ঢাকা ০২:৩৮ অপরাহ্ন, মঙ্গলবার, ১৬ এপ্রিল ২০২৪, ৩ বৈশাখ ১৪৩১ বঙ্গাব্দ
বাংলা বাংলা English English हिन्दी हिन्दी

এশিয়ার ক্ষুদ্রতম মা রাজশাহীর মাসুরা বেগম

প্রতিনিধির নাম
  • আপডেট সময় : ০৫:০৪:২৬ অপরাহ্ন, শুক্রবার, ৩০ সেপ্টেম্বর ২০২২
  • / ৫০১ বার পড়া হয়েছে
বাংলা খবর বিডি অনলাইনের সর্বশেষ নিউজ পেতে অনুসরণ করুন গুগল নিউজ (Google News) ফিডটি
রাজশাহী প্রতিনিধি : মাসুরা বেগম। উচ্চতা মাত্র ৩৮ ইঞ্চি (৩ ফুট ২ ইঞ্চি)। এই ক্ষুদ্র উচ্চতা নিয়েও মা হয়েছেন তিনি। গভধারর্ণ থেকে শুরু করে প্রসবের সময় পর্যন্ত মাসুরাকে যে দু’জন চিকিৎসক দেখেছেন, পরামর্শ দিয়েছেন তাদের দাবি উচ্চতার হিসেবে বিশ্বের দ্বিতীয় এবং এশিয়ার ক্ষুদ্রতম মা এই মাসুরা বেগম।
জানা যায়, উচ্চতার দিক থেকে বিশ্বের সবচেয়ে ক্ষুদ্রতম মা ২৮ ইঞ্চি উচ্চতার আমেরিকার স্টেসি হেরাল্ড। ২০০৬ সালে প্রথম সন্তান জন্ম দেন তিনি। তিন সন্তান জন্ম দেয়ার পর ২০১৮ সালে মারা যান স্টেসি হেরাল্ড।
ভারতের গণমাধ্যমের দাবি, ৪১ ইঞ্চি উচ্চতার ভারতের কামাক্ষি চিকিৎসা বিজ্ঞানের ইতিহাসে সবচেয়ে ক্ষুদ্রতম উচ্চতার মা। যিনি ২০১১ সালে সফলভাবে বাচ্চা প্রসব করেন। যদিও রাজশাহীর মাসুরা বেগমের উচ্চতা ৩৮ ইঞ্চি, যা কামাক্ষির চেয়েও তিন ইঞ্চি কম।মাসুরা সফলভাবে বাচ্চা প্রসব করেছেন ২০১৩ সালে।
রাজশাহীর পবা উপজেলার পারিলা ইউনিয়নের রামচন্দ্রপুর এলাকায় কাজের জন্য আসেন গাইবান্ধার মনিরুল ইসলাম। ২০০৩ সালে ভালোবেসে বিয়ে করেন মাসুরা বেগমকে। প্রায় ১০ বছর পর ২০১৩ সালে মাসুরা বেগম একটি কন্যা সন্তানের জন্ম দেন। গর্ভকালীন শতকষ্টেও মাসুরার পাশে ছিলেন মনিরুল। গর্ভধারণের আট মাস ১০ দিন পর অস্ত্রোপচারের মাধ্যমে তিনি রাজশাহী মেডিকেল কলেজ (রামেক) হাসপাতালে প্রায় আড়াই কেজি ওজনের কন্যা সন্তানের জন্ম দেন।
মাসুরার আট বছরের কন্যা মরিয়ম ইতোমধ্যে উচ্চতায় মাকে ছাড়িয়ে ৪১ ইঞ্চি উচ্চতায় পৌঁছেছে। মা-মেয়ের ভালবাসাও বেশ। এই বয়সেই মাকে নানা কাজে সহযোগিতাও করে মরিয়ম। এবার মরিয়ম পড়ছে দ্বিতীয় শ্রেণিতে।
জানা যায়, মাসুরা বেগমের চিকিৎসক ছিলেন রাজশাহী মেডিক্যাল কলেজ ও হাসপাতালের গাইনী বিভাগের তত্কালীন প্রধান অধ্যাপক ডা. হাসিনা আক্তার ও আবাসিক সার্জন নুরে আতিয়া লাভলী।তাদের দাবি,এশিয়ার প্রথম এবং বিশ্বের দ্বিতীয় ক্ষুদ্রতম মা এই মাসুরা বেগম।
মাসুরা বেগমের স্বামী মনিরুল ইসলাম জানান, প্রায় দেড় যুগ ধরে মাসুরার সঙ্গে ঘর বেঁধে সুখে সংসার করছেন তারা।শারীরিক যোগ্যতা নয়, ভালবাসা এবং ভাল থাকার জন্য প্রয়োজন সুন্দর মন।মনিরুল ইসলাম ও মাসুরা বেগমের ভালোবাসা এখনো সবার কাছে উদাহরণ।
Attachments area

