ঢাকা ০১:৪৩ অপরাহ্ন, শনিবার, ২০ এপ্রিল ২০২৪, ৭ বৈশাখ ১৪৩১ বঙ্গাব্দ
বাংলা বাংলা English English हिन्दी हिन्दी

ইউএনও’র হস্তক্ষেপে সেঁচযন্ত্রে মিললো বিদ্যুৎ সংযোগ

প্রতিনিধির নাম
  • আপডেট সময় : ০৮:৩৮:৪৪ অপরাহ্ন, সোমবার, ২৩ জানুয়ারী ২০২৩
  • / ৪৩৫ বার পড়া হয়েছে
বাংলা খবর বিডি অনলাইনের সর্বশেষ নিউজ পেতে অনুসরণ করুন গুগল নিউজ (Google News) ফিডটি

নাজমুল হক, কলমাকান্দা (নেত্রকোনা) প্রতিনিধি :

নেত্রকোনা জেলার কলমাকান্দায় সেঁচযন্ত্রে বিদ্যুৎ সংযোগ চালু না করায় প্রায় ৩০ একর বোরো আবাদ নিয়ে শঙ্কায় ছিলেন খারনৈ ইউনিয়নের বিশ্বনাথপুর বৈঠাখালী ফসলি মাঠের কৃষকেরা। কলমাকান্দা উপজেলা নির্বাহী কর্মকর্তা ইউএনও মোঃ আবুল হাসেম এর হস্তক্ষেপে সেঁচযন্ত্রে বিদ্যুৎ সংযোগ দেওয়ায় স্থানীয় কৃষকরা খুশিতে আত্মহারা ।

ভুক্তভোগীদের সুত্রে জানা যায় , সেঁচযন্ত্রে বিদ্যুৎ সংযোগ চালু করার জন্য গত প্রায় চার মাস আগে হুমায়ুন কবীর কলমাকান্দা পল্লী বিদ্যুৎ সমিতির আঞ্চলিক কার্যালয়ে ডিজিএম বরাবরে আবেদন করে ২ হাজার ৪শ’ ৬০ টাকাও জমা দেন। তারপরও তিনি বিদ্যুৎ সংযোগ পাননি। এতে করে প্রায় ৩০ একর বোরো আবাদ নিয়ে শঙ্কায় ছিলেন কৃষকরা। তবে কলমাকান্দা পল্লী বিদ্যুৎ সমিতির ডিজিএম প্রকৌশলী রাশেদুজ্জামান দাবি ছিল তিনি কয়েকবার উদ্যোগ নিলেও হুমায়ুন কবীর ও হুজুয়েল মুন্সীর মধ্যে এই সেচ নিয়ে দ্বন্দ্ব থাকার কারণে বিদ্যুৎ সংযোগ দিতে পারেননি।

ইউএনও মো. আবুল হাসেম আজকের রুপান্তরকে বলেন, সেঁচযন্ত্রে বিদ্যুৎ সংযোগ চালু না করায় পানির অভাবে প্রায় ৩০ একর বোরো আবাদ নিয়ে শঙ্কায় ছিলেন স্থানীয় কৃষকেরা। এনিয়ে “সেঁচযন্ত্র বসানো নিয়ে দ্বন্দ্ব পতিত ৩০ একর জমি ” একাধিক প্রিন্ট পত্রিকায় ও অনলাইন পোর্টালে সংবাদটি নজরে আসলে ঘটনাস্থলে গিয়ে কৃষকরা যাতে নির্বিঘ্নে এই জমি চাষাবাদ করতে পারে সেজন্যে দুই পক্ষকে বুঝিয়ে সেই সেঁচযন্ত্রে বিদ্যুৎ সংযোগের ব্যবস্থা করে দেওয়া হয়েছে।

রবিবার সন্ধ্যায় স্থানীয় ইউপি সদস্য আওলাদ হোসেন জানান, বিশ্বনাথপুর বৈঠাখালী ফসলি মাঠের অনুমোদিত হুমায়ুন কবিরের সেই সেঁচযন্ত্রে বিদ্যুৎ সংযোগ দিয়ে দেন কলমাকান্দা পল্লী বিদ্যুৎ সমিতি।

এতে করে ওই গ্রামের কৃষক রঞ্জন রেমা, সবুল মিয়া, জাহিদ আলী, লোকমান মিয়া, মো: বাচ্চু মিয়া, কাদির মিয়া, সার্টিন রেমা, আবু তাহের, কালাম মিয়া, শামছুন্নাহারসহ আরও অনেকেই খুশিতে আত্মহারা হয়ে ইউএনওসহ সাংবাদিকদের ধন্যবাদ জানিয়ে বলেন, দীর্ঘদিনের পানির সমস্যা ইউএনও’র হস্তক্ষেপে সমাধান হওয়ায় আল্লাহ’র কাছে লাখ লাখ শুকরিয়া। একটু দেরিতে হলেও এই মাঠে থাকা আমাদের ৩০ একর জমি এখন চাষাবাদ করতে পারবো।

