ঢাকা ১১:১০ পূর্বাহ্ন, বৃহস্পতিবার, ১৮ এপ্রিল ২০২৪, ৫ বৈশাখ ১৪৩১ বঙ্গাব্দ
বাংলা বাংলা English English हिन्दी हिन्दी

আ.লীগ আবারও সাজানো নির্বাচনের আয়োজন করছে : ফখরুল

প্রতিনিধির নাম
  • আপডেট সময় : ০৭:১৩:৪৭ অপরাহ্ন, শনিবার, ৪ মার্চ ২০২৩
  • / ৪৬৫ বার পড়া হয়েছে
বাংলা খবর বিডি অনলাইনের সর্বশেষ নিউজ পেতে অনুসরণ করুন গুগল নিউজ (Google News) ফিডটি

নিজস্ব প্রতিবেদক : 

আওয়ামী লীগ আবারও সাজানো নির্বাচনের আয়োজন করছে বলে মন্তব্য করেছেন বিএনপি মহাসচিব মির্জা ফখরুল ইসলাম আলমগীর।

শনিবার (৪ মার্চ) রাজধানীর উত্তরায় পদযাত্রা পূর্ববর্তী সংক্ষিপ্ত সমাবেশে তিনি এ কথা বলেন।

তিনি বলেন, এবার আর তামাশার নির্বাচন হতে দেওয়া হবে না। এজন্য শান্তিপূর্ণভাবে আন্দোলন হচ্ছে। আমাদের আন্দোলন অব্যাহত থাকব। যতোই বাধা আসুক, তা অতিক্রম করে এগিয়ে যাব।

তিনি বলেন, সরকারের মন্ত্রীরা বলেন-বর্তমান সংবিধানের অধীনে নির্বাচন হবে। কোন সংবিধান? যে সংবিধান কাটাছেঁড়া করে একটি পাতানো নির্বাচনের জন্য সাজিয়ে নিয়েছে আওয়ামী লীগ? যে নির্বাচনে ভোট দিতে যায় না মানুষ। আগের নির্বাচনে ভোটকেন্দ্রে কুকুর শুয়েছিল। এ ছবি মিডিয়ায় প্রচার হয়েছে। এ দেখে আমাদের এক নেতা বলেছিলেন ‘কুত্তামার্কা নির্বাচন’। আবারও পাতানো-সাজানো নির্বাচনের আয়োজন চলছে। এই সরকারের অধীনে কখনও নিরপেক্ষ নির্বাচন হবে না।

আওয়ামী লীগের সমালোচনা করে তিনি বলেন, তারা মনে করেছে যে এভাবে করে নির্বাচন করবে। আবারও তারা এভাবে জনগণকে শোষণ করবে, জনগণের সম্পদ লুটপাট করবে।

মির্জা ফখরুল বলেন, আমরা সমমনা দলগুলো গত সেপ্টেম্বর থেকে সারা দেশে আন্দোলন করছি। এ আন্দোলন জনগণের অধিকার ফিরিয়ে দেওয়ার আন্দোলন। তারই অংশ হিসেবে আমাদের এ পদযাত্রা কর্মসূচি।

চলমান আন্দোলনকে সামনের দিকে এগিয়ে নিয়ে যাওয়ার জন্য নেতাকর্মীদের আহ্বান জানিয়ে মির্জা ফখরুল বলেন, ১৫ বছর ধরে আন্দোলনে আছি। আমরা আন্দোলনে থাকব। তাতে বাধা দিলে তা অতিক্রম করে যাব।’

এ সময় আগামী ১১ মার্চ দেশের সব মহানগর ও জেলায় মানববন্ধন কর্মসূচি ঘোষণা করেন মির্জা ফখরুল। তিনি বলেন, সরকারের পদত্যাগসহ ১০ দফার দাবির সঙ্গে গ্যাস-বিদ্যুৎসহ নিত্যপণ্যের দাম বৃদ্ধির প্রতিবাদে এই কর্মসূচি পালিত হবে।

সব নিত্যপণ্যের দাম বিএনপির আমলের তুলনায় বেশি উল্লেখ করে তিনি বলেন, মানুষ আজ কষ্টে আছে। দুই মাসের মধ্যে ১৫ পার্সেন্ট বিদ্যুতের দাম বাড়িয়েছে। এর ফলে কৃষিক্ষেত্রে খরচ বেড়ে যাচ্ছে। কল-কারখানার খরচ বেড়ে যাচ্ছে।

