ঢাকা ০৭:১৬ অপরাহ্ন, সোমবার, ২৪ জুন ২০২৪, ১০ আষাঢ় ১৪৩১ বঙ্গাব্দ
বাংলা বাংলা English English हिन्दी हिन्दी

গণসমাবেশ ঠেকাতে সরকার যা করেছে তা নজিরবিহীন ও কলঙ্কজনক : রিজভী

প্রতিনিধির নাম
  • আপডেট সময় : ০২:৩১:৪৭ অপরাহ্ন, শনিবার, ২২ অক্টোবর ২০২২
  • / ৪৬০ বার পড়া হয়েছে

সংবাদ সম্মেলনে বক্তব্য দিচ্ছেন বিএনপির সিনিয়র যুগ্ম মহাসচিব রুহুল কবির রিজভী

বাংলা খবর বিডি অনলাইনের সর্বশেষ নিউজ পেতে অনুসরণ করুন গুগল নিউজ (Google News) ফিডটি

নিজস্ব প্রতিবেদক : 
খুলনায় বিএনপির গণসমাবেশকে ঘিরে সরকার মূলত সান্ধ্য আইন জারি করেছে। সমাবেশকে বাধাগ্রস্ত করতেই সরকারের নির্দেশে আন্তঃজেলা রুটে বাস চলাচল বন্ধ করা হয়েছে। কিন্তু জনতার ঢলে পরিপূর্ণ এখন খুলনা শহর। তারা তাদের অধিকার ফিরে পেতেই সকল চ্যালেঞ্জ উপেক্ষা করে বিএনপির খুলনা বিভাগীয় গণসমাবেশে যোগ দিয়েছেন। অন্যদিকে গণসমাবেশ ঠেকাতে সরকার যা করেছে তা নজিরবিহীন ও কলঙ্কজনক বলেছেন বিএনপির সিনিয়র যুগ্ম মহাসচিব রুহুল কবির রিজভী।

আজ শনিবার দুপুরে রাজধানীর নয়াপল্টনে বিএনপির কেন্দ্রীয় কার্যালয়ে এক সংবাদ সম্মেলনে তিনি এসব কথা বলেন।

রিজভী বলেন, সরকারের নির্দেশে সমাবেশের দুইদিন আগে সড়ক পরিবহন ও লঞ্চ ধর্মঘট শুরু করা হয়। সরকারের নির্দেশে এই ধর্মঘটে চরম দুর্ভোগে পড়েন সাধারণ মানুষ, রোগী ও পরীক্ষার্থীরা। গতকাল থেকে ফেরী ও নৌ চলাচল বন্ধ করা হয়েছে। সমাবেশে যাতে লোক সমাগম না হয়, তার সকল চেষ্টাই করে যাচ্ছে সরকার। অন্যদিকে চেকপোস্টসহ নানা প্রতিবন্ধকতা সৃষ্টি করা হয়েছে। খুলনা মহানগরীর সাথে যোগাযোগ বিচ্ছিন্ন করার উদ্দেশ্যই হচ্ছে গণসমাবেশে মানুষের ঢল যাতে না নামে। সরকারের এহেন অপকৌশলে জনগণ ও বিএনপি নেতাকর্মীরা সীমাহীন ভোগান্তিতে পড়লেও তারা অদম্য উৎসাহ-উদ্দীপনায় সমাবেশস্থলের দিকে ছুটে যাচ্ছে। প্রাইভেটকার, মাইক্রো বাসসহ নদীপথে ট্রলারযোগে খুলনা মহানগরীর দিকে যাওয়ার পথে পথে পুলিশ ব্যারিকেড দিয়ে হয়রানি করছে অত্যধিক মাত্রায়।
তিনি বলেন, বিএনপির জাতীয় স্থায়ী কমিটির সদস্য গয়েশ্বশ চন্দ্র রায় খুলনায় যে বাড়িতে অবস্থান করছিলেন সেই বাড়ির লোকজনসহ সেখান থেকে প্রায় ১৯ জনকে গ্রেফতার করেছে পুলিশ। শুধু স্থানীয় নেতাকর্মীরাই নয়, ঢাকা থেকেও বিএনপি এবং অঙ্গ সংগঠনের যেসব নেতাকর্মী খুলনায় গেছেন তাদের বিভিন্নভাবে হয়রারি করা হয়েছে। জাহাঙ্গীরের নেতৃত্বে মাগুরা স্বেচ্ছাসেবক দলের একটি মাইক্রোবাস সমাবেশস্থলে যাওয়ার পথে পুলিশ আটক করে। তাদের গ্রেফতার করে গতকাল আদালতে পাঠানো হয়েছে।

