ঢাকা ০৫:৫৭ অপরাহ্ন, শুক্রবার, ১৯ এপ্রিল ২০২৪, ৬ বৈশাখ ১৪৩১ বঙ্গাব্দ
বাংলা বাংলা English English हिन्दी हिन्दी

এম্বাপ্পের জাদুতে কোয়ার্টার ফাইনালে ফ্রান্স

প্রতিনিধির নাম
  • আপডেট সময় : ১১:২৯:২৬ অপরাহ্ন, রবিবার, ৪ ডিসেম্বর ২০২২
  • / ৪৪৬ বার পড়া হয়েছে
বাংলা খবর বিডি অনলাইনের সর্বশেষ নিউজ পেতে অনুসরণ করুন গুগল নিউজ (Google News) ফিডটি

স্পোর্টস ডেস্ক : 

২০১৮ বিশ্বকাপে এম্বাপ্পের যেখান থেকে শেষ করেছিলেন ২০২২ বিশ্বকাপ যেন সেখান থেকেই শুরু করলেন এই পিএসজি তারকা। তাকে ভবিষ্যৎ তারকা ফুটবলার কেন বলা হয় তাই যেন প্রমাণ করে চলছেন দিনের পর। বিশ্বকাপের শুরু থেকেই ফ্রান্সকে ধরা হচ্ছিল বিশ্বকাপের সবচেয়ে বেশি দাবিদার। গ্রুপ পর্বে অপ্রত্যাশিতভাবে তিউনিসিয়ার কাছে হারলেও দ্বিতীয় রাউন্ডে পোল্যান্ডের বিপক্ষে দুর্দান্তভাবে শুরু করেছে তারা। এম্বাপ্পের জোড়া গোল ও জিরুর দুর্দান্ত গোলে পোল্যান্ডকে ৩-১ ব্যবধানে হারিয়ে কোয়ার্টার ফাইনালে পা রেখেছে বর্তমান চ্যাম্পিয়ন ফ্রান্স। লেওয়ানডস্কিদের বিদায় করে কোয়ার্টারে তারা অপেক্ষা করছে ইংল্যান্ড অথবা সেনেগালের জন্য।

রোববার (৪ ডিসেম্বর) বাংলাদেশ সময় রাত ৯ টায় আল থুমামা স্টেডিয়ামে মাঠে নামে দু’দল। ম্যাচের শুরু থেকেই একের পর এক আক্রমণে পোল্যান্ডের ডিফেন্সকে দিশেহারা করে ফ্রান্স। পোল্যান্ডও বেশ কিছু আক্রমণ করে। তবে প্রথমার্ধ শেষের আগ মুহূর্তে গোল করে লিড নিয়ে বিরতিতে যায় ফ্রান্স। বিরতি থেকে ফিরে জোড়া গোল করে এম্বাপ্পে। ম্যাচের শেষ দিকে গোল করে ব্যবধান কমায় রবার্ট লেওয়ানডোস্কি। শেষ পর্যন্ত ৩-১ গোলের জয় নিয়ে মাঠ ছাড়ে ফ্রান্স। আর হেরে বিশ্বকাপ থেকে বিদায় নিতে হলো পোল্যান্ডকে।

ম্যাচের শুরুতেই আক্রমণে ওঠে ফ্রান্স। ম্যাচের দ্বিতীয় মিনিটে ডান দিকে থেকে ফ্রি পায় ফ্রান্স। সেখান থেকে গ্রিজম্যানের নেওয়া ফ্রি কিক চলে যায় পোস্টের বাইর দিয়ে। ম্যাচের ৩ মিনিটে কর্নার আদায় করে ফ্রান্স। কর্নার থেকে ভেসে আসা বলে হেড করেন রাফয়েল ভারানে। তবে তা চলে যায় পোস্টের ওপর দিয়ে। ম্যাচের ৪ মিনিটে আক্রমণে ওঠে পোল্যান্ড। তবে তা থেকে সুবিধা করতে পারেনি তারা।

