ঢাকা ০৩:৫২ অপরাহ্ন, বৃহস্পতিবার, ২৮ মার্চ ২০২৪, ১৪ চৈত্র ১৪৩০ বঙ্গাব্দ
বাংলা বাংলা English English हिन्दी हिन्दी
আজকের সেহরি ও ইফতার ::
ঢাকায় সেহেরি ৪:৩৪ মি. ইফতার ৬:১৬ মি.:: চট্টগ্রামে সেহেরি ৪:২৯ মি. ইফতার ৬:১০ মি. :: রাজশাহীতে সেহেরি ৪:৪০ মি. ইফতার ৬:২৩ মি. :: খুলনায় সেহেরি ৪:৩৮ মি. ইফতার ৬:১৯ মি. :: বরিশালে সেহেরি ৪:৩৫ মি. ইফতার ৬:১৬ মি. :: সিলেটে সেহেরি ৪:২৭ মি. ইফতার ৬:১০ মি. :: রংপুরে সেহেরি ৪:৩৮ মি. ইফতার ৬:২১ মি. :: ময়মনসিংহে সেহেরি ৪:৩৩ মি. ইফতার ৬:১৬ মি. ::::

ওয়াসার এমডির নিয়োগের বৈধতা চ্যালেঞ্জ করে রিট

প্রতিনিধির নাম
  • আপডেট সময় : ০৪:৪০:৫২ অপরাহ্ন, রবিবার, ৪ ডিসেম্বর ২০২২
  • / ৪৩১ বার পড়া হয়েছে
বাংলা খবর বিডি অনলাইনের সর্বশেষ নিউজ পেতে অনুসরণ করুন গুগল নিউজ (Google News) ফিডটি

নিজস্ব প্রতিবেদক : 

জালিয়াতির অভিযোগ তুলে ঢাকা ওয়াসার এমডি তাকসিম এ খানের নিয়োগের বৈধতা চ্যালেঞ্জ করে রিট করা হয়েছে।

রোববার (৪ ডিসেম্বর) ব্যারিস্টার সৈয়দ সায়েদুল হক সুমন এই রিট দায়ের করেন। বিচারপতি মো. নজরুল ইসলাম তালুকদার ও বিচারপতি খিজির হায়াতের বেঞ্চে আবেদনের বিষয়ে সোমবার শুনানি হতে পারে বলে জানিয়েছেন সুমন।

ব্যারিস্টার সুমন বলেন, ২০০৯ সালে নিয়োগ পরীক্ষার নম্বরপত্রে ঘষা-মাজা করা হয়েছিল। জালিয়াতি করে তাঁকে নিয়োগ দেওয়া হয়। ওয়াসার এমডি হওয়ার জন্য পয়োনিষ্কাশন বিষয়ে ২০ বছরের অভিজ্ঞতা থাকতে হয়। অথচ তাঁর কোনো অভিজ্ঞতা নেই। নিয়োগবিধি অনুযায়ী যে যোগ্যতার কথা বলা হয়েছিল, সেটাও তাঁর নেই। তার পরও তিনি বহাল তবিয়তে আছেন। বিষয়গুলো তদন্ত হওয়া দরকার।

সুমন আরও বলেন, ওয়াসার এমডি হিসেবে তাকসিম এ খান ১৩ বছর ধরে পদে আছেন। ১৩ বছরে ৬ টাকা থেকে ১৫ টাকা হয়েছে পানির ইউনিট। হাজার হাজার কোটি টাকা দুর্নীতির অভিযোগ গণমাধ্যমে উঠে এসেছে।