রিজভী বলেন, সাতক্ষীরা থেকে বাসযোগে সমাবেশে আসার পথে বিএনপি এবং এর অঙ্গ ও সহযোগী সংগঠনের ৫০ জন নেতাকর্মীকে গ্রেফতার করেছে পুলিশ। বাগেরহাট থেকে আসার পথে বিএনপি নেতাকর্মীদের বহনকারী একটি ট্রলার আটকিয়ে দিয়েছে আওয়ামী লীগ। ঝিকরগাছা থেকে আসার পথে ৩০/৪০ জন নেতাকর্মীকে তারা ব্যাপক মারধর করে পুলিশের হাতে তুলে দিয়েছে, পুলিশ তাদের আটক করেছে। কেশবপুর থেকে সমাবেশস্থলে আসার পথে সোনাডাঙ্গায় ‘এই গাড়ি থাম’ বলে তারা হকিস্টিক, রড ও ছুরি দিয়ে বিএনপি নেতাকর্মীদের ওপর হামলা চালিয়ে ভয়ানক জখম করেছে। তারা তাদের কাছ থেকে টাকা পয়সা ও মোবাইল ফোন নিয়ে গেছে। সমাবেশস্থলের আশপাশসহ খুলনা মহানগরীর প্রবেশ পথে নেতাকর্মীদের ঢুকতে বাধার সৃষ্টি করা হয়েছে।
সংবাদ সম্মেলনে উপস্থিত ছিলেন বিএনপির সাংগঠনিক সম্পাদক অ্যাডভোকেট আবদুস সালাম আজাদ, সহ-দফতর সম্পাদক তাইফুল ইসলাম টিপু, নির্বাহী কমিটির সদস্য সালাহউদ্দিন ভূঁইয়া শিশির, স্বেচ্ছাসেবক দলের সাবেক স্বাস্থ্যবিষয়ক সম্পাদক ডা. জাহেদুল কবির জাহিদ ও ছাত্রদলের সিনিয়র সহ-সভাপতি রাশেদ ইকবাল খান প্রমুখ।

 

নিউজটি শেয়ার করুন

গণসমাবেশ ঠেকাতে সরকার যা করেছে তা নজিরবিহীন ও কলঙ্কজনক : রিজভী

আপডেট সময় : ০২:৩১:৪৭ অপরাহ্ন, শনিবার, ২২ অক্টোবর ২০২২

নিজস্ব প্রতিবেদক : 
খুলনায় বিএনপির গণসমাবেশকে ঘিরে সরকার মূলত সান্ধ্য আইন জারি করেছে। সমাবেশকে বাধাগ্রস্ত করতেই সরকারের নির্দেশে আন্তঃজেলা রুটে বাস চলাচল বন্ধ করা হয়েছে। কিন্তু জনতার ঢলে পরিপূর্ণ এখন খুলনা শহর। তারা তাদের অধিকার ফিরে পেতেই সকল চ্যালেঞ্জ উপেক্ষা করে বিএনপির খুলনা বিভাগীয় গণসমাবেশে যোগ দিয়েছেন। অন্যদিকে গণসমাবেশ ঠেকাতে সরকার যা করেছে তা নজিরবিহীন ও কলঙ্কজনক বলেছেন বিএনপির সিনিয়র যুগ্ম মহাসচিব রুহুল কবির রিজভী।

আজ শনিবার দুপুরে রাজধানীর নয়াপল্টনে বিএনপির কেন্দ্রীয় কার্যালয়ে এক সংবাদ সম্মেলনে তিনি এসব কথা বলেন।

