ঢাকা ০৬:৩৫ পূর্বাহ্ন, বুধবার, ২৬ জুন ২০২৪, ১২ আষাঢ় ১৪৩১ বঙ্গাব্দ
বাংলা বাংলা English English हिन्दी हिन्दी

কালাজ্বর নির্মূলে বিশ্বে প্রথম স্বীকৃতি পেল বাংলাদেশ

নিজস্ব প্রতিবেদক
  • আপডেট সময় : ০৮:৫৮:৩৫ অপরাহ্ন, মঙ্গলবার, ৩১ অক্টোবর ২০২৩
  • / ৫৮০ বার পড়া হয়েছে
বাংলা খবর বিডি অনলাইনের সর্বশেষ নিউজ পেতে অনুসরণ করুন গুগল নিউজ (Google News) ফিডটি

কালাজ্বর নির্মূলে বিশ্ব স্বাস্থ্য সংস্থার (ডব্লিউএইচও) পক্ষ থেকে বিশ্বের প্রথম কোনো দেশ হিসেবে স্বীকৃতি পেয়েছে বাংলাদেশ। মঙ্গলবার (৩১ অক্টোবর) দুপুরে ভারতের দিল্লীতে তিন দিনব্যাপী আয়োজিত ডব্লিউএইচওর ৭৬তম দক্ষিণ এশিয়ার আঞ্চলিক সম্মেলনে স্বাস্থ্যমন্ত্রী জাহিদ মালেকের হাতে এই স্বীকৃতির সনদপত্র তুলে দেন ডব্লিউএইচও’র দক্ষিণ-পূর্ব এশিয়ার আঞ্চলিক পরিচালক পুনম খেত্রপাল।

বিশ্বের প্রথম দেশ হিসেবে সনদ পাওয়ার প্রতিক্রিয়ায় স্বাস্থ্যমন্ত্রী জাহিদ মালেক বলেন, এর আগে বাংলাদেশ ফাইলেরিয়া ও পোলিও নির্মূল করে সনদ পেয়েছিল। এবার কালাজ্বর নির্মূলে বিশ্বে প্রথম হওয়ায় এটি একটি জাতিগতও প্রশংসিত অর্জন হয়েছে। এ অর্জনে দেশের স্বাস্থ্যখাতসহ আমরা সবাই গর্বিত। পাশাপাশি তিনি ডব্লিউএইচওর মহাপরিচালক ও দক্ষিণ-পূর্ব এশিয়ার আঞ্চলিক পরিচালকের প্রতি বিশেষ কৃতজ্ঞতা জানান।

স্বাস্থ্যমন্ত্রী বলেন, দেশের প্রত্যন্ত অঞ্চলের মানুষের স্বাস্থ্যসেবায় কমিউনিটি ক্লিনিক এখন ভরসার জায়গা হতে পেরেছে। প্রত্যন্ত অঞ্চলের মানুষের জন্য শেখ হাসিনার বিশেষ অবদান দেশের ১৪ হাজার কমিউনিটি ক্লিনিকের মাধ্যমে প্রায় ছয় হাজার মানুষ স্বাস্থ্যসেবা পাচ্ছে। ধীরে ধীরে দেশের দুর্গম এলাকাতেও প্রস্তুত করা হচ্ছে কমিউনিটি ক্লিনিক।

তিনি আরও বলেন, ক্লিনিকগুলো থেকে বিনামূল্যে ৩০ ধরনের ওষুধ দেয়া হচ্ছে। এর পাশাপাশি গ্রামের মায়েদের নিরাপদে সন্তান প্রসবের ক্ষেত্রেও কমিউনিটি ক্লিনিক কাজে লাগছে। এর সুফল হিসেবে গত কয়েক বছরের জরিপে বাংলাদেশে মাতৃমৃত্যু হার প্রতি লাখে ৩২০ জন থেকে হ্রাস পেয়ে এখন ১৬৩ জনে নেমেছে। একইভাবে প্রতি হাজার জীবিত শিশুর মৃত্যুহার ৬৫ জন থেকে হ্রাস পেয়ে ২৮ জনে নেমে এসেছে।