জনগণকে উদ্দেশ্য করে মির্জা ফখরুল বলেন, আমি আপনাদের আহ্বান জানাবো শান্তিপূর্ণভাবে এ আন্দোলনকে সামনের দিকে এগিয়ে নিয়ে যান। আমাদের এ আন্দোলন বিএনপিকে ক্ষমতায় নেওয়ার জন্য নয়। আমাদের এ আন্দোলন জনগণের অধিকার ফিরে পাওয়ার আন্দোলন। মানুষের যে কথা বলার অধিকার, সে অধিকার ফিরিয়ে দেওয়ার আন্দোলন। কথায় কথায় যারা মামলা দেয়, রাতের বেলা তুলে নিয়ে যায়, এ ভয় দেখিয়ে আমাদের লাভ আছে? ১৫ বছর ধরে আমরা এ আন্দোলনে আছি। আন্দোলনে থাকবো।

মির্জা ফখরুল বলেন, ভারতের আদানি গোষ্ঠীর সঙ্গে চুক্তি করেছে সরকার। কয়লা কিনবে, বিদ্যুৎ কিনবে। তারা বিদ্যুৎ না দিলেও খরচ দিতে হবে সরকারকে। এতে সরকারকে এক লাখ ডলালের বেশি খেসারত দিতে হবে। জনগণের প্রতি এই সরকারের কোনো দায়বদ্ধতা নেই বলেই এই ধরনের চুক্তি করছে।

ঢাকা মহানগর উত্তরা-পর্ব থানা বিএনপির আহ্বায়ক শাহ আলমের সভাপতিত্বে সভায় আরও বক্তব্য রাখেন বিএনপি চেয়ারপারসনের উপদেষ্টা কাউন্সিলের সদস্য আমানউল্লাহ আমান, জয়নুল আবদিন ফারুক, ছাত্রবিষয়ক সম্পাদক রকিবুল ইসলাম বকুল, কৃষক দলের সভাপতি হাসান জাফির তুহিন ও ছাত্রদল সভাপতি কাজী রওনাকুল ইসলাম শ্রাবণ প্রমুখ।

এদিন রাজধানী ঢাকা ছাড়াও দেশের বিভিন্ন মহানগরের আরও ৪৯টি স্থানে পদযাত্রা কর্মসূচি পালন করে বিএনপি। এতে দলটির স্থায়ী কমিটির সদস্য, ভাইস চেয়ারম্যান, বিএনপি চেয়ারপারসনের উপদেষ্টা কাউন্সিলের সদস্যসহ জাতীয় নির্বাহী কমিটির অন্য নেতারা নেতৃত্ব দেন।

নিউজটি শেয়ার করুন

আ.লীগ আবারও সাজানো নির্বাচনের আয়োজন করছে : ফখরুল

আপডেট সময় : ০৭:১৩:৪৭ অপরাহ্ন, শনিবার, ৪ মার্চ ২০২৩

নিজস্ব প্রতিবেদক : 

আওয়ামী লীগ আবারও সাজানো নির্বাচনের আয়োজন করছে বলে মন্তব্য করেছেন বিএনপি মহাসচিব মির্জা ফখরুল ইসলাম আলমগীর।

শনিবার (৪ মার্চ) রাজধানীর উত্তরায় পদযাত্রা পূর্ববর্তী সংক্ষিপ্ত সমাবেশে তিনি এ কথা বলেন।

তিনি বলেন, এবার আর তামাশার নির্বাচন হতে দেওয়া হবে না। এজন্য শান্তিপূর্ণভাবে আন্দোলন হচ্ছে। আমাদের আন্দোলন অব্যাহত থাকব। যতোই বাধা আসুক, তা অতিক্রম করে এগিয়ে যাব।

তিনি বলেন, সরকারের মন্ত্রীরা বলেন-বর্তমান সংবিধানের অধীনে নির্বাচন হবে। কোন সংবিধান? যে সংবিধান কাটাছেঁড়া করে একটি পাতানো নির্বাচনের জন্য সাজিয়ে নিয়েছে আওয়ামী লীগ? যে নির্বাচনে ভোট দিতে যায় না মানুষ। আগের নির্বাচনে ভোটকেন্দ্রে কুকুর শুয়েছিল। এ ছবি মিডিয়ায় প্রচার হয়েছে। এ দেখে আমাদের এক নেতা বলেছিলেন ‘কুত্তামার্কা নির্বাচন’। আবারও পাতানো-সাজানো নির্বাচনের আয়োজন চলছে। এই সরকারের অধীনে কখনও নিরপেক্ষ নির্বাচন হবে না।