এরপর ম্যাচের ৯ মিনিটে গোছানো আক্রমণে যায় ফ্রান্স। বাম দিকে থেকে এমবাপ্পের বাড়ানো ক্রসে পা ছোঁয়াতে ব্যর্থ হলে গোল পাওয়া হয় না তাদের। ম্যাচের ১০ মিনিটে আবারও বাম দিক থেকে ক্রস করেন এমবাপ্পে। তবে এবারও পা ছোঁয়াতে পারেনি কেউ।ম্যাচের ১৩ মিনিটে ডি বক্সের বাইরে থেকে শট করেন অরেলিয়ান টিচুয়ামেনি। তবে তা সেভ করেন পোল্যান্ডের গোলরক্ষক ওজিয়েক সিজিসনি।

এরপরও পোল্যান্ডের ডিফেন্সে একের পর এক আক্রমণ করতে থাকে ফ্রান্স। ম্যাচের ১৬ মিনিটে ডি বক্সের বাইরে থেকে শট করেন ওসমান ডেম্বেলে। তবে তা আবারও রুখে দেন ওজিয়েক সিজিসনি। ম্যাচের ২১ মিনিটে কাউন্টার অ্যাতাকে যায় পোল্যান্ড। সেখান থেকে বল পেয়ে ডি বক্সের বাইরে থেকে শট করেন রবার্ট লেওয়ানডোস্কি। তবে তা চলে যায় সাইড বারের বাইর দিয়ে।

ম্যাচের ২৫ মিনিটে বাম দিক থেকে ফ্রি কিক পায় পোল্যান্ড। তবে তা কাজে লাগাতে পারেনি তারা। সেখান থেকে কাউন্টার অ্যাটাক থেকে বল পেয়ে একক প্রচেষ্টায় বল নিয়ে ওপরে ওঠার চেষ্টা করেন এমবাপ্পে। তবে তা আটকে যায় পোলিশ ডিফেন্সে। ম্যাচের ২৯ মিনিটে ডি বক্সের ভেতর থেকে ডেম্বেলের বাড়ানো বল ফাঁকা পোস্টেও জালে জড়াতে পারেননি অলিভিয়ার জিরুড।

ম্যাচের ৩১ মিনিটে আক্রমণে ওঠে পোল্যান্ড। ডি বক্সের বাইরে থেকে ফ্রি কিক পায় তারা। সেই ফ্রি কিক থেকে রবার্ট লেওয়ানডোস্কির নেওয়া শট মানব দেওয়ালে লেগে প্রতিহত হয়। ম্যাচের ৩৪ মিনিটে বাম দিক থেকে বল বাড়ান ম্যাটি ক্যাশ। তবে সেখানে পা ছোঁয়াতে ব্যর্থ হলে গোল পাওয়া হয় না পোল্যান্ডের।

ম্যাচের ৩৬ মিনিটে এমবাপ্পের নেওয়া শট অসাধারণ সেভে দলকে রক্ষা করেন ওজিয়েক সিজিসনি। ম্যাচের ৩৮ মিনিটে অ্যাটাকে যায় পোল্যান্ড। অসাধারণ সেভে দলকে রক্ষা করেন ফ্রান্সের গোলরক্ষক লরিস। ফিরতি বলে শট করলে গোললাইন থেকে বল ফিরিয়ে দলকে রক্ষা করেন ডেওট উপমেকানো।

ম্যাচের ৪৪ মিনিটে গোলের দেখা পায় ফ্রান্স। ডি বক্সের ভেতরে বল পেয়ে প্লেসিং শটে বল জালে জড়ান অলিভিয়ার জিরুড। তার গোলে ম্যাচে প্রথম লিড পায় ফ্রান্স। এরপর গোল শোধের চেষ্টা করেও ব্যর্থ হয় ফ্রান্স। শেষ পর্যন্ত এক গোলে এগিয়ে থেকেই বিরতিতে যায় ফ্রান্স।

বিরতি থেকে ফিরেও আক্রমণ চালিয়ে যায় ফ্রান্স। ম্যাচের ৫৫ মিনিটে বাম দিক থেকে এমবাপ্পেকে উদ্দেশ্য করে বল বাড়ান অ্যান্টোনি গ্রিজম্যান। তবে তা কর্নারের বিনিময়ে রক্ষা করে পোলিশ ডিফেন্ডার। ম্যাচের ৫৬ মিনিটে ডি বক্সের বাইরে থেকে শট করেন এমবাপ্পে। তবে তা ডিফেন্ডারের গায়ে লেগে চলে যায় পোস্টের বাইর দিয়ে। কর্নার পেলেও তা কাজে লাগাতে পারেনি ফ্রান্স।

ম্যাচের ৬৫ মিনিটে ডান দিকে থেকে বল বাড়ান জুলস কাউন্ডে। তার বাড়ানো বলে অলিভিয়ার জিরুড পা ছোঁয়ালেও তা চলে যায় পোস্টের বাইর দিয়ে। ম্যাচের ৭১ মিনিটে ডান দিক থেকে ফ্রি কিক পায় পোল্যান্ড। ফ্রি কিক থেকে ভেসে আসা বলে হেড করেন কামিল গ্লিক। তবে তা চলে যায় ক্রসবারের বাইর দিয়ে। ম্যাচের ৭৩ মিনিটে আবারও গোলের দেখা পায় ফ্রান্স। কাউন্টার অ্যাটাক থেকে ডেম্বেলের বাড়ানো বলে পেয়ে জোড়ালো শটে বল পোল্যান্ডের জালে জড়ান কিলিয়ান এমবাপ্পে। তার গোলে দুই গোলের লিড পায় ফ্রান্স।

এরপর আরও বেশ কিছু অ্যাটাক করে ফ্রান্স। অন্যদিকে কিছু কাউন্টার অ্যাটাকে যায় পোল্যান্ড। ম্যাচের অতিরিক্ত মিনিটে আবারও গোল করেন এমবাপ্পে। ডি বক্সের সামান্য বাইর থেকে অসাধারণ শটে বল জালে জড়ান। তার এই গোলে ম্যাচে ৩-০ তে এগিয়ে যায় ফ্রান্স। ম্যাচের শেষ দিকে পেনাল্টি পায় পোল্যান্ড। পেনাল্টি থেকে গোল করে ব্যবধান কমায় রবার্ট লেওয়ানডোস্কি।

এরপর আর কোন গোল না হলে ৩-১ গোলের জয় নিয়ে মাঠ ছাড়ে ফ্রান্স। এই জয়ে কোয়ার্টার ফাইনালে পা রাখে ফ্রান্স। সেইসঙ্গে বিশ্বকাপ থেকে বিদায় নেয় পোল্যান্ড।

নিউজটি শেয়ার করুন

এম্বাপ্পের জাদুতে কোয়ার্টার ফাইনালে ফ্রান্স

আপডেট সময় : ১১:২৯:২৬ অপরাহ্ন, রবিবার, ৪ ডিসেম্বর ২০২২

স্পোর্টস ডেস্ক : 

২০১৮ বিশ্বকাপে এম্বাপ্পের যেখান থেকে শেষ করেছিলেন ২০২২ বিশ্বকাপ যেন সেখান থেকেই শুরু করলেন এই পিএসজি তারকা। তাকে ভবিষ্যৎ তারকা ফুটবলার কেন বলা হয় তাই যেন প্রমাণ করে চলছেন দিনের পর। বিশ্বকাপের শুরু থেকেই ফ্রান্সকে ধরা হচ্ছিল বিশ্বকাপের সবচেয়ে বেশি দাবিদার। গ্রুপ পর্বে অপ্রত্যাশিতভাবে তিউনিসিয়ার কাছে হারলেও দ্বিতীয় রাউন্ডে পোল্যান্ডের বিপক্ষে দুর্দান্তভাবে শুরু করেছে তারা। এম্বাপ্পের জোড়া গোল ও জিরুর দুর্দান্ত গোলে পোল্যান্ডকে ৩-১ ব্যবধানে হারিয়ে কোয়ার্টার ফাইনালে পা রেখেছে বর্তমান চ্যাম্পিয়ন ফ্রান্স। লেওয়ানডস্কিদের বিদায় করে কোয়ার্টারে তারা অপেক্ষা করছে ইংল্যান্ড অথবা সেনেগালের জন্য।

