ঢাকা ১০:৩৮ পূর্বাহ্ন, শনিবার, ২০ এপ্রিল ২০২৪, ৭ বৈশাখ ১৪৩১ বঙ্গাব্দ
বাংলা বাংলা English English हिन्दी हिन्दी

ইয়াবা পাচারের দায়ে রোহিঙ্গাসহ ৪ জনের মৃত্যুদণ্ড

প্রতিনিধির নাম
  • আপডেট সময় : ০৩:২২:৩০ অপরাহ্ন, বুধবার, ১৬ নভেম্বর ২০২২
  • / ৪৩৫ বার পড়া হয়েছে
বাংলা খবর বিডি অনলাইনের সর্বশেষ নিউজ পেতে অনুসরণ করুন গুগল নিউজ (Google News) ফিডটি

কক্সবাজার জেলা প্রতিনিধি : 

কক্সবাজারে ১৩ লাখ ইয়াবা ট্যাবলেট পাচারের দায়ে এক রোহিঙ্গাসহ চারজনকে মৃত্যুদণ্ডের আদেশ দিয়েছেন কক্সবাজারের জেলা ও দায়রা জজ আদালত। একই সঙ্গে প্রত্যেককে ৫০ হাজার টাকা অর্থদণ্ড দেওয়া হয়েছে।

বুধবার (১৬ নভেম্বর) দুপুর সাড়ে ১২টার দিকে কক্সবাজার জেলা ও দায়রা জজ আদালতের বিচারক মোহাম্মদ ইসমাইল এ রায় ঘোষণা করেন।

মৃত্যুদণ্ডপ্রাপ্তরা হলেন- কক্সবাজারের উখিয়ার বালুখালী রোহিঙ্গা শরণার্থী ক্যাম্প-১৩ এর ব্লক-এইস-১৬ এর মো. বশির আহমদ ও আয়েশা খাতুনের ছেলে মো. আয়াজ (৩৪), খাগড়াছড়ির মানিকছড়ি উপজেলার পঞ্চরাম পাড়ার মকবুল আহমদের ছেলে আজিমুল্লাহ (৪৩), কক্সবাজার সদর উপজেলার ঝিলংজা ইউনিয়নের ২ নম্বর ওয়ার্ডের পাওয়ার হাউজ দক্ষিণ হাজীপাড়ার মৃত আবদুল মজিদের ছেলে আবুল কালাম (৩৭) এবং একই এলাকার ফয়জুল হকের ছেলে আবুল কালাম (৩৭)। রায় ঘোষণার সময় আদালতে উপস্থিত ছিলেন তারা।

বিষয়টি নিশ্চিত করেছেন কক্সবাজার জেলা ও দায়রা জজ আদালতের প্রশাসনিক কর্মকর্তা এস এম আব্বাস উদ্দিন। রাষ্ট্রপক্ষে মামলাটি পরিচালনা করেন পাবলিক প্রসিকিউটর অ্যাডভোকেট ফরিদুল আলম ফরিদ।

মামলার বিবরণে জানা যায়, ২০২০ সালের ২৩ আগস্ট সন্ধ্যা ৭টা ৫ মিনিটের দিকে র‌্যাব-১৫ এর একটি দল অভিযান চালিয়ে কক্সবাজার শহরের মাঝির ঘাটে খুরুস্কুল ব্রিজের উত্তর পাশে, রাস্তার পশ্চিম পাশে একটি ফিশিং বোট আটক করে। এ সময় ফিশিং বোটে থাকা মো. আয়াজ ও মো. বিল্লালকেও আটক করা হয়। এ সময় র‌্যাব সদস্যদের উপস্থিতি টের পেয়ে আরও ৪-৫ জন পালিয়ে যায়। পরে ফিশিং বোট তল্লাশি করে ১৩ লাখ ইয়াবা ট্যাবলেট, নগদ ১০ হাজার টাকা উদ্ধার করা হয়।

র‌্যাব-১৫ এর নায়েব সুবেদার মো. হারুনর রশীদ বাদী হয়ে কক্সবাজার সদর মডেল থানায় উল্লিখিত দুইজনসহ অজ্ঞাত আরও ৪-৫ জনকে আসামি করে ২০১৮ সালের মাদকদ্রব্য নিয়ন্ত্রণ আইনের ৩৬(১) সারণির ১০(গ)/৩৮/৪১ ধারায় একটি মামলা করেন।

এ ঘটনায় মো. আয়াজ ও মো. বিল্লাল তাদের দোষ স্বীকার করে ফৌজদারি কার্যবিধির ১৬৪ ধারায় আদালতে জবানবন্দি দেন। তারা জবানবন্দিতে পলাতক আসামি আজিমুল্লাহ ও আবুল কালামের নাম-ঠিকানা প্রকাশ করেন। মামলার তদন্তকারী কর্মকর্তা ও র‌্যাব-১৫ এর এসআই মোহাম্মদ সোহেল সিকদার ২০২১ সালের ১০ জুন আদালতে মামলার চার্জশিট দেন।

