ঢাকা ০৩:২৩ অপরাহ্ন, শুক্রবার, ২৯ মার্চ ২০২৪, ১৫ চৈত্র ১৪৩০ বঙ্গাব্দ
বাংলা বাংলা English English हिन्दी हिन्दी
আজকের সেহরি ও ইফতার ::
ঢাকায় সেহেরি ৪:৩৩ মি. ইফতার ৬:১৭ মি.:: চট্টগ্রামে সেহেরি ৪:২৮ মি. ইফতার ৬:১১ মি. :: রাজশাহীতে সেহেরি ৪:৩৯ মি. ইফতার ৬:২৪ মি. :: খুলনায় সেহেরি ৪:৩৭ মি. ইফতার ৬:২০ মি. :: বরিশালে সেহেরি ৪:৩৪ মি. ইফতার ৬:১৭ মি. :: সিলেটে সেহেরি ৪:২৬ মি. ইফতার ৬:১১ মি. :: রংপুরে সেহেরি ৪:৩৭ মি. ইফতার ৬:২২ মি. :: ময়মনসিংহে সেহেরি ৪:৩২ মি. ইফতার ৬:১৭ মি. ::::

ক্ষমা পেয়েছি, তবে চিঠি আনতে যাইনি: মুরাদ হাসান

প্রতিনিধির নাম
  • আপডেট সময় : ০৫:২২:৫৯ অপরাহ্ন, বৃহস্পতিবার, ২৬ জানুয়ারী ২০২৩
  • / ৪৪২ বার পড়া হয়েছে
বাংলা খবর বিডি অনলাইনের সর্বশেষ নিউজ পেতে অনুসরণ করুন গুগল নিউজ (Google News) ফিডটি

নিজস্ব প্রতিবেদক : 

অশালীন ও শিষ্টাচারবহির্ভূত বক্তব্য দেওয়ায় সাবেক তথ্য ও সম্প্রচার প্রতিমন্ত্রী ডা. মুরাদ হাসান মন্ত্রিসভা থেকে পদত্যাগ করতে বাধ্য হয়েছিলেন। সেই সঙ্গে জামালপুর জেলা আওয়ামী লীগের স্বাস্থ্য ও জনসংখ্যা বিষয়ক সম্পাদক পদ থেকে অব্যাহতি দেওয়া হয়েছিল।

বৃহস্পতিবার (২৬ জানুয়ারি) দুপুরে ২৩ বঙ্গবন্ধু এভিনিউয়ের আওয়ামী লীগের দলীয় কার্যালয়ে ময়মনসিংহ বিভাগীয় প্রতিনিধি সভায় তিনি এ কথা জানান।

নিজের ভুল স্বীকার করে গত বছরের ২২ ডিসেম্বর ক্ষমা পেতে দলের কাছে আবেদন করেছিলেন মুরাদ হাসান।

তার আবেদন বিবেচনায় নিয়ে দলের পক্ষ থেকে তাকে ক্ষমা করে দেওয়া হয়েছে। বিষয়টি জানিয়েছেন ডা. মুরাদ হাসান।

আওয়ামী লীগের অনেককেই ক্ষমা করা হয়েছে, আপনি ক্ষমা পেয়েছেন কিনা? এমন প্রশ্নের জবাবে মুরাদ হাসান বলেন, আমি আবেদন করেছিলাম। আমাকে ক্ষমা করে দিয়েছে বলে জানতে পেরেছি কিন্তু এখনো চিঠি আনতে যাইনি। মেয়র জাহাঙ্গীর আরও গুরুতর কথা বলেছিলেন, তাই তিনি চিঠিটা দ্রুত নিয়েছেন।