রোববার (৪ ডিসেম্বর) বাংলাদেশ সময় রাত ৯ টায় আল থুমামা স্টেডিয়ামে মাঠে নামে দু’দল। ম্যাচের শুরু থেকেই একের পর এক আক্রমণে পোল্যান্ডের ডিফেন্সকে দিশেহারা করে ফ্রান্স। পোল্যান্ডও বেশ কিছু আক্রমণ করে। তবে প্রথমার্ধ শেষের আগ মুহূর্তে গোল করে লিড নিয়ে বিরতিতে যায় ফ্রান্স। বিরতি থেকে ফিরে জোড়া গোল করে এম্বাপ্পে। ম্যাচের শেষ দিকে গোল করে ব্যবধান কমায় রবার্ট লেওয়ানডোস্কি। শেষ পর্যন্ত ৩-১ গোলের জয় নিয়ে মাঠ ছাড়ে ফ্রান্স। আর হেরে বিশ্বকাপ থেকে বিদায় নিতে হলো পোল্যান্ডকে।

ম্যাচের শুরুতেই আক্রমণে ওঠে ফ্রান্স। ম্যাচের দ্বিতীয় মিনিটে ডান দিকে থেকে ফ্রি পায় ফ্রান্স। সেখান থেকে গ্রিজম্যানের নেওয়া ফ্রি কিক চলে যায় পোস্টের বাইর দিয়ে। ম্যাচের ৩ মিনিটে কর্নার আদায় করে ফ্রান্স। কর্নার থেকে ভেসে আসা বলে হেড করেন রাফয়েল ভারানে। তবে তা চলে যায় পোস্টের ওপর দিয়ে। ম্যাচের ৪ মিনিটে আক্রমণে ওঠে পোল্যান্ড। তবে তা থেকে সুবিধা করতে পারেনি তারা।

এরপর ম্যাচের ৯ মিনিটে গোছানো আক্রমণে যায় ফ্রান্স। বাম দিকে থেকে এমবাপ্পের বাড়ানো ক্রসে পা ছোঁয়াতে ব্যর্থ হলে গোল পাওয়া হয় না তাদের। ম্যাচের ১০ মিনিটে আবারও বাম দিক থেকে ক্রস করেন এমবাপ্পে। তবে এবারও পা ছোঁয়াতে পারেনি কেউ।ম্যাচের ১৩ মিনিটে ডি বক্সের বাইরে থেকে শট করেন অরেলিয়ান টিচুয়ামেনি। তবে তা সেভ করেন পোল্যান্ডের গোলরক্ষক ওজিয়েক সিজিসনি।

এরপরও পোল্যান্ডের ডিফেন্সে একের পর এক আক্রমণ করতে থাকে ফ্রান্স। ম্যাচের ১৬ মিনিটে ডি বক্সের বাইরে থেকে শট করেন ওসমান ডেম্বেলে। তবে তা আবারও রুখে দেন ওজিয়েক সিজিসনি। ম্যাচের ২১ মিনিটে কাউন্টার অ্যাতাকে যায় পোল্যান্ড। সেখান থেকে বল পেয়ে ডি বক্সের বাইরে থেকে শট করেন রবার্ট লেওয়ানডোস্কি। তবে তা চলে যায় সাইড বারের বাইর দিয়ে।

ম্যাচের ২৫ মিনিটে বাম দিক থেকে ফ্রি কিক পায় পোল্যান্ড। তবে তা কাজে লাগাতে পারেনি তারা। সেখান থেকে কাউন্টার অ্যাটাক থেকে বল পেয়ে একক প্রচেষ্টায় বল নিয়ে ওপরে ওঠার চেষ্টা করেন এমবাপ্পে। তবে তা আটকে যায় পোলিশ ডিফেন্সে। ম্যাচের ২৯ মিনিটে ডি বক্সের ভেতর থেকে ডেম্বেলের বাড়ানো বল ফাঁকা পোস্টেও জালে জড়াতে পারেননি অলিভিয়ার জিরুড।

ম্যাচের ৩১ মিনিটে আক্রমণে ওঠে পোল্যান্ড। ডি বক্সের বাইরে থেকে ফ্রি কিক পায় তারা। সেই ফ্রি কিক থেকে রবার্ট লেওয়ানডোস্কির নেওয়া শট মানব দেওয়ালে লেগে প্রতিহত হয়। ম্যাচের ৩৪ মিনিটে বাম দিক থেকে বল বাড়ান ম্যাটি ক্যাশ। তবে সেখানে পা ছোঁয়াতে ব্যর্থ হলে গোল পাওয়া হয় না পোল্যান্ডের।

