ঢাকা ১১:৩২ অপরাহ্ন, বুধবার, ২৬ জুন ২০২৪, ১২ আষাঢ় ১৪৩১ বঙ্গাব্দ
বাংলা বাংলা English English हिन्दी हिन्दी

ঈদের দিনে চিলমারী নৌ বন্দরে পর্যটকদের ভীড়

ফয়সাল হক
  • আপডেট সময় : ০১:৩৮:৪৩ অপরাহ্ন, মঙ্গলবার, ১৮ জুন ২০২৪
  • / ৪২৯ বার পড়া হয়েছে

Oplus_0

বাংলা খবর বিডি অনলাইনের সর্বশেষ নিউজ পেতে অনুসরণ করুন গুগল নিউজ (Google News) ফিডটি
কুড়িগ্রামের চিলমারীতে বিনোদনের কেন্দ্র পর্যটন কেন্দ্র কিংবা কোনো পার্ক না থাকায় ব্রহ্মপুত্র নদের তীর, বাহারেরঘাট ব্রিজ, আকালুর ঘাট ব্রিজ ও নির্মাণাধীন হরিপুর-চিলমারী সেতু এলাকায় বিনোদনপ্রেমীদের ঢল নেমেছে। ঘুরতে আসা বিনোদন প্রেমীরা যাতে কোন ধরনের হয়রানির শিকার না হয় সেজন্য  ঘাটে ছিলো পুলিশি নিরাপত্তা।
পবিত্র ঈদুল আজহার ছুটিতে বিভিন্ন স্থানে কর্মরত মানুষ নাড়ির টানে এলাকায় আসেন। ঈদের দিন বিকাল থেকে সন্ধা পর্যন্ত এসব স্থান বিনোদনপ্রেমী মানুষদের পদচারনায় মুখরিত থাকতে দেখা গেছে। উপজেলার কোথাও কোনো বিনোদন পার্ক না থাকায় ঈদের ছুটিতে ব্রহ্মপুত্র নদের তীর ঘেঁষে ফকিরের হাট এলাকা থেকে জোড়গাছ বাজার এলাকা পর্যন্ত, নির্মাণাধীন হরিপুর-চিলমারী সেতুর রাস্তা, বাহারেরঘাট ব্রিজ, আকালুরঘাট ব্রিজসহ বিভিন্ন স্থান হাজারো দর্শনার্থীর পদচারনায় মুখরিত হয়ে থাকছে।
সরকারি কিংবা ব্যক্তি উদ্যোগে এসব এলাকায় বিনোদন পার্ক কিংবা বসার স্থান করা হলে শুধু স্থানীয়রা নয় বাহির থেকেও প্রচুর দর্শনার্থী আসতো বলে সচেতন মহলের দাবি।
সরেজমিনে, ঈদের দিন সোমবার বিকালে বাহারেরঘাট এলাকায় দেখা যায় ব্রিজের প্রায় ১ কিলোমিটার এলাকায় তিল ধারণের জায়গায় নেই। বিভিন্ন বয়সের নারী-পুরুষ সেখানে ভিড় করছেন। রাস্তার উপরে কয়েকটি ঝালমুড়ি, আচার, বাদাম ও হরেক রকম আলপনার দোকান বসেছে।
এ সময় ঘুরতে আসা জহরুল, আসরাফুদ্দৌলা, হামিদ নুসরাত জাহান সুরভী সহ অনেকে জানান, এলাকায় বিনোদনের কোনো স্থান না থাকায় পড়ন্ত বিকালে ব্রিজের এই জায়গায় বেড়াতে এসেছেন তারা। ব্রহ্মপুত্র নদের তীরে ব্যাঙমারা থেকে জোড়গাছ ঘাট পর্যন্ত বিনোদনপ্রেমীর ভিড়ে তিল ধারণের জায়গা নেই।
নৌ বন্দরে ঘুরতে আসা শামিম,রকি,মিজানসহ  অনেকে বলেন, নদী দেখতে ভাল লাগে তাই তারা ব্রহ্মপুত্র তীরে ঘুরতে এসেছেন। সরকারি কিংবা ব্যক্তি উদ্যোগে এসব এলাকায় বিনোদন পার্ক কিংবা বসার স্থান করা হলে শুধু স্থানীয়রা নয় বাহির থেকেও প্রচুর দর্শনার্থী আসতো বলে  জানান তারা।
উপজেলা পরিষদ চেয়ারম্যান রুকুনুজ্জামান শাহীন মিনহাজুল ইসলাম বলেন, চিলমারী নৌ বন্দরে প্রতিবছর এই দিনে বিভিন্ন এলাকার দর্শনার্থীর সমাগম হয়ে থাকে। নৌ বন্দরের কাজ দৃশ্যমান হলে আরো ভালো পর্যটন কেন্দ্র হবে বলে তিনি মনে করেন।
আইন শৃঙ্খলা ও বিনোদন প্রেমীদের নিরাপত্তার বিষয়ে জানতে চাইলে জেলা পুলিশ সুপার কুড়িগ্রাম আল আসাদ মোহাম্মদ মাহফুজুল ইসলাম জানান, চিলমারীতে হাতে গোনা কয়েকটি বিনোদন স্পট আছে। বিশেষ দিনে সে সব স্থানে পর্যটকদের ভীর জমে ঘুরতে আসা বিনোদন প্রেমীরা যাতে কোন ধরনের হয়রানির শিকার না হয়। আইন শৃঙ্খলা পরিস্থিতি যাতে সাভাবিক থাকে সেজন্য নৌ-বন্দর সহ প্রতিটি বিনোদন কেন্দ্রে পুলিশের করা নিরাপত্তার ব্যবস্থা করা হয়ে থাকে।

