ঢাকা ১১:৫৭ অপরাহ্ন, বৃহস্পতিবার, ২৭ জুন ২০২৪, ১৩ আষাঢ় ১৪৩১ বঙ্গাব্দ
বাংলা বাংলা English English हिन्दी हिन्दी

ইলিশ ধরায় নিষেধাজ্ঞা শুরু

প্রতিনিধির নাম
  • আপডেট সময় : ১২:৪৯:৫৬ অপরাহ্ন, শুক্রবার, ৭ অক্টোবর ২০২২
  • / ৫২৯ বার পড়া হয়েছে
বাংলা খবর বিডি অনলাইনের সর্বশেষ নিউজ পেতে অনুসরণ করুন গুগল নিউজ (Google News) ফিডটি

ইলিশের প্রধান প্রজনন মৌসুমে মা ইলিশ রক্ষায় বৃহস্পতিবার মধ্যরাত থেকে ২৮শে অক্টোবর পর্যন্ত ২২ দিন মাছ ধরায় নিষেধাজ্ঞা শুরু হয়েছে। এসময় দেশব্যাপী ইলিশ পরিবহন, ক্রয়-বিক্রয়, মজুত ও বিনিময় নিষিদ্ধ থাকবে। নিষিদ্ধকালে মা ইলিশ সংরক্ষণ অভিযান বাস্তবায়ন করা হবে। এ সময় ইলিশ আহরণে বিরত থাকা জেলেদের সরকার ভিজিএফ খাদ্য সহায়তা দেবে।

মধ্যরাত থেকে ইলিশ ধরা বন্ধ। তাই বৃহস্পতিবার সকাল থেকে ভোলা, কক্সবাজার, চাঁদপুর, বরগুনা, চট্টগ্রামসহ অন্যসব এলাকার মাছ ধরার নৌকাগুলো ঘাটে এসে নোঙর করেছে।

সরেজমিনে দেখা গেছে, বৃহস্পতিবার রাত থেকে মাছ ধরার সরঞ্জাম নিয়ে দল বেধে ঘাটে ফিরছেন জেলেরা। তীরে নোঙর করে ফিশিংবোট, ট্রলার থেকে ইঞ্জিন, জালসহ বিভিন্ন সরঞ্জাম নিরাপদ স্থানে রেখে দিচ্ছেন। আবার কোনো কোনো জেলে এসব সরঞ্জাম নিয়ে যাচ্ছেন বাড়িতে। তবে বছরের বেশির ভাগ সময় নদী থেকে মাছ আহরণ করে তারা জীবিকা নির্বাহ করেও মাত্র ২২ দিনের অভিযান থাকায় তারা এনজিওর কিস্তি দিতে পারবে না বলে জানিয়েছেন।

জেলা মৎস্য কর্মকর্তারা বলছেন, সারাদেশের ন্যায় এবারও মা ইলিশ রক্ষায় সাগর ও নদীতে ২২ দিন অভিযান পরিচালনা করা হবে। ইতোমধ্যে সকল প্রস্তুতি সম্পন্ন হয়েছে। নদীর প্রবেশ মুখে খালের মুখগুলো বন্ধ করা হয়েছে। জেলেদের নৌকার ইঞ্জিনগুলো খুলে রাখার নির্দেশ দেওয়া হয়েছে। অবৈধভাবে নদীতে মাছ ধরলে ১-২ বছরের জেল অথবা ৫ হাজার টাকা জরিমানা, কিংবা উভয় দণ্ডে দণ্ডিত হতে পারে।

এদিকে, ইতোমধ্যে জেলেদের জন্য সরকার ভিজিএফ চাল বিতরণের জন্য বরাদ্দ দিয়েছে। এবার ৫ কেজি চাল বেশি দিয়েছে। অর্থাৎ জেলেরা আগে নিষেধাজ্ঞার সময়ে চাল পেত ২০ কেজি। এবার তারা চাল পাবে ২৫ কেজি।

নিউজটি শেয়ার করুন

ইলিশ ধরায় নিষেধাজ্ঞা শুরু

আপডেট সময় : ১২:৪৯:৫৬ অপরাহ্ন, শুক্রবার, ৭ অক্টোবর ২০২২

ইলিশের প্রধান প্রজনন মৌসুমে মা ইলিশ রক্ষায় বৃহস্পতিবার মধ্যরাত থেকে ২৮শে অক্টোবর পর্যন্ত ২২ দিন মাছ ধরায় নিষেধাজ্ঞা শুরু হয়েছে। এসময় দেশব্যাপী ইলিশ পরিবহন, ক্রয়-বিক্রয়, মজুত ও বিনিময় নিষিদ্ধ থাকবে। নিষিদ্ধকালে মা ইলিশ সংরক্ষণ অভিযান বাস্তবায়ন করা হবে। এ সময় ইলিশ আহরণে বিরত থাকা জেলেদের সরকার ভিজিএফ খাদ্য সহায়তা দেবে।

মধ্যরাত থেকে ইলিশ ধরা বন্ধ। তাই বৃহস্পতিবার সকাল থেকে ভোলা, কক্সবাজার, চাঁদপুর, বরগুনা, চট্টগ্রামসহ অন্যসব এলাকার মাছ ধরার নৌকাগুলো ঘাটে এসে নোঙর করেছে।

সরেজমিনে দেখা গেছে, বৃহস্পতিবার রাত থেকে মাছ ধরার সরঞ্জাম নিয়ে দল বেধে ঘাটে ফিরছেন জেলেরা। তীরে নোঙর করে ফিশিংবোট, ট্রলার থেকে ইঞ্জিন, জালসহ বিভিন্ন সরঞ্জাম নিরাপদ স্থানে রেখে দিচ্ছেন। আবার কোনো কোনো জেলে এসব সরঞ্জাম নিয়ে যাচ্ছেন বাড়িতে। তবে বছরের বেশির ভাগ সময় নদী থেকে মাছ আহরণ করে তারা জীবিকা নির্বাহ করেও মাত্র ২২ দিনের অভিযান থাকায় তারা এনজিওর কিস্তি দিতে পারবে না বলে জানিয়েছেন।

জেলা মৎস্য কর্মকর্তারা বলছেন, সারাদেশের ন্যায় এবারও মা ইলিশ রক্ষায় সাগর ও নদীতে ২২ দিন অভিযান পরিচালনা করা হবে। ইতোমধ্যে সকল প্রস্তুতি সম্পন্ন হয়েছে। নদীর প্রবেশ মুখে খালের মুখগুলো বন্ধ করা হয়েছে। জেলেদের নৌকার ইঞ্জিনগুলো খুলে রাখার নির্দেশ দেওয়া হয়েছে। অবৈধভাবে নদীতে মাছ ধরলে ১-২ বছরের জেল অথবা ৫ হাজার টাকা জরিমানা, কিংবা উভয় দণ্ডে দণ্ডিত হতে পারে।

এদিকে, ইতোমধ্যে জেলেদের জন্য সরকার ভিজিএফ চাল বিতরণের জন্য বরাদ্দ দিয়েছে। এবার ৫ কেজি চাল বেশি দিয়েছে। অর্থাৎ জেলেরা আগে নিষেধাজ্ঞার সময়ে চাল পেত ২০ কেজি। এবার তারা চাল পাবে ২৫ কেজি।