ঢাকা ০৬:০৬ অপরাহ্ন, বৃহস্পতিবার, ২৫ এপ্রিল ২০২৪, ১২ বৈশাখ ১৪৩১ বঙ্গাব্দ
বাংলা বাংলা English English हिन्दी हिन्दी

আ.লীগের সব মানুষ পাগল হয়ে গেছে, মরিয়া হয়ে গেছে : ফখরুল

প্রতিনিধির নাম
  • আপডেট সময় : ০৮:০৬:০০ অপরাহ্ন, বৃহস্পতিবার, ২ মার্চ ২০২৩
  • / ৪৬৮ বার পড়া হয়েছে
বাংলা খবর বিডি অনলাইনের সর্বশেষ নিউজ পেতে অনুসরণ করুন গুগল নিউজ (Google News) ফিডটি

নিজস্ব প্রতিবেদক : 

আওয়ামী লীগ দেশে লুটের আসর বসিয়েছে বলে বলে মন্তব্য করে বিএনপির মহাসচিব মির্জা ফখরুল ইসলাম আলমগীর বলেন, আজ আওয়ামী লীগের সব মানুষ পাগল হয়ে গেছে, মরিয়া হয়ে গেছে। তারা দ্রুত দেশের সব সম্পদ লুট করে দেশে ছেড়ে চলে যাবে। ঠিক যেভাবে বর্গিরা আগে আমাদের দেশে এসে সব সম্পদ লুট করে চলে যেত। আজ ঠিক সেভাবেই আওয়ামী লীগ লুটের আসর বসিয়েছে, উৎসব করছে।

বৃহস্পতিবার (২ মার্চ) বিকেলে জাতীয় প্রেস ক্লাবে ঐতিহাসিক পতাকা উত্তোলন দিবস উপলক্ষে জাতীয় সমাজতান্ত্রিক দল (জেএসডি) আয়োজিত এক আলোচনা সভায় এসব কথা বলেন তিনি।

সরকারের কঠোর সমালোচনা করে মির্জা ফখরুল বলেন, আজ ফ্যাসিবাদী সরকার ক্ষমতায় চেপে বসেছে। দেশের সব আশা আকাঙ্ক্ষা স্বপ্ন ধূলিসাৎ করে দিয়েছে। তারা আবারও বাকশাল কায়েম করতে চায়। মুক্তিযুদ্ধের চেতনা ধ্বংস করে একদলীয় শাসন ব্যবস্থা কায়েম করতে চায়। অর্থনীতিকে ধ্বংস করে লুটের রাজত্ব কায়েম করা হয়েছে। বিদেশে হাজার হাজার কোটি টাকা পাচার করা হচ্ছে।

তিনি বলেন, পত্রিকায় এসেছে চট্রগামে চালের জন্য অপেক্ষা করতে করতে দুই বৃদ্ধ অজ্ঞান হয়ে গেছে। আজ যখন সাধারণ মানুষের নিত্য প্রয়োজনীয় জিনিস-পত্রের দাম নাগালের বাইরে চলে গেছে, তখন ‘অবৈধ’ প্রধানমন্ত্রী রাষ্ট্রপতির বাড়ি গিয়ে হাওয়ের ২৩-২৪-৪০ পদের মাছ দিয়ে উৎসব করেন। এগুলো জনগণের সঙ্গে পরিহাস।

বিএনপি মহাসচিব বলেন, এ সরকার আজ দেশের ঐতিহ্য-ইতিহাস বিনষ্ট করে দিচ্ছে। মানুষ ভোট দিতে পারছে না। ভিন্নমত পোষণ করতে পারছে না। ভিন্ন মত প্রকাশ করলেই কারাগারে যেতে হচ্ছে। গণমাধ্যম স্বাধীনভাবে লিখতে পারছে না। সৎভাবে কেউ ব্যবসা করতে পারছেন না। দলীয় লোক না হলে সেই ব্যবসায়ীর প্রতি চলে নিপীড়ন।