আওয়ামী লীগের সমালোচনা করে তিনি বলেন, তারা মনে করেছে যে এভাবে করে নির্বাচন করবে। আবারও তারা এভাবে জনগণকে শোষণ করবে, জনগণের সম্পদ লুটপাট করবে।

মির্জা ফখরুল বলেন, আমরা সমমনা দলগুলো গত সেপ্টেম্বর থেকে সারা দেশে আন্দোলন করছি। এ আন্দোলন জনগণের অধিকার ফিরিয়ে দেওয়ার আন্দোলন। তারই অংশ হিসেবে আমাদের এ পদযাত্রা কর্মসূচি।

চলমান আন্দোলনকে সামনের দিকে এগিয়ে নিয়ে যাওয়ার জন্য নেতাকর্মীদের আহ্বান জানিয়ে মির্জা ফখরুল বলেন, ১৫ বছর ধরে আন্দোলনে আছি। আমরা আন্দোলনে থাকব। তাতে বাধা দিলে তা অতিক্রম করে যাব।’

এ সময় আগামী ১১ মার্চ দেশের সব মহানগর ও জেলায় মানববন্ধন কর্মসূচি ঘোষণা করেন মির্জা ফখরুল। তিনি বলেন, সরকারের পদত্যাগসহ ১০ দফার দাবির সঙ্গে গ্যাস-বিদ্যুৎসহ নিত্যপণ্যের দাম বৃদ্ধির প্রতিবাদে এই কর্মসূচি পালিত হবে।

সব নিত্যপণ্যের দাম বিএনপির আমলের তুলনায় বেশি উল্লেখ করে তিনি বলেন, মানুষ আজ কষ্টে আছে। দুই মাসের মধ্যে ১৫ পার্সেন্ট বিদ্যুতের দাম বাড়িয়েছে। এর ফলে কৃষিক্ষেত্রে খরচ বেড়ে যাচ্ছে। কল-কারখানার খরচ বেড়ে যাচ্ছে।

জনগণকে উদ্দেশ্য করে মির্জা ফখরুল বলেন, আমি আপনাদের আহ্বান জানাবো শান্তিপূর্ণভাবে এ আন্দোলনকে সামনের দিকে এগিয়ে নিয়ে যান। আমাদের এ আন্দোলন বিএনপিকে ক্ষমতায় নেওয়ার জন্য নয়। আমাদের এ আন্দোলন জনগণের অধিকার ফিরে পাওয়ার আন্দোলন। মানুষের যে কথা বলার অধিকার, সে অধিকার ফিরিয়ে দেওয়ার আন্দোলন। কথায় কথায় যারা মামলা দেয়, রাতের বেলা তুলে নিয়ে যায়, এ ভয় দেখিয়ে আমাদের লাভ আছে? ১৫ বছর ধরে আমরা এ আন্দোলনে আছি। আন্দোলনে থাকবো।

মির্জা ফখরুল বলেন, ভারতের আদানি গোষ্ঠীর সঙ্গে চুক্তি করেছে সরকার। কয়লা কিনবে, বিদ্যুৎ কিনবে। তারা বিদ্যুৎ না দিলেও খরচ দিতে হবে সরকারকে। এতে সরকারকে এক লাখ ডলালের বেশি খেসারত দিতে হবে। জনগণের প্রতি এই সরকারের কোনো দায়বদ্ধতা নেই বলেই এই ধরনের চুক্তি করছে।

ঢাকা মহানগর উত্তরা-পর্ব থানা বিএনপির আহ্বায়ক শাহ আলমের সভাপতিত্বে সভায় আরও বক্তব্য রাখেন বিএনপি চেয়ারপারসনের উপদেষ্টা কাউন্সিলের সদস্য আমানউল্লাহ আমান, জয়নুল আবদিন ফারুক, ছাত্রবিষয়ক সম্পাদক রকিবুল ইসলাম বকুল, কৃষক দলের সভাপতি হাসান জাফির তুহিন ও ছাত্রদল সভাপতি কাজী রওনাকুল ইসলাম শ্রাবণ প্রমুখ।

এদিন রাজধানী ঢাকা ছাড়াও দেশের বিভিন্ন মহানগরের আরও ৪৯টি স্থানে পদযাত্রা কর্মসূচি পালন করে বিএনপি। এতে দলটির স্থায়ী কমিটির সদস্য, ভাইস চেয়ারম্যান, বিএনপি চেয়ারপারসনের উপদেষ্টা কাউন্সিলের সদস্যসহ জাতীয় নির্বাহী কমিটির অন্য নেতারা নেতৃত্ব দেন।