ঢাকা ০৮:১০ অপরাহ্ন, বৃহস্পতিবার, ২৫ এপ্রিল ২০২৪, ১২ বৈশাখ ১৪৩১ বঙ্গাব্দ
বাংলা বাংলা English English हिन्दी हिन्दी

উল্লাপাড়ায় মেম্বরের ভাতিজা জাকিরের ধর্ষণের শিকার কলেজ ছাত্রী 

প্রতিনিধির নাম
  • আপডেট সময় : ০৯:০৫:৪৪ অপরাহ্ন, শনিবার, ৬ মে ২০২৩
  • / ৪৭৪ বার পড়া হয়েছে
বাংলা খবর বিডি অনলাইনের সর্বশেষ নিউজ পেতে অনুসরণ করুন গুগল নিউজ (Google News) ফিডটি
উল্লাপাড়া (সিরাজগঞ্জ) প্রতিনিধি : 
সিরাজগঞ্জের উল্লাপাড়া উপজেলার সদর ইউনিয়নের চালা গ্রামের কলেজ ছাত্রীকে বিয়ের প্রলোভন দেখিয়ে প্রেমের ফাঁদে ফেলে প্রভাবশালী সাবেক মেম্বর বুলু’র ভাতিজা জুলহক একাধিকবার ধর্ষণ করেছে বলে অভিযোগ উঠেছে। অভিযুক্ত ধর্ষক জাকির হোসেন ওরফে জুলহক (৩০) একই গ্রামের আবুল হোসেনের ছেলে। শনিবার বিকেলে ভুক্তভোগী কলেজছাত্রী নিজেই বাদী হয়ে অভিযুক্তদের বিরুদ্ধে থানায় মামলা দায়ের করেছে।
থানার অভিযোগ সূত্রে জানা গেছে, গ্রামের ফজলু মিয়ার কলেজ পড়ুয়া কন্যা (১৭)’র সাথে পাশের বাড়ির প্রভাবশালী সাবেক মেম্বর বুলু’র ভাতিজা ও আবুল হোসেনের ছেলে জাকির হোসেন ওরফে জুলহক (৩০) এর সাথে দুই বছর ধরে প্রেমের সম্পর্ক গড়ে ওঠে। তাদের দু’জনের বাড়ী একই মহল্লায় হওয়ায় জুলহক রাস্তাঘাটে চলাচলে এবং বাড়িতে আসা যাওয়ার ফাঁকে ভুক্তভোগীর সাথে প্রেমের সম্পর্ক গড়ে। মন ভুলাতে জুলহক তার ফোন দিয়ে কলেজ ছাত্রীর বাড়ির ফোন নম্বরে মাঝে মধ্যে ফোন দিয়ে কথাবার্তা বলতো। এভাবে প্রতারক জুলহক মেয়েটির সাথে গোপনে প্রেমের সম্পর্ক গড়ে তোলে। প্রেমের ফাঁকে জুলহক বিয়ে করার প্রলোভন দেখিয়ে তার সাথে শারীরিক সম্পর্কও গড়ে। বিভিন্ন সময়ে ফেসবুক ম্যাসেঞ্জারের ভিডিও কলে কথা বলার ছলে কলেজছাত্রীর অশ্লীল নগ্ন ছবি সংগ্রহ করে জুলহক। এভাবে দু বছর ধরে তাদের মধ্যে প্রেম নামের শারীরিক সম্পর্ক চলে। পরে মেয়েটির নগ্ন ছবি সামাজিক যোগাযোগ মাধ্যমে প্রচার করার ভয় দেখিয়ে জুলহক একাধিক বার ধর্ষণ করে মেয়েটিকে। মেয়েটি পরে