ঢাকা ০৪:২৪ অপরাহ্ন, শুক্রবার, ১৯ এপ্রিল ২০২৪, ৬ বৈশাখ ১৪৩১ বঙ্গাব্দ
বাংলা বাংলা English English हिन्दी हिन्दी

ইভিএম নিয়ে উদ্বিগ্ন ইসি: কাজী আউয়াল

প্রতিনিধির নাম
  • আপডেট সময় : ০৬:৪১:৪৬ অপরাহ্ন, বুধবার, ১১ জানুয়ারী ২০২৩
  • / ৪৩৬ বার পড়া হয়েছে
বাংলা খবর বিডি অনলাইনের সর্বশেষ নিউজ পেতে অনুসরণ করুন গুগল নিউজ (Google News) ফিডটি

নিজস্ব প্রতিবেদক : 

প্রধান নির্বাচন কমিশনার (সিইসি) কাজী হাবিবুল আউয়াল বলেন, রংপুর সিটি করপোরেশন নির্বাচনে ইলেকট্রনিক ভোটিং মেশিনে (ইভিএম) ভোট বিলম্বিত হওয়ার বিষয়টি কমিশনকে উদ্বিগ্ন করে তুলেছে। আলাপ-আলোচনা করে এগুলোকে যতটা ওভারকাম করা সম্ভব তার চেষ্টা করা হবে।

বুধবার (১১ জানুয়ারি) রাজধানীর আগারগাঁওয়ে নির্বাচন ভবনে সাংবাদিক ও পর্যবেক্ষকদের সঙ্গে মতবিনিময় সভা শেষে তিনি এমন মন্তব্য করেন।

কাজী হাবিবুল আউয়াল বলেন, কোনো কোনো ক্ষেত্রে ফিঙ্গার প্রিন্ট মিলছিল না। কেন ভোট বিলম্বিত হচ্ছে, যেই অভিযোগটা এরআগে আমরা কখনো পাইনি। এটা আমাদের খুব উদ্বিগ্ন করে তুললো। আপনারা ইতোমধ্যে জেনেছেন যে আমরা কেন সভাটি আহ্বান করেছিলাম। সম্প্রতি রংপুর সিটি করপোরেশনে যে নির্বাচন হয়েছে, তা সুন্দর, সুষ্ঠু ও অংশগ্রহণমূলক হয়েছে। কিন্তু কিছু সংকটের কথা বলা হয়েছে। কিছু অভিযোগ আমরা তখনই পাচ্ছিলাম মিডিয়ার সুবাদে। যেমন, ভোট স্লো হচ্ছে বলে একটা বড় ধরনের অভিযোগ ছিল। কোনো কোনো ক্ষেত্রে ফিঙ্গার প্রিন্ট মিলছিল না। কেন ভোট বিলম্বিত হচ্ছে, যেই অভিযোগটা এরআগে আমরা কখনো পাইনি। এটা আমাদের খুব উদ্বিগ্ন করে তুললো। আমরা তখনই সিদ্ধান্ত নিয়েছিলাম যে, এই বিষয়গুলো যারা নির্বাচন পর্যবেক্ষণ করেছেন, যারা মিডিয়াকর্মী হিসেবে সেখানে কাজ করেছেন এবং আমাদের নির্বাচন কর্মকর্তা সেখানে থেকে যারা নির্বাচন ম্যানেজ করেছেন, তাদের একটা সভায় ডেকে ফিডব্যাক নেব। কারণ আমরা যদি সরাসরি আপনাদের কাছ থেকে শুনতে না পাই। তাহলে আমাদের পক্ষে যে সঙ্কটটা হলো এটার কারণটা কিছুকিছু পেয়েছি পুরোটা আমরা এখনো পাইনি।

সিইসি বলেন, এগুলো পর্যালোচনা করে চেষ্টা করবো সংকটগুলো ওভারকাম করার। অন্যান্য নির্বাচনে কিন্তু আমরা এই সমস্যাগুলো পাইনি। আমাদের মিডিয়া কর্মীরা কিছু কিছু বলেছেন, সেগুলো যৌক্তিক বলে মনে হয়েছে। ফিডব্যাক নেওয়ার দরকার ছিল, আমরা তা নিয়েছি।’