মির্জা ফখরুল বলেন, যারা স্বাধীনতার জন্য প্রাণ দিয়েছেন, সে মানুষগুলোকে আজ স্মরণ করা হয় না। আমাদের দুঃখ হয়, যখন যারা বিভিন্ন সময় স্বাধীনতার ত্যাগ স্বীকার করেছেন, লাখ-লাখ মানুষ প্রাণ দিয়েছেন, তাদের একবারের জন্যও আজ স্মরণ করা হয় না। আজ জনগণের ওপর এমন একটি সরকার চেপে বসে আছে, যারা নিজেদের ছাড়া অন্যদের মেনে নেয় না। তারা দাবি করে, শুধুমাত্র এক ব্যক্তি, একটি দল এ দেশের স্বাধীনতাকে নিয়ে এসেছে। যে কথাটা একেবারেই সত্য নয়।

তিনি আরও বলেন, আমরা খুব ভালো করেই ইতিহাস জানি, দীর্ঘকাল বিভিন্ন নেতা-মানুষের ঐক্যবদ্ধভাবে প্রয়াসের মধ্য দিয়ে স্বাধীনতা এসেছে। কয়েকদিন আগে মহম্মদ আতাউল গণি ওসমানী মৃত্যুবার্ষিকী ছিল, তার নাম একবারের জন্যও উচ্চারিত হয়নি। যার ঘোষণার মধ্য দিয়ে বাংলাদেশের মানুষ স্বাধীনতার যুদ্ধে ঝাঁপিয়ে পড়েছিল, সে জিয়াউর রহমানকে খলনায়ক হিসেবে চিহিৃত করার সমস্ত প্রচারণা চালাচ্ছে এ সরকার। এমনকি তিনি মুক্তিযুদ্ধ করেছিলেন সেটাও অস্বীকার করতে চায়।

বিএনপির মহাসচিব বলেন, যিনি প্রথম বাংলাদেশের স্বাধীনতার কথা উচ্চারণ করেছিলেন, সে মাওলানা ভাসানীকেই আজ স্মরণ করা হয় না। আমাদের খুব দুঃখ হয়, যিনি মুক্তিযুদ্ধের সময় প্রধানমন্ত্রী ছিলেন, সে তাজউদ্দিনকেও আজ স্মরণ করা হয় না। আসম রবের কথা তো উচ্চারণও করেন না। কারণ তিনি ভিন্ন দল করেন।

সাবেক এ মন্ত্রী বলেন, ১৯৭১ সালে সত্যিকার অর্থে গণতান্ত্রিক রাষ্ট্র প্রতিষ্ঠা করার জন্য আমরা যুদ্ধ করেছিলাম, একটি মুক্ত সমাজ, রাষ্ট্র ও পরিবেশ নিয়ে বাস করার জন্য। সেটাকে পুরোপুরি অস্বীকার করে আজ একটি দল, একটি পরিবার এবং শুধুমাত্র একজন ব্যক্তির কথা উচ্চারিত হয়।

ভারতের এক বিতর্কিত ব্যবসায়ীর সঙ্গে সরকার বিদ্যুতের চুক্তি করেছে বলে উল্লেখ করে বিএনপির মহাসচিব বলেন, যার ফলে দুইশ টাকার কয়লা চারশ টাকা দিয়ে কিনতে হবে। আজ বিদ্যুতের মূল্য বৃদ্ধির কারণে সবকিছুর দাম আরও বেড়ে যাবে। সরকার আইন করেছে, গণশুনানী না করেই আবারও বিদ্যুতের মূল্য বৃদ্ধি করতে পারবে। এ সরকার জনগণের টাকা লুটপাট করতেই বারবার বিদ্যুৎ, গ্যাস, জ্বালানি তেলের মূল্য বৃদ্ধি করছে।

বিএনপির এ নেতা বলেন, এ অবস্থায় বসে থাকলে চলবে না। সবাইকে ঐক্যবদ্ধ হতে হবে। এ আন্দোলন বিএনপি বা গণতন্ত্র মঞ্চের আন্দোলন নয়। এটা গোটা জাতির সংগ্রাম। স্বাধীনতা, ভোটাধিকার এবং গণতন্ত্রকে রক্ষা করতে হলে সব গণতন্ত্রকামী মানুষকে ঐক্যবদ্ধ হতে হবে।

২ মার্চকে জাতীয় জীবনের অত্যন্ত গুরুত্বপূর্ণ দিন উল্লেখ করে বিএনপি মহাসচিব বলেন, ৫২ বছরেও এই দিনটি রাষ্ট্রীয়ভাবে পালিত হয়নি। স্বাধীনতাযুদ্ধ মানে আজ আওয়ামী লীগ এবং এক ব্যক্তির নাম প্রচার করা হয়। স্বাধীনতা যুদ্ধে লাখ লাখ মানুষ জীবন দিয়েছে। কই, তাদের নামতো স্মরণ করা হয় না!

