ঢাকা ০৩:২১ অপরাহ্ন, বৃহস্পতিবার, ২৫ এপ্রিল ২০২৪, ১২ বৈশাখ ১৪৩১ বঙ্গাব্দ
বাংলা বাংলা English English हिन्दी हिन्दी

আ.লীগ আমলানির্ভর জনবিচ্ছিন্ন দল : মির্জা ফখরুল

প্রতিনিধির নাম
  • আপডেট সময় : ০২:৩১:৩৮ অপরাহ্ন, বৃহস্পতিবার, ১৭ নভেম্বর ২০২২
  • / ৪৩৮ বার পড়া হয়েছে
বাংলা খবর বিডি অনলাইনের সর্বশেষ নিউজ পেতে অনুসরণ করুন গুগল নিউজ (Google News) ফিডটি

নিজস্ব প্রতিবেদক : 
বিএনপি মহাসচিব বলেন, সরকারকে পদত্যাগ করে নিরপেক্ষ নির্বাচন দিতে হবে; তা না হলে সেফ এক্সিটের পথও খুঁজে পাবে না তারা। আওয়ামী লীগ এরই মধ্যে একটি আমলানির্ভর জনবিচ্ছিন্ন দলে পরিণত হয়েছে।

বৃহস্পতিবার (১৭ নভেম্বর) দুপুরে বিএনপির গুলশান কার্যালয়ে এক সংবাদ সম্মেলনে তিনি এসব কথা বলেন।

মির্জা ফখরুল বলেন, সরকার কোথাও কোথাও বোমা পেতে রেখে বিরোধী নেতাকর্মীদের বিস্ফোরক মামলা দিচ্ছে। অগ্নিসন্ত্রাস পুরোটাই আওয়ামী লীগের কাজ, অতীতে তারা ট্রেনে আগুন দিয়েছে, বাসে গানপাউডার দিয়ে আগুন দিয়েছে। অগ্নিসন্ত্রাসের কথা বলে দেশের মানুষ ও আন্তর্জাতিক মহলকে বিভ্রান্ত করতে চায়।

তিনি বলেন, দলের চেয়ারপারসন বেগম খালেদা জিয়ার মুক্তিসহ ৩৪ লাখ নেতাকর্মীর মামলা প্রত্যাহার করতে হবে। দেশের মানুষ ভোটাধিকারের দাবিতে ফুঁসে ওঠছে, দুর্বার গণ-আন্দোলনের মাধ্যমে সরকারকে পদত্যাগে বাধ্য করা হবে।

তিনি আরো বলেন, ঢাকার সমাবেশকে কেন্দ্র করে আওয়ামী লীগ নেতারা উসকানিমূলক বক্তব্য দিয়ে সমাবেশকে নস্যাৎ করতে চায়। সমাবেশ পণ্ড করতে বালখিল্য আচরণ করছে। সমাবেশকে নস্যাৎ করা সহজ নয়। সরকারের আচরণ আন্তর্জাতিক মহলে চলে গেছে।
জঙ্গি ইস্যুকে সামনে এনে অজুহাত সৃষ্টি করে সাধারণ মানুষের ওপর নির্যাতনের পাঁয়তারা করা হচ্ছে বলেও অভিযোগ করেন বিএনপি মহাসচিব।

মির্জা ফখরুল বলেন, সরকার গণতান্ত্রিক সবক দেয়; কিন্তু লিফলেট বিতরণ করতে দেয় না। বিরোধীদের সংবাদ প্রচারের কারণে আওয়ামী ঘরানার সাংবাদিকদের হুমকি দেয়া হচ্ছে।

