কোটি টাকার সম্পত্তি রেখে গিয়েছেন তুনিশা! মালিকানা কার হবে?
- আপডেট সময় : ০৯:৫১:৩৩ অপরাহ্ন, মঙ্গলবার, ৩ জানুয়ারী ২০২৩
- / ৪৪৩ বার পড়া হয়েছে
বিনোদন ডেস্ক :
শীজানের আইনজীবী শৈলেন্দ্র মিশ্র দাবি করেছিলেন, তুনিশার সঙ্গে তাঁর পরিবারের সম্পর্ক মোটেই ভাল ছিল না। এত দিন যে ব্যক্তি নিজেকে তুনিশার ‘মামা’ বলে পরিচয় দিয়ে এসেছেন, তিনি তাঁর আসল মামা নন!
তুনিশা শর্মার মৃত্যুতে তাঁর প্রাক্তন প্রেমিক শীজান খানের বিরুদ্ধে অহেতুক কুৎসা রটানো হচ্ছে, এমনই অভিযোগ তুলছে অভিনেতার পরিবার। তাঁদের দাবি, তুনিশার মা সব দোষ চাপিয়ে দিতে চাইছেন শীজানের ঘাড়েই। এ দিকে পরিবারের অভ্যন্তরেই যে গলদ! সঞ্জীব কৌশল, যিনি তুনিশার মামা পরিচয় দিয়ে এত কথা বলছেন, তিনি কি সত্যিই মামা? না অন্য কেউ?
শীজানের আইনজীবী শৈলেন্দ্র মিশ্র দাবি করেছিলেন, তুনিশার সঙ্গে তাঁর পরিবারের সম্পর্ক মোটেই ভাল ছিল না। এত দিন যে ব্যক্তি নিজেকে তুনিশার মামা বলে পরিচয় দিয়ে এসেছেন, তিনি তাঁর আসল মামা নন!
সোমবার সাংবাদিক বৈঠক করে আইনজীবী বলেন, সঞ্জীব কৌশল নামে যে ব্যক্তি নিজেকে তুনিশার মামা বলে পরিচয় দিয়ে এসেছেন, তিনি অভিনেত্রীর আত্মীয় নন। এমনকি, অভিনেত্রীর ‘মামা’র সঙ্গে তাঁর মা বনিতা মিশ্রের ‘সম্পর্ক’ নিয়েও প্রশ্ন তুলেছেন তুনিশার প্রেমিকের আইনজীবী।
এর পরই আর চুপ করে থাকতে পারেননি সঞ্জীব। মঙ্গলবার তিনি জানান, রক্তের সম্পর্ক না থাকলেও তুনিশা ছিলেন তাঁর কন্যাসম। হঠাৎ তাঁর চলে যাওয়ায় যন্ত্রণায় বিদীর্ণ হয়েছেন সঞ্জীব, ঠিক যেমন এক জন কন্যাহারা বাবার অবস্থা হয়। তাঁর কথায়, শর্মা পরিবারের সঙ্গে আমার ১০-১২ বছরের আত্মীয়তা। তুনিশা আর আমার মেয়ে ঋত্বিকা সব সময় একসঙ্গে ওদের জন্মদিন পালন করত। লোকে যে যা খুশি বলুক, আমি খুব শীঘ্রই সাংবাদিক বৈঠকে ফাঁস করব, কে কার সৎবাবা অথবা সৎমেয়ে!
আইনজীবী এর আগে জানান, তুনিশাকে জোর করে কাজ করতে পাঠিয়েছিলেন সঞ্জীব আর বনিতাই। অভিনয় জগতে কাজ করার ইচ্ছা নাকি ছিলই না তাঁর! যদিও সঞ্জীবের দাবি, একেবারেই না। তুনিশা খুশি মনে এই কেরিয়ার বেছেছিলেন। তাঁকে কেউ বাধা দেয়নি। সঞ্জীবের কথায়, ও নিজের খুশিমতো রোজগারের টাকা খরচ করত। এতে কেউ ভাগ বসাতে যায়নি।
আইনজীবী জানিয়েছিলেন, প্রায় কোটি টাকার সম্পত্তি রেখে গিয়েছেন তুনিশা। তাঁর অবর্তমানে বনিতাই সে সবের অধিকার পাবেন। যদিও সঞ্জীব তা উড়িয়ে দিয়ে বলেন, খুব ছোট বয়স থেকে রোজগার করত তুনিশা। তা-ও এত সম্পত্তি রেখে যাওয়ার অবস্থা ছিল না। গাড়ি, ল্যাপটপ সবই কিস্তিতে কেনা।