ঢাকা ০২:৩৮ অপরাহ্ন, বুধবার, ২৪ এপ্রিল ২০২৪, ১১ বৈশাখ ১৪৩১ বঙ্গাব্দ
বাংলা বাংলা English English हिन्दी हिन्दी

ইসলাম ও মুসলিম উম্মাহ সম্পর্কে বিশ্ব গণমাধ্যমে সঠিক প্রচার গুরুত্বপূর্ণ : তথ্যমন্ত্রী

প্রতিনিধির নাম
  • আপডেট সময় : ১০:০৭:৪৬ অপরাহ্ন, শনিবার, ২২ অক্টোবর ২০২২
  • / ৪৭৩ বার পড়া হয়েছে

তথ্য ও সম্প্রচারমন্ত্রী ড. হাছান মাহমুদ

বাংলা খবর বিডি অনলাইনের সর্বশেষ নিউজ পেতে অনুসরণ করুন গুগল নিউজ (Google News) ফিডটি

নিজস্ব প্রতিবেদক : 
তথ্য ও সম্প্রচারমন্ত্রী ড. হাছান মাহমুদ বলেছেন, ইসলাম ও মুসলিম উম্মাহ সম্পর্কে বিশ্ব গণমাধ্যম ও সামাজিক যোগাযোগমাধ্যমে সঠিক প্রচার অত্যন্ত গুরুত্বপূর্ণ।’ তিনি বলেন, ইসলামের মূলমন্ত্র যে শান্তি এবং ধর্মের দোহাই দিয়ে সন্ত্রাসবাদ যে ইসলাম সমর্থন করে না, তা বিশ্বজনের কাছে তুলে ধরতে ওআইসি ও তার সদস্য দেশগুলো বহুমুখী পদক্ষেপ নিতে পারে।

আজ শনিবার (২২ অক্টোবর) দুপুরে তুরস্কের ইস্তাম্বুলে ইসলামি সহযোগিতা সংস্থাভুক্ত (ওআইসি) দেশগুলোর তথ্যমন্ত্রীদের দ্বাদশ সম্মেলন ইসলামিক কনফারেন্স অব ইনফরমেশন মিনিস্টার্সে (আইসিআইএম) বাংলাদেশের পক্ষে তিনি এসব কথা বলেন।

তুরস্কের যোগাযোগ অধিদফতরের (ডিরেক্টরেট অব কমিউনিকেশন্স) প্রেসিডেন্ট ফাহরেতিন আলতুনের সভাপতিত্বে ওআইসি মহাসচিব হুসেইন ব্রাহিম তাহা এবং সদস্য দেশগুলোর তথ্যমন্ত্রীরা ‘তথ্যবিকৃতি ও ইসলামভীতি প্রশমন’ (কমব্যাটিং ডিজইনফরমেশন অ্যান্ড ইসলামোফোবিয়া) প্রতিপাদ্য সামনে রেখে সম্মেলনে বক্তব্য দেন।

ওআইসির সামনে বাংলাদেশে ধর্মীয় সম্প্রীতি রক্ষা ও জঙ্গিবাদ দমনের উদাহরণ তুলে ধরেন তথ্যমন্ত্রী হাছান মাহমুদ। তিনি বলেন, বাংলাদেশের স্থপতি বঙ্গবন্ধুকন্যা ও প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনার নেতৃত্বে এ দেশে যেমন শান্তিপূর্ণভাবে সবার নিজ নিজ ধর্ম পালনের পরিবেশ বজায় রয়েছে, তেমনি ধর্মকে কেউ যাতে জঙ্গিবাদের হাতিয়ার হিসেবে ব্যবহার করতে না পারে, সে বিষয়ে শূন্যসহিষ্ণুতার নীতি নিয়েছে সরকার।