১০ তারিখ ঢাকার সমাবেশ নিয়ে মির্জা ফখরুল বলেন, আমরা আশ্বস্ত করতে চাই, ১০ ডিসেম্বর ঢাকা বিভাগীয় সমাবেশে থেকে এমন কোনো কর্মসূচি ঘোষণা করব না, যাতে জনগণের দুর্ভোগ ও কষ্ট হবে। ১০ ডিসেম্বর বিএনপির ঢাকা বিভাগীয় সমাবেশ ঘিরে সরকারের মন্ত্রী-এমপিরা এমন আবহ তৈরি করছেন যাতে মনে হচ্ছে যুদ্ধ হবে। আমাদের পরিষ্কার কথা, ঢাকার সমাবেশ হচ্ছে বিভাগীয় সমাবেশের সর্বশেষ সমাবেশ। এখান থেকে আমরা পরবর্তীতে আন্দোলন কর্মসূচি নির্ধারণে যাব। এটা চূড়ান্ত আন্দোলন কর্মসূচি নয়। অথচ আওয়ামী লীগ ইচ্ছাকৃতভাবে তা নস্যাৎ করার পাঁয়তারা করছে। আওয়ামী লীগ আতঙ্কিত হয়ে প্রলাপ বকছে। আওয়ামী লীগ কি গুন্ডা বাহিনীর সরদার। দেশে দুর্ভিক্ষ হলে তা হবে আওয়ামী লীগের দুর্নীতির কারণে।

বিএনপি মহাসচিব বলেন, আমরা শত বাধা-প্রতিবন্ধকতা অতিক্রম করে বিভাগীয় সমাবেশগুলো করছি। সেখানে সহিংসতা পাল্টা প্রতিরোধ করিনি। এখন সরকার ১০ ডিসেম্বর পরিবেশ নস্যাৎ করার জন্য বালখিল্য আচরণ করছে। উদ্দেশ্য একটাই গণতন্ত্রকামী মানুষের অধিকার আদায়ের আন্দোলন নস্যাৎ করা। কারণ আওয়ামী লীগ নিজস্ব চরিত্র হারিয়ে ফেলেছে, জনবিচ্ছিন্ন হয়ে এখন আমলা ও গোয়েন্দা নির্ভর হয়ে পড়েছে।

মির্জা ফখরুল বলেন, একটাই সমাধান- পদত্যাগ করুন। যত দ্রুত করতে পারবেন ততই মঙ্গল হবে। অন্যথায় নিরাপদে পালানোর পথ খুঁজে পাবেন না।

বিএনপি মহাসচিব বলেন, জ্বালানী তেলসহ নিত্য পণ্যের মূল্য বৃদ্ধির প্রতিবাদে গণতান্ত্রিক অধিকার প্রতিষ্ঠার দাবিতে বিএনপির দেয়া কর্মসূচিগুলো বাধাগ্রস্ত করতে সরকার, আইনশৃংখলা বাহিনী তাদের দলীয় সন্ত্রাসীদের দ্বারা বিরোধী মতের নেতাকর্মী ও সাধারণ মানুষকে হত্যা, হামলা করে আহত, গ্রেফতারসহ সকল প্রচেষ্টা অব্যাহত রেখেছে।

এসময় তিনি বলেন, মানুষ তাদের মৌলিক অধিকার অন্ন, বস্ত্র, গণতান্ত্রিক অধিকার ভোটাধিকারের দাবিতে এবং এই সরকারের সকল অপকর্মের প্রতিবাদে সকল বাধা-বিপত্তি উপেক্ষা করে সমাবেশগুলোতে হাজির হচ্ছেন।

বিএনপি মহাসচিব বলেন, চলতি বছরের ১২ অক্টোবর থেকে বিভাগীয় পর্যায়ে একই দাবিতে গণসমাবেশ কর্মসূচি আমরা পালন করে আসছি। ইতোমধ্যে ৬ বিভাগের সমাবেশ শেষ হয়েছে। সরকার কর্তৃক নির্দেশিত হয়ে পরিবহণ মালিকরা আমাদের সমাবেশের দিনগুলোতে ধর্মঘট দিয়ে জনদুর্ভোগ সৃষ্টি করছে। এতে দেশের কি পরিমান অর্থনৈতিক ক্ষতি হয়েছে তা অর্থনীতিবিদ ও সুশীল সমাজের ব্যক্তিবর্গকে নির্ণয় করে জনসম্মুক্ষে প্রকাশ করার আহ্বান জানাচ্ছি। আমরা সমাবেশ দিলেই জনদুর্ভোগ সৃষ্টি হবে, মানুষের যাতায়াতের প্রতিবন্ধকতা সৃষ্টি হবে এই অজুহাত দেখায় প্রশাসন অথচ সরকার সারা দেশের অঘোষিত ধর্মঘট পালন করে সকল মানুষকে দুর্ভোগের সম্মুখিন করছে।

