ঢাকা ০৪:১১ অপরাহ্ন, বৃহস্পতিবার, ১৮ এপ্রিল ২০২৪, ৫ বৈশাখ ১৪৩১ বঙ্গাব্দ
বাংলা বাংলা English English हिन्दी हिन्दी

আ.লীগের বিদায়ের অগ্রযাত্রাই বিএনপির এ পদযাত্রা: মোশাররফ

প্রতিনিধির নাম
  • আপডেট সময় : ০৫:৩৯:০১ অপরাহ্ন, মঙ্গলবার, ৩১ জানুয়ারী ২০২৩
  • / ৪৬০ বার পড়া হয়েছে
বাংলা খবর বিডি অনলাইনের সর্বশেষ নিউজ পেতে অনুসরণ করুন গুগল নিউজ (Google News) ফিডটি

নিজস্ব প্রতিবেদক : 

বিরোধীদের কর্মসূচি দেখে আওয়ামী লীগ ভীত-সন্ত্রস্ত হয়ে পড়েছে বলে দাবি করে বিএনপির স্থায়ী কমিটির সদস্য খন্দকার মোশাররফ হোসেন বলেন, বিএনপি রাজনৈতিক কর্মসূচি দিলে আওয়ামী লীগ পাল্টা কর্মসূচি দেয়। আওয়ামী লীগের বিদায়ের অগ্রযাত্রা হচ্ছে বিএনপির এ পদযাত্রা। ইস্পাত কঠিন গণঐক্য সৃষ্টি করে দ্রুত সরকারকে বিদায় দিতে সক্ষম হবো।

মঙ্গলবার (৩১ জানুয়ারি) বিকেলে রাজধানীর গাবতলী এলাকায় বিএনপির ঢাকা মহানগর উত্তর শাখা আয়োজিত পদযাত্রা কর্মসূচির উদ্বোধন কালে এসব কথা বলেন তিনি। সরকারের পদত্যাগসহ ১০ দফা দাবিতে এই পদযাত্রা কর্মসূচি পালন করা হচ্ছে। চার দিনের পদযাত্রা কর্মসূচির আজ ছিল তৃতীয় দিন।

খন্দকার মোশাররফ হোসেন বলেন, বিগত দিনে বিএনপির কর্মসূচিতে কোনো বিশৃঙ্খলা হয়নি। পদযাত্রা কর্মসূচিতেও কোনো বিশৃঙ্খলা হয়নি। সরকারের সময় শেষ, পায়ের নিচে মাটি নেই। বিএনপির কর্মসূচি দেখে আওয়ামী লীগ ভীত-সন্ত্রস্ত হয়ে পড়েছে।

সরকারের সমালোচনা করে খন্দকার মোশারফ বলেন, আমরা বলতে চাই আপনাদের সময় শেষ; আগামীতে হবে খালেদা জিয়া ও তারেক রহমানের বাংলাদেশ। সেজন্য আমরা আপনাদের বিদায়ের অগ্রীম শোভাযাত্রা হিসেবে এই পদযাত্রা করছি। দেশের জনগণ এ সরকারকে আর দেখতে চায় না। গণতন্ত্রকে বার বার হত্যা করেছে আওয়ামী লীগ। তাদেরকে জনগণ আর ভোট দিতে চায় না। অর্থনীতিকে ধ্বংস করেছে, ব্যাংকে তারল্য (নগদ টাকার) সংকট দেখা দিয়েছে।

তিনি বলেন, এই সরকারের মেগা প্রকল্পের নামে মেগা দুর্নীতি আর বিদেশে টাকা পাচার, লুটপাটের কারণে ব্যাংকে তারল্য সংকট দেখা দিয়েছে। দুর্নীতি যারা করে তারা আওয়ামী লীগ ও আওয়ামী লীগের সিন্ডিকেট। তারপরও বলে অর্থনীতি সবদিকে ভাল। তাহলে দ্রব্যমূল্য বাড়ে কেন? ১৯ দিন আগে বিদ্যুতের দাম বাড়িয়েছিল, আজকে ফের ৫ শতাংশ বাড়িয়েছে। আবার বলেছে মাসে মাসে নাকি দাম বাড়াবে। তার মানে সরকারের হাতে টাকা নেই। জাহাজ এসে বসে আছে, টাকা দিতে পারে না সেজন্য মাল খালাস হয় না।

তিনি বলেন, মেগা প্রকল্পের নামে মেগা দুর্নীতি করে বিদেশে টাকা পাচার করছে। গ্যাস, বিদ্যুতের দাম বাড়িয়ে মানুষের কাছ থেকে টাকা নিচ্ছে। দ্রব্যমূল্য বাড়ায় মানুষ দুর্বিষহ অবস্থায় রয়েছে। বিচার বিভাগে বিচারকরা স্বাধীনভাবে কাজ করতে পারেন না।

তিনি আরো বলেন, এই দুর্নীতিবাজ, ফ্যাসিবাদী সরকারের পতন ঘটানোর জন্য এদেশের জনগণকে ঐক্যবদ্ধ করতে সবচেয়ে বেশি দায়িত্ব বিএনপির। আমাদের নেতা জিয়াউর রহমান বহুদলীয় গণতন্ত্র দিয়েছেন। আমাদের নেত্রী খালেদা জিয়া সংসদীয় গণতন্ত্র করেছেন। নির্বাচন যাতে সুষ্ঠু হয় সেজন্য তত্ত্বাবধায়ক সরকার করেছেন। এগুলো যারা ধ্বংস করে দিয়েছে তারা এদেশে কোনো সুষ্ঠু-নিরপেক্ষ নির্বাচন করতে পারবে না। সে জন্য এই সরকারকে বিদায় দিতে হবে। আমরা সরকারের সেই বিদায়ের আন্দোলনে বিএনপি ও অঙ্গ সংগঠনের নেতারা জনগণের সঙ্গে ইস্পাত কঠিন গণঐক্য সৃষ্টি করে ইনশআল্লাহ পতন ঘটাব। বেশি সