ঢাকা ০১:৫০ অপরাহ্ন, বুধবার, ২৪ এপ্রিল ২০২৪, ১১ বৈশাখ ১৪৩১ বঙ্গাব্দ
বাংলা বাংলা English English हिन्दी हिन्दी

ঊনসত্তরের শহিদ মতিউরসহ অন্যান্য শহিদের রক্ত বৃথা যায়নি : রাষ্ট্রপতি

প্রতিনিধির নাম
  • আপডেট সময় : ১০:৩৮:০৩ অপরাহ্ন, সোমবার, ২৩ জানুয়ারী ২০২৩
  • / ৪৪১ বার পড়া হয়েছে
বাংলা খবর বিডি অনলাইনের সর্বশেষ নিউজ পেতে অনুসরণ করুন গুগল নিউজ (Google News) ফিডটি

নিজস্ব প্রতিবেদক : 

ঊনসত্তরের গণঅভ্যুত্থানের শহিদ মতিউরসহ অন্যান্য শহিদের রক্ত বৃথা যায়নি বলে জানিয়েছেন রাষ্ট্রপতি আবদুল হামিদ।

মঙ্গলবার (২৪ জানুয়ারি) ঊনসত্তরের গণঅভ্যুত্থান দিবস উপলক্ষ্যে সোমবার (২৫ জানুয়ারি) দেয়া এক বাণীতে তিনি এই কথা বলেন।

রাষ্ট্রপতি বলেন, শহিদ মতিউরসহ অন্যান্য শহিদের রক্ত বৃথা যায়নি। গণঅভ্যুত্থানের ফলে আগরতলা ষড়যন্ত্র মামলা প্রত্যাহারসহ রাজবন্দিদের মুক্তি এবং প্রেসিডেন্ট আইয়ুব খানের ক্ষমতা হস্তান্তর ছিল বাঙালির মুক্তি আন্দোলনে বড় অর্জন মাইলফলক। এই গণঅভ্যুত্থানের পথ ধরেই আমরা পেয়েছি স্বাধীনতা ও গণতান্ত্রিক অধিকার। স্বাধীনতা ও গণতন্ত্রকে সমুন্নত রাখতে সকলকে ঐক্যবদ্ধভাবে কাজ করতে হবে।

রাষ্ট্রপতি বলেন, বাংলাদেশের স্বাধিকার ও গণতান্ত্রিক অগ্রযাত্রায় ১৯৬৯ সালের ২৪ জানুয়ারি একটি ঐতিহাসিক দিন। এ দিনটি গণঅভ্যুত্থান দিবস হিসেবে আমাদের মুক্তিসংগ্রাম ও স্বাধিকার আন্দোলনের ইতিহাসে স্মরণীয় হয়ে আছে। দেশের স্বাধিকার আন্দোলনে যারা শহিদ হয়েছেন, তাদের স্মৃতির প্রতি তিনি গভীর শ্রদ্ধা নিবেদন করেন।

আবদুল হামিদ বলেন, জাতির পিতা বঙ্গবন্ধু শেখ মুজিবুর রহমান পাকিস্তানি শাসন, শোষণ ও বঞ্চনা থেকে বাঙালি জাতিকে মুক্ত করতে ১৯৬৬ সালে ঐতিহাসিক ৬ দফা ঘোষণা করেন। স্বায়ত্তশাসনসহ ৬ দফা ছিল বাঙালির মুক্তি সনদ। ৬ দফা ঘোষণার পর স্বাধিকার আন্দোলনের গতি তীব্রতর হয় এবং তা পূর্ব বাংলায় সর্বত্র ছড়িয়ে পড়ে। আওয়ামী লীগের পাশাপাশি বিভিন্ন রাজনৈতিক দল ও ছাত্র সংগঠনের যৌথ আন্দোলন গণআন্দোলনকে বেগবান করে।

তৎকালীন স্বৈরশাসক এ আন্দোলন নস্যাৎ করতে আগরতলা ষড়যন্ত্র মামলা করে উল্লেখ করে তিনি বলেন, বঙ্গবন্ধুসহ অন্য আসামিদের মুক্তি এবং সামরিক শাসন প্রত্যাহারের দাবিতে ১৯৬৯ সালের ২৪ জানুয়ারি কারফিউ ভঙ্গকরে রাজনীতিক-ছাত্র-শিক্ষক-জনতা মিছিল বের করে। মিছিলে পুলিশের গুলিতে শহিদ হন নবকুমার ইনস্টিটিউট স্কুলের নবম শ্রেণির ছাত্র মতিউর রহমান।