তিনি বলেন, আইনশৃংখলা বাহিনীর কিছু কর্মকর্তা সরকারের প্রত্যেক্ষ নির্দেশে বিভিন্ন সময়ে বিভিন্ন ভাবে বিরোধী মতের নেতাকর্মীদের গ্রেফতার নির্যাতন অব্যাহত রেখেছেন। কোথাও নিজেরাই গুলি করে বিরোধী মতের নেতাকর্মীদের নামে মামলা দিচ্ছে, আবার কোথাও গ্রেফতার করে পুরাতন মামলায় জেলে পাঠাচ্ছে। আবার কোথাও কোথাও নিজেরাই বোমা পেতে রেখে বিরোধী মতের নেতাকর্মীদের নামে বিস্ফোরক আইনে মামলা দিচ্ছে। যা ইতিমধ্যে সরকারের দায়িত্বশীল মন্ত্রীদের বক্তব্যে উঠে এসেছে।

জঙ্গিবাদকে বাংলাদেশের জন্য একটা ইস্যু তৈরির চেষ্টা চলছে বলে দাবি করে বিএনপি মহাসচিব বলেন, ইতোমধ্যে বেশ কয়েকজনকে গ্রেফতার করা হয়েছে যারা চিকিৎসক। অথচ আমরা তো জঙ্গি দেখি না। এটা সরকারের পুরোনো অস্ত্র, তাতে কাজ হবে না।

শেয়ার কেলেঙ্কারির সঙ্গে দুর্ভাগ্যক্রমে ক্রিকেটার সাকিব আল হাসানের নাম যুক্ত হয়েছে উল্লেখ করে ফখরুল বলেন, অনেক রথী-মহারথী শেয়ার কেলেঙ্কারির সঙ্গে যুক্ত। ব্যাংক তো শেষ। বারবার সেন্ট্রাল ব্যাংক বলছে যে ব্যাংকে কোনো তারল্য সংকট নেই। না থাকলে তাকে স্টেটমেন্ট দিতে হবে কেন? মানুষ ভয় পাচ্ছে কেন? কারণ, দেশের অর্থনৈতিক অবস্থা এমন জায়গায় চলে গেছে যে মানুষ ব্যাংকে টাকা রাখতে সাহস পাচ্ছে না। ওখান থেকেই টাকা চুরি হয়ে যেতে পারে।

রিজার্ভ সঙ্কটের বিষয়ে বিএনপি মহাসচিব বলেন, রিজার্ভের কথা এত বলে কেন কারণ ঘটনা তারা ঘটিয়েছেন। তারা রিজার্ভের টাকা বের করে নিয়ে গেছেন। রিজার্ভের সেই টাকা দিয়ে বিদেশে বিভিন্ন কৌশলে বাড়ি-ঘর অ্যাসেট তৈরি করেছেন।

আমি শুনেছি এখানে (বাংলাদেশ) পুলিশ নির্বাচনের আগের রাতে ব্যালট বাক্স ভর্তি করে ফেলে। অন্য কোনো দেশে এ ধরনের উদাহরণ শুনিনি। এ ধরনের ঘটনার পুনরাবৃত্তি উচিত নয়। জাপানের রাষ্ট্রদূতের এমন বক্তব্য সম্পর্কে দৃষ্টি আকর্ষণ করলে জবাবে মির্জা ফখরুল বলেন, বাস্তবতাতো এটাই। জাপানের রাষ্ট্রদূত যেটা বলেছেন চরম সত্য কথা বলেছেন। যখন আপনারা মানুষ হত্যা করেন, খুন করেন, গুম করে দেন, যখন দিনের ভোট রাতে করেন। ভোট না করেই নিজেদের সরকার ঘোষণা করলেন। তখন তারা বলবে না আজকে ইন্টারন্যাশনাল কমিউনিটির চোখ খুলেছে। তারা এখন দেখতে পাচ্ছে বাংলাদেশে কী চলছে। বাংলাদেশতো বিচ্ছিন্ন দ্বীপ নয়। পার্টস অব ইন্টারন্যাশনাল গ্লোবাল কমিউনিটি। এখানে যা ইচ্ছা করা যেতে পারবে না। মানুষ বলবেই। যারা উন্নয়নের সঙ্গে জড়িত তারা তাদের কথা বলবেনই।

