ঢাকা ০২:৪২ পূর্বাহ্ন, শুক্রবার, ২৬ এপ্রিল ২০২৪, ১২ বৈশাখ ১৪৩১ বঙ্গাব্দ
বাংলা বাংলা English English हिन्दी हिन्दी

এতিম দুই মেয়ের বিয়েতে প্রধানমন্ত্রীর উপহার

প্রতিনিধির নাম
  • আপডেট সময় : ০৪:৪৫:২২ অপরাহ্ন, শুক্রবার, ২৮ অক্টোবর ২০২২
  • / ৪৯৯ বার পড়া হয়েছে

ফাইল ছবি

বাংলা খবর বিডি অনলাইনের সর্বশেষ নিউজ পেতে অনুসরণ করুন গুগল নিউজ (Google News) ফিডটি

নিজস্ব প্রতিবেদক : 
মৌলভীবাজারের মাতারকাপনে জমকালো আয়োজনের মধ্যদিয়ে এতিম ও প্রতিবন্ধী দুই কন্যার বিয়ে সম্পন্ন হয়েছে। বৃহস্পতিবার (২৭ অক্টোবর) দুপুরে সিলেটের ওসমানীনগরের বর আল-আমিনের সঙ্গে কনে শাকিলা ইসলাম ও মৌলভীবাজার সদরের কনকপুরের বর মো. সাব্বিরের সঙ্গে কনে নয়ন তারার বিয়ে হয়।

এতিম এ দুই মেয়ের ধর্মপিতা-মাতা হিসেবে উপস্থিত থেকে বরের হাতে তাদের তুলে দেন জেলা প্রশাসক মীর নাহিদ আহসান ও তার স্ত্রী কবিতা ইয়াসমিন। বিয়েতে উপহার হিসেবে নববিবাহিত দুই পরিবারকে নগদ এক লাখ টাকা করে মোট দুই লাখ টাকা প্রধানমন্ত্রীর পক্ষ থেকে উপহার দেয়া হয়।

বিয়েকে ঘিরে গেল দুদিন ধরে মাতারকাপনে এতিম ও প্রতিবন্ধী কারিগরি প্রশিক্ষণ কেন্দ্রটি ছিল উৎসব মুখর। নানা রঙে সাজানো হয়েছিল এটি।

সিলেটের ওসমানীনগর উপজেলার বড়হাজীপুর গ্রামের বর আল-আমিন হলরুমে এসে হাজির হন বৃহস্পতিবার (২৭ অক্টোবর) দুপুর দুইটার পর। এর আগে হাজির হয়েছিলেন মৌলভীবাজারের কনকপুর গ্রামের বর মো. সাব্বির, সঙ্গে বরযাত্রী। অতিথিদের উপস্থিতিতে দুজনের বিয়ের আনুষ্ঠানিকতা সম্পন্ন করেন কাজী।

জানা যায়, শাকিলা ও নয়ন তারা বাল্যকালেই হারিয়ে যায়। নেই তাদের পিতা-মাতা কিংবা কোনো পরিচয়। বড় হয়েছে সরকারি শিশু পরিবারে। সেখানে তারা বড় হয়। যখন ১৮ বছর বয়স হয়, তখন তাদের নিয়ে আসা হয় মৌলভীবাজার এতিম ও প্রতিবন্ধীদের কারিগরি প্রশিক্ষণ কেন্দ্রে। তারা দুজনই অষ্টম শ্রেণি পর্যন্ত পড়াশোনা করেছেন। কারিগরি প্রশিক্ষণ হিসেবে দুজনই টেইলারিং বিষয়ে প্রশিক্ষণপ্রাপ্ত। তবে শাকিলা টেইলারিংয়ের পাশাপাশি ড্রাইভিংয়েও দক্ষতা রয়েছে।

নববিবাহিত শাকিলা ইসলামের স্বামী আল-আমিন একজন টিউবওয়েলমিস্ত্রি। মৌলভীবাজার কারিগরি প্রশিক্ষণ কেন্দ্রে টিউবওয়েলের কাজ করতে গিয়েই তার সঙ্গে পরিচয় এবং পরিণয়। পরবর্তী সময়ে আল-আমিনের পারিবারিক সিদ্ধান্তেই এ বিয়ে হয়।

এদিকে নয়ন তারার নববিবাহিত স্বামী মো. সাব্বির। তিনি সিএনজি আটোরিকশাচালক। কারিগরি প্রশিক্ষণ কেন্দ্রে এক আত্মীয়ের পরিচয়ের মাধ্যমেই এ বিয়ের আয়োজন হয়।