নিউজটি শেয়ার করুন

ট্যাগস :

এশিয়ার ক্ষুদ্রতম মা রাজশাহীর মাসুরা বেগম

আপডেট সময় : ০৫:০৪:২৬ অপরাহ্ন, শুক্রবার, ৩০ সেপ্টেম্বর ২০২২
রাজশাহী প্রতিনিধি : মাসুরা বেগম। উচ্চতা মাত্র ৩৮ ইঞ্চি (৩ ফুট ২ ইঞ্চি)। এই ক্ষুদ্র উচ্চতা নিয়েও মা হয়েছেন তিনি। গভধারর্ণ থেকে শুরু করে প্রসবের সময় পর্যন্ত মাসুরাকে যে দু’জন চিকিৎসক দেখেছেন, পরামর্শ দিয়েছেন তাদের দাবি উচ্চতার হিসেবে বিশ্বের দ্বিতীয় এবং এশিয়ার ক্ষুদ্রতম মা এই মাসুরা বেগম।
জানা যায়, উচ্চতার দিক থেকে বিশ্বের সবচেয়ে ক্ষুদ্রতম মা ২৮ ইঞ্চি উচ্চতার আমেরিকার স্টেসি হেরাল্ড। ২০০৬ সালে প্রথম সন্তান জন্ম দেন তিনি। তিন সন্তান জন্ম দেয়ার পর ২০১৮ সালে মারা যান স্টেসি হেরাল্ড।
ভারতের গণমাধ্যমের দাবি, ৪১ ইঞ্চি উচ্চতার ভারতের কামাক্ষি চিকিৎসা বিজ্ঞানের ইতিহাসে সবচেয়ে ক্ষুদ্রতম উচ্চতার মা। যিনি ২০১১ সালে সফলভাবে বাচ্চা প্রসব করেন। যদিও রাজশাহীর মাসুরা বেগমের উচ্চতা ৩৮ ইঞ্চি, যা কামাক্ষির চেয়েও তিন ইঞ্চি কম।মাসুরা সফলভাবে বাচ্চা প্রসব করেছেন ২০১৩ সালে।
রাজশাহীর পবা উপজেলার পারিলা ইউনিয়নের রামচন্দ্রপুর এলাকায় কাজের জন্য আসেন গাইবান্ধার মনিরুল ইসলাম। ২০০৩ সালে ভালোবেসে বিয়ে করেন মাসুরা বেগমকে। প্রায় ১০ বছর পর ২০১৩ সালে মাসুরা বেগম একটি কন্যা সন্তানের জন্ম দেন। গর্ভকালীন শতকষ্টেও মাসুরার পাশে ছিলেন মনিরুল। গর্ভধারণের আট মাস ১০ দিন পর অস্ত্রোপচারের মাধ্যমে তিনি রাজশাহী মেডিকেল কলেজ (রামেক) হাসপাতালে প্রায় আড়াই কেজি ওজনের কন্যা সন্তানের জন্ম দেন।
মাসুরার আট বছরের কন্যা মরিয়ম ইতোমধ্যে উচ্চতায় মাকে ছাড়িয়ে ৪১ ইঞ্চি উচ্চতায় পৌঁছেছে। মা-মেয়ের ভালবাসাও বেশ। এই বয়সেই মাকে নানা কাজে সহযোগিতাও করে মরিয়ম। এবার মরিয়ম পড়ছে দ্বিতীয় শ্রেণিতে।
জানা যায়, মাসুরা বেগমের চিকিৎসক ছিলেন রাজশাহী মেডিক্যাল কলেজ ও হাসপাতালের গাইনী বিভাগের তত্কালীন প্রধান অধ্যাপক ডা. হাসিনা আক্তার ও আবাসিক সার্জন নুরে আতিয়া লাভলী।তাদের দাবি,এশিয়ার প্রথম এবং বিশ্বের দ্বিতীয় ক্ষুদ্রতম মা এই মাসুরা বেগম।
মাসুরা বেগমের স্বামী মনিরুল ইসলাম জানান, প্রায় দেড় যুগ ধরে মাসুরার সঙ্গে ঘর বেঁধে সুখে সংসার করছেন তারা।শারীরিক যোগ্যতা নয়, ভালবাসা এবং ভাল থাকার জন্য প্রয়োজন সুন্দর মন।মনিরুল ইসলাম ও মাসুরা বেগমের ভালোবাসা এখনো সবার কাছে উদাহরণ।
Attachments area