ঢাকা ০৬:১৭ পূর্বাহ্ন, শনিবার, ২০ এপ্রিল ২০২৪, ৭ বৈশাখ ১৪৩১ বঙ্গাব্দ
বাংলা বাংলা English English हिन्दी हिन्दी

কাজীপুরে আগুনে পুড়লো ৭ পরিবারের ১৫ ঘর

প্রতিনিধির নাম
  • আপডেট সময় : ০১:০০:২৪ অপরাহ্ন, শুক্রবার, ৯ জুন ২০২৩
  • / ৪৮৯ বার পড়া হয়েছে
বাংলা খবর বিডি অনলাইনের সর্বশেষ নিউজ পেতে অনুসরণ করুন গুগল নিউজ (Google News) ফিডটি
// কাজীপুর (সিরাজগঞ্জ) প্রতিনিধি //
সিরাজগঞ্জের কাজীপুরে বৈদ্যুতিক শর্ট সার্কিট থেকে লাগা আগুনে পুড়ে ছাঁই হয়েছে ৭ পরিবারের ১৫টি টিন শেড ঘর। গত বৃহস্পতিবার সন্ধ্যা সাতটায় উপজেলার গান্ধাইল ইউনিয়নের বাঐখোলা গ্রামে এ অগ্নিকাণ্ডের ঘটনা  ঘটে। টানা তিন ঘণ্টার চেষ্টায় আগুন নিয়ন্ত্রণে আনে কাজীপুর ফায়ার সার্ভিস। রাতেই ঘটনাস্থল পরিদর্শন করেছেন কাজীপুর উপজেলা পরিষদের চেয়ারম্যান খলিলুর রহমান, উপজেলা নির্বাহী কর্মকর্তা সুখময় সরকার ও সহকারী কমিশনার (ভূমি) কাজী মোহাম্মদ অনিক ইসলাম।
স্থানীয় ও প্রক্যক্ষদর্শী সূত্রে জানা গেছে, বৃহস্পতিবার রাতে মৃত আহাদের ছেলে জালাল উদ্দীনের টিনশেড ঘরে প্রথমে আগুন দেখা যায়। মুহূর্তের মধ্যে আগুন ছড়িয়ে জালালের ভাই নিজাম, ফরিদুল, গোলাম ছাড়াও প্রতিবেশী মতিয়ার, লুৎফর এবং রসুল বক্সের বসতঘরসহ মোট ১৫টি ঘর পুড়ে যায়। স্থানীয় লোকজন আগুন নেভানোর চেষ্টা করেও ব্যর্থ হয়েছেন। উপায় না পেয়ে কাজীপুর ফায়ার সার্ভিসকে জানালে তারা এসে আগুন নিয়ন্ত্রণে আনেন। স্থানীয় লোকজনের সহায়তায় গবাদিপশুগুলো রক্ষা পেলেও আসবাবপত্র, প্রয়োজনীয় কাপড়চোপড় ও কাগজপত্র পুড়ে ছাই হয়েছে।
কাজীপুর ফায়ার সার্ভিস অ্যান্ড সিভিল ডিফেন্সের স্টেশন ইনচার্জ রফিকুল ইসলাম জানান, খবর পাবার সাথে সাথেই আমরা যাই। ঘটনাস্থলে গাড়ি প্রবেশের রাস্তা না থাকায় আগুন নেভানোর মালামাল ভ্যানে করে নেই। প্রায় তিন ঘণ্টার চেষ্টায় আগুন নিয়ন্ত্রণে আসে। তিনি বলেন, এর আগে হয়তো স্থানীয়রা আগুন নেভানোর চেষ্টা করেছেন কিন্তু না পেরে পরে ফায়ার সার্ভিসকে জানিয়েছে। আমরা গিয়ে দেখি সব ঘরেই আগুন দাউদাউ করে জ্বলছে। এ ঘটনায় অন্তত দশ লক্ষ টাকার ক্ষয়ক্ষতি হয়েছে। ধারণা করা হচ্ছে বৈদ্যুতিক শর্ট সার্কিট থেকে এ আগুনের সূত্রপাত হয়েছে।
কাজীপুর উপজেলা নির্বাহী কর্মকর্তা সুখময় সরকার বলেন, খবর পেয়ে আমরা ঘটনা স্থলে যাই। এ সময় তাৎক্ষণিকভাবে ক্ষতিগ্রস্তদের প্রত্যেককে ৩০ কেজি চাল, ২টি কম্বল, ১ হাজার টাকা নগদ প্রদান করা হয়েছে। এছাড়া প্রয়োজন অনুযায়ী ৫টি শাড়ি, ৫টি লুঙ্গি, ৭টি গামছা, ৪টি ওয়ানপিস, ৯টি ওড়নাসহ প্রয়োজনীয় কাপড় চোপড় প্রদান করা হয়। প্রয়োজনে তাদেরকে আরও সহযোগিতা করা হবে।