রিজভী বলেন, সরকারের নির্দেশে সমাবেশের দুইদিন আগে সড়ক পরিবহন ও লঞ্চ ধর্মঘট শুরু করা হয়। সরকারের নির্দেশে এই ধর্মঘটে চরম দুর্ভোগে পড়েন সাধারণ মানুষ, রোগী ও পরীক্ষার্থীরা। গতকাল থেকে ফেরী ও নৌ চলাচল বন্ধ করা হয়েছে। সমাবেশে যাতে লোক সমাগম না হয়, তার সকল চেষ্টাই করে যাচ্ছে সরকার। অন্যদিকে চেকপোস্টসহ নানা প্রতিবন্ধকতা সৃষ্টি করা হয়েছে। খুলনা মহানগরীর সাথে যোগাযোগ বিচ্ছিন্ন করার উদ্দেশ্যই হচ্ছে গণসমাবেশে মানুষের ঢল যাতে না নামে। সরকারের এহেন অপকৌশলে জনগণ ও বিএনপি নেতাকর্মীরা সীমাহীন ভোগান্তিতে পড়লেও তারা অদম্য উৎসাহ-উদ্দীপনায় সমাবেশস্থলের দিকে ছুটে যাচ্ছে। প্রাইভেটকার, মাইক্রো বাসসহ নদীপথে ট্রলারযোগে খুলনা মহানগরীর দিকে যাওয়ার পথে পথে পুলিশ ব্যারিকেড দিয়ে হয়রানি করছে অত্যধিক মাত্রায়।
তিনি বলেন, বিএনপির জাতীয় স্থায়ী কমিটির সদস্য গয়েশ্বশ চন্দ্র রায় খুলনায় যে বাড়িতে অবস্থান করছিলেন সেই বাড়ির লোকজনসহ সেখান থেকে প্রায় ১৯ জনকে গ্রেফতার করেছে পুলিশ। শুধু স্থানীয় নেতাকর্মীরাই নয়, ঢাকা থেকেও বিএনপি এবং অঙ্গ সংগঠনের যেসব নেতাকর্মী খুলনায় গেছেন তাদের বিভিন্নভাবে হয়রারি করা হয়েছে। জাহাঙ্গীরের নেতৃত্বে মাগুরা স্বেচ্ছাসেবক দলের একটি মাইক্রোবাস সমাবেশস্থলে যাওয়ার পথে পুলিশ আটক করে। তাদের গ্রেফতার করে গতকাল আদালতে পাঠানো হয়েছে।

রিজভী বলেন, সাতক্ষীরা থেকে বাসযোগে সমাবেশে আসার পথে বিএনপি এবং এর অঙ্গ ও সহযোগী সংগঠনের ৫০ জন নেতাকর্মীকে গ্রেফতার করেছে পুলিশ। বাগেরহাট থেকে আসার পথে বিএনপি নেতাকর্মীদের বহনকারী একটি ট্রলার আটকিয়ে দিয়েছে আওয়ামী লীগ। ঝিকরগাছা থেকে আসার পথে ৩০/৪০ জন নেতাকর্মীকে তারা ব্যাপক মারধর করে পুলিশের হাতে তুলে দিয়েছে, পুলিশ তাদের আটক করেছে। কেশবপুর থেকে সমাবেশস্থলে আসার পথে সোনাডাঙ্গায় ‘এই গাড়ি থাম’ বলে তারা হকিস্টিক, রড ও ছুরি দিয়ে বিএনপি নেতাকর্মীদের ওপর হামলা চালিয়ে ভয়ানক জখম করেছে। তারা তাদের কাছ থেকে টাকা পয়সা ও মোবাইল ফোন নিয়ে গেছে। সমাবেশস্থলের আশপাশসহ খুলনা মহানগরীর প্রবেশ পথে নেতাকর্মীদের ঢুকতে বাধার সৃষ্টি করা হয়েছে।
সংবাদ সম্মেলনে উপস্থিত ছিলেন বিএনপির সাংগঠনিক সম্পাদক অ্যাডভোকেট আবদুস সালাম আজাদ, সহ-দফতর সম্পাদক তাইফুল ইসলাম টিপু, নির্বাহী কমিটির সদস্য সালাহউদ্দিন ভূঁইয়া শিশির, স্বেচ্ছাসেবক দলের সাবেক স্বাস্থ্যবিষয়ক সম্পাদক ডা. জাহেদুল কবির জাহিদ ও ছাত্রদলের সিনিয়র সহ-সভাপতি রাশেদ ইকবাল খান প্রমুখ।