নিউজটি শেয়ার করুন

আ.লীগ আমলানির্ভর জনবিচ্ছিন্ন দল : মির্জা ফখরুল

আপডেট সময় : ০২:৩১:৩৮ অপরাহ্ন, বৃহস্পতিবার, ১৭ নভেম্বর ২০২২

নিজস্ব প্রতিবেদক : 
বিএনপি মহাসচিব বলেন, সরকারকে পদত্যাগ করে নিরপেক্ষ নির্বাচন দিতে হবে; তা না হলে সেফ এক্সিটের পথও খুঁজে পাবে না তারা। আওয়ামী লীগ এরই মধ্যে একটি আমলানির্ভর জনবিচ্ছিন্ন দলে পরিণত হয়েছে।

বৃহস্পতিবার (১৭ নভেম্বর) দুপুরে বিএনপির গুলশান কার্যালয়ে এক সংবাদ সম্মেলনে তিনি এসব কথা বলেন।

মির্জা ফখরুল বলেন, সরকার কোথাও কোথাও বোমা পেতে রেখে বিরোধী নেতাকর্মীদের বিস্ফোরক মামলা দিচ্ছে। অগ্নিসন্ত্রাস পুরোটাই আওয়ামী লীগের কাজ, অতীতে তারা ট্রেনে আগুন দিয়েছে, বাসে গানপাউডার দিয়ে আগুন দিয়েছে। অগ্নিসন্ত্রাসের কথা বলে দেশের মানুষ ও আন্তর্জাতিক মহলকে বিভ্রান্ত করতে চায়।

তিনি বলেন, দলের চেয়ারপারসন বেগম খালেদা জিয়ার মুক্তিসহ ৩৪ লাখ নেতাকর্মীর মামলা প্রত্যাহার করতে হবে। দেশের মানুষ ভোটাধিকারের দাবিতে ফুঁসে ওঠছে, দুর্বার গণ-আন্দোলনের মাধ্যমে সরকারকে পদত্যাগে বাধ্য করা হবে।

তিনি আরো বলেন, ঢাকার সমাবেশকে কেন্দ্র করে আওয়ামী লীগ নেতারা উসকানিমূলক বক্তব্য দিয়ে সমাবেশকে নস্যাৎ করতে চায়। সমাবেশ পণ্ড করতে বালখিল্য আচরণ করছে। সমাবেশকে নস্যাৎ করা সহজ নয়। সরকারের আচরণ আন্তর্জাতিক মহলে চলে গেছে।
জঙ্গি ইস্যুকে সামনে এনে অজুহাত সৃষ্টি করে সাধারণ মানুষের ওপর নির্যাতনের পাঁয়তারা করা হচ্ছে বলেও অভিযোগ করেন বিএনপি মহাসচিব।

মির্জা ফখরুল বলেন, সরকার গণতান্ত্রিক সবক দেয়; কিন্তু লিফলেট বিতরণ করতে দেয় না। বিরোধীদের সংবাদ প্রচারের কারণে আওয়ামী ঘরানার সাংবাদিকদের হুমকি দেয়া হচ্ছে।

১০ তারিখ ঢাকার সমাবেশ নিয়ে মির্জা ফখরুল বলেন, আমরা আশ্বস্ত করতে চাই, ১০ ডিসেম্বর ঢাকা বিভাগীয় সমাবেশে থেকে এমন কোনো কর্মসূচি ঘোষণা করব না, যাতে জনগণের দুর্ভোগ ও কষ্ট হবে। ১০ ডিসেম্বর বিএনপির ঢাকা বিভাগীয় সমাবেশ ঘিরে সরকারের মন্ত্রী-এমপিরা এমন আবহ তৈরি করছেন যাতে মনে হচ্ছে যুদ্ধ হবে। আমাদের পরিষ্কার কথা, ঢাকার সমাবেশ হচ্ছে বিভাগীয় সমাবেশের সর্বশেষ সমাবেশ। এখান থেকে আমরা পরবর্তীতে আন্দোলন কর্মসূচি নির্ধারণে যাব। এটা চূড়ান্ত আন্দোলন কর্মসূচি নয়। অথচ আওয়ামী লীগ ইচ্ছাকৃতভাবে তা নস্যাৎ করার পাঁয়তারা করছে। আওয়ামী লীগ আতঙ্কিত হয়ে প্রলাপ বকছে। আওয়ামী লীগ কি গুন্ডা বাহিনীর সরদার। দেশে দুর্ভিক্ষ হলে তা হবে আওয়ামী লীগের দুর্নীতির কারণে।