ম্যাচের ৩৬ মিনিটে এমবাপ্পের নেওয়া শট অসাধারণ সেভে দলকে রক্ষা করেন ওজিয়েক সিজিসনি। ম্যাচের ৩৮ মিনিটে অ্যাটাকে যায় পোল্যান্ড। অসাধারণ সেভে দলকে রক্ষা করেন ফ্রান্সের গোলরক্ষক লরিস। ফিরতি বলে শট করলে গোললাইন থেকে বল ফিরিয়ে দলকে রক্ষা করেন ডেওট উপমেকানো।

ম্যাচের ৪৪ মিনিটে গোলের দেখা পায় ফ্রান্স। ডি বক্সের ভেতরে বল পেয়ে প্লেসিং শটে বল জালে জড়ান অলিভিয়ার জিরুড। তার গোলে ম্যাচে প্রথম লিড পায় ফ্রান্স। এরপর গোল শোধের চেষ্টা করেও ব্যর্থ হয় ফ্রান্স। শেষ পর্যন্ত এক গোলে এগিয়ে থেকেই বিরতিতে যায় ফ্রান্স।

বিরতি থেকে ফিরেও আক্রমণ চালিয়ে যায় ফ্রান্স। ম্যাচের ৫৫ মিনিটে বাম দিক থেকে এমবাপ্পেকে উদ্দেশ্য করে বল বাড়ান অ্যান্টোনি গ্রিজম্যান। তবে তা কর্নারের বিনিময়ে রক্ষা করে পোলিশ ডিফেন্ডার। ম্যাচের ৫৬ মিনিটে ডি বক্সের বাইরে থেকে শট করেন এমবাপ্পে। তবে তা ডিফেন্ডারের গায়ে লেগে চলে যায় পোস্টের বাইর দিয়ে। কর্নার পেলেও তা কাজে লাগাতে পারেনি ফ্রান্স।

ম্যাচের ৬৫ মিনিটে ডান দিকে থেকে বল বাড়ান জুলস কাউন্ডে। তার বাড়ানো বলে অলিভিয়ার জিরুড পা ছোঁয়ালেও তা চলে যায় পোস্টের বাইর দিয়ে। ম্যাচের ৭১ মিনিটে ডান দিক থেকে ফ্রি কিক পায় পোল্যান্ড। ফ্রি কিক থেকে ভেসে আসা বলে হেড করেন কামিল গ্লিক। তবে তা চলে যায় ক্রসবারের বাইর দিয়ে। ম্যাচের ৭৩ মিনিটে আবারও গোলের দেখা পায় ফ্রান্স। কাউন্টার অ্যাটাক থেকে ডেম্বেলের বাড়ানো বলে পেয়ে জোড়ালো শটে বল পোল্যান্ডের জালে জড়ান কিলিয়ান এমবাপ্পে। তার গোলে দুই গোলের লিড পায় ফ্রান্স।

এরপর আরও বেশ কিছু অ্যাটাক করে ফ্রান্স। অন্যদিকে কিছু কাউন্টার অ্যাটাকে যায় পোল্যান্ড। ম্যাচের অতিরিক্ত মিনিটে আবারও গোল করেন এমবাপ্পে। ডি বক্সের সামান্য বাইর থেকে অসাধারণ শটে বল জালে জড়ান। তার এই গোলে ম্যাচে ৩-০ তে এগিয়ে যায় ফ্রান্স। ম্যাচের শেষ দিকে পেনাল্টি পায় পোল্যান্ড। পেনাল্টি থেকে গোল করে ব্যবধান কমায় রবার্ট লেওয়ানডোস্কি।

এরপর আর কোন গোল না হলে ৩-১ গোলের জয় নিয়ে মাঠ ছাড়ে ফ্রান্স। এই জয়ে কোয়ার্টার ফাইনালে পা রাখে ফ্রান্স। সেইসঙ্গে বিশ্বকাপ থেকে বিদায় নেয় পোল্যান্ড।