ঢাকা ০৩:১৮ পূর্বাহ্ন, বৃহস্পতিবার, ২৫ এপ্রিল ২০২৪, ১১ বৈশাখ ১৪৩১ বঙ্গাব্দ
বাংলা বাংলা English English हिन्दी हिन्दी

কটিয়াদীতে যুবদলের সহ-সভাপতির বহিষ্কার চাইলেন উপজেলা সভাপতি

প্রতিনিধির নাম
  • আপডেট সময় : ০৪:১৩:৩৫ অপরাহ্ন, শুক্রবার, ১০ মার্চ ২০২৩
  • / ৪৫৯ বার পড়া হয়েছে
বাংলা খবর বিডি অনলাইনের সর্বশেষ নিউজ পেতে অনুসরণ করুন গুগল নিউজ (Google News) ফিডটি

কটিয়াদী (কিশোরগঞ্জ) প্রতিনিধি :

কিশোরগঞ্জের কটিয়াদী উপজেলা বিএনপির সভাপতি তোফাজ্জল হোসেন খান সদ্য ঘোষিত কেন্দ্রীয় যুবদলের সহ-সভাপতি রুহুল আমিন আকিলের বহিষ্কার চাইলেন কেন্দ্রীয় নেতৃবৃন্দের নিকট। বৃহস্পতিবার কটিয়াদী বাসস্ট্যান্ড দলীয় কার্যালয়ে তৃনমূল নেতা কর্মীদের নিয়ে এক প্রতিবাদ সভার প্রস্তুতি মিটিংএ তিনি এ দাবী জানান।

তিনি বলেন, শহীদ প্রেসিডেন্ট জিয়াউর রহমানের গড়া বাংলাদেশ জাতীয়তাবাদী দল বর্তমানে তারেক রহমানের নেতৃত্বে ঐক্যবদ্ধ এবং সুসংগঠিত। এ দলটিকে ভাঙের পায়তারা করছেন রুহুল আমিন আকিল। তার অতীত ভালো নয়। তিনি সব সময় ব্লেকমেইল রাজনীতি করেছেন। নিজের আয় রোজগারের কোন উৎস্য নাই। পদ পদবী বিক্রি করে অর্থ উপর্জনই তার মূল পেশা। দলীয় কোন নেতাকর্মীর দূর্দিনে কাউকে ১০টি টাকা দিয়ে সহযোগিতা করেছেন এমন নজির নেই। সদ্য ঘোষিত কেন্দ্রীয় যুবদলের কমিটিতে সহ-সভাপতি হয়ে উপজেলা, পৌর বিএনপিসহ সহযোগী অঙ্গসংগঠনের নেতৃবৃন্দকে বাদ দিয়ে একটি অংশকে নিয়ে কটিয়াদী উপজেলা বিএনপির ব্যানার ব্যবহার করে তিনি গণসংবর্ধনা নিতে আসছেন। এ সংবাদ শুনে তৃনমূল নেতা কর্মীগণ খুবই মর্মাহত হয়েছেন এবং এর তীব্র নিন্দা জানান। উপজেলা বিএনপির সাধারন সম্পাদক আরিফুর রহমান কাঞ্চনকে প্রভাবিত করে দলীয় কোন্দল সৃষ্টি এবং নেতা কর্মীদের মাঝে বিভাজন সৃষ্টির লক্ষে এহেন কর্মকান্ড করে আসছেন তিনি। বিষয়টি আমি জেলা বিএনপির সভাপতি ও সাধারন সম্পাদকসহ অন্যান্য নেতৃবৃন্দকে মুঠোফোনে অবহিত করেছি। জেলা বিএনপির সাধারন সম্পাদক মাজাহারুল ইসলাম আমাকে জানান, উপজেলা ও পৌর বিএনপিসহ অন্যান্য নেতাকর্মীদের বাদ দিয়ে এভাবে গণসংবর্ধনা অনুষ্ঠান করতে পারে না। তাদেরকে নিষেধ করা হয়েছে। কিন্তু তারা চ্যালেঞ্জ করেছে রোববার গণসংবর্ধনা করবেই। এর প্রতিবাদের জন্য তৃনমূল নেতৃবৃন্দকে নিয়ে প্রস্তুতি সভা করি। উপজেলা বিএনপির ব্যানার ব্যবহার করে আগামী রোববারের গণসংবর্ধনা করলে বিএনপির তৃণমূল নেতৃবৃন্দ তা হতে দেবে না।

