ঢাকা ১২:০৯ অপরাহ্ন, রবিবার, ৩০ জুন ২০২৪, ১৬ আষাঢ় ১৪৩১ বঙ্গাব্দ
বাংলা বাংলা English English हिन्दी हिन्दी

গাইবান্ধা উপনির্বাচনে ইসির পদক্ষেপকে স্বাগত জানাই : সাবেক ইসি

প্রতিনিধির নাম
  • আপডেট সময় : ১১:৩৭:১৮ অপরাহ্ন, বুধবার, ১৯ অক্টোবর ২০২২
  • / ৫০১ বার পড়া হয়েছে

সাবেক নির্বাচন কমিশনার ব্রিগেডিয়ার জেনারেল (অব.) এম সাখাওয়াত হোসেন

বাংলা খবর বিডি অনলাইনের সর্বশেষ নিউজ পেতে অনুসরণ করুন গুগল নিউজ (Google News) ফিডটি

নিজস্ব প্রতিবেদক : 
গাইবান্ধা-৫ উপনির্বাচনে ইসি যে পদক্ষেপ নিয়েছেন সেজন্য আমি তাদের স্বাগত জানিয়ে বলে জানান, সাবেক নির্বাচন কমিশনার ব্রিগেডিয়ার জেনারেল (অব.) এম সাখাওয়াত হোসেন।

আজ বুধবার নির্বাচন ভবনে নির্বাচন কমিশন আয়োজিত এক মতবিনিময় সভা শেষে তিনি সাংবাদিকদের কাছে এমন মন্তব্য করেন।

ব্রিগেডিয়ার জেনারেল (অব.) এম সাখাওয়াত হোসেন বলেন, সিসি ক্যামেরা নিয়ে বিতর্ক আছে। সেটা ভালো হোক, মন্দ হোক। ইভিএমে সূক্ষ্ম কারচুপি সম্ভব। বাইরে কোনো হইচই নেই, কিছু নেই, অথচ ভেতরে কী হচ্ছে, গাইবান্ধায় যেটা আমরা দেখলাম। তবে ইভিএম যেখানে ব্যবহার হচ্ছে, ব্যবহার করুন। অন্য সিস্টেমে হলে (ব্যালট পেপারে কারচুপি) বাইরেও হইচই হবে। কারণ, কেন্দ্র ক্যাপচার করতে তো লোকবল লাগবে। সিসি টিভিতে তো কষ্ট করে দেখতে হয়।

তিনি বলেন, নির্বাচন কমিশন যদি মনে করে পরিবেশ ঠিক নেই, তাহলে নির্বাচন বন্ধ করতে পারেন। কোথাও কোনো বাধা নেই। কারণ, সংবিধানের ১১৯ ধারা বলে আপনার কাজ হলো অবাধ, সুষ্ঠু ও গ্রহণযোগ্য নির্বাচন করা। বাকিটা আপনাদের চিন্তা-ভাবনা করতে হবে।

তিনি আরো বলেন, বরিশালে যেটা ভাইরাল হতে দেখেছি, এখানে নির্বাচন কমিশনের উচিত ইউএনওকে প্রটেকশন দেওয়া।সবচেয়ে বড় স্ট্রং হচ্ছে সাব কন্টিনেন্টে বাংলাদেশ নির্বাচন কমিশন সবচেয়ে বড়। আড়াই হাজার লোকবল ও অফিস নিয়ে আর কোনো নির্বাচন কমিশনের এটা নেই। তবে লোকগুলোর ব্যবহার করতে হবে।জাতীয় পরিচয়পত্রের দায়ভার স্বরাষ্ট্র মন্ত্রণালয়ের পরিবর্তে নির্বাচন কমিশনকে নেওয়ার পরামর্শ দিয়ে
নির্বাচন কমিশনার সাখাওয়াত বলেন, এনআইডির পেছনে এতোগুলো বছর সিস্টেম ডেভেলপ করেছে নির্বাচন কমিশন। এটা যদি আলাদা হয়ে যায়, তাহলে কোনো একসময় ভোটার লিস্ট নিয়েই কথা উঠবে যে কারটা ঠিক।

সিইসির সভাপতিত্বে এ সভায় নির্বাচন কমিশনার রাশেদা সুলতানা, আনিছুর রহমান ও মো. আলমগীর উপস্থিত ছিলেন। পাশাপাশি বৈঠকে অংশ নেন সাবেক সিইসি বিচারপতি আব্দুর রউফ, কে এম নূরুল হুদা, কাজী রকিব উদ্দীন আহমদ, সাবেক নির্বাচন কমিশনার অবসরপ্রাপ্ত ব্রিগেডিয়ার জেনারেল এম সাখাওয়াত হোসেন, রফিকুল ইসলাম, কবিতা খানম, সাবেক ইসি সচিব মোহাম্মাদ সাদিক, মোহাম্মাদ আবদুল্লাহ, সিরাজুল ইসলাম, হেলাল উদ্দীন আহমেদ এবং ইসির সাবেক অতিরিক্ত সচিব জেসমিন টুলী ও মোখলেছুর রহমান।

উল্লেখ্য, গত ৮ অক্টোবর সকাল ১০টায় জেলা পরিষদ ও অন্যান্য নির্বাচন নিয়ে ৬৪ জেলার জেলা প্রশাসক ও পুলিশ সুপারদের সঙ্গে বৈঠকে বসেছিল নির্বাচন কমিশন। বৈঠকে চার নির্বাচন কমিশনার, জনপ্রশাসন মন্ত্রণালয়ের অতিরিক্ত সচিব, অতিরিক্ত আইজিপিসহ প্রশাসনের ঊর্ধ্বতন কর্মকর্তারা উপস্থিত ছিলেন।