নিউজটি শেয়ার করুন

ইয়াবা পাচারের দায়ে রোহিঙ্গাসহ ৪ জনের মৃত্যুদণ্ড

আপডেট সময় : ০৩:২২:৩০ অপরাহ্ন, বুধবার, ১৬ নভেম্বর ২০২২

কক্সবাজার জেলা প্রতিনিধি : 

কক্সবাজারে ১৩ লাখ ইয়াবা ট্যাবলেট পাচারের দায়ে এক রোহিঙ্গাসহ চারজনকে মৃত্যুদণ্ডের আদেশ দিয়েছেন কক্সবাজারের জেলা ও দায়রা জজ আদালত। একই সঙ্গে প্রত্যেককে ৫০ হাজার টাকা অর্থদণ্ড দেওয়া হয়েছে।

বুধবার (১৬ নভেম্বর) দুপুর সাড়ে ১২টার দিকে কক্সবাজার জেলা ও দায়রা জজ আদালতের বিচারক মোহাম্মদ ইসমাইল এ রায় ঘোষণা করেন।

মৃত্যুদণ্ডপ্রাপ্তরা হলেন- কক্সবাজারের উখিয়ার বালুখালী রোহিঙ্গা শরণার্থী ক্যাম্প-১৩ এর ব্লক-এইস-১৬ এর মো. বশির আহমদ ও আয়েশা খাতুনের ছেলে মো. আয়াজ (৩৪), খাগড়াছড়ির মানিকছড়ি উপজেলার পঞ্চরাম পাড়ার মকবুল আহমদের ছেলে আজিমুল্লাহ (৪৩), কক্সবাজার সদর উপজেলার ঝিলংজা ইউনিয়নের ২ নম্বর ওয়ার্ডের পাওয়ার হাউজ দক্ষিণ হাজীপাড়ার মৃত আবদুল মজিদের ছেলে আবুল কালাম (৩৭) এবং একই এলাকার ফয়জুল হকের ছেলে আবুল কালাম (৩৭)। রায় ঘোষণার সময় আদালতে উপস্থিত ছিলেন তারা।

বিষয়টি নিশ্চিত করেছেন কক্সবাজার জেলা ও দায়রা জজ আদালতের প্রশাসনিক কর্মকর্তা এস এম আব্বাস উদ্দিন। রাষ্ট্রপক্ষে মামলাটি পরিচালনা করেন পাবলিক প্রসিকিউটর অ্যাডভোকেট ফরিদুল আলম ফরিদ।

মামলার বিবরণে জানা যায়, ২০২০ সালের ২৩ আগস্ট সন্ধ্যা ৭টা ৫ মিনিটের দিকে র‌্যাব-১৫ এর একটি দল অভিযান চালিয়ে কক্সবাজার শহরের মাঝির ঘাটে খুরুস্কুল ব্রিজের উত্তর পাশে, রাস্তার পশ্চিম পাশে একটি ফিশিং বোট আটক করে। এ সময় ফিশিং বোটে থাকা মো. আয়াজ ও মো. বিল্লালকেও আটক করা হয়। এ সময় র‌্যাব সদস্যদের উপস্থিতি টের পেয়ে আরও ৪-৫ জন পালিয়ে যায়। পরে ফিশিং বোট তল্লাশি করে ১৩ লাখ ইয়াবা ট্যাবলেট, নগদ ১০ হাজার টাকা উদ্ধার করা হয়।

র‌্যাব-১৫ এর নায়েব সুবেদার মো. হারুনর রশীদ বাদী হয়ে কক্সবাজার সদর মডেল থানায় উল্লিখিত দুইজনসহ অজ্ঞাত আরও ৪-৫ জনকে আসামি করে ২০১৮ সালের মাদকদ্রব্য নিয়ন্ত্রণ আইনের ৩৬(১) সারণির ১০(গ)/৩৮/৪১ ধারায় একটি মামলা করেন।

এ ঘটনায় মো. আয়াজ ও মো. বিল্লাল তাদের দোষ স্বীকার করে ফৌজদারি কার্যবিধির ১৬৪ ধারায় আদালতে জবানবন্দি দেন। তারা জবানবন্দিতে পলাতক আসামি আজিমুল্লাহ ও আবুল কালামের নাম-ঠিকানা প্রকাশ করেন। মামলার তদন্তকারী কর্মকর্তা ও র‌্যাব-১৫ এর এসআই মোহাম্মদ সোহেল সিকদার ২০২১ সালের ১০ জুন আদালতে মামলার চার্জশিট দেন।