তিনি বলেন, আজ স্বাধীনতাযুদ্ধের রূপকার মাওলানা আব্দুল হামিদ খান ভাসানী, মুক্তিযুদ্ধের সর্বাধিনায়ক জেনারেল ওসমানীর অবদান এমনকি মুক্তিযুদ্ধের সময় নেতৃত্বদানকারী তাজউদ্দীন আহমেদের অবদানও স্মরণ করা হয় না। আজ ভিন্ন দল করার জন্য স্বাধীনতার পতাকা উত্তোলক আ স ম আবদুর রব, ইশতেহার পাঠক শাজাহান সিরাজ, স্বাধীনতার ঘোষক জিয়াউর রহমানকেও স্মরণ করা হয় না। বরং জিয়াউর রহমানকে এখন খলনায়ক হিসেবে প্রচার করা হচ্ছে। তারা (আওয়ামী লীগ) বলে জিয়াউর রহমান নাকি মুক্তিযোদ্ধা ছিলেন না। সবকিছুই নাকি করেছে আওয়ামী লীগ এবং একজন ব্যক্তি।

জেএসডির সিনিয়র সহ-সভাপতি তানিয়া রবের সভাপতিত্বে আলোচনা সভায় বক্তব্য রাখেন জেএসডি সভাপতি আ স ম রব, কৃষক শ্রমিক জনতা লীগের সভাপতি কাদের সিদ্দিকী, নাগরিক ঐক্যের সভাপতি মাহমুদুর রহমান মান্না, গণসংহতি আন্দোলনের প্রধান সমন্বয়কারী জোনায়েদ সাকি, বিপ্লবী ওয়ার্কার্স পার্টির সাধারণ সম্পাদক সাইফুল হক, গণঅধিকার পরিষদের সদস্য সচিব নুরুল হক নুর, ভাসানী অনুসারী পরিষদের আহ্বায়ক শেখ রফিকুল ইসলাম বাবলু, রাষ্ট্র সংস্কার আন্দোলনের প্রধান সমন্বয়ক হাসনাত কাইয়ুম, জেএসডি সাধারণ সম্পাদক শহীদ উদ্দিন মাহমুদ স্বপন প্রমুখ।

নিউজটি শেয়ার করুন

আ.লীগের সব মানুষ পাগল হয়ে গেছে, মরিয়া হয়ে গেছে : ফখরুল

আপডেট সময় : ০৮:০৬:০০ অপরাহ্ন, বৃহস্পতিবার, ২ মার্চ ২০২৩

নিজস্ব প্রতিবেদক : 

আওয়ামী লীগ দেশে লুটের আসর বসিয়েছে বলে বলে মন্তব্য করে বিএনপির মহাসচিব মির্জা ফখরুল ইসলাম আলমগীর বলেন, আজ আওয়ামী লীগের সব মানুষ পাগল হয়ে গেছে, মরিয়া হয়ে গেছে। তারা দ্রুত দেশের সব সম্পদ লুট করে দেশে ছেড়ে চলে যাবে। ঠিক যেভাবে বর্গিরা আগে আমাদের দেশে এসে সব সম্পদ লুট করে চলে যেত। আজ ঠিক সেভাবেই আওয়ামী লীগ লুটের আসর বসিয়েছে, উৎসব করছে।

বৃহস্পতিবার (২ মার্চ) বিকেলে জাতীয় প্রেস ক্লাবে ঐতিহাসিক পতাকা উত্তোলন দিবস উপলক্ষে জাতীয় সমাজতান্ত্রিক দল (জেএসডি) আয়োজিত এক আলোচনা সভায় এসব কথা বলেন তিনি।

সরকারের কঠোর সমালোচনা করে মির্জা ফখরুল বলেন, আজ ফ্যাসিবাদী সরকার ক্ষমতায় চেপে বসেছে। দেশের সব আশা আকাঙ্ক্ষা স্বপ্ন ধূলিসাৎ করে দিয়েছে। তারা আবারও বাকশাল কায়েম করতে চায়। মুক্তিযুদ্ধের চেতনা ধ্বংস করে একদলীয় শাসন ব্যবস্থা কায়েম করতে চায়। অর্থনীতিকে ধ্বংস করে লুটের রাজত্ব কায়েম করা হয়েছে। বিদেশে হাজার হাজার কোটি টাকা পাচার করা হচ্ছে।