মাতারকাপন কারিগরি প্রশিক্ষণ কেন্দ্রের সহকারী জেনারেল ম্যানেজার এ কে এম মিজানুর রহমান মেয়েদের জন্য দোয়া চেয়ে বলেন, সবার সহায়তায় এ বিয়ের আয়োজন সম্পন্ন হয়েছে। মৌলভীবাজার লেডিস ক্লাবের সভাপতি কবিতা ইয়াসমিন নববিবাহিতদের জন্য দোয়া করেন।

 

নিউজটি শেয়ার করুন

এতিম দুই মেয়ের বিয়েতে প্রধানমন্ত্রীর উপহার

আপডেট সময় : ০৪:৪৫:২২ অপরাহ্ন, শুক্রবার, ২৮ অক্টোবর ২০২২

নিজস্ব প্রতিবেদক : 
মৌলভীবাজারের মাতারকাপনে জমকালো আয়োজনের মধ্যদিয়ে এতিম ও প্রতিবন্ধী দুই কন্যার বিয়ে সম্পন্ন হয়েছে। বৃহস্পতিবার (২৭ অক্টোবর) দুপুরে সিলেটের ওসমানীনগরের বর আল-আমিনের সঙ্গে কনে শাকিলা ইসলাম ও মৌলভীবাজার সদরের কনকপুরের বর মো. সাব্বিরের সঙ্গে কনে নয়ন তারার বিয়ে হয়।

এতিম এ দুই মেয়ের ধর্মপিতা-মাতা হিসেবে উপস্থিত থেকে বরের হাতে তাদের তুলে দেন জেলা প্রশাসক মীর নাহিদ আহসান ও তার স্ত্রী কবিতা ইয়াসমিন। বিয়েতে উপহার হিসেবে নববিবাহিত দুই পরিবারকে নগদ এক লাখ টাকা করে মোট দুই লাখ টাকা প্রধানমন্ত্রীর পক্ষ থেকে উপহার দেয়া হয়।

বিয়েকে ঘিরে গেল দুদিন ধরে মাতারকাপনে এতিম ও প্রতিবন্ধী কারিগরি প্রশিক্ষণ কেন্দ্রটি ছিল উৎসব মুখর। নানা রঙে সাজানো হয়েছিল এটি।

সিলেটের ওসমানীনগর উপজেলার বড়হাজীপুর গ্রামের বর আল-আমিন হলরুমে এসে হাজির হন বৃহস্পতিবার (২৭ অক্টোবর) দুপুর দুইটার পর। এর আগে হাজির হয়েছিলেন মৌলভীবাজারের কনকপুর গ্রামের বর মো. সাব্বির, সঙ্গে বরযাত্রী। অতিথিদের উপস্থিতিতে দুজনের বিয়ের আনুষ্ঠানিকতা সম্পন্ন করেন কাজী।

জানা যায়, শাকিলা ও নয়ন তারা বাল্যকালেই হারিয়ে যায়। নেই তাদের পিতা-মাতা কিংবা কোনো পরিচয়। বড় হয়েছে সরকারি শিশু পরিবারে। সেখানে তারা বড় হয়। যখন ১৮ বছর বয়স হয়, তখন তাদের নিয়ে আসা হয় মৌলভীবাজার এতিম ও প্রতিবন্ধীদের কারিগরি প্রশিক্ষণ কেন্দ্রে। তারা দুজনই অষ্টম শ্রেণি পর্যন্ত পড়াশোনা করেছেন। কারিগরি প্রশিক্ষণ হিসেবে দুজনই টেইলারিং বিষয়ে প্রশিক্ষণপ্রাপ্ত। তবে শাকিলা টেইলারিংয়ের পাশাপাশি ড্রাইভিংয়েও দক্ষতা রয়েছে।

নববিবাহিত শাকিলা ইসলামের স্বামী আল-আমিন একজন টিউবওয়েলমিস্ত্রি। মৌলভীবাজার কারিগরি প্রশিক্ষণ কেন্দ্রে টিউবওয়েলের কাজ করতে গিয়েই তার সঙ্গে পরিচয় এবং পরিণয়। পরবর্তী সময়ে আল-আমিনের পারিবারিক সিদ্ধান্তেই এ বিয়ে হয়।

এদিকে নয়ন তারার নববিবাহিত স্বামী মো. সাব্বির। তিনি সিএনজি আটোরিকশাচালক। কারিগরি প্রশিক্ষণ কেন্দ্রে এক আত্মীয়ের পরিচয়ের মাধ্যমেই এ বিয়ের আয়োজন হয়।

মাতারকাপন কারিগরি প্রশিক্ষণ কেন্দ্রের সহকারী জেনারেল ম্যানেজার এ কে এম মিজানুর রহমান মেয়েদের জন্য দোয়া চেয়ে বলেন, সবার সহায়তায় এ বিয়ের আয়োজন সম্পন্ন হয়েছে। মৌলভীবাজার লেডিস ক্লাবের সভাপতি কবিতা ইয়াসমিন নববিবাহিতদের জন্য দোয়া করেন।