ড. হাছান বলেন, বাংলাদেশ বিশ্বের সবচেয়ে ঘনবসতিপূর্ণ দেশ হওয়া সত্ত্বেও মানবতার খাতিরে ১১ লাখের বেশি রোহিঙ্গাকে সাময়িক আশ্রয় দিয়েছে। করোনা মহামারি, ইউক্রেন যুদ্ধের কারণে বিশ্বব্যাপী মন্দার ভেতরেও রোহিঙ্গাদের মানবিক সহায়তা দিয়ে আসছে সরকার। এটি নিয়ে অনেক সময় বিভ্রান্তিকর তথ্য ছড়ানো হয়ে থাকে। কিন্তু আমি দ্ব্যর্থহীন ভাষায় বলতে চাই, রোহিঙ্গাদের পূর্ণ নাগরিক অধিকার নিয়ে তাদের নিজের দেশ মিয়ানমারে প্রত্যাবাসনই একমাত্র সমাধান এবং তা যত দ্রুত হয়, ততই সবার জন্য মঙ্গল।

ফিলিস্তিন প্রসঙ্গে দেশের সুস্পষ্ট অবস্থান তুলে ধরে তথ্যমন্ত্রী বলেন, ফিলিস্তিনিদের প্রতি বাংলাদেশের পূর্ণ সমর্থন আছে। বাংলাদেশ মনে করে, স্বাধীন-সার্বভৌম ফিলিস্তিন রাষ্ট্র গঠনই এ বিষয়ে একমাত্র সমাধান।’ ওআইসির সদস্যদের উদ্দেশে মন্ত্রী বলেন, ‘আশা করি কোনও দেশের জাতীয় কোনও ইস্যু স্বাধীন ফিলিস্তিনের প্রতি সমর্থন থেকে আমাদের বিচ্যুত করতে পারবে না।

করোনা মহামারি ও বিশ্বমন্দার মধ্যেও বাংলাদেশের অগ্রগতি তুলে ধরে হাছান মাহমুদ বলেন, করোনার মধ্যে প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনার দূরদর্শী সিদ্ধান্তে ঘোষিত ২৩ বিলিয়ন ডলারের প্রণোদনা প্যাকেজ দেশের অর্থনীতিকে সচল রেখেছে এবং মহামারির মধ্যেও আমরা ২০২১ সালে ৬ দশমিক ৯৪ শতাংশ প্রবৃদ্ধি অর্জন করেছি, যা চলতি বছর ৭ দশমিক ২৫ শতাংশে দাঁড়াবে বলে অর্থনীতিবিদরা আশা করছেন।

সম্মেলন শেষে আগামীকাল দেশের উদ্দেশে তথ্যমন্ত্রীর ইস্তাম্বুল ত্যাগ করার কথা।

 

নিউজটি শেয়ার করুন

ইসলাম ও মুসলিম উম্মাহ সম্পর্কে বিশ্ব গণমাধ্যমে সঠিক প্রচার গুরুত্বপূর্ণ : তথ্যমন্ত্রী

আপডেট সময় : ১০:০৭:৪৬ অপরাহ্ন, শনিবার, ২২ অক্টোবর ২০২২

নিজস্ব প্রতিবেদক : 
তথ্য ও সম্প্রচারমন্ত্রী ড. হাছান মাহমুদ বলেছেন, ইসলাম ও মুসলিম উম্মাহ সম্পর্কে বিশ্ব গণমাধ্যম ও সামাজিক যোগাযোগমাধ্যমে সঠিক প্রচার অত্যন্ত গুরুত্বপূর্ণ।’ তিনি বলেন, ইসলামের মূলমন্ত্র যে শান্তি এবং ধর্মের দোহাই দিয়ে সন্ত্রাসবাদ যে ইসলাম সমর্থন করে না, তা বিশ্বজনের কাছে তুলে ধরতে ওআইসি ও তার সদস্য দেশগুলো বহুমুখী পদক্ষেপ নিতে পারে।

আজ শনিবার (২২ অক্টোবর) দুপুরে তুরস্কের ইস্তাম্বুলে ইসলামি সহযোগিতা সংস্থাভুক্ত (ওআইসি) দেশগুলোর তথ্যমন্ত্রীদের দ্বাদশ সম্মেলন ইসলামিক কনফারেন্স অব ইনফরমেশন মিনিস্টার্সে (আইসিআইএম) বাংলাদেশের পক্ষে তিনি এসব কথা বলেন।

