ঢাকা ০২:৫৭ অপরাহ্ন, বৃহস্পতিবার, ২৫ এপ্রিল ২০২৪, ১২ বৈশাখ ১৪৩১ বঙ্গাব্দ
বাংলা বাংলা English English हिन्दी हिन्दी

খুচরা অ্যান্টিবায়োটিক বিক্রি একটি বড় সমস্যা: স্বাস্থ্যের ডিজি

প্রতিনিধির নাম
  • আপডেট সময় : ০৮:১৭:৪৩ অপরাহ্ন, রবিবার, ২৭ নভেম্বর ২০২২
  • / ৪৪০ বার পড়া হয়েছে
বাংলা খবর বিডি অনলাইনের সর্বশেষ নিউজ পেতে অনুসরণ করুন গুগল নিউজ (Google News) ফিডটি

নিজস্ব প্রতিবেদক : 
খুচরা অ্যান্টিবায়োটিক বিক্রি একটি বড় সমস্যা হয়ে দাঁড়িয়েছে বলে মন্তব্য করেন স্বাস্থ্য অধিদফতরের মহাপরিচালক (ডিজি) অধ্যাপক ডা. এবিএম খুরশিদ আলম।

রোববার (২৭ নভেম্বর) রাজধানীর লেকশোর হোটেলে আয়োজিত এক সেমিনারে এ মন্তব্য করেন তিনি।

অধ্যাপক ডা. এবিএম খুরশিদ আলম বলেন, জ্বর হলেই সাধারণ ওষুধের সঙ্গে দেখা যায় অ্যান্টিবায়োটিক ট্যাবলেট ২-৩টা নিয়ে যাচ্ছে। এটি সাধারণ মানুষের মাঝে অ্যান্টিবায়োটিক রেজিস্ট্যান্সের বড় কারণ। এজন্য নিয়ম করা প্রয়োজন, কেউ অ্যান্টিবায়োটিক কিনলে ফুল ডোজ কিনতে হবে, না হয় কিনবেন না।

খুরশিদ আলম বলেন, অ্যান্টিবায়োটিক ব্যবহারে আইন প্রয়োজন, সঙ্গে আইনের প্রয়োগও প্রয়োজন। এ ছাড়া দেখা যায়, ফার্মাসিস্ট কোম্পানিরা ইনসেনটিভ তো ডাক্তারকে দিচ্ছে, সঙ্গে কোয়াকদেরও দেয়া হচ্ছে। ডাক্তাদের বন্ধ করলেও কোয়াককে আইনের আওতায় আনা যাবে না। এজন্য শুধু আইন দিয়েও ব্যবস্থা হবে না।

হাসপাতালে রোগীদের চিকিৎসা প্রসঙ্গে স্বাস্থ্যের মহাপরিচালক বলেন, রোগীদের পকেটের খরচ বেড়ে যাচ্ছে। এর সঙ্গে যে স্ট্যান্ডার্ড মেনে হাসপাতালে রোগীদের চিকিৎসা দেয়া হচ্ছে, তা ঠিক হচ্ছে কি না সেটিও একটি বড় ইস্যু। আমরা যদি আন্তর্জাতিক মানের সঙ্গে তুলনা করি, প্রধানত আমাদের অপারেশন থিয়েটার কিংবা বেড থেকে সংক্রমণ হওয়ারই কথা না। এটি আন্তর্জাতিকভাবে গ্রহণযোগ্য নয়। কিন্তু সেটি আমাদের এখানে হচ্ছে। আমাদের লোকজন বেশি, সুযোগ-সুবিধা কম।

তিনি বলেন, এ ছাড়া রোগীদের চিকিৎসায় ব্যবহৃত যন্ত্রপাতি সঠিকভাবে ব্যবহার করা হচ্ছে না। অপারেশনের যন্ত্রপাতি সঠিকভাবে জীবাণুমুক্ত না করে বারবার ব্যবহার করা হচ্ছে। এতে সংক্রমণ হয়ে থাকে। অনেক জীবাণু আছে, যেটা গরম পানি দিয়ে সেদ্ধ করার পরও মারা যায় না। এ জীবাণুও যাতে না থাকে, সেটার জন্য ব্যবস্থা নিতে হবে।

হাসপাতালের বর্জ্য ব্যবস্থাপনা বড় সমস্যা হয়ে দাঁড়িয়েছে জানিয়ে তিনি বলেন, আমরা ময়লা ফেলার জন্য আলাদা আলাদা বিন করে দিয়েছি। কিন্তু দেখা যায়, সব হাসপাতালের এই বিনগুলোর ময়লাকে নিয়ে সব একই জায়গায় ফেলে দেয়া হয়। এতে সেখান থেকে পরিবেশ, মাটি, পানি এবং শস্যক্ষেতও জীবাণু সংক্রমিত হচ্ছে।