বিএনপি মহাসচিব বলেন, আমরা শত বাধা-প্রতিবন্ধকতা অতিক্রম করে বিভাগীয় সমাবেশগুলো করছি। সেখানে সহিংসতা পাল্টা প্রতিরোধ করিনি। এখন সরকার ১০ ডিসেম্বর পরিবেশ নস্যাৎ করার জন্য বালখিল্য আচরণ করছে। উদ্দেশ্য একটাই গণতন্ত্রকামী মানুষের অধিকার আদায়ের আন্দোলন নস্যাৎ করা। কারণ আওয়ামী লীগ নিজস্ব চরিত্র হারিয়ে ফেলেছে, জনবিচ্ছিন্ন হয়ে এখন আমলা ও গোয়েন্দা নির্ভর হয়ে পড়েছে।

মির্জা ফখরুল বলেন, একটাই সমাধান- পদত্যাগ করুন। যত দ্রুত করতে পারবেন ততই মঙ্গল হবে। অন্যথায় নিরাপদে পালানোর পথ খুঁজে পাবেন না।

বিএনপি মহাসচিব বলেন, জ্বালানী তেলসহ নিত্য পণ্যের মূল্য বৃদ্ধির প্রতিবাদে গণতান্ত্রিক অধিকার প্রতিষ্ঠার দাবিতে বিএনপির দেয়া কর্মসূচিগুলো বাধাগ্রস্ত করতে সরকার, আইনশৃংখলা বাহিনী তাদের দলীয় সন্ত্রাসীদের দ্বারা বিরোধী মতের নেতাকর্মী ও সাধারণ মানুষকে হত্যা, হামলা করে আহত, গ্রেফতারসহ সকল প্রচেষ্টা অব্যাহত রেখেছে।

এসময় তিনি বলেন, মানুষ তাদের মৌলিক অধিকার অন্ন, বস্ত্র, গণতান্ত্রিক অধিকার ভোটাধিকারের দাবিতে এবং এই সরকারের সকল অপকর্মের প্রতিবাদে সকল বাধা-বিপত্তি উপেক্ষা করে সমাবেশগুলোতে হাজির হচ্ছেন।

বিএনপি মহাসচিব বলেন, চলতি বছরের ১২ অক্টোবর থেকে বিভাগীয় পর্যায়ে একই দাবিতে গণসমাবেশ কর্মসূচি আমরা পালন করে আসছি। ইতোমধ্যে ৬ বিভাগের সমাবেশ শেষ হয়েছে। সরকার কর্তৃক নির্দেশিত হয়ে পরিবহণ মালিকরা আমাদের সমাবেশের দিনগুলোতে ধর্মঘট দিয়ে জনদুর্ভোগ সৃষ্টি করছে। এতে দেশের কি পরিমান অর্থনৈতিক ক্ষতি হয়েছে তা অর্থনীতিবিদ ও সুশীল সমাজের ব্যক্তিবর্গকে নির্ণয় করে জনসম্মুক্ষে প্রকাশ করার আহ্বান জানাচ্ছি। আমরা সমাবেশ দিলেই জনদুর্ভোগ সৃষ্টি হবে, মানুষের যাতায়াতের প্রতিবন্ধকতা সৃষ্টি হবে এই অজুহাত দেখায় প্রশাসন অথচ সরকার সারা দেশের অঘোষিত ধর্মঘট পালন করে সকল মানুষকে দুর্ভোগের সম্মুখিন করছে।

