ঢাকা ১১:২৭ অপরাহ্ন, বুধবার, ২৬ জুন ২০২৪, ১২ আষাঢ় ১৪৩১ বঙ্গাব্দ
বাংলা বাংলা English English हिन्दी हिन्दी

কুড়িগ্রামে নদীর পানি বৃদ্ধি, বিপৎসীমা অতিক্রমের আশঙ্কা

কুড়িগ্রাম প্রতিনিধি
  • আপডেট সময় : ০৪:১৫:০১ অপরাহ্ন, মঙ্গলবার, ১৮ জুন ২০২৪
  • / ৪২৭ বার পড়া হয়েছে
বাংলা খবর বিডি অনলাইনের সর্বশেষ নিউজ পেতে অনুসরণ করুন গুগল নিউজ (Google News) ফিডটি

দেশের অভ্যন্তরে টানা বৃষ্টি ও উজান থেকে নেমে আসা ঢলে কুড়িগ্রামের ব্রহ্মপুত্র, ধরলা, দুধকুমার ও তিস্তা নদীর পানি বৃদ্ধি অব্যাহত রয়েছে। বন্যার পানিতে নিমজ্জিত হয়েছে নদ-নদী তীরবর্তী চর-দ্বীপ ও নিম্নাঞ্চলগুলো। তলিয়ে গেছে কিছু ঘরবাড়ি ও সবজির খেত।

মঙ্গলবার (১৮ জুন) দুপুরে স্থানীয় পানি উন্নয়ন বোর্ড জানায়, ধরলা নদীর পানি বৃদ্ধি পেয়ে তালুক শিমুলবাড়ী পয়েন্টে বিপৎসীমার ২৯ সেন্টিমিটার, কাউনিয়া পয়েন্টে ২০ সেন্টিমিটার এবং পাটেশ্বরী পয়েন্টে দুধ কুমার নদের পানি ১০ সেন্টিমিটার নিচ দিয়ে প্রবাহিত হচ্ছে।

অপরদিকে ধরলার নদীর পানিও সেতু পয়েন্টে বৃদ্ধি পেয়েছে। এছাড়া ব্রহ্মপুত্র নদের পানি চিলমারী ও নুনখাওয়া পয়েন্টে বৃদ্ধি পাচ্ছে। নদ-নদীর পানি বৃদ্ধি পাওয়ায় রাজারহাট, উলিপুর, চিলমারী, রৌমারী ও রাজিরপুর উপজেলার ১৫টি পয়েন্টে দেখা দিয়েছে নদী ভাঙন। অপরদিকে গতকাল রাত থেকে কুড়িগ্রামে বৃষ্টিপাত অব্যাহত রয়েছে।

কুড়িগ্রাম সদরের শুলকুর বাজার এলাকার কৃষক এরশাদুল হক বলেন, ধরলার পানি বাড়ার কারণে আমার পটল খেত তলিয়ে গেছে। এখন সব পটলের গাছ মরে যাবে।

কুড়িগ্রামের রাজারহাট কৃষি আবহাওয়া অফিসের ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তা সুবল চন্দ্র সরকার বলেন, গত ১২ ঘণ্টায় জেলায় ১১৫ মিলিমিটার বৃষ্টিপাত রেকর্ড করা হয়েছে। যা আর দু-একদিন থেমে থেমে অব্যাহত থাকতে পারে।

কুড়িগ্রাম পানি উন্নয়ন বোর্ডের নির্বাহী প্রকৌশলী রাকিবুল হাসান বলেন, পানি বৃদ্ধি অব্যাহত থাকলে আগামী ২৪ ঘণ্টায় কাউনিয়া পয়েন্টে তিস্তার পানি, পাটেশ্বরী পয়েন্টে দুধকুমার নদের পানি ও তালুকশিমুল বাড়ী পয়েন্ট ধরলার পানি বিপৎসীমা অতিক্রম করতে পারে।

নিউজটি শেয়ার করুন

কুড়িগ্রামে নদীর পানি বৃদ্ধি, বিপৎসীমা অতিক্রমের আশঙ্কা

আপডেট সময় : ০৪:১৫:০১ অপরাহ্ন, মঙ্গলবার, ১৮ জুন ২০২৪

দেশের অভ্যন্তরে টানা বৃষ্টি ও উজান থেকে নেমে আসা ঢলে কুড়িগ্রামের ব্রহ্মপুত্র, ধরলা, দুধকুমার ও তিস্তা নদীর পানি বৃদ্ধি অব্যাহত রয়েছে। বন্যার পানিতে নিমজ্জিত হয়েছে নদ-নদী তীরবর্তী চর-দ্বীপ ও নিম্নাঞ্চলগুলো। তলিয়ে গেছে কিছু ঘরবাড়ি ও সবজির খেত।

মঙ্গলবার (১৮ জুন) দুপুরে স্থানীয় পানি উন্নয়ন বোর্ড জানায়, ধরলা নদীর পানি বৃদ্ধি পেয়ে তালুক শিমুলবাড়ী পয়েন্টে বিপৎসীমার ২৯ সেন্টিমিটার, কাউনিয়া পয়েন্টে ২০ সেন্টিমিটার এবং পাটেশ্বরী পয়েন্টে দুধ কুমার নদের পানি ১০ সেন্টিমিটার নিচ দিয়ে প্রবাহিত হচ্ছে।

অপরদিকে ধরলার নদীর পানিও সেতু পয়েন্টে বৃদ্ধি পেয়েছে। এছাড়া ব্রহ্মপুত্র নদের পানি চিলমারী ও নুনখাওয়া পয়েন্টে বৃদ্ধি পাচ্ছে। নদ-নদীর পানি বৃদ্ধি পাওয়ায় রাজারহাট, উলিপুর, চিলমারী, রৌমারী ও রাজিরপুর উপজেলার ১৫টি পয়েন্টে দেখা দিয়েছে নদী ভাঙন। অপরদিকে গতকাল রাত থেকে কুড়িগ্রামে বৃষ্টিপাত অব্যাহত রয়েছে।

কুড়িগ্রাম সদরের শুলকুর বাজার এলাকার কৃষক এরশাদুল হক বলেন, ধরলার পানি বাড়ার কারণে আমার পটল খেত তলিয়ে গেছে। এখন সব পটলের গাছ মরে যাবে।

কুড়িগ্রামের রাজারহাট কৃষি আবহাওয়া অফিসের ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তা সুবল চন্দ্র সরকার বলেন, গত ১২ ঘণ্টায় জেলায় ১১৫ মিলিমিটার বৃষ্টিপাত রেকর্ড করা হয়েছে। যা আর দু-একদিন থেমে থেমে অব্যাহত থাকতে পারে।

কুড়িগ্রাম পানি উন্নয়ন বোর্ডের নির্বাহী প্রকৌশলী রাকিবুল হাসান বলেন, পানি বৃদ্ধি অব্যাহত থাকলে আগামী ২৪ ঘণ্টায় কাউনিয়া পয়েন্টে তিস্তার পানি, পাটেশ্বরী পয়েন্টে দুধকুমার নদের পানি ও তালুকশিমুল বাড়ী পয়েন্ট ধরলার পানি বিপৎসীমা অতিক্রম করতে পারে।