সাধারণ ক্ষমার আবেদনে মুরাদ বলেন, ‘আমার বাবা মুক্তিযুদ্ধের সংগঠক বীর মুক্তিযোদ্ধা মতিয়র রহমান তালুকদার ছিলেন জামালপুর জেলা আওয়ামী লীগের প্রতিষ্ঠাকালীন সভাপতি। জামালপুর জেলা আওয়ামী লীগের স্বাস্থ্য ও জনসংখ্যা সম্পাদক হিসেবে দায়িত্ব পালনকালে ২০২১ সালে ৭ ডিসেম্বর ওই পদ থেকে আমাকে অব্যাহতি প্রদান করে।’

তিনি লেখেন, ‘আমি একজন মুক্তিযোদ্ধার সন্তান হিসেবে দৃঢ় প্রত্যয়ে অঙ্গীকার করিতেছি যে ভবিষ্যতে এমন কোনো কর্মকাণ্ড করব না, যার ফলে আপনার বিন্দুমাত্র সম্মানহানি হয়। অতএব বিনীত নিবেদন এই যে, বাংলাদেশ আওয়ামী লীগের সব কার্যক্রমে অংশ গ্রহণের সুযোগ প্রদান করে বাধিত করবেন।’

প্রসঙ্গত, কুরুচিপূর্ণ মন্তব্যের জেরে প্রধানমন্ত্রীর নির্দেশে তথ্য প্রতিমন্ত্রীর পদ থেকে পদত্যাগ করা জামালপুর-৪ আসনের সাংসদ ডা. মো. মুরাদ হাসানকে জেলা আওয়ামী লীগের স্বাস্থ্য ও জনসংখ্যা বিষয়ক সম্পাদকের পদ থেকে ২০২১ সালের ৭ ডিসেম্বর অব্যাহতি দেওয়া হয়েছিল।

ডা. মো. মুরাদ হাসান একাদশ জাতীয় সংসদ নির্বাচনে জামালপুর-৪ আসন থেকে সংসদ সদস্য নির্বাচিত হন। ২০০৮ সালেও তিনি একই আসন থেকে নির্বাচিত হয়েছিলেন।

২০১৯ সালে সরকার গঠনের সময় মুরাদ হাসানকে স্বাস্থ্য প্রতিমন্ত্রীর দায়িত্ব দেওয়া হয়। পরে ৫ মাসের মাথায় ওই বছরের ১৯ মে তার দফতর পরিবর্তন করে তথ্য প্রতিমন্ত্রী করা হয়। পরে তার আপত্তিকর মন্তব্য এবং অস্বাভাবিক আচরণের কারণে তাকে মন্ত্রিসভা থেকে পদত্যাগের নির্দেশ দেন প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনা। গত ২২ ডিসেম্বর মুরাদ হাসান তাকে ক্ষমা করে দিতে আবেদন জানান।

The short URL of the present article is: https://banglakhaborbd.com/iggh

নিউজটি শেয়ার করুন

ক্ষমা পেয়েছি, তবে চিঠি আনতে যাইনি: মুরাদ হাসান

আপডেট সময় : ০৫:২২:৫৯ অপরাহ্ন, বৃহস্পতিবার, ২৬ জানুয়ারী ২০২৩

নিজস্ব প্রতিবেদক : 

অশালীন ও শিষ্টাচারবহির্ভূত বক্তব্য দেওয়ায় সাবেক তথ্য ও সম্প্রচার প্রতিমন্ত্রী ডা. মুরাদ হাসান মন্ত্রিসভা থেকে পদত্যাগ করতে বাধ্য হয়েছিলেন। সেই সঙ্গে জামালপুর জেলা আওয়ামী লীগের স্বাস্থ্য ও জনসংখ্যা বিষয়ক সম্পাদক পদ থেকে অব্যাহতি দেওয়া হয়েছিল।

বৃহস্পতিবার (২৬ জানুয়ারি) দুপুরে ২৩ বঙ্গবন্ধু এভিনিউয়ের আওয়ামী লীগের দলীয় কার্যালয়ে ময়মনসিংহ বিভাগীয় প্রতিনিধি সভায় তিনি এ কথা জানান।

