কোটি টাকা আত্মসাৎকারী প্রতারক গ্রেফতার
- আপডেট সময় : ০৪:১৮:৩১ অপরাহ্ন, শনিবার, ১২ নভেম্বর ২০২২
- / ৭০৯ বার পড়া হয়েছে
নিজস্ব প্রতিবেদক :
মোবাইল নেটওয়ার্ক টাওয়ার স্থাপনের জন্য নামে ছাদ ভাড়া ও জাপানি কোম্পানি টয়োটার গাড়ির যন্ত্রাংশ তৈরির কারখানা নির্মাণের কথা বলে প্রতারণার মাধ্যমে কোটি টাকা হাতিয়ে নেওয়ার অভিযোগে রাজধানীর পল্লবী থেকে আমিনুল ইসলাম ওরফে আমিন নামে একজনকে গ্রেফতার করেছে পুলিশ ব্যুরো অব ইনভেস্টিগেশন (পিবিআই)। বৃহস্পতিবার (১০ নভেম্বর) তাকে গ্রেফতার করা হয়।
শনিবার (১১ নভেম্বর) পিবিআই উত্তরের কার্যালয়ে এক সংবাদ সম্মেলনে এসব তথ্য জানান বিশেষ পুলিশ সুপার জাহাঙ্গীর আলম।
পিবিআইয়ের এই কর্মকর্তা বলেন, প্রথমে বিভিন্ন নির্মাণাধীন বাড়ির মালিকদের টার্গেট করে এই প্রতারক চক্র। বাড়ির মালিকের সঙ্গে যোগাযোগ করে জানায় তাদের বিল্ডিংয়ের ছাদে মোবাইল টাওয়ার নির্মাণ করা হবে। প্রথম ধাপে ১৫ থেকে ২০ লাখ টাকা এবং মাসে মাসে ৩০ থেকে ৩৫ হাজার টাকা দেওয়া হবে—এমন প্রলোভনে ফেলে পরবর্তীতে প্রতারক চক্রটি ভিকটিমদের তাদের অফিসে ডেকে নিয়ে আসে। অফিসে ডেকে আনার পর পরবর্তীতে আরও লাভজনক প্রজেক্ট সম্পর্কে জানায়। বিদেশি কোম্পানির সঙ্গে তাদের ব্যবসা রয়েছে, জমি কিনবে ও সেখানে ফ্যাক্টরি করবে বলে জানায়। জমি যদি দিতে না পারলে তাদের নিজস্ব জমিতে বিনিয়োগ করলে ব্যাপক লাভবান হওয়া যাবে—এমন প্রলোভন দেখায় প্রতারক চক্র।
বিশেষ পুলিশ সুপার জাহাঙ্গীর আলম আরো বলেন, এমনই এক প্রলোভন দিয়ে সম্প্রতি অবসরপ্রাপ্ত একজন সরকারি কর্মকর্তা মো. শাহজাহনের কাছ থেকে চক্রটি হাতিয়ে নিয়েছে ১৫ লাখ টাকা। প্রলোভনে পড়ে ব্যাংকে রাখা পেনশনের ২৫ লাখ টাকার মধ্যে ১৫ লাখ টাকা প্রতারক চক্রের হাতে তুলে দেন অবসরপ্রাপ্ত ওই কর্মকর্তা। বিষয়টি বাইরের কাউকে না জানানোর জন্য ভুক্তভোগীকে পানি ছুঁয়ে শপথ করান প্রতারক চক্রের সদস্যরা।
পিবিআই কর্মকর্তা বলেন, তদন্ত করে প্রাথমিকভাবে ঘটনার সত্যতা পাওয়ায় ভুক্তভোগীকে বাদী হয়ে পল্লবী থানায় মামলা করতে বলে পিবিআই। মামলার পর প্রতারক আমিনুল ইসলামকে গ্রেফতার করা হয়েছে। প্রতারণার কাজে ব্যবহৃত বিভিন্ন আলামতও জব্দ করা হয়েছে। আমিনুলকে আদালতে সোপর্দ করা হলে আদালত দুই দিনের রিমান্ড মঞ্জুর করেন। এ ঘটনায় জড়িত চক্রের পলাতক আসামিদের গ্রেফতারের চেষ্টা চলছে।
প্রলোভনে পেনশনের টাকা হারানো অবসরপ্রাপ্ত চাকরিজীবী শাহজাহান বলেন, আমি আমার টাকা ফেরত চাই। আমি নিজের বাসায় থাকতে পারছি না, ঘুমাতে পারছি না। নির্মাণাধীন বাসার কাজও শেষ করতে পারছি না। চক্রের ফাঁদে পড়ে আমার সর্বস্ব হারানোর দশা। চক্রের সবাইকে গ্রেফতার ও খোয়া যাওয়া টাকা উদ্ধারে সবার সহযোগিতা চাই।