নিউজটি শেয়ার করুন

গাইবান্ধা উপনির্বাচনে ইসির পদক্ষেপকে স্বাগত জানাই : সাবেক ইসি

আপডেট সময় : ১১:৩৭:১৮ অপরাহ্ন, বুধবার, ১৯ অক্টোবর ২০২২

নিজস্ব প্রতিবেদক : 
গাইবান্ধা-৫ উপনির্বাচনে ইসি যে পদক্ষেপ নিয়েছেন সেজন্য আমি তাদের স্বাগত জানিয়ে বলে জানান, সাবেক নির্বাচন কমিশনার ব্রিগেডিয়ার জেনারেল (অব.) এম সাখাওয়াত হোসেন।

আজ বুধবার নির্বাচন ভবনে নির্বাচন কমিশন আয়োজিত এক মতবিনিময় সভা শেষে তিনি সাংবাদিকদের কাছে এমন মন্তব্য করেন।

ব্রিগেডিয়ার জেনারেল (অব.) এম সাখাওয়াত হোসেন বলেন, সিসি ক্যামেরা নিয়ে বিতর্ক আছে। সেটা ভালো হোক, মন্দ হোক। ইভিএমে সূক্ষ্ম কারচুপি সম্ভব। বাইরে কোনো হইচই নেই, কিছু নেই, অথচ ভেতরে কী হচ্ছে, গাইবান্ধায় যেটা আমরা দেখলাম। তবে ইভিএম যেখানে ব্যবহার হচ্ছে, ব্যবহার করুন। অন্য সিস্টেমে হলে (ব্যালট পেপারে কারচুপি) বাইরেও হইচই হবে। কারণ, কেন্দ্র ক্যাপচার করতে তো লোকবল লাগবে। সিসি টিভিতে তো কষ্ট করে দেখতে হয়।

তিনি বলেন, নির্বাচন কমিশন যদি মনে করে পরিবেশ ঠিক নেই, তাহলে নির্বাচন বন্ধ করতে পারেন। কোথাও কোনো বাধা নেই। কারণ, সংবিধানের ১১৯ ধারা বলে আপনার কাজ হলো অবাধ, সুষ্ঠু ও গ্রহণযোগ্য নির্বাচন করা। বাকিটা আপনাদের চিন্তা-ভাবনা করতে হবে।

তিনি আরো বলেন, বরিশালে যেটা ভাইরাল হতে দেখেছি, এখানে নির্বাচন কমিশনের উচিত ইউএনওকে প্রটেকশন দেওয়া।সবচেয়ে বড় স্ট্রং হচ্ছে সাব কন্টিনেন্টে বাংলাদেশ নির্বাচন কমিশন সবচেয়ে বড়। আড়াই হাজার লোকবল ও অফিস নিয়ে আর কোনো নির্বাচন কমিশনের এটা নেই। তবে লোকগুলোর ব্যবহার করতে হবে।জাতীয় পরিচয়পত্রের দায়ভার স্বরাষ্ট্র মন্ত্রণালয়ের পরিবর্তে নির্বাচন কমিশনকে নেওয়ার পরামর্শ দিয়ে
নির্বাচন কমিশনার সাখাওয়াত বলেন, এনআইডির পেছনে এতোগুলো বছর সিস্টেম ডেভেলপ করেছে নির্বাচন কমিশন। এটা যদি আলাদা হয়ে যায়, তাহলে কোনো একসময় ভোটার লিস্ট নিয়েই কথা উঠবে যে কারটা ঠিক।

সিইসির সভাপতিত্বে এ সভায় নির্বাচন কমিশনার রাশেদা সুলতানা, আনিছুর রহমান ও মো. আলমগীর উপস্থিত ছিলেন। পাশাপাশি বৈঠকে অংশ নেন সাবেক সিইসি বিচারপতি আব্দুর রউফ, কে এম নূরুল হুদা, কাজী রকিব উদ্দীন আহমদ, সাবেক নির্বাচন কমিশনার অবসরপ্রাপ্ত ব্রিগেডিয়ার জেনারেল এম সাখাওয়াত হোসেন, রফিকুল ইসলাম, কবিতা খানম, সাবেক ইসি সচিব মোহাম্মাদ সাদিক, মোহাম্মাদ আবদুল্লাহ, সিরাজুল ইসলাম, হেলাল উদ্দীন আহমেদ এবং ইসির সাবেক অতিরিক্ত সচিব জেসমিন টুলী ও মোখলেছুর রহমান।

উল্লেখ্য, গত ৮ অক্টোবর সকাল ১০টায় জেলা পরিষদ ও অন্যান্য নির্বাচন নিয়ে ৬৪ জেলার জেলা প্রশাসক ও পুলিশ সুপারদের সঙ্গে বৈঠকে বসেছিল নির্বাচন কমিশন। বৈঠকে চার নির্বাচন কমিশনার, জনপ্রশাসন মন্ত্রণালয়ের অতিরিক্ত সচিব, অতিরিক্ত আইজিপিসহ প্রশাসনের ঊর্ধ্বতন কর্মকর্তারা উপস্থিত ছিলেন।