সম্মেলনে স্বাস্থ্যমন্ত্রী উল্লেখ করেন, কমিউনিটি ক্লিনিকের সফলতার স্বীকৃতি হিসেবে সম্প্রতি জাতিসংঘ থেকে প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনার কমিউনিটি ক্লিনিক ধারণা স্বীকৃতি পেয়েছে। এছাড়া মন্ত্রী বাংলাদেশের মাতৃমৃত্যু হার হ্রাস, শিশুমৃত্যু হার হ্রাস করা, গড় আয়ু বৃদ্ধি ও করোনা প্রতিরোধী টিকাদানে বাংলাদেশের ৯৮ ভাগ সফলতার বিষয়টি উল্লেখ করেন। পাশাপাশি করোনাকালে ১৫ হাজার চিকিৎসক ও ২৫ হাজার নার্সসহ প্রায় দেড় লাখ জনবল নিয়োগ দেওয়া হয়েছে বলেও জানান তিনি।

সম্মেলনে বাংলাদেশ, ভারত, ইন্দোনেশিয়া, মালদ্বীপ, নেপাল, ভুটান, থাইল্যান্ড, শ্রীলঙ্কা, পূর্ব-তিমুর ও উত্তর কোরিয়াসহ ১১টি দেশের স্বাস্থ্যমন্ত্রী ও উচ্চপদস্থ কর্মকর্তারা উপস্থিত ছিলেন।

এ সম্মেলনে স্বাস্থ্যমন্ত্রী জাহিদ মালেকের সঙ্গে স্বাস্থ্যসেবা বিভাগের সচিব জাহাঙ্গীর আলম, স্বাস্থ্য অধিদপ্তরের মহাপরিচালক অধ্যাপক ডা. আবুল বাশার মোহাম্মদ খুরশীদ আলম, অতিরিক্ত মহাপরিচালক অধ্যাপক ডা. আহমেদুল কবীর, স্বাস্থ্য মন্ত্রণালয়ের উপসচিব শাহাদত খন্দকার, জাতীয় মানসিক স্বাস্থ্য ইনস্টিটিউট ও হাসপাতালের সহকারি অধ্যাপক ডা. হেলাল উদ্দিনসহ অন্যান্য কর্মকর্তা উপস্থিত ছিলেন।

নিউজটি শেয়ার করুন

কালাজ্বর নির্মূলে বিশ্বে প্রথম স্বীকৃতি পেল বাংলাদেশ

আপডেট সময় : ০৮:৫৮:৩৫ অপরাহ্ন, মঙ্গলবার, ৩১ অক্টোবর ২০২৩

কালাজ্বর নির্মূলে বিশ্ব স্বাস্থ্য সংস্থার (ডব্লিউএইচও) পক্ষ থেকে বিশ্বের প্রথম কোনো দেশ হিসেবে স্বীকৃতি পেয়েছে বাংলাদেশ। মঙ্গলবার (৩১ অক্টোবর) দুপুরে ভারতের দিল্লীতে তিন দিনব্যাপী আয়োজিত ডব্লিউএইচওর ৭৬তম দক্ষিণ এশিয়ার আঞ্চলিক সম্মেলনে স্বাস্থ্যমন্ত্রী জাহিদ মালেকের হাতে এই স্বীকৃতির সনদপত্র তুলে দেন ডব্লিউএইচও’র দক্ষিণ-পূর্ব এশিয়ার আঞ্চলিক পরিচালক পুনম খেত্রপাল।

বিশ্বের প্রথম দেশ হিসেবে সনদ পাওয়ার প্রতিক্রিয়ায় স্বাস্থ্যমন্ত্রী জাহিদ মালেক বলেন, এর আগে বাংলাদেশ ফাইলেরিয়া ও পোলিও নির্মূল করে সনদ পেয়েছিল। এবার কালাজ্বর নির্মূলে বিশ্বে প্রথম হওয়ায় এটি একটি জাতিগতও প্রশংসিত অর্জন হয়েছে। এ অর্জনে দেশের স্বাস্থ্যখাতসহ আমরা সবাই গর্বিত। পাশাপাশি তিনি ডব্লিউএইচওর মহাপরিচালক ও দক্ষিণ-পূর্ব এশিয়ার আঞ্চলিক পরিচালকের প্রতি বিশেষ কৃতজ্ঞতা জানান।