সিইসি বলেন, বৈঠকে পাওয়া মতামতগুলো পর্যালোচনা করে চেষ্টা করবো সঙ্কটগুলো ওভারকাম করার জন্য। একই সঙ্গে আপনাদের বলছি যে, অন্যান্য নির্বাচনগুলোতে কিন্তু আমরা এ সমস্যাগুলো পাইনি। আমাদের মিডিয়া কর্মীরা কিছু কিছু বলেছেন সেগুলো যৌক্তিক বলে মনে হয়েছে। যেটাই হোক ফিডব্যাক নেওয়ার দরকার ছিল। আমরা সেটি নিয়েছি।

ফিডব্যাক নিয়ে নিজেদের মধ্যে আলোচনা করবো জানিয়ে কাজী হাবিবুল আউয়াল বলেন, আলাপ-আলোচনা করে এগুলোকে যতটা ওভারকাম করা সম্ভব আমরা সেটি চেষ্টা করবো। আমরা চাই স্বচ্ছ, অংশগ্রহণমূলক ও প্রতিদ্বন্দ্বিতামূলক নির্বাচন। সেখানে এই জিনিসগুলো আমাদের প্রত্যাশা। এই ব্যাপারে আপনারা আমাদের সবসময় সহযোগিতা করেছেন। সামনেও সহযোগিতা করবেন বলে আশা রাখি।

সাংবাদিকদের এক প্রশ্নের জবাবে সিইসি বলেন, আমাদের এখানে টেকনিক্যাল এক্সপার্ট ও মিডিয়া কর্মী যারা ছিলেন তারা রিয়েল ফ্যাক্ট তুলে ধরেছেন। এখন টেকনিক্যাল এক্সপার্টদের সঙ্গে কথা বলবো যে, কেন বিলম্ব হলো, কেন মিললো না। তবে ফিঙ্গার প্রিন্ট মেলে নাই এটা আমি বলেছি, না মেলার ঘটনাটি খুব বেশি ঘটেনি। কিন্তু বিলম্ব হয়েছে। বিলম্ব অনেক কারণেই হতে পারে। তবে আমরা এখনো এই বিষয়গুলো সঠিকভাবে জানি না। আমরা গভীরভাবে চিন্তা করবো। পরীক্ষা-নিরীক্ষা করে কারণ বের করার চেষ্টা করবো।

গত ২৭ ডিসেম্বর রংপুর সিটি করপোরেশনে ভোটগ্রহণ হয়। সেখানে ইভিএমের ভোট বিকেল সাড়ে চারটায় শেষ হওয়ার কথা থাকলেও তা শেষ হয় রাত আটটায়। যার ফলে এ নিয়ে সাংবাদিক এবং মাঠ পর্যায়ের অভিজ্ঞতা শুনতেই এই মতবিনিময় সভার আয়োজন করা হয়।

নিউজটি শেয়ার করুন

ইভিএম নিয়ে উদ্বিগ্ন ইসি: কাজী আউয়াল

আপডেট সময় : ০৬:৪১:৪৬ অপরাহ্ন, বুধবার, ১১ জানুয়ারী ২০২৩

নিজস্ব প্রতিবেদক : 

প্রধান নির্বাচন কমিশনার (সিইসি) কাজী হাবিবুল আউয়াল বলেন, রংপুর সিটি করপোরেশন নির্বাচনে ইলেকট্রনিক ভোটিং মেশিনে (ইভিএম) ভোট বিলম্বিত হওয়ার বিষয়টি কমিশনকে উদ্বিগ্ন করে তুলেছে। আলাপ-আলোচনা করে এগুলোকে যতটা ওভারকাম করা সম্ভব তার চেষ্টা করা হবে।

বুধবার (১১ জানুয়ারি) রাজধানীর আগারগাঁওয়ে নির্বাচন ভবনে সাংবাদিক ও পর্যবেক্ষকদের সঙ্গে মতবিনিময় সভা শেষে তিনি এমন মন্তব্য করেন।