নিউজটি শেয়ার করুন

কাজীপুরে আগুনে পুড়লো ৭ পরিবারের ১৫ ঘর

আপডেট সময় : ০১:০০:২৪ অপরাহ্ন, শুক্রবার, ৯ জুন ২০২৩
// কাজীপুর (সিরাজগঞ্জ) প্রতিনিধি //
সিরাজগঞ্জের কাজীপুরে বৈদ্যুতিক শর্ট সার্কিট থেকে লাগা আগুনে পুড়ে ছাঁই হয়েছে ৭ পরিবারের ১৫টি টিন শেড ঘর। গত বৃহস্পতিবার সন্ধ্যা সাতটায় উপজেলার গান্ধাইল ইউনিয়নের বাঐখোলা গ্রামে এ অগ্নিকাণ্ডের ঘটনা  ঘটে। টানা তিন ঘণ্টার চেষ্টায় আগুন নিয়ন্ত্রণে আনে কাজীপুর ফায়ার সার্ভিস। রাতেই ঘটনাস্থল পরিদর্শন করেছেন কাজীপুর উপজেলা পরিষদের চেয়ারম্যান খলিলুর রহমান, উপজেলা নির্বাহী কর্মকর্তা সুখময় সরকার ও সহকারী কমিশনার (ভূমি) কাজী মোহাম্মদ অনিক ইসলাম।
স্থানীয় ও প্রক্যক্ষদর্শী সূত্রে জানা গেছে, বৃহস্পতিবার রাতে মৃত আহাদের ছেলে জালাল উদ্দীনের টিনশেড ঘরে প্রথমে আগুন দেখা যায়। মুহূর্তের মধ্যে আগুন ছড়িয়ে জালালের ভাই নিজাম, ফরিদুল, গোলাম ছাড়াও প্রতিবেশী মতিয়ার, লুৎফর এবং রসুল বক্সের বসতঘরসহ মোট ১৫টি ঘর পুড়ে যায়। স্থানীয় লোকজন আগুন নেভানোর চেষ্টা করেও ব্যর্থ হয়েছেন। উপায় না পেয়ে কাজীপুর ফায়ার সার্ভিসকে জানালে তারা এসে আগুন নিয়ন্ত্রণে আনেন। স্থানীয় লোকজনের সহায়তায় গবাদিপশুগুলো রক্ষা পেলেও আসবাবপত্র, প্রয়োজনীয় কাপড়চোপড় ও কাগজপত্র পুড়ে ছাই হয়েছে।
কাজীপুর ফায়ার সার্ভিস অ্যান্ড সিভিল ডিফেন্সের স্টেশন ইনচার্জ রফিকুল ইসলাম জানান, খবর পাবার সাথে সাথেই আমরা যাই। ঘটনাস্থলে গাড়ি প্রবেশের রাস্তা না থাকায় আগুন নেভানোর মালামাল ভ্যানে করে নেই। প্রায় তিন ঘণ্টার চেষ্টায় আগুন নিয়ন্ত্রণে আসে। তিনি বলেন, এর আগে হয়তো স্থানীয়রা আগুন নেভানোর চেষ্টা করেছেন কিন্তু না পেরে পরে ফায়ার সার্ভিসকে জানিয়েছে। আমরা গিয়ে দেখি সব ঘরেই আগুন দাউদাউ করে জ্বলছে। এ ঘটনায় অন্তত দশ লক্ষ টাকার ক্ষয়ক্ষতি হয়েছে। ধারণা করা হচ্ছে বৈদ্যুতিক শর্ট সার্কিট থেকে এ আগুনের সূত্রপাত হয়েছে।
কাজীপুর উপজেলা নির্বাহী কর্মকর্তা সুখময় সরকার বলেন, খবর পেয়ে আমরা ঘটনা স্থলে যাই। এ সময় তাৎক্ষণিকভাবে ক্ষতিগ্রস্তদের প্রত্যেককে ৩০ কেজি চাল, ২টি কম্বল, ১ হাজার টাকা নগদ প্রদান করা হয়েছে। এছাড়া প্রয়োজন অনুযায়ী ৫টি শাড়ি, ৫টি লুঙ্গি, ৭টি গামছা, ৪টি ওয়ানপিস, ৯টি ওড়নাসহ প্রয়োজনীয় কাপড় চোপড় প্রদান করা হয়। প্রয়োজনে তাদেরকে আরও সহযোগিতা করা হবে।