তিনি বলেন, পত্রিকায় এসেছে চট্রগামে চালের জন্য অপেক্ষা করতে করতে দুই বৃদ্ধ অজ্ঞান হয়ে গেছে। আজ যখন সাধারণ মানুষের নিত্য প্রয়োজনীয় জিনিস-পত্রের দাম নাগালের বাইরে চলে গেছে, তখন ‘অবৈধ’ প্রধানমন্ত্রী রাষ্ট্রপতির বাড়ি গিয়ে হাওয়ের ২৩-২৪-৪০ পদের মাছ দিয়ে উৎসব করেন। এগুলো জনগণের সঙ্গে পরিহাস।

বিএনপি মহাসচিব বলেন, এ সরকার আজ দেশের ঐতিহ্য-ইতিহাস বিনষ্ট করে দিচ্ছে। মানুষ ভোট দিতে পারছে না। ভিন্নমত পোষণ করতে পারছে না। ভিন্ন মত প্রকাশ করলেই কারাগারে যেতে হচ্ছে। গণমাধ্যম স্বাধীনভাবে লিখতে পারছে না। সৎভাবে কেউ ব্যবসা করতে পারছেন না। দলীয় লোক না হলে সেই ব্যবসায়ীর প্রতি চলে নিপীড়ন।

মির্জা ফখরুল বলেন, যারা স্বাধীনতার জন্য প্রাণ দিয়েছেন, সে মানুষগুলোকে আজ স্মরণ করা হয় না। আমাদের দুঃখ হয়, যখন যারা বিভিন্ন সময় স্বাধীনতার ত্যাগ স্বীকার করেছেন, লাখ-লাখ মানুষ প্রাণ দিয়েছেন, তাদের একবারের জন্যও আজ স্মরণ করা হয় না। আজ জনগণের ওপর এমন একটি সরকার চেপে বসে আছে, যারা নিজেদের ছাড়া অন্যদের মেনে নেয় না। তারা দাবি করে, শুধুমাত্র এক ব্যক্তি, একটি দল এ দেশের স্বাধীনতাকে নিয়ে এসেছে। যে কথাটা একেবারেই সত্য নয়।

তিনি আরও বলেন, আমরা খুব ভালো করেই ইতিহাস জানি, দীর্ঘকাল বিভিন্ন নেতা-মানুষের ঐক্যবদ্ধভাবে প্রয়াসের মধ্য দিয়ে স্বাধীনতা এসেছে। কয়েকদিন আগে মহম্মদ আতাউল গণি ওসমানী মৃত্যুবার্ষিকী ছিল, তার নাম একবারের জন্যও উচ্চারিত হয়নি। যার ঘোষণার মধ্য দিয়ে বাংলাদেশের মানুষ স্বাধীনতার যুদ্ধে ঝাঁপিয়ে পড়েছিল, সে জিয়াউর রহমানকে খলনায়ক হিসেবে চিহিৃত করার সমস্ত প্রচারণা চালাচ্ছে এ সরকার। এমনকি তিনি মুক্তিযুদ্ধ করেছিলেন সেটাও অস্বীকার করতে চায়।

বিএনপির মহাসচিব বলেন, যিনি প্রথম বাংলাদেশের স্বাধীনতার কথা উচ্চারণ করেছিলেন, সে মাওলানা ভাসানীকেই আজ স্মরণ করা হয় না। আমাদের খুব দুঃখ হয়, যিনি মুক্তিযুদ্ধের সময় প্রধানমন্ত্রী ছিলেন, সে তাজউদ্দিনকেও আজ স্মরণ করা হয় না। আসম রবের কথা তো উচ্চারণও করেন না। কারণ তিনি ভিন্ন দল করেন।

সাবেক এ মন্ত্রী বলেন, ১৯৭১ সালে সত্যিকার অর্থে গণতান্ত্রিক রাষ্ট্র প্রতিষ্ঠা করার জন্য আমরা যুদ্ধ করেছিলাম, একটি মুক্ত সমাজ, রাষ্ট্র ও পরিবেশ নিয়ে বাস করার জন্য। সেটাকে পুরোপুরি অস্বীকার করে আজ একটি দল, একটি পরিবার এবং শুধুমাত্র একজন ব্যক্তির কথা উচ্চারিত হয়।