এর আগে এক রিটের পরিপ্রেক্ষিতে তাকসিম এ খান গত ১৩ বছর বেতন-বোনাসসহ কত টাকা নিয়েছেন তার হিসাব চান হাইকোর্ট। এসব হিসাব জানাতে ওয়াসা বোর্ডকে নির্দেশ দেওয়া হয় গত ১৭ আগস্ট। সেই সঙ্গে রুলও জারি করেন আদালত। তাকসিম এ খানকে এমডির পদ থেকে অপসারণে নিষ্ক্রিয়তা কেন অবৈধ ঘোষণা করা হবে না এবং অপসারণের জন্য যথাযথ পদক্ষেপ গ্রহণ করতে কেন নির্দেশ দেওয়া হবে না, তা জানতে চাওয়া হয় রুলে।

পরে হাইকোর্টের আদেশ অনুযায়ী ঢাকা ওয়াসা থেকে ২৯ নভেম্বর প্রতিবেদন দাখিল করা হয়। যাতে বলা হয়, ঢাকা ওয়াসার ব্যবস্থাপনা পরিচালক তাকসিম এ খান গত ১৩ বছরে বেতন-ভাতা হিসেবে ৫ কোটি ৭৯ লাখ ৯৩ হাজার ৭৯৩ টাকা নিয়েছেন। প্রতিবেদন অনুসারে ৫ কোটি ৭৯ লাখ ৯৩ হাজার ৭৯৩ টাকার মধ্যে মূল বেতন ২ কোটি ১৯ লাখ ৪৬ হাজার ৯০৩ টাকা। বাড়িভাড়া ৪২ লাখ ৪ হাজার ৩২ টাকা, নববর্ষ বোনাস ৩ লাখ ৫ হাজার ৮২০, চিকিৎসা ভাতা ৩৬ লাখ ৬৯ হাজার ৩৪৭, বিশেষ ১ কোটি ৭৭ লাখ ১৩ হাজার ৩৪০ টাকা।

এ ছাড়া আপ্যায়ন ব্যয় বাবদ ৩৬ লাখ ৪৪ হাজার ৩৪৭, উৎসব বোনাস ৩১ লাখ ১৩ হাজার ৮২৪, পারফরম্যান্স অ্যাওয়ার্ড ৩০ লাখ ৯০ হাজার ৯৯০, অন্যান্য ভাতা ১ লাখ ৩০ হাজার ১৯০ এবং মহার্ঘ্য ভাতা ১ লাখ ৭৫ হাজার টাকা। এর মধ্যে বাড়িভাড়া, কোয়ার্টার মেরামত, আয়করসহ অন্যান্য খাতে মোট ১ কোটি ২৮ লাখ ৮৭ হাজার ২৭৭ টাকা কর্তন করা হয়েছে। কর্তন বাদে তিনি পেয়েছেন ৪ কোটি ৫১ লাখ ৬ হাজার ৫১৬ টাকা।

 

The short URL of the present article is: https://banglakhaborbd.com/pkf8

নিউজটি শেয়ার করুন

ওয়াসার এমডির নিয়োগের বৈধতা চ্যালেঞ্জ করে রিট

আপডেট সময় : ০৪:৪০:৫২ অপরাহ্ন, রবিবার, ৪ ডিসেম্বর ২০২২

নিজস্ব প্রতিবেদক : 

জালিয়াতির অভিযোগ তুলে ঢাকা ওয়াসার এমডি তাকসিম এ খানের নিয়োগের বৈধতা চ্যালেঞ্জ করে রিট করা হয়েছে।

রোববার (৪ ডিসেম্বর) ব্যারিস্টার সৈয়দ সায়েদুল হক সুমন এই রিট দায়ের করেন। বিচারপতি মো. নজরুল ইসলাম তালুকদার ও বিচারপতি খিজির হায়াতের বেঞ্চে আবেদনের বিষয়ে সোমবার শুনানি হতে পারে বলে জানিয়েছেন সুমন।

