্থিত তোফা কনভেনশন সেন্টারে দ্রুত ছড়িয়ে পড়ে। এতে প্রায় কয়েক কোটি টাকার ক্ষয়-ক্ষতি হয়েছে। এরপরও ক্ষয়-ক্ষতি নিরূপণের জন্য পুরো বিষয়টি খতিয়ে দেখা হচ্ছে।

এদিকে, আগুনের পর নূরে হায়াত নামে ১১ তলা ভবনটির তিন তলার বেশ কয়েকটি ফ্ল্যাটের ভেতরের দেওয়ালে ফাটল দেখা গেছে। বাসিন্দারা বলছেন, আগুন লাগার পর সবাই বাইরে চলে যান। পরে বাসায় ফিরে দেওয়ালে ফাটল দেখতে পান তারা।

বা/খ:জই

নিউজটি শেয়ার করুন

গাড়ির ওয়ার্কশপে ভয়াবহ অগ্নিকান্ড, মালিকের চোখের সামনেই পুড়ল কোটি টাকার সম্পদ

আপডেট সময় : ০৪:৪২:১১ অপরাহ্ন, শুক্রবার, ২৫ নভেম্বর ২০২২

রাজশাহী ব্যুরো :

রাজশাহীর মহানগরীর কুমারপাড়া এলাকায় একটি গাড়ির ওয়ার্কশপে ভয়াবহ অগ্নিকাণ্ডের ঘটনা ঘটেছে।

শুক্রবার রাত চারটার সময় কুমারপাড়া এলাকায় কার-কেয়ার সেন্টারে এ অগ্নিকাণ্ডের সূত্রপাত হয়। ওয়ার্কশপটিতে দ্রুত আগুন ছড়িয়ে পড়ে। পরে পাশের ১২ তলা নূরে হায়াত গার্ডেন ভবনের দুই তলায় পর্যন্ত আগুন ধরে যায়।

খবর পেয়ে ফায়ার সার্ভিস ও সিভিল ডিফেন্স এর দুইটি ইউনিট ঘটনাস্থলে আসে। আগুনের ভয়াবহতা বেশি দেখতে পেয়ে আরো কয়েকটি ইউনিটকে ঘটনাস্থলে ডাকে। মোট ১২ টি ইউনিট একসাথে কাজ করে দুই ঘন্টায় আগুন নিয়ন্ত্রণে আনে।

ওয়ার্কশপের পাশে ১২ তলা ভবন নূরে হায়াত গার্ডেনের দুই তলায় গ্র্যান্ড তোফা নামে একটি কমিউনিটি সেন্টারে আগুন ছড়িয়ে পড়ে।কমিউনিটি সেন্টারে মানুষ না থাকায় হতাহতের ঘটনা ঘটেনি।

স্থানীয়রা জানান, রাত চারটায় কার কেয়ার সেন্টার নামে ঐ গাড়ির ওয়ার্কশপে আগুনের সূত্রপাত হওয়ায় ফায়ার সার্ভিসকে খবর দিলে তারা দ্রুত ঘটনাস্থলে এসে কাজ শুরু করে। তাদের সহযোগিতায় ভবনের সকলকে নিরাপদে নিচে নামানো হয়। এ সময় ওয়ার্কশপে থাকা দুইটি গ্যাস সিলিন্ডার বিস্ফোরিত হয়ে পাশের রাস্তায় পড়ে। এসময় আশপাশে থাকা মানুষের মধ্যে ব্যাপক আতঙ্ক ছড়িয়ে পড়ে।

কার সেন্টার ও কনভেনশন সেন্টারের মালিক আশিব মাহবুব সানি জানান, কার সেন্টারে তার নিজস্ব দুইটি এবং গ্রাহকের তিনটি গাড়ি, আধুনিক যন্ত্রপাতি, বিভিন্ন মালামাল ও নগদ টাকা ছিল, যা আগুনে পুড়ে গেছে। আর কনভেনশন সেন্টারের পাঁচটি এসি, টিভিসহ বিভিন্ন আসবাবপত্র ছিল। আর দামি ইন্টেরিয়র ডেকোরেশন করা ছিল যা আগুনে পুড়ে গেছে। এই ঘটনায় তার প্রায় ১০ কোটি টাকার সম্পদের ক্ষয়-ক্ষতি হয়েছে।

এ ব্যাপারে রাজশাহী ফায়ার সার্ভিসের সহকারি পরিচালক রফিকুল ইসলাম জানান,আগুন লাগার একটু পরে এসে আমরা কাজ শুরু করি।মোট ১২ টি ইউনিট ২ ঘন্টা একযোগে কাজ করে আগুন নিভাতে সক্ষম হই। ধারণা করা হচ্ছে বিদ্যুতের শর্ট-সার্কিট থেকে আগুনের সূত্রপাত হতে পারে। আমরা দ্রুত আসায় আগুন তিন তলা পর্যন্ত যায়নি। দুই তলায় কমিউনিটি সেন্টার থাকায় সেখানে মানুষ ছিলো না।

তিনি বলেন, ১২তলা ভবনে ৫০ টি পরিবারের দুই শতাধিক মানুষ বসবাস করে। তাৎক্ষণিক সকলকে নিচে নামাতে সক্ষম হলেও তিন শিশু, তিনজন বৃদ্ধসহ মোট ১০ জন ভবনের ছাদে গিয়ে আশ্রয় নেয়। পরে তাদেরকে উদ্ধার করা হয়েছে। কোন হতাহতের ঘটনা ঘটেনি।

ঘটনাস্থল পরিদর্শনের পর ফায়ার সার্ভিস ও সিভিল ডিফেন্স রাজশাহী বিভাগীয় উপ-পরিচালক (ডিডি) ওহিদুল ইসলাম জানান, তারা প্রাথমিকভাবে ধারণা করছেন বৈদ্যুতিক শর্ট সার্কিট থেকেই কার সেন্টারে আগুনের সূত্রপাত হয়েছে। পরে তা পুরো কার সেন্টার এবং পাশের ভবনের দোতলায় অবস্থিত তোফা কনভেনশন সেন্টারে দ্রুত ছড়িয়ে পড়ে। এতে প্রায় কয়েক কোটি টাকার ক্ষয়-ক্ষতি হয়েছে। এরপরও ক্ষয়-ক্ষতি নিরূপণের জন্য পুরো বিষয়টি খতিয়ে দেখা হচ্ছে।

এদিকে, আগুনের পর নূরে হায়াত নামে ১১ তলা ভবনটির তিন তলার বেশ কয়েকটি ফ্ল্যাটের ভেতরের দেওয়ালে ফাটল দেখা গেছে। বাসিন্দারা বলছেন, আগুন লাগার পর সবাই বাইরে চলে যান। পরে বাসায় ফিরে দেওয়ালে ফাটল দেখতে পান তারা।

বা/খ:জই