প্রস্তুতি সভায় অন্যান্যের মাঝে বক্তব্য রাখেন, পৌর বিএনপির সভাপতি আশরাফুল হক দাদন, সাধারন সম্পাদক সজল সরকার, উপজেলা বিএনপির সাবেক সাংগঠনিক সম্পাদক মিজানুর রহমান স্বপন, শফিকুর রহমান বাদল, যুবদল সভাপতি মাহাবুবুর রহমান, ছাত্রদল সাধারন সম্পাদক আশিকুর রহমান প্রমুখ।

উলে­খ্য কেন্দ্রীয় যুবদলের সহসভাপতি রুহুল আমিন আকিল কটিয়াদী উপজেলার চান্দপুর ইউনিয়নের বাসিন্দা। আগামী ১২ মার্চ রোববার উপজেলা বিএনপির সাধারন সম্পাদক আরিফুর রহমান কাঞ্চনের সভাপতিত্বে এক গণ সংবর্ধনার আয়োজন করা হয়েছে।

এ ব্যাপারে উপজেলা বিএনপির সাধারন সম্পাদক আরিফুর রহমান কাঞ্চন বলেন, সভাপতি তোফাজ্জল হোসেন খান চলমান আন্দোলনের কোনটিতেই অংশগ্রহণ করেন নাই। মাঠের রাজনীতিতে তিনি থাকেন না। কেন্দ্র ঘোষিত কোন কর্মসূচিতে তিনি অংশগ্রহণ করেন না। তাই তৃনমূল নেতৃবৃন্দের সিদ্ধান্তেই গণসংবর্ধনার আয়োজন করা হয়েছে।

বা/খ: এসআর।

নিউজটি শেয়ার করুন

কটিয়াদীতে যুবদলের সহ-সভাপতির বহিষ্কার চাইলেন উপজেলা সভাপতি

আপডেট সময় : ০৪:১৩:৩৫ অপরাহ্ন, শুক্রবার, ১০ মার্চ ২০২৩

কটিয়াদী (কিশোরগঞ্জ) প্রতিনিধি :

কিশোরগঞ্জের কটিয়াদী উপজেলা বিএনপির সভাপতি তোফাজ্জল হোসেন খান সদ্য ঘোষিত কেন্দ্রীয় যুবদলের সহ-সভাপতি রুহুল আমিন আকিলের বহিষ্কার চাইলেন কেন্দ্রীয় নেতৃবৃন্দের নিকট। বৃহস্পতিবার কটিয়াদী বাসস্ট্যান্ড দলীয় কার্যালয়ে তৃনমূল নেতা কর্মীদের নিয়ে এক প্রতিবাদ সভার প্রস্তুতি মিটিংএ তিনি এ দাবী জানান।