বিয়ের কথা বললে জুলহক বিভিন্ন টালবাহানা শুরু করে তার সঙ্গে। তখন জুলহক মেয়েটিকে বিয়ের পাত্তা না দিয়ে ঘন ঘন শারীরিক সম্পর্ক করার প্রস্তাব দেয়। মেয়েটি প্রস্তাবে সারা না দিলে প্রতারক জুলহকের কাছে থাকা তার বেশ কিছু নগ্ন ও অর্ধনগ্ন ছবি নিজের সামাজিক যোগাযোগ মাধ্যম ফেসবুকে ছড়িয়ে দেয়। মুহূর্তে সে ছবি সামাজিক যোগাযোগ মাধ্যমে ছড়িয়ে পড়ে। বিষয়টি নিয়ে এলাকায় হৈচৈ শুরু হয়। তৎক্ষনাৎ অভিযুক্ত জুলহকের চাচা বিশিষ্ট ইটভাটা ব্যবসায়ী সাবেক ইউপি মেম্বর বুলমাজন বুলু ও তার ছেলে চালা ওয়ার্ড আওয়ামী লীগের সভাপতি আবু হানিফের কাছে ঘটনার বিচার প্রার্থনা করে ভুক্তভোগীর পরিবার। এতে কোন ফয়সালা না পেয়ে স্থানীয় ইউপি সদস্য জাকারিয়া ও গ্রাম্য প্রধান শাহ আলম পুনরায় বিচার চাইলে জুলহকের পরিবার নানা রকম টালবাহানা করে ধর্ষক জুলহককে বাড়ি থেকে সরিয়ে দেয়।
উল্লেখ্য সামাজিক, রাজনৈতিক ও আর্থিকভাবে অভিযুক্ত জুলহকের পরিবার প্রভাবশালী হওয়ায় চাচা বুলমাজন তার ভাতিজাকে নির্দোষ দাবি করে উল্টা বাদী পক্ষ ও গ্রামবাসীর অনেককে হুমকি ধামকি ও ভয় ভীতি প্রদর্শন করে। এতে উপায়ান্ত না দেখে ভুক্তভোগীর পরিবারের পক্ষ থেকে থানায় মামলা দায়েরের প্রস্তুতি নিয়েছে ভুক্তভোগীর পরিবার!
বাদীনির পিতা ফজলু জানান, ধর্ষকের বিরুদ্ধে অভিযোগ ওঠায় আমার পরিবারকে অবরুদ্ধ করে রেখেছে তারা। রাজনৈতিক ক্ষমতা দেখিয়ে আমাদের মৃত্যুর হুমকি দিয়ে চলেছে ধর্ষক পরিবারের সদস্যরা। তিনি আরও জানান, মামলা দিয়ে কি করবি। টাকা থাকলে ওসব মামলা কিছুই না।
স্থানীয় ইউপি সদস্য জাকারিয়া জানান, ঘটনাটি পুরো সত্য। বিষয়টি খুবই দু:খজনক ঘটনা। মেয়েটিকে ধর্ষণ করে তার নগ্ন ছবি সামাজিক যোগাযোগ মাধ্যমে ছড়িয়ে দেওয়া হয়েছে। এটা বড়ই অন্যায়। ভুক্তভোগী ন্যায় বিচার পাক সেটাই সকল মহলের কাছে আমার প্রত্যাশা।
উল্লাপাড়া মডেল থানার ওসি তদন্ত এনামুল হক জানান, ভুক্তভোগীর অভিযোগ পেয়েছি। মামলার প্রস্তুতি চলছে।
বা/খ: জই

