গাজীপুরে পৃথক ঘটনায় ট্রাফিক সার্জেন্টের স্ত্রী ও এক শিশু নিহত
- আপডেট সময় : ০৬:৫০:২৬ অপরাহ্ন, বৃহস্পতিবার, ২ ফেব্রুয়ারী ২০২৩
- / ৪৫৫ বার পড়া হয়েছে
কাজী মকবুল, গাজীপুর প্রতিনিধি :
গাজীপুরে পৃথক ঘটনায় অগ্নিদগ্ধ হয়ে পুলিশ সার্জেন্টের স্ত্রী এবং গ্যাস সিলিন্ডারের বোতলের আঘাতে এক শিশু নিহত হয়েছে। আজ বৃহস্পতিবার (০২ ফেব্রুয়ারী) মহানগরের বাসন থানাধীন নলজানির নয় তলা (প্লাটিনাম টাওয়ার) ভবনের ৭ম তলার ফ্লাটে এবং ইটাহাটা এলাকায় শিশু নিহত হয়। গাজীপুর মেট্রোপলিটন পুলিশ (জিএমপি’র) বাসন থানার ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তা (ওসি) সরোয়ার জাহান বিষয়টি নিশ্চিত করেছেন।
নিহত ফারজানা হক কচি (৩০) গাজীপুর মেট্রোপলিটন পুলিশ (জিএমপি’র) ট্রাফিক সার্জেন্ট শাহনেওয়াজের স্ত্রী। শাহনেওয়াজ চাঁপাইনবাবগঞ্জের শিবগঞ্জ উপজেলার লাউঘাটা গ্রামের সাইদুর রহমানের ছেলে। ফারজানা শরীয়তপুর জেলা সদর উপজেলার আঙ্গুনিয়া গ্রামের মীর আজিজুল হকের মেয়ে। তাদের সংসারে নুজাইন নেওয়াজ (৪) নামে এক সন্তান রয়েছে। সে মহানগরের জোড়পুকুড়পার এলাকার স্টার ফ্রোলিক স্কুলের প্লে শ্রেণীর শিক্ষার্থী।
নিহত অপর শিশু আয়েশা আক্তার (আড়াই বছর) শেরপুরের ঝিনাইগাতি উপজেলার কান্দুলী গ্রামের রাশেদুল ইসলামের মেয়ে। মেয়েকে নিয়ে বাবা-মা ইটাহাটা এলাকার আবুলের বাড়িতে ভাড়া থাকতো।
গাজীপুর মেট্রোপলিটন পুলিশ (জিএমপি’র) বাসন থানার ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তা (ওসি) সরোয়ার জাহান জানান, শাহনেওয়াজ তার ছেলেকে স্কুলে নিয়ে যায়। সকাল পৌণে ১১ টার দিকে পাশের ঘরের লোকজন বিকট শব্দ শুনতে পায়। পরে ঘর থেকে বরে হয়ে তারা সাজের্ন্টের ঘরে কাঁচের জানালা দিয়ে আগুন ও ধোঁয়া দেখতে পেয়ে দরজা ধাক্কা দিয়ে ঘরে প্রবেশ করে ফারজানা হক কচির পোড়া মরদেহ ফ্লোরে পরে থাকতে দেখে। আগুনে পুরো ঘরের আসবাবপত্র পুড়ে ছাই হয়ে যায়। ধারণা করা হচ্ছে ঘরের দরজা জানালা বন্ধ থাকায় গ্যাসের লিকেজ থেকে গ্যাস বের হয়ে পুরো ঘরে ছড়িয়ে পড়ে থাকতে পারে। চুলা জ্বালানোর সময় ঘরে জমে থাকা গ্যাসে আগুণ ধরে অগ্নিদগ্ধ হয়ে সে মারা যায়। মরদেহ ময়না তদন্তের জন্য গাজীপুর শহীদ তাজ উদ্দিন আহমদ মেডিকেল কলেজ হাসপাতাল মর্গে পাঠানো হয়েছে।
এদিকে, বেলা ১১ টায় ইটাহাটা এলাকায় নির্মাণাধীন কারখানার পাশ দিয়ে হেঁটে যাচ্ছিল শিশু আয়েশা আক্তার। ওই কারখানায় ঝালাই দেওয়ার সময় গ্যাস সিলিন্ডারের বোতলের মাথা হঠাৎ করে ছুটে গিয়ে আয়েশার মাথা ও মুখে আঘাতপ্রাপ্ত হয়। তাৎক্ষনিক স্বজনেরা তাকে উদ্ধার করে গাজীপুর শহীদ তাজ উদ্দিন আহমদ মেডিকেল কলেজ হাসপাতালে নিয়ে গেলে কর্তব্যরত চিকিৎসক তাকে মৃত ঘোষণা করে। নিহত শিশুর পারিবারের আবেদনের প্রেক্ষিতে পরবর্তী ব্যবস্থা গ্রহণ করা হবে।
বা/খ: জই