ঢাকা ০৬:৩০ অপরাহ্ন, বৃহস্পতিবার, ২৫ এপ্রিল ২০২৪, ১২ বৈশাখ ১৪৩১ বঙ্গাব্দ
বাংলা বাংলা English English हिन्दी हिन्दी

কোনো দলকে ধরে-বেঁধে নির্বাচনে আনা হবে না: ইসি

প্রতিনিধির নাম
  • আপডেট সময় : ০৯:৩৩:১৬ অপরাহ্ন, রবিবার, ১ জানুয়ারী ২০২৩
  • / ৪৪২ বার পড়া হয়েছে
বাংলা খবর বিডি অনলাইনের সর্বশেষ নিউজ পেতে অনুসরণ করুন গুগল নিউজ (Google News) ফিডটি

নিজস্ব প্রতিবেদক : 

নির্বাচন কমিশনার (ইসি) আনিছুর রহমান বলেন, ২০২৩ সালের শুরু থেকেই সংসদ নির্বাচন অনুষ্ঠানের লক্ষ্যে কাজ করবে নির্বাচন কমিশন। নির্দিষ্ট সময়েই সংসদ নির্বাচন হবে, সুষ্ঠু নির্বাচনের জন্যে পরিবেশ তৈরি করা হবে। তবে কোনো রাজনৈতিক দলকে ধরে-বেঁধে নির্বাচনে আনবে না কমিশন।

রোববার (১ জানুয়ারি) রাজধানীর আগারগাঁওয়ে নির্বাচন কমিশন ভবনে সাংবাদিকদের সঙ্গে আলাপকালে এ কথা বলেন তিনি।

আনিছুর রহমান বলেন, নির্বাচনের সময় বেশি বাকি নেই। তাই দ্রুত সময়ের মধ্যেই ভোটার তালিকা চূড়ান্তকরণ, সীমানা পুনঃর্নিধারণ, রাজনৈতিক দলগুলোর সঙ্গে সংলাপ ও নির্বাচন কর্মকর্তাদের প্রশিক্ষণ প্রদান সম্পন্ন করা হবে। সিটি করপোরেশান, পৌরসভা ইউনিয়ন পরিষদসহ বাকি নির্বাচনগুলোও সুষ্ঠু ও গ্রহণযোগ্য হবে।

সাংবাদিকদের প্রশ্নের জবাবে ইসি আনিছুর বলেন, ইভিএমের নতুন প্রকল্প পরিকল্পনা কমিশনে আছে। আপাতত ইভিএম প্রকল্পে সরকার থেকে ১৩ জন জনবলের অনুমোদন দিয়েছে। এই ১৩ জন জনবল দিয়ে কিন্তু প্রকল্প চালানো যাবে না। এজন্য অর্থ বিভাগকে বিষয়টি পুনর্বিবেচনার জন্য বলেছি। এখন যাই হোক ইভিএম প্রকল্প দ্রুত পাস হওয়া উচিত।

তিনি আরও বলেন, আমরা আগেও বলেছি গত সপ্তাহেও প্রধান নির্বাচন কমিশনার বলেছেন কাউকে ভোটে আনার দায়িত্ব আমাদের না। আমরা আহ্বান জানিয়েছি, আশা করছি তারা আসবে। নির্বাচনের উপযুক্ত পরিবেশ সৃষ্টি করার জন্য যা যা করার দরকার আমরা তা করব। কাজেই কেউ যদি না আসে তাদের আনার জন্য আইনগত বাধ্যবাধকতা নেই। আমরা সেই কাজ করবও না। তাদের কাজ তারা করবেন। আমরা আমাদের কাজ করব। আমরা চেষ্টা করে যাব, বলব যে অংশগ্রহণমূলক নির্বাচন চাই। আশা করছি, অংশগ্রহণমূলক নির্বাচন হবে।

ইসি আনিছুর বলেন, আমরা বলি নাই যে, ইসির প্রতি অনাস্থা নেই বা ছিল না। কিন্তু যারা বলছেন তারা তো আমাদের প্রথম থেকেই বলছেন। যদি একটা নির্বাচনেও অংশ নিতো তাহলে তো বলতে পারব আমরা প্রতিশ্রুতি রাখতে পারিনি। তাহলে না আস্থা, অনাস্থার বিষয়টি বলতে পারত। যারা অংশ নিয়েছে তারা তো বলেনি নির্বাচন সুষ্ঠু হয়নি।