কাজী হাবিবুল আউয়াল বলেন, কোনো কোনো ক্ষেত্রে ফিঙ্গার প্রিন্ট মিলছিল না। কেন ভোট বিলম্বিত হচ্ছে, যেই অভিযোগটা এরআগে আমরা কখনো পাইনি। এটা আমাদের খুব উদ্বিগ্ন করে তুললো। আপনারা ইতোমধ্যে জেনেছেন যে আমরা কেন সভাটি আহ্বান করেছিলাম। সম্প্রতি রংপুর সিটি করপোরেশনে যে নির্বাচন হয়েছে, তা সুন্দর, সুষ্ঠু ও অংশগ্রহণমূলক হয়েছে। কিন্তু কিছু সংকটের কথা বলা হয়েছে। কিছু অভিযোগ আমরা তখনই পাচ্ছিলাম মিডিয়ার সুবাদে। যেমন, ভোট স্লো হচ্ছে বলে একটা বড় ধরনের অভিযোগ ছিল। কোনো কোনো ক্ষেত্রে ফিঙ্গার প্রিন্ট মিলছিল না। কেন ভোট বিলম্বিত হচ্ছে, যেই অভিযোগটা এরআগে আমরা কখনো পাইনি। এটা আমাদের খুব উদ্বিগ্ন করে তুললো। আমরা তখনই সিদ্ধান্ত নিয়েছিলাম যে, এই বিষয়গুলো যারা নির্বাচন পর্যবেক্ষণ করেছেন, যারা মিডিয়াকর্মী হিসেবে সেখানে কাজ করেছেন এবং আমাদের নির্বাচন কর্মকর্তা সেখানে থেকে যারা নির্বাচন ম্যানেজ করেছেন, তাদের একটা সভায় ডেকে ফিডব্যাক নেব। কারণ আমরা যদি সরাসরি আপনাদের কাছ থেকে শুনতে না পাই। তাহলে আমাদের পক্ষে যে সঙ্কটটা হলো এটার কারণটা কিছুকিছু পেয়েছি পুরোটা আমরা এখনো পাইনি।

সিইসি বলেন, এগুলো পর্যালোচনা করে চেষ্টা করবো সংকটগুলো ওভারকাম করার। অন্যান্য নির্বাচনে কিন্তু আমরা এই সমস্যাগুলো পাইনি। আমাদের মিডিয়া কর্মীরা কিছু কিছু বলেছেন, সেগুলো যৌক্তিক বলে মনে হয়েছে। ফিডব্যাক নেওয়ার দরকার ছিল, আমরা তা নিয়েছি।’

সিইসি বলেন, বৈঠকে পাওয়া মতামতগুলো পর্যালোচনা করে চেষ্টা করবো সঙ্কটগুলো ওভারকাম করার জন্য। একই সঙ্গে আপনাদের বলছি যে, অন্যান্য নির্বাচনগুলোতে কিন্তু আমরা এ সমস্যাগুলো পাইনি। আমাদের মিডিয়া কর্মীরা কিছু কিছু বলেছেন সেগুলো যৌক্তিক বলে মনে হয়েছে। যেটাই হোক ফিডব্যাক নেওয়ার দরকার ছিল। আমরা সেটি নিয়েছি।

ফিডব্যাক নিয়ে নিজেদের মধ্যে আলোচনা করবো জানিয়ে কাজী হাবিবুল আউয়াল বলেন, আলাপ-আলোচনা করে এগুলোকে যতটা ওভারকাম করা সম্ভব আমরা সেটি চেষ্টা করবো। আমরা চাই স্বচ্ছ, অংশগ্রহণমূলক ও প্রতিদ্বন্দ্বিতামূলক নির্বাচন। সেখানে এই জিনিসগুলো আমাদের প্রত্যাশা। এই ব্যাপারে আপনারা আমাদের সবসময় সহযোগিতা করেছেন। সামনেও সহযোগিতা করবেন বলে আশা রাখি।

সাংবাদিকদের এক প্রশ্নের জবাবে সিইসি বলেন, আমাদের এখানে টেকনিক্যাল এক্সপার্ট ও মিডিয়া কর্মী যারা ছিলেন তারা রিয়েল ফ্যাক্ট তুলে ধরেছেন। এখন টেকনিক্যাল এক্সপার্টদের সঙ্গে কথা বলবো যে, কেন বিলম্ব হলো, কেন মিললো না। তবে ফিঙ্গার প্রিন্ট মেলে নাই এটা আমি বলেছি, না মেলার ঘটনাটি খুব বেশি ঘটেনি। কিন্তু বিলম্ব হয়েছে। বিলম্ব অনেক কারণেই হতে পারে। তবে আমরা এখনো এই বিষয়গুলো সঠিকভাবে জানি না। আমরা গভীরভাবে চিন্তা করবো। পরীক্ষা-নিরীক্ষা করে কারণ বের করার চেষ্টা করবো।

গত ২৭ ডিসেম্বর রংপুর সিটি করপোরেশনে ভোটগ্রহণ হয়। সেখানে ইভিএমের ভোট বিকেল সাড়ে চারটায় শেষ হওয়ার কথা থাকলেও তা শেষ হয় রাত আটটায়। যার ফলে এ নিয়ে সাংবাদিক এবং মাঠ পর্যায়ের অভিজ্ঞতা শুনতেই এই মতবিনিময় সভার আয়োজন করা হয়।