তিনি বলেন, আইনশৃংখলা বাহিনীর কিছু কর্মকর্তা সরকারের প্রত্যেক্ষ নির্দেশে বিভিন্ন সময়ে বিভিন্ন ভাবে বিরোধী মতের নেতাকর্মীদের গ্রেফতার নির্যাতন অব্যাহত রেখেছেন। কোথাও নিজেরাই গুলি করে বিরোধী মতের নেতাকর্মীদের নামে মামলা দিচ্ছে, আবার কোথাও গ্রেফতার করে পুরাতন মামলায় জেলে পাঠাচ্ছে। আবার কোথাও কোথাও নিজেরাই বোমা পেতে রেখে বিরোধী মতের নেতাকর্মীদের নামে বিস্ফোরক আইনে মামলা দিচ্ছে। যা ইতিমধ্যে সরকারের দায়িত্বশীল মন্ত্রীদের বক্তব্যে উঠে এসেছে।

জঙ্গিবাদকে বাংলাদেশের জন্য একটা ইস্যু তৈরির চেষ্টা চলছে বলে দাবি করে বিএনপি মহাসচিব বলেন, ইতোমধ্যে বেশ কয়েকজনকে গ্রেফতার করা হয়েছে যারা চিকিৎসক। অথচ আমরা তো জঙ্গি দেখি না। এটা সরকারের পুরোনো অস্ত্র, তাতে কাজ হবে না।

শেয়ার কেলেঙ্কারির সঙ্গে দুর্ভাগ্যক্রমে ক্রিকেটার সাকিব আল হাসানের নাম যুক্ত হয়েছে উল্লেখ করে ফখরুল বলেন, অনেক রথী-মহারথী শেয়ার কেলেঙ্কারির সঙ্গে যুক্ত। ব্যাংক তো শেষ। বারবার সেন্ট্রাল ব্যাংক বলছে যে ব্যাংকে কোনো তারল্য সংকট নেই। না থাকলে তাকে স্টেটমেন্ট দিতে হবে কেন? মানুষ ভয় পাচ্ছে কেন? কারণ, দেশের অর্থনৈতিক অবস্থা এমন জায়গায় চলে গেছে যে মানুষ ব্যাংকে টাকা রাখতে সাহস পাচ্ছে না। ওখান থেকেই টাকা চুরি হয়ে যেতে পারে।

রিজার্ভ সঙ্কটের বিষয়ে বিএনপি মহাসচিব বলেন, রিজার্ভের কথা এত বলে কেন কারণ ঘটনা তারা ঘটিয়েছেন। তারা রিজার্ভের টাকা বের করে নিয়ে গেছেন। রিজার্ভের সেই টাকা দিয়ে বিদেশে বিভিন্ন কৌশলে বাড়ি-ঘর অ্যাসেট তৈরি করেছেন।

আমি শুনেছি এখানে (বাংলাদেশ) পুলিশ নির্বাচনের আগের রাতে ব্যালট বাক্স ভর্তি করে ফেলে। অন্য কোনো দেশে এ ধরনের উদাহরণ শুনিনি। এ ধরনের ঘটনার পুনরাবৃত্তি উচিত নয়। জাপানের রাষ্ট্রদূতের এমন বক্তব্য সম্পর্কে দৃষ্টি আকর্ষণ করলে জবাবে মির্জা ফখরুল বলেন, বাস্তবতাতো এটাই। জাপানের রাষ্ট্রদূত যেটা বলেছেন চরম সত্য কথা বলেছেন। যখন আপনারা মানুষ হত্যা করেন, খুন করেন, গুম করে দেন, যখন দিনের ভোট রাতে করেন। ভোট না করেই নিজেদের সরকার ঘোষণা করলেন। তখন তারা বলবে না আজকে ইন্টারন্যাশনাল কমিউনিটির চোখ খুলেছে। তারা এখন দেখতে পাচ্ছে বাংলাদেশে কী চলছে। বাংলাদেশতো বিচ্ছিন্ন দ্বীপ নয়। পার্টস অব ইন্টারন্যাশনাল গ্লোবাল কমিউনিটি। এখানে যা ইচ্ছা করা যেতে পারবে না। মানুষ বলবেই। যারা উন্নয়নের সঙ্গে জড়িত তারা তাদের কথা বলবেনই।