নিউজটি শেয়ার করুন

ঊনসত্তরের শহিদ মতিউরসহ অন্যান্য শহিদের রক্ত বৃথা যায়নি : রাষ্ট্রপতি

আপডেট সময় : ১০:৩৮:০৩ অপরাহ্ন, সোমবার, ২৩ জানুয়ারী ২০২৩

নিজস্ব প্রতিবেদক : 

ঊনসত্তরের গণঅভ্যুত্থানের শহিদ মতিউরসহ অন্যান্য শহিদের রক্ত বৃথা যায়নি বলে জানিয়েছেন রাষ্ট্রপতি আবদুল হামিদ।

মঙ্গলবার (২৪ জানুয়ারি) ঊনসত্তরের গণঅভ্যুত্থান দিবস উপলক্ষ্যে সোমবার (২৫ জানুয়ারি) দেয়া এক বাণীতে তিনি এই কথা বলেন।

রাষ্ট্রপতি বলেন, শহিদ মতিউরসহ অন্যান্য শহিদের রক্ত বৃথা যায়নি। গণঅভ্যুত্থানের ফলে আগরতলা ষড়যন্ত্র মামলা প্রত্যাহারসহ রাজবন্দিদের মুক্তি এবং প্রেসিডেন্ট আইয়ুব খানের ক্ষমতা হস্তান্তর ছিল বাঙালির মুক্তি আন্দোলনে বড় অর্জন মাইলফলক। এই গণঅভ্যুত্থানের পথ ধরেই আমরা পেয়েছি স্বাধীনতা ও গণতান্ত্রিক অধিকার। স্বাধীনতা ও গণতন্ত্রকে সমুন্নত রাখতে সকলকে ঐক্যবদ্ধভাবে কাজ করতে হবে।

রাষ্ট্রপতি বলেন, বাংলাদেশের স্বাধিকার ও গণতান্ত্রিক অগ্রযাত্রায় ১৯৬৯ সালের ২৪ জানুয়ারি একটি ঐতিহাসিক দিন। এ দিনটি গণঅভ্যুত্থান দিবস হিসেবে আমাদের মুক্তিসংগ্রাম ও স্বাধিকার আন্দোলনের ইতিহাসে স্মরণীয় হয়ে আছে। দেশের স্বাধিকার আন্দোলনে যারা শহিদ হয়েছেন, তাদের স্মৃতির প্রতি তিনি গভীর শ্রদ্ধা নিবেদন করেন।

আবদুল হামিদ বলেন, জাতির পিতা বঙ্গবন্ধু শেখ মুজিবুর রহমান পাকিস্তানি শাসন, শোষণ ও বঞ্চনা থেকে বাঙালি জাতিকে মুক্ত করতে ১৯৬৬ সালে ঐতিহাসিক ৬ দফা ঘোষণা করেন। স্বায়ত্তশাসনসহ ৬ দফা ছিল বাঙালির মুক্তি সনদ। ৬ দফা ঘোষণার পর স্বাধিকার আন্দোলনের গতি তীব্রতর হয় এবং তা পূর্ব বাংলায় সর্বত্র ছড়িয়ে পড়ে। আওয়ামী লীগের পাশাপাশি বিভিন্ন রাজনৈতিক দল ও ছাত্র সংগঠনের যৌথ আন্দোলন গণআন্দোলনকে বেগবান করে।

তৎকালীন স্বৈরশাসক এ আন্দোলন নস্যাৎ করতে আগরতলা ষড়যন্ত্র মামলা করে উল্লেখ করে তিনি বলেন, বঙ্গবন্ধুসহ অন্য আসামিদের মুক্তি এবং সামরিক শাসন প্রত্যাহারের দাবিতে ১৯৬৯ সালের ২৪ জানুয়ারি কারফিউ ভঙ্গকরে রাজনীতিক-ছাত্র-শিক্ষক-জনতা মিছিল বের করে। মিছিলে পুলিশের গুলিতে শহিদ হন নবকুমার ইনস্টিটিউট স্কুলের নবম শ্রেণির ছাত্র মতিউর রহমান।