স্বাস্থ্যমন্ত্রী বলেন, দেশের প্রত্যন্ত অঞ্চলের মানুষের স্বাস্থ্যসেবায় কমিউনিটি ক্লিনিক এখন ভরসার জায়গা হতে পেরেছে। প্রত্যন্ত অঞ্চলের মানুষের জন্য শেখ হাসিনার বিশেষ অবদান দেশের ১৪ হাজার কমিউনিটি ক্লিনিকের মাধ্যমে প্রায় ছয় হাজার মানুষ স্বাস্থ্যসেবা পাচ্ছে। ধীরে ধীরে দেশের দুর্গম এলাকাতেও প্রস্তুত করা হচ্ছে কমিউনিটি ক্লিনিক।

তিনি আরও বলেন, ক্লিনিকগুলো থেকে বিনামূল্যে ৩০ ধরনের ওষুধ দেয়া হচ্ছে। এর পাশাপাশি গ্রামের মায়েদের নিরাপদে সন্তান প্রসবের ক্ষেত্রেও কমিউনিটি ক্লিনিক কাজে লাগছে। এর সুফল হিসেবে গত কয়েক বছরের জরিপে বাংলাদেশে মাতৃমৃত্যু হার প্রতি লাখে ৩২০ জন থেকে হ্রাস পেয়ে এখন ১৬৩ জনে নেমেছে। একইভাবে প্রতি হাজার জীবিত শিশুর মৃত্যুহার ৬৫ জন থেকে হ্রাস পেয়ে ২৮ জনে নেমে এসেছে।

সম্মেলনে স্বাস্থ্যমন্ত্রী উল্লেখ করেন, কমিউনিটি ক্লিনিকের সফলতার স্বীকৃতি হিসেবে সম্প্রতি জাতিসংঘ থেকে প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনার কমিউনিটি ক্লিনিক ধারণা স্বীকৃতি পেয়েছে। এছাড়া মন্ত্রী বাংলাদেশের মাতৃমৃত্যু হার হ্রাস, শিশুমৃত্যু হার হ্রাস করা, গড় আয়ু বৃদ্ধি ও করোনা প্রতিরোধী টিকাদানে বাংলাদেশের ৯৮ ভাগ সফলতার বিষয়টি উল্লেখ করেন। পাশাপাশি করোনাকালে ১৫ হাজার চিকিৎসক ও ২৫ হাজার নার্সসহ প্রায় দেড় লাখ জনবল নিয়োগ দেওয়া হয়েছে বলেও জানান তিনি।

সম্মেলনে বাংলাদেশ, ভারত, ইন্দোনেশিয়া, মালদ্বীপ, নেপাল, ভুটান, থাইল্যান্ড, শ্রীলঙ্কা, পূর্ব-তিমুর ও উত্তর কোরিয়াসহ ১১টি দেশের স্বাস্থ্যমন্ত্রী ও উচ্চপদস্থ কর্মকর্তারা উপস্থিত ছিলেন।

এ সম্মেলনে স্বাস্থ্যমন্ত্রী জাহিদ মালেকের সঙ্গে স্বাস্থ্যসেবা বিভাগের সচিব জাহাঙ্গীর আলম, স্বাস্থ্য অধিদপ্তরের মহাপরিচালক অধ্যাপক ডা. আবুল বাশার মোহাম্মদ খুরশীদ আলম, অতিরিক্ত মহাপরিচালক অধ্যাপক ডা. আহমেদুল কবীর, স্বাস্থ্য মন্ত্রণালয়ের উপসচিব শাহাদত খন্দকার, জাতীয় মানসিক স্বাস্থ্য ইনস্টিটিউট ও হাসপাতালের সহকারি অধ্যাপক ডা. হেলাল উদ্দিনসহ অন্যান্য কর্মকর্তা উপস্থিত ছিলেন।