বা/খ: এসআর।

নিউজটি শেয়ার করুন

ইউএনও’র হস্তক্ষেপে সেঁচযন্ত্রে মিললো বিদ্যুৎ সংযোগ

আপডেট সময় : ০৮:৩৮:৪৪ অপরাহ্ন, সোমবার, ২৩ জানুয়ারী ২০২৩

নাজমুল হক, কলমাকান্দা (নেত্রকোনা) প্রতিনিধি :

নেত্রকোনা জেলার কলমাকান্দায় সেঁচযন্ত্রে বিদ্যুৎ সংযোগ চালু না করায় প্রায় ৩০ একর বোরো আবাদ নিয়ে শঙ্কায় ছিলেন খারনৈ ইউনিয়নের বিশ্বনাথপুর বৈঠাখালী ফসলি মাঠের কৃষকেরা। কলমাকান্দা উপজেলা নির্বাহী কর্মকর্তা ইউএনও মোঃ আবুল হাসেম এর হস্তক্ষেপে সেঁচযন্ত্রে বিদ্যুৎ সংযোগ দেওয়ায় স্থানীয় কৃষকরা খুশিতে আত্মহারা ।

ভুক্তভোগীদের সুত্রে জানা যায় , সেঁচযন্ত্রে বিদ্যুৎ সংযোগ চালু করার জন্য গত প্রায় চার মাস আগে হুমায়ুন কবীর কলমাকান্দা পল্লী বিদ্যুৎ সমিতির আঞ্চলিক কার্যালয়ে ডিজিএম বরাবরে আবেদন করে ২ হাজার ৪শ’ ৬০ টাকাও জমা দেন। তারপরও তিনি বিদ্যুৎ সংযোগ পাননি। এতে করে প্রায় ৩০ একর বোরো আবাদ নিয়ে শঙ্কায় ছিলেন কৃষকরা। তবে কলমাকান্দা পল্লী বিদ্যুৎ সমিতির ডিজিএম প্রকৌশলী রাশেদুজ্জামান দাবি ছিল তিনি কয়েকবার উদ্যোগ নিলেও হুমায়ুন কবীর ও হুজুয়েল মুন্সীর মধ্যে এই সেচ নিয়ে দ্বন্দ্ব থাকার কারণে বিদ্যুৎ সংযোগ দিতে পারেননি।

ইউএনও মো. আবুল হাসেম আজকের রুপান্তরকে বলেন, সেঁচযন্ত্রে বিদ্যুৎ সংযোগ চালু না করায় পানির অভাবে প্রায় ৩০ একর বোরো আবাদ নিয়ে শঙ্কায় ছিলেন স্থানীয় কৃষকেরা। এনিয়ে “সেঁচযন্ত্র বসানো নিয়ে দ্বন্দ্ব পতিত ৩০ একর জমি ” একাধিক প্রিন্ট পত্রিকায় ও অনলাইন পোর্টালে সংবাদটি নজরে আসলে ঘটনাস্থলে গিয়ে কৃষকরা যাতে নির্বিঘ্নে এই জমি চাষাবাদ করতে পারে সেজন্যে দুই পক্ষকে বুঝিয়ে সেই সেঁচযন্ত্রে বিদ্যুৎ সংযোগের ব্যবস্থা করে দেওয়া হয়েছে।

রবিবার সন্ধ্যায় স্থানীয় ইউপি সদস্য আওলাদ হোসেন জানান, বিশ্বনাথপুর বৈঠাখালী ফসলি মাঠের অনুমোদিত হুমায়ুন কবিরের সেই সেঁচযন্ত্রে বিদ্যুৎ সংযোগ দিয়ে দেন কলমাকান্দা পল্লী বিদ্যুৎ সমিতি।

এতে করে ওই গ্রামের কৃষক রঞ্জন রেমা, সবুল মিয়া, জাহিদ আলী, লোকমান মিয়া, মো: বাচ্চু মিয়া, কাদির মিয়া, সার্টিন রেমা, আবু তাহের, কালাম মিয়া, শামছুন্নাহারসহ আরও অনেকেই খুশিতে আত্মহারা হয়ে ইউএনওসহ সাংবাদিকদের ধন্যবাদ জানিয়ে বলেন, দীর্ঘদিনের পানির সমস্যা ইউএনও’র হস্তক্ষেপে সমাধান হওয়ায় আল্লাহ’র কাছে লাখ লাখ শুকরিয়া। একটু দেরিতে হলেও এই মাঠে থাকা আমাদের ৩০ একর জমি এখন চাষাবাদ করতে পারবো।

বা/খ: এসআর।