তিনি বলেন, শহীদ প্রেসিডেন্ট জিয়াউর রহমানের গড়া বাংলাদেশ জাতীয়তাবাদী দল বর্তমানে তারেক রহমানের নেতৃত্বে ঐক্যবদ্ধ এবং সুসংগঠিত। এ দলটিকে ভাঙের পায়তারা করছেন রুহুল আমিন আকিল। তার অতীত ভালো নয়। তিনি সব সময় ব্লেকমেইল রাজনীতি করেছেন। নিজের আয় রোজগারের কোন উৎস্য নাই। পদ পদবী বিক্রি করে অর্থ উপর্জনই তার মূল পেশা। দলীয় কোন নেতাকর্মীর দূর্দিনে কাউকে ১০টি টাকা দিয়ে সহযোগিতা করেছেন এমন নজির নেই। সদ্য ঘোষিত কেন্দ্রীয় যুবদলের কমিটিতে সহ-সভাপতি হয়ে উপজেলা, পৌর বিএনপিসহ সহযোগী অঙ্গসংগঠনের নেতৃবৃন্দকে বাদ দিয়ে একটি অংশকে নিয়ে কটিয়াদী উপজেলা বিএনপির ব্যানার ব্যবহার করে তিনি গণসংবর্ধনা নিতে আসছেন। এ সংবাদ শুনে তৃনমূল নেতা কর্মীগণ খুবই মর্মাহত হয়েছেন এবং এর তীব্র নিন্দা জানান। উপজেলা বিএনপির সাধারন সম্পাদক আরিফুর রহমান কাঞ্চনকে প্রভাবিত করে দলীয় কোন্দল সৃষ্টি এবং নেতা কর্মীদের মাঝে বিভাজন সৃষ্টির লক্ষে এহেন কর্মকান্ড করে আসছেন তিনি। বিষয়টি আমি জেলা বিএনপির সভাপতি ও সাধারন সম্পাদকসহ অন্যান্য নেতৃবৃন্দকে মুঠোফোনে অবহিত করেছি। জেলা বিএনপির সাধারন সম্পাদক মাজাহারুল ইসলাম আমাকে জানান, উপজেলা ও পৌর বিএনপিসহ অন্যান্য নেতাকর্মীদের বাদ দিয়ে এভাবে গণসংবর্ধনা অনুষ্ঠান করতে পারে না। তাদেরকে নিষেধ করা হয়েছে। কিন্তু তারা চ্যালেঞ্জ করেছে রোববার গণসংবর্ধনা করবেই। এর প্রতিবাদের জন্য তৃনমূল নেতৃবৃন্দকে নিয়ে প্রস্তুতি সভা করি। উপজেলা বিএনপির ব্যানার ব্যবহার করে আগামী রোববারের গণসংবর্ধনা করলে বিএনপির তৃণমূল নেতৃবৃন্দ তা হতে দেবে না।

প্রস্তুতি সভায় অন্যান্যের মাঝে বক্তব্য রাখেন, পৌর বিএনপির সভাপতি আশরাফুল হক দাদন, সাধারন সম্পাদক সজল সরকার, উপজেলা বিএনপির সাবেক সাংগঠনিক সম্পাদক মিজানুর রহমান স্বপন, শফিকুর রহমান বাদল, যুবদল সভাপতি মাহাবুবুর রহমান, ছাত্রদল সাধারন সম্পাদক আশিকুর রহমান প্রমুখ।

উলে­খ্য কেন্দ্রীয় যুবদলের সহসভাপতি রুহুল আমিন আকিল কটিয়াদী উপজেলার চান্দপুর ইউনিয়নের বাসিন্দা। আগামী ১২ মার্চ রোববার উপজেলা বিএনপির সাধারন সম্পাদক আরিফুর রহমান কাঞ্চনের সভাপতিত্বে এক গণ সংবর্ধনার আয়োজন করা হয়েছে।

এ ব্যাপারে উপজেলা বিএনপির সাধারন সম্পাদক আরিফুর রহমান কাঞ্চন বলেন, সভাপতি তোফাজ্জল হোসেন খান চলমান আন্দোলনের কোনটিতেই অংশগ্রহণ করেন নাই। মাঠের রাজনীতিতে তিনি থাকেন না। কেন্দ্র ঘোষিত কোন কর্মসূচিতে তিনি অংশগ্রহণ করেন না। তাই তৃনমূল নেতৃবৃন্দের সিদ্ধান্তেই গণসংবর্ধনার আয়োজন করা হয়েছে।

বা/খ: এসআর।