ব্যারিস্টার সুমন বলেন, ২০০৯ সালে নিয়োগ পরীক্ষার নম্বরপত্রে ঘষা-মাজা করা হয়েছিল। জালিয়াতি করে তাঁকে নিয়োগ দেওয়া হয়। ওয়াসার এমডি হওয়ার জন্য পয়োনিষ্কাশন বিষয়ে ২০ বছরের অভিজ্ঞতা থাকতে হয়। অথচ তাঁর কোনো অভিজ্ঞতা নেই। নিয়োগবিধি অনুযায়ী যে যোগ্যতার কথা বলা হয়েছিল, সেটাও তাঁর নেই। তার পরও তিনি বহাল তবিয়তে আছেন। বিষয়গুলো তদন্ত হওয়া দরকার।

সুমন আরও বলেন, ওয়াসার এমডি হিসেবে তাকসিম এ খান ১৩ বছর ধরে পদে আছেন। ১৩ বছরে ৬ টাকা থেকে ১৫ টাকা হয়েছে পানির ইউনিট। হাজার হাজার কোটি টাকা দুর্নীতির অভিযোগ গণমাধ্যমে উঠে এসেছে।

এর আগে এক রিটের পরিপ্রেক্ষিতে তাকসিম এ খান গত ১৩ বছর বেতন-বোনাসসহ কত টাকা নিয়েছেন তার হিসাব চান হাইকোর্ট। এসব হিসাব জানাতে ওয়াসা বোর্ডকে নির্দেশ দেওয়া হয় গত ১৭ আগস্ট। সেই সঙ্গে রুলও জারি করেন আদালত। তাকসিম এ খানকে এমডির পদ থেকে অপসারণে নিষ্ক্রিয়তা কেন অবৈধ ঘোষণা করা হবে না এবং অপসারণের জন্য যথাযথ পদক্ষেপ গ্রহণ করতে কেন নির্দেশ দেওয়া হবে না, তা জানতে চাওয়া হয় রুলে।

পরে হাইকোর্টের আদেশ অনুযায়ী ঢাকা ওয়াসা থেকে ২৯ নভেম্বর প্রতিবেদন দাখিল করা হয়। যাতে বলা হয়, ঢাকা ওয়াসার ব্যবস্থাপনা পরিচালক তাকসিম এ খান গত ১৩ বছরে বেতন-ভাতা হিসেবে ৫ কোটি ৭৯ লাখ ৯৩ হাজার ৭৯৩ টাকা নিয়েছেন। প্রতিবেদন অনুসারে ৫ কোটি ৭৯ লাখ ৯৩ হাজার ৭৯৩ টাকার মধ্যে মূল বেতন ২ কোটি ১৯ লাখ ৪৬ হাজার ৯০৩ টাকা। বাড়িভাড়া ৪২ লাখ ৪ হাজার ৩২ টাকা, নববর্ষ বোনাস ৩ লাখ ৫ হাজার ৮২০, চিকিৎসা ভাতা ৩৬ লাখ ৬৯ হাজার ৩৪৭, বিশেষ ১ কোটি ৭৭ লাখ ১৩ হাজার ৩৪০ টাকা।

এ ছাড়া আপ্যায়ন ব্যয় বাবদ ৩৬ লাখ ৪৪ হাজার ৩৪৭, উৎসব বোনাস ৩১ লাখ ১৩ হাজার ৮২৪, পারফরম্যান্স অ্যাওয়ার্ড ৩০ লাখ ৯০ হাজার ৯৯০, অন্যান্য ভাতা ১ লাখ ৩০ হাজার ১৯০ এবং মহার্ঘ্য ভাতা ১ লাখ ৭৫ হাজার টাকা। এর মধ্যে বাড়িভাড়া, কোয়ার্টার মেরামত, আয়করসহ অন্যান্য খাতে মোট ১ কোটি ২৮ লাখ ৮৭ হাজার ২৭৭ টাকা কর্তন করা হয়েছে। কর্তন বাদে তিনি পেয়েছেন ৪ কোটি ৫১ লাখ ৬ হাজার ৫১৬ টাকা।

 

The short URL of the present article is: https://banglakhaborbd.com/pkf8