নিউজটি শেয়ার করুন

ঈদের দিনে চিলমারী নৌ বন্দরে পর্যটকদের ভীড়

আপডেট সময় : ০১:৩৮:৪৩ অপরাহ্ন, মঙ্গলবার, ১৮ জুন ২০২৪
কুড়িগ্রামের চিলমারীতে বিনোদনের কেন্দ্র পর্যটন কেন্দ্র কিংবা কোনো পার্ক না থাকায় ব্রহ্মপুত্র নদের তীর, বাহারেরঘাট ব্রিজ, আকালুর ঘাট ব্রিজ ও নির্মাণাধীন হরিপুর-চিলমারী সেতু এলাকায় বিনোদনপ্রেমীদের ঢল নেমেছে। ঘুরতে আসা বিনোদন প্রেমীরা যাতে কোন ধরনের হয়রানির শিকার না হয় সেজন্য  ঘাটে ছিলো পুলিশি নিরাপত্তা।
পবিত্র ঈদুল আজহার ছুটিতে বিভিন্ন স্থানে কর্মরত মানুষ নাড়ির টানে এলাকায় আসেন। ঈদের দিন বিকাল থেকে সন্ধা পর্যন্ত এসব স্থান বিনোদনপ্রেমী মানুষদের পদচারনায় মুখরিত থাকতে দেখা গেছে। উপজেলার কোথাও কোনো বিনোদন পার্ক না থাকায় ঈদের ছুটিতে ব্রহ্মপুত্র নদের তীর ঘেঁষে ফকিরের হাট এলাকা থেকে জোড়গাছ বাজার এলাকা পর্যন্ত, নির্মাণাধীন হরিপুর-চিলমারী সেতুর রাস্তা, বাহারেরঘাট ব্রিজ, আকালুরঘাট ব্রিজসহ বিভিন্ন স্থান হাজারো দর্শনার্থীর পদচারনায় মুখরিত হয়ে থাকছে।
সরকারি কিংবা ব্যক্তি উদ্যোগে এসব এলাকায় বিনোদন পার্ক কিংবা বসার স্থান করা হলে শুধু স্থানীয়রা নয় বাহির থেকেও প্রচুর দর্শনার্থী আসতো বলে সচেতন মহলের দাবি।
সরেজমিনে, ঈদের দিন সোমবার বিকালে বাহারেরঘাট এলাকায় দেখা যায় ব্রিজের প্রায় ১ কিলোমিটার এলাকায় তিল ধারণের জায়গায় নেই। বিভিন্ন বয়সের নারী-পুরুষ সেখানে ভিড় করছেন। রাস্তার উপরে কয়েকটি ঝালমুড়ি, আচার, বাদাম ও হরেক রকম আলপনার দোকান বসেছে।
এ সময় ঘুরতে আসা জহরুল, আসরাফুদ্দৌলা, হামিদ নুসরাত জাহান সুরভী সহ অনেকে জানান, এলাকায় বিনোদনের কোনো স্থান না থাকায় পড়ন্ত বিকালে ব্রিজের এই জায়গায় বেড়াতে এসেছেন তারা। ব্রহ্মপুত্র নদের তীরে ব্যাঙমারা থেকে জোড়গাছ ঘাট পর্যন্ত বিনোদনপ্রেমীর ভিড়ে তিল ধারণের জায়গা নেই।
নৌ বন্দরে ঘুরতে আসা শামিম,রকি,মিজানসহ  অনেকে বলেন, নদী দেখতে ভাল লাগে তাই তারা ব্রহ্মপুত্র তীরে ঘুরতে এসেছেন। সরকারি কিংবা ব্যক্তি উদ্যোগে এসব এলাকায় বিনোদন পার্ক কিংবা বসার স্থান করা হলে শুধু স্থানীয়রা নয় বাহির থেকেও প্রচুর দর্শনার্থী আসতো বলে  জানান তারা।
উপজেলা পরিষদ চেয়ারম্যান রুকুনুজ্জামান শাহীন মিনহাজুল ইসলাম বলেন, চিলমারী নৌ বন্দরে প্রতিবছর এই দিনে বিভিন্ন এলাকার দর্শনার্থীর সমাগম হয়ে থাকে। নৌ বন্দরের কাজ দৃশ্যমান হলে আরো ভালো পর্যটন কেন্দ্র হবে বলে তিনি মনে করেন।
আইন শৃঙ্খলা ও বিনোদন প্রেমীদের নিরাপত্তার বিষয়ে জানতে চাইলে জেলা পুলিশ সুপার কুড়িগ্রাম আল আসাদ মোহাম্মদ মাহফুজুল ইসলাম জানান, চিলমারীতে হাতে গোনা কয়েকটি বিনোদন স্পট আছে। বিশেষ দিনে সে সব স্থানে পর্যটকদের ভীর জমে ঘুরতে আসা বিনোদন প্রেমীরা যাতে কোন ধরনের হয়রানির শিকার না হয়। আইন শৃঙ্খলা পরিস্থিতি যাতে সাভাবিক থাকে সেজন্য নৌ-বন্দর সহ প্রতিটি বিনোদন কেন্দ্রে পুলিশের করা নিরাপত্তার ব্যবস্থা করা হয়ে থাকে।