নিউজটি শেয়ার করুন

উল্লাপাড়ায় মেম্বরের ভাতিজা জাকিরের ধর্ষণের শিকার কলেজ ছাত্রী 

আপডেট সময় : ০৯:০৫:৪৪ অপরাহ্ন, শনিবার, ৬ মে ২০২৩
উল্লাপাড়া (সিরাজগঞ্জ) প্রতিনিধি : 
সিরাজগঞ্জের উল্লাপাড়া উপজেলার সদর ইউনিয়নের চালা গ্রামের কলেজ ছাত্রীকে বিয়ের প্রলোভন দেখিয়ে প্রেমের ফাঁদে ফেলে প্রভাবশালী সাবেক মেম্বর বুলু’র ভাতিজা জুলহক একাধিকবার ধর্ষণ করেছে বলে অভিযোগ উঠেছে। অভিযুক্ত ধর্ষক জাকির হোসেন ওরফে জুলহক (৩০) একই গ্রামের আবুল হোসেনের ছেলে। শনিবার বিকেলে ভুক্তভোগী কলেজছাত্রী নিজেই বাদী হয়ে অভিযুক্তদের বিরুদ্ধে থানায় মামলা দায়ের করেছে।
থানার অভিযোগ সূত্রে জানা গেছে, গ্রামের ফজলু মিয়ার কলেজ পড়ুয়া কন্যা (১৭)’র সাথে পাশের বাড়ির প্রভাবশালী সাবেক মেম্বর বুলু’র ভাতিজা ও আবুল হোসেনের ছেলে জাকির হোসেন ওরফে জুলহক (৩০) এর সাথে দুই বছর ধরে প্রেমের সম্পর্ক গড়ে ওঠে। তাদের দু’জনের বাড়ী একই মহল্লায় হওয়ায় জুলহক রাস্তাঘাটে চলাচলে এবং বাড়িতে আসা যাওয়ার ফাঁকে ভুক্তভোগীর সাথে প্রেমের সম্পর্ক গড়ে। মন ভুলাতে জুলহক তার ফোন দিয়ে কলেজ ছাত্রীর বাড়ির ফোন নম্বরে মাঝে মধ্যে ফোন দিয়ে কথাবার্তা বলতো। এভাবে প্রতারক জুলহক মেয়েটির সাথে গোপনে প্রেমের সম্পর্ক গড়ে তোলে। প্রেমের ফাঁকে জুলহক বিয়ে করার প্রলোভন দেখিয়ে তার সাথে শারীরিক সম্পর্কও গড়ে। বিভিন্ন সময়ে ফেসবুক ম্যাসেঞ্জারের ভিডিও কলে কথা বলার ছলে কলেজছাত্রীর অশ্লীল নগ্ন ছবি সংগ্রহ করে জুলহক। এভাবে দু বছর ধরে তাদের মধ্যে প্রেম নামের শারীরিক সম্পর্ক চলে। পরে মেয়েটির নগ্ন ছবি সামাজিক যোগাযোগ মাধ্যমে প্রচার করার ভয় দেখিয়ে জুলহক একাধিক বার ধর্ষণ করে মেয়েটিকে। মেয়েটি পরে বিয়ের কথা বললে জুলহক বিভিন্ন টালবাহানা শুরু করে তার সঙ্গে। তখন জুলহক মেয়েটিকে বিয়ের পাত্তা না দিয়ে ঘন ঘন শারীরিক সম্পর্ক করার প্রস্তাব দেয়। মেয়েটি প্রস্তাবে সারা না দিলে প্রতারক জুলহকের কাছে থাকা তার বেশ কিছু নগ্ন ও অর্ধনগ্ন ছবি নিজের সামাজিক যোগাযোগ মাধ্যম ফেসবুকে ছড়িয়ে দেয়। মুহূর্তে সে ছবি সামাজিক যোগাযোগ মাধ্যমে ছড়িয়ে পড়ে। বিষয়টি নিয়ে এলাকায় হৈচৈ শুরু হয়। তৎক্ষনাৎ অভিযুক্ত জুলহকের চাচা বিশিষ্ট ইটভাটা ব্যবসায়ী সাবেক ইউপি মেম্বর বুলমাজন বুলু ও তার ছেলে চালা ওয়ার্ড আওয়ামী লীগের সভাপতি আবু হানিফের কাছে ঘটনার বিচার প্রার্থনা করে ভুক্তভোগীর পরিবার। এতে কোন ফয়সালা না পেয়ে স্থানীয় ইউপি সদস্য জাকারিয়া ও গ্রাম্য প্রধান শাহ আলম পুনরায় বিচার চাইলে জুলহকের পরিবার নানা রকম টালবাহানা করে ধর্ষক জুলহককে বাড়ি থেকে সরিয়ে দেয়।
উল্লেখ্য সামাজিক, রাজনৈতিক ও আর্থিকভাবে অভিযুক্ত জুলহকের পরিবার প্রভাবশালী হওয়ায় চাচা বুলমাজন তার ভাতিজাকে নির্দোষ দাবি করে উল্টা বাদী পক্ষ ও গ্রামবাসীর অনেককে হুমকি ধামকি ও ভয় ভীতি প্রদর্শন করে। এতে উপায়ান্ত না দেখে ভুক্তভোগীর পরিবারের পক্ষ থেকে থানায় মামলা দায়েরের প্রস্তুতি নিয়েছে ভুক্তভোগীর পরিবার!
বাদীনির পিতা ফজলু জানান, ধর্ষকের বিরুদ্ধে অভিযোগ ওঠায় আমার পরিবারকে অবরুদ্ধ করে রেখেছে তারা। রাজনৈতিক ক্ষমতা দেখিয়ে আমাদের মৃত্যুর হুমকি দিয়ে চলেছে ধর্ষক পরিবারের সদস্যরা। তিনি আরও জানান, মামলা দিয়ে কি করবি। টাকা থাকলে ওসব মামলা কিছুই না।
স্থানীয় ইউপি সদস্য জাকারিয়া জানান, ঘটনাটি পুরো সত্য। বিষয়টি খুবই দু:খজনক ঘটনা। মেয়েটিকে ধর্ষণ করে তার নগ্ন ছবি সামাজিক যোগাযোগ মাধ্যমে ছড়িয়ে দেওয়া হয়েছে। এটা বড়ই অন্যায়। ভুক্তভোগী ন্যায় বিচার পাক সেটাই সকল মহলের কাছে আমার প্রত্যাশা।
উল্লাপাড়া মডেল থানার ওসি তদন্ত এনামুল হক জানান, ভুক্তভোগীর অভিযোগ পেয়েছি। মামলার প্রস্তুতি চলছে।
বা/খ: জই