ভারতের এক বিতর্কিত ব্যবসায়ীর সঙ্গে সরকার বিদ্যুতের চুক্তি করেছে বলে উল্লেখ করে বিএনপির মহাসচিব বলেন, যার ফলে দুইশ টাকার কয়লা চারশ টাকা দিয়ে কিনতে হবে। আজ বিদ্যুতের মূল্য বৃদ্ধির কারণে সবকিছুর দাম আরও বেড়ে যাবে। সরকার আইন করেছে, গণশুনানী না করেই আবারও বিদ্যুতের মূল্য বৃদ্ধি করতে পারবে। এ সরকার জনগণের টাকা লুটপাট করতেই বারবার বিদ্যুৎ, গ্যাস, জ্বালানি তেলের মূল্য বৃদ্ধি করছে।

বিএনপির এ নেতা বলেন, এ অবস্থায় বসে থাকলে চলবে না। সবাইকে ঐক্যবদ্ধ হতে হবে। এ আন্দোলন বিএনপি বা গণতন্ত্র মঞ্চের আন্দোলন নয়। এটা গোটা জাতির সংগ্রাম। স্বাধীনতা, ভোটাধিকার এবং গণতন্ত্রকে রক্ষা করতে হলে সব গণতন্ত্রকামী মানুষকে ঐক্যবদ্ধ হতে হবে।

২ মার্চকে জাতীয় জীবনের অত্যন্ত গুরুত্বপূর্ণ দিন উল্লেখ করে বিএনপি মহাসচিব বলেন, ৫২ বছরেও এই দিনটি রাষ্ট্রীয়ভাবে পালিত হয়নি। স্বাধীনতাযুদ্ধ মানে আজ আওয়ামী লীগ এবং এক ব্যক্তির নাম প্রচার করা হয়। স্বাধীনতা যুদ্ধে লাখ লাখ মানুষ জীবন দিয়েছে। কই, তাদের নামতো স্মরণ করা হয় না!

তিনি বলেন, আজ স্বাধীনতাযুদ্ধের রূপকার মাওলানা আব্দুল হামিদ খান ভাসানী, মুক্তিযুদ্ধের সর্বাধিনায়ক জেনারেল ওসমানীর অবদান এমনকি মুক্তিযুদ্ধের সময় নেতৃত্বদানকারী তাজউদ্দীন আহমেদের অবদানও স্মরণ করা হয় না। আজ ভিন্ন দল করার জন্য স্বাধীনতার পতাকা উত্তোলক আ স ম আবদুর রব, ইশতেহার পাঠক শাজাহান সিরাজ, স্বাধীনতার ঘোষক জিয়াউর রহমানকেও স্মরণ করা হয় না। বরং জিয়াউর রহমানকে এখন খলনায়ক হিসেবে প্রচার করা হচ্ছে। তারা (আওয়ামী লীগ) বলে জিয়াউর রহমান নাকি মুক্তিযোদ্ধা ছিলেন না। সবকিছুই নাকি করেছে আওয়ামী লীগ এবং একজন ব্যক্তি।

জেএসডির সিনিয়র সহ-সভাপতি তানিয়া রবের সভাপতিত্বে আলোচনা সভায় বক্তব্য রাখেন জেএসডি সভাপতি আ স ম রব, কৃষক শ্রমিক জনতা লীগের সভাপতি কাদের সিদ্দিকী, নাগরিক ঐক্যের সভাপতি মাহমুদুর রহমান মান্না, গণসংহতি আন্দোলনের প্রধান সমন্বয়কারী জোনায়েদ সাকি, বিপ্লবী ওয়ার্কার্স পার্টির সাধারণ সম্পাদক সাইফুল হক, গণঅধিকার পরিষদের সদস্য সচিব নুরুল হক নুর, ভাসানী অনুসারী পরিষদের আহ্বায়ক শেখ রফিকুল ইসলাম বাবলু, রাষ্ট্র সংস্কার আন্দোলনের প্রধান সমন্বয়ক হাসনাত কাইয়ুম, জেএসডি সাধারণ সম্পাদক শহীদ উদ্দিন মাহমুদ স্বপন প্রমুখ।