তিনি বলেন, যদি আগামী ১৫ জানুয়ারির মধ্যে প্রকল্প পাস না হয় এবং তারপরে যদি আমাদের পক্ষেই অনুমোদন হয়, তাহলে সংসদ নির্বাচনে ইভিএম ব্যবহার খুবই ডিফিকাল্ট হবে। বাংলাদেশ মেশিন টুলস ফ্যাক্টরি লিমিটেড (বিএমটিএফ) বলেছে এরপর হলে ইভিএম সাপ্লাই দেওয়া কঠিন হয়ে যাবে। কেননা এলসি হবে, বিদেশ থেকে মালামাল আসবে। এসব নানা কর্মযজ্ঞ রয়েছে।

তিনি আরও বলেন, আগামী ২ মার্চ চূড়ান্ত ভোটার তালিকা প্রকাশ করা হবে। এজন্য আইনি বাধ্যবাধকতা আছে। এরপর ভোটকেন্দ্রের কাজে হাত দেবো। সীমানা পুনর্র্নিধারণ হলে আগস্টের মধ্যে ভোটকেন্দ্র চূড়ান্ত করা হবে। তবে চূড়ান্ত করতে হয়তো নভেম্বর পর্যন্ত লেগে যাবে। অন্যদিকে, নতুন দল নিবন্ধন প্রক্রিয়াও জুনের মধ্যে করে ফেলবো। কাজের সময়ের সঙ্গে হাঁটলে আর হবে না, দৌড়াতে হবে। আমরা প্রতিদিনই অনানুষ্ঠানিক আলোচনা করি। এছাড়া ভোটের প্রশিক্ষণ চলছে, চলবে বলে জানান তিনি।

বিএনপি আবারও বর্জন করলে কতটা গ্রহণযোগ্য হবে এমন প্রশ্নে তিনি বলেন, এখনো ভোটের অনেক সময় আছে। অংশ না নিলে তখন বলা যাবে। এতো আগ বাড়িয়ে বলার সুযোগ নেই। আমাদের কাজ আর নেই। আমরা ওইভাবে হয়তো আর বসব না। আপাতত কোনো পরিকল্পনা নেই সংলাপের।

সাংবাদিকদের আরেক প্রশ্নে এই কমিশনার বলেন, রংপুর সিটি নির্বাচনে ভোটগ্রহণে বিলম্বের কারণ খুঁজতে আমরা আগামী সপ্তাহে বসব। সাংবাদিক যারা ঢাকা থেকে গিয়েছিলেন তাদের আমন্ত্রণ জানাব। এছাড়া, যারা অবজারবার (পর্যবেক্ষক) ছিলেন তাদের আমন্ত্রণ জানাব। এর বাইরেও ভোটগ্রহণ কর্মকর্তা থাকবেন।

নিউজটি শেয়ার করুন

কোনো দলকে ধরে-বেঁধে নির্বাচনে আনা হবে না: ইসি

আপডেট সময় : ০৯:৩৩:১৬ অপরাহ্ন, রবিবার, ১ জানুয়ারী ২০২৩

নিজস্ব প্রতিবেদক : 

নির্বাচন কমিশনার (ইসি) আনিছুর রহমান বলেন, ২০২৩ সালের শুরু থেকেই সংসদ নির্বাচন অনুষ্ঠানের লক্ষ্যে কাজ করবে নির্বাচন কমিশন। নির্দিষ্ট সময়েই সংসদ নির্বাচন হবে, সুষ্ঠু নির্বাচনের জন্যে পরিবেশ তৈরি করা হবে। তবে কোনো রাজনৈতিক দলকে ধরে-বেঁধে নির্বাচনে আনবে না কমিশন।

রোববার (১ জানুয়ারি) রাজধানীর আগারগাঁওয়ে নির্বাচন কমিশন ভবনে সাংবাদিকদের সঙ্গে আলাপকালে এ কথা বলেন তিনি।

আনিছুর রহমান বলেন, নির্বাচনের সময় বেশি বাকি নেই। তাই দ্রুত সময়ের মধ্যেই ভোটার তালিকা চূড়ান্তকরণ, সীমানা পুনঃর্নিধারণ, রাজনৈতিক দলগুলোর সঙ্গে সংলাপ ও নির্বাচন কর্মকর্তাদের প্রশিক্ষণ প্রদান সম্পন্ন করা হবে। সিটি করপোরেশান, পৌরসভা ইউনিয়ন পরিষদসহ বাকি নির্বাচনগুলোও সুষ্ঠু ও গ্রহণযোগ্য হবে।