নিজের ভুল স্বীকার করে গত বছরের ২২ ডিসেম্বর ক্ষমা পেতে দলের কাছে আবেদন করেছিলেন মুরাদ হাসান।

তার আবেদন বিবেচনায় নিয়ে দলের পক্ষ থেকে তাকে ক্ষমা করে দেওয়া হয়েছে। বিষয়টি জানিয়েছেন ডা. মুরাদ হাসান।

আওয়ামী লীগের অনেককেই ক্ষমা করা হয়েছে, আপনি ক্ষমা পেয়েছেন কিনা? এমন প্রশ্নের জবাবে মুরাদ হাসান বলেন, আমি আবেদন করেছিলাম। আমাকে ক্ষমা করে দিয়েছে বলে জানতে পেরেছি কিন্তু এখনো চিঠি আনতে যাইনি। মেয়র জাহাঙ্গীর আরও গুরুতর কথা বলেছিলেন, তাই তিনি চিঠিটা দ্রুত নিয়েছেন।

সাধারণ ক্ষমার আবেদনে মুরাদ বলেন, ‘আমার বাবা মুক্তিযুদ্ধের সংগঠক বীর মুক্তিযোদ্ধা মতিয়র রহমান তালুকদার ছিলেন জামালপুর জেলা আওয়ামী লীগের প্রতিষ্ঠাকালীন সভাপতি। জামালপুর জেলা আওয়ামী লীগের স্বাস্থ্য ও জনসংখ্যা সম্পাদক হিসেবে দায়িত্ব পালনকালে ২০২১ সালে ৭ ডিসেম্বর ওই পদ থেকে আমাকে অব্যাহতি প্রদান করে।’

তিনি লেখেন, ‘আমি একজন মুক্তিযোদ্ধার সন্তান হিসেবে দৃঢ় প্রত্যয়ে অঙ্গীকার করিতেছি যে ভবিষ্যতে এমন কোনো কর্মকাণ্ড করব না, যার ফলে আপনার বিন্দুমাত্র সম্মানহানি হয়। অতএব বিনীত নিবেদন এই যে, বাংলাদেশ আওয়ামী লীগের সব কার্যক্রমে অংশ গ্রহণের সুযোগ প্রদান করে বাধিত করবেন।’

প্রসঙ্গত, কুরুচিপূর্ণ মন্তব্যের জেরে প্রধানমন্ত্রীর নির্দেশে তথ্য প্রতিমন্ত্রীর পদ থেকে পদত্যাগ করা জামালপুর-৪ আসনের সাংসদ ডা. মো. মুরাদ হাসানকে জেলা আওয়ামী লীগের স্বাস্থ্য ও জনসংখ্যা বিষয়ক সম্পাদকের পদ থেকে ২০২১ সালের ৭ ডিসেম্বর অব্যাহতি দেওয়া হয়েছিল।

ডা. মো. মুরাদ হাসান একাদশ জাতীয় সংসদ নির্বাচনে জামালপুর-৪ আসন থেকে সংসদ সদস্য নির্বাচিত হন। ২০০৮ সালেও তিনি একই আসন থেকে নির্বাচিত হয়েছিলেন।

২০১৯ সালে সরকার গঠনের সময় মুরাদ হাসানকে স্বাস্থ্য প্রতিমন্ত্রীর দায়িত্ব দেওয়া হয়। পরে ৫ মাসের মাথায় ওই বছরের ১৯ মে তার দফতর পরিবর্তন করে তথ্য প্রতিমন্ত্রী করা হয়। পরে তার আপত্তিকর মন্তব্য এবং অস্বাভাবিক আচরণের কারণে তাকে মন্ত্রিসভা থেকে পদত্যাগের নির্দেশ দেন প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনা। গত ২২ ডিসেম্বর মুরাদ হাসান তাকে ক্ষমা করে দিতে আবেদন জানান।

The short URL of the present article is: https://banglakhaborbd.com/iggh