কটিয়াদীতে শ্বশুরবাড়ির ওয়ারিশ আনতে গিয়ে লাশ হলেন ভগ্নিপতি
- আপডেট সময় : ০৮:৩৭:২০ অপরাহ্ন, বৃহস্পতিবার, ৪ মে ২০২৩
- / ৪৩৬ বার পড়া হয়েছে
// এম এ কুদ্দুছ, প্রতিনিধি, কটিয়াদী (কিশোরগঞ্জ) প্রতিনিধি //
কিশোরগঞ্জের কটিয়াদীতে শ্বশুর বাড়ির ওয়ারিশ আনতে গিয়ে লাশ হলেন মানিক মিয়া (৭০) নামে একজন মাছ ব্যবসায়ী। ঘটনাটি ঘটেছে বুধবার রাত সাড়ে ৭টায় মডেল থানার সামনে। নিহত মানিক মিয়া উপজেলার মসূয়া ইউনিয়নের আদমপুর গ্রামের মৃত আজিমুদ্দিনের পুত্র এবং প্রতিপক্ষ রাশিদ, হামিদ এর ভগ্নিপতি।
জানা যায়, শ্বশুর বাড়ির ওয়ারিশ নিয়ে স্ত্রীর ভাই রাশিদ, হামিদের সাথে দেনদরবার চলছিল নিহত মানিক মিয়ার। গত রমজান মাসে ওয়ারিশ বন্টনের কথা বলে বাড়িতে ডেকে নিয়ে মারধর করার অভিযোগ রয়েছে প্রতিপক্ষ রাশিদ, হামিদ গংদের বিরুদ্ধে। সে কারণে শালিস দরবার থানায় করার সিদ্ধান্ত হয়। বুধবার বিকালে মানিক মিয়া তার ছেলেসহ অন্যান্য ওয়ারিশানদের নিয়ে থানায় শালিস দরবারে আসেন। কিন্তু দীর্ঘ সময় অপেক্ষার পরও তাদের পক্ষের মান্যব্যক্তি উপস্থিত না হওয়ায় শালিস দরবার বাতিল হয়ে যায়। পরবর্তীতে পুন: তারিখ নির্ধারণ করে শালিস হবে বলে উভয় পক্ষকে নিজ নিজ অবস্থায় থাকার আহবান জানিয়ে বাড়ি চলে যেতে বলেন। এ নিয়ে উভয় পক্ষ থানা চত্বরেই হৈচৈ শুরু করে। মানিক মিয়া তার ছেলে মো: রোদন মিয়া অন্যান্য ওয়ারিশদের নিয়ে থানা থেকে বাহির হয়ে আসার সাথে সাথে প্রতিপক্ষ রাশিদ, হামিদ গং তাদের উপর চড়াও হয়। তাদের উপর্যুপোরি কিল ঘুষি লাথিতে মানিক মিয়া মাটিতে লুটিয়ে পড়েন। তাকে উদ্ধার করে দ্রুত উপজেলা স্বাস্থ্য কমপ্লেক্সে নিয়ে আসলে কর্তব্যরত চিকিৎসক মৃত ঘোষণা করেন।
নিহত মালিক মিয়ার ছেলে মো: রোদন মিয়া বলেন, মামাগণ কিছু দিন পূর্বেও ওয়ারিশের কথা বলে বাড়িতে ডেকে নিয়ে আমাদের মারধর করে তাড়িয়ে দেয়। আজ শালিসের কথা বলে ডেকে এনে আমার বাবাকে মেরে ফেলেছে। আমি এর দৃষ্টান্ত মূলক শাস্তি চাই।
স্থানীয় ইউপি সদস্য শফিকুল ইসলাম ভূঞা সবুজ বলেন, মানিক মিয়ার পক্ষের মান্যব্যক্তি উপস্থিত না থাকায় শালিস হয়নি। পরে পুন: তারিখ নির্ধারণ করে শালিস হবে জানিয়ে নিজ নিজ অবস্থায় থাকার জন্য বলা হলেও প্রতিপক্ষ চড়াও হয়ে উঠে।
কটিয়াদী মডেল থানার ওসি এসএম শাহাদত হোসেন বলেন, লাশ ময়নাতদন্তের জন্য বৃহস্পতিবার সকালে কিশোরগঞ্জ সদর হাসপাতাল মর্গে প্রেরণ করা হয়েছে। এ ঘটনায় থানায় একটি অপমৃত্যুর মামলা হয়েছে। ময়নাতদন্তের রিপোর্টের ভিত্তিতে পরবর্তী আইনগত ব্যবস্থা নেয়া হবে।
বা/খ: এসআর।