সাংবাদিকদের প্রশ্নের জবাবে ইসি আনিছুর বলেন, ইভিএমের নতুন প্রকল্প পরিকল্পনা কমিশনে আছে। আপাতত ইভিএম প্রকল্পে সরকার থেকে ১৩ জন জনবলের অনুমোদন দিয়েছে। এই ১৩ জন জনবল দিয়ে কিন্তু প্রকল্প চালানো যাবে না। এজন্য অর্থ বিভাগকে বিষয়টি পুনর্বিবেচনার জন্য বলেছি। এখন যাই হোক ইভিএম প্রকল্প দ্রুত পাস হওয়া উচিত।

তিনি আরও বলেন, আমরা আগেও বলেছি গত সপ্তাহেও প্রধান নির্বাচন কমিশনার বলেছেন কাউকে ভোটে আনার দায়িত্ব আমাদের না। আমরা আহ্বান জানিয়েছি, আশা করছি তারা আসবে। নির্বাচনের উপযুক্ত পরিবেশ সৃষ্টি করার জন্য যা যা করার দরকার আমরা তা করব। কাজেই কেউ যদি না আসে তাদের আনার জন্য আইনগত বাধ্যবাধকতা নেই। আমরা সেই কাজ করবও না। তাদের কাজ তারা করবেন। আমরা আমাদের কাজ করব। আমরা চেষ্টা করে যাব, বলব যে অংশগ্রহণমূলক নির্বাচন চাই। আশা করছি, অংশগ্রহণমূলক নির্বাচন হবে।

ইসি আনিছুর বলেন, আমরা বলি নাই যে, ইসির প্রতি অনাস্থা নেই বা ছিল না। কিন্তু যারা বলছেন তারা তো আমাদের প্রথম থেকেই বলছেন। যদি একটা নির্বাচনেও অংশ নিতো তাহলে তো বলতে পারব আমরা প্রতিশ্রুতি রাখতে পারিনি। তাহলে না আস্থা, অনাস্থার বিষয়টি বলতে পারত। যারা অংশ নিয়েছে তারা তো বলেনি নির্বাচন সুষ্ঠু হয়নি।

তিনি বলেন, যদি আগামী ১৫ জানুয়ারির মধ্যে প্রকল্প পাস না হয় এবং তারপরে যদি আমাদের পক্ষেই অনুমোদন হয়, তাহলে সংসদ নির্বাচনে ইভিএম ব্যবহার খুবই ডিফিকাল্ট হবে। বাংলাদেশ মেশিন টুলস ফ্যাক্টরি লিমিটেড (বিএমটিএফ) বলেছে এরপর হলে ইভিএম সাপ্লাই দেওয়া কঠিন হয়ে যাবে। কেননা এলসি হবে, বিদেশ থেকে মালামাল আসবে। এসব নানা কর্মযজ্ঞ রয়েছে।

তিনি আরও বলেন, আগামী ২ মার্চ চূড়ান্ত ভোটার তালিকা প্রকাশ করা হবে। এজন্য আইনি বাধ্যবাধকতা আছে। এরপর ভোটকেন্দ্রের কাজে হাত দেবো। সীমানা পুনর্র্নিধারণ হলে আগস্টের মধ্যে ভোটকেন্দ্র চূড়ান্ত করা হবে। তবে চূড়ান্ত করতে হয়তো নভেম্বর পর্যন্ত লেগে যাবে। অন্যদিকে, নতুন দল নিবন্ধন প্রক্রিয়াও জুনের মধ্যে করে ফেলবো। কাজের সময়ের সঙ্গে হাঁটলে আর হবে না, দৌড়াতে হবে। আমরা প্রতিদিনই অনানুষ্ঠানিক আলোচনা করি। এছাড়া ভোটের প্রশিক্ষণ চলছে, চলবে বলে জানান তিনি।

বিএনপি আবারও বর্জন করলে কতটা গ্রহণযোগ্য হবে এমন প্রশ্নে তিনি বলেন, এখনো ভোটের অনেক সময় আছে। অংশ না নিলে তখন বলা যাবে। এতো আগ বাড়িয়ে বলার সুযোগ নেই। আমাদের কাজ আর নেই। আমরা ওইভাবে হয়তো আর বসব না। আপাতত কোনো পরিকল্পনা নেই সংলাপের।

সাংবাদিকদের আরেক প্রশ্নে এই কমিশনার বলেন, রংপুর সিটি নির্বাচনে ভোটগ্রহণে বিলম্বের কারণ খুঁজতে আমরা আগামী সপ্তাহে বসব। সাংবাদিক যারা ঢাকা থেকে গিয়েছিলেন তাদের আমন্ত্রণ জানাব। এছাড়া, যারা অবজারবার (পর্যবেক্ষক) ছিলেন তাদের আমন্ত্রণ জানাব। এর বাইরেও ভোটগ্রহণ কর্মকর্তা থাকবেন।