নিউজটি শেয়ার করুন

খুচরা অ্যান্টিবায়োটিক বিক্রি একটি বড় সমস্যা: স্বাস্থ্যের ডিজি

আপডেট সময় : ০৮:১৭:৪৩ অপরাহ্ন, রবিবার, ২৭ নভেম্বর ২০২২

নিজস্ব প্রতিবেদক : 
খুচরা অ্যান্টিবায়োটিক বিক্রি একটি বড় সমস্যা হয়ে দাঁড়িয়েছে বলে মন্তব্য করেন স্বাস্থ্য অধিদফতরের মহাপরিচালক (ডিজি) অধ্যাপক ডা. এবিএম খুরশিদ আলম।

রোববার (২৭ নভেম্বর) রাজধানীর লেকশোর হোটেলে আয়োজিত এক সেমিনারে এ মন্তব্য করেন তিনি।

অধ্যাপক ডা. এবিএম খুরশিদ আলম বলেন, জ্বর হলেই সাধারণ ওষুধের সঙ্গে দেখা যায় অ্যান্টিবায়োটিক ট্যাবলেট ২-৩টা নিয়ে যাচ্ছে। এটি সাধারণ মানুষের মাঝে অ্যান্টিবায়োটিক রেজিস্ট্যান্সের বড় কারণ। এজন্য নিয়ম করা প্রয়োজন, কেউ অ্যান্টিবায়োটিক কিনলে ফুল ডোজ কিনতে হবে, না হয় কিনবেন না।

খুরশিদ আলম বলেন, অ্যান্টিবায়োটিক ব্যবহারে আইন প্রয়োজন, সঙ্গে আইনের প্রয়োগও প্রয়োজন। এ ছাড়া দেখা যায়, ফার্মাসিস্ট কোম্পানিরা ইনসেনটিভ তো ডাক্তারকে দিচ্ছে, সঙ্গে কোয়াকদেরও দেয়া হচ্ছে। ডাক্তাদের বন্ধ করলেও কোয়াককে আইনের আওতায় আনা যাবে না। এজন্য শুধু আইন দিয়েও ব্যবস্থা হবে না।

হাসপাতালে রোগীদের চিকিৎসা প্রসঙ্গে স্বাস্থ্যের মহাপরিচালক বলেন, রোগীদের পকেটের খরচ বেড়ে যাচ্ছে। এর সঙ্গে যে স্ট্যান্ডার্ড মেনে হাসপাতালে রোগীদের চিকিৎসা দেয়া হচ্ছে, তা ঠিক হচ্ছে কি না সেটিও একটি বড় ইস্যু। আমরা যদি আন্তর্জাতিক মানের সঙ্গে তুলনা করি, প্রধানত আমাদের অপারেশন থিয়েটার কিংবা বেড থেকে সংক্রমণ হওয়ারই কথা না। এটি আন্তর্জাতিকভাবে গ্রহণযোগ্য নয়। কিন্তু সেটি আমাদের এখানে হচ্ছে। আমাদের লোকজন বেশি, সুযোগ-সুবিধা কম।

তিনি বলেন, এ ছাড়া রোগীদের চিকিৎসায় ব্যবহৃত যন্ত্রপাতি সঠিকভাবে ব্যবহার করা হচ্ছে না। অপারেশনের যন্ত্রপাতি সঠিকভাবে জীবাণুমুক্ত না করে বারবার ব্যবহার করা হচ্ছে। এতে সংক্রমণ হয়ে থাকে। অনেক জীবাণু আছে, যেটা গরম পানি দিয়ে সেদ্ধ করার পরও মারা যায় না। এ জীবাণুও যাতে না থাকে, সেটার জন্য ব্যবস্থা নিতে হবে।

হাসপাতালের বর্জ্য ব্যবস্থাপনা বড় সমস্যা হয়ে দাঁড়িয়েছে জানিয়ে তিনি বলেন, আমরা ময়লা ফেলার জন্য আলাদা আলাদা বিন করে দিয়েছি। কিন্তু দেখা যায়, সব হাসপাতালের এই বিনগুলোর ময়লাকে নিয়ে সব একই জায়গায় ফেলে দেয়া হয়। এতে সেখান থেকে পরিবেশ, মাটি, পানি এবং শস্যক্ষেতও জীবাণু সংক্রমিত হচ্ছে।