তুরস্কের যোগাযোগ অধিদফতরের (ডিরেক্টরেট অব কমিউনিকেশন্স) প্রেসিডেন্ট ফাহরেতিন আলতুনের সভাপতিত্বে ওআইসি মহাসচিব হুসেইন ব্রাহিম তাহা এবং সদস্য দেশগুলোর তথ্যমন্ত্রীরা ‘তথ্যবিকৃতি ও ইসলামভীতি প্রশমন’ (কমব্যাটিং ডিজইনফরমেশন অ্যান্ড ইসলামোফোবিয়া) প্রতিপাদ্য সামনে রেখে সম্মেলনে বক্তব্য দেন।

ওআইসির সামনে বাংলাদেশে ধর্মীয় সম্প্রীতি রক্ষা ও জঙ্গিবাদ দমনের উদাহরণ তুলে ধরেন তথ্যমন্ত্রী হাছান মাহমুদ। তিনি বলেন, বাংলাদেশের স্থপতি বঙ্গবন্ধুকন্যা ও প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনার নেতৃত্বে এ দেশে যেমন শান্তিপূর্ণভাবে সবার নিজ নিজ ধর্ম পালনের পরিবেশ বজায় রয়েছে, তেমনি ধর্মকে কেউ যাতে জঙ্গিবাদের হাতিয়ার হিসেবে ব্যবহার করতে না পারে, সে বিষয়ে শূন্যসহিষ্ণুতার নীতি নিয়েছে সরকার।

ড. হাছান বলেন, বাংলাদেশ বিশ্বের সবচেয়ে ঘনবসতিপূর্ণ দেশ হওয়া সত্ত্বেও মানবতার খাতিরে ১১ লাখের বেশি রোহিঙ্গাকে সাময়িক আশ্রয় দিয়েছে। করোনা মহামারি, ইউক্রেন যুদ্ধের কারণে বিশ্বব্যাপী মন্দার ভেতরেও রোহিঙ্গাদের মানবিক সহায়তা দিয়ে আসছে সরকার। এটি নিয়ে অনেক সময় বিভ্রান্তিকর তথ্য ছড়ানো হয়ে থাকে। কিন্তু আমি দ্ব্যর্থহীন ভাষায় বলতে চাই, রোহিঙ্গাদের পূর্ণ নাগরিক অধিকার নিয়ে তাদের নিজের দেশ মিয়ানমারে প্রত্যাবাসনই একমাত্র সমাধান এবং তা যত দ্রুত হয়, ততই সবার জন্য মঙ্গল।

ফিলিস্তিন প্রসঙ্গে দেশের সুস্পষ্ট অবস্থান তুলে ধরে তথ্যমন্ত্রী বলেন, ফিলিস্তিনিদের প্রতি বাংলাদেশের পূর্ণ সমর্থন আছে। বাংলাদেশ মনে করে, স্বাধীন-সার্বভৌম ফিলিস্তিন রাষ্ট্র গঠনই এ বিষয়ে একমাত্র সমাধান।’ ওআইসির সদস্যদের উদ্দেশে মন্ত্রী বলেন, ‘আশা করি কোনও দেশের জাতীয় কোনও ইস্যু স্বাধীন ফিলিস্তিনের প্রতি সমর্থন থেকে আমাদের বিচ্যুত করতে পারবে না।

করোনা মহামারি ও বিশ্বমন্দার মধ্যেও বাংলাদেশের অগ্রগতি তুলে ধরে হাছান মাহমুদ বলেন, করোনার মধ্যে প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনার দূরদর্শী সিদ্ধান্তে ঘোষিত ২৩ বিলিয়ন ডলারের প্রণোদনা প্যাকেজ দেশের অর্থনীতিকে সচল রেখেছে এবং মহামারির মধ্যেও আমরা ২০২১ সালে ৬ দশমিক ৯৪ শতাংশ প্রবৃদ্ধি অর্জন করেছি, যা চলতি বছর ৭ দশমিক ২৫ শতাংশে দাঁড়াবে বলে অর্থনীতিবিদরা আশা করছেন।

সম্মেলন শেষে আগামীকাল দেশের উদ্দেশে তথ্যমন্ত্রীর ইস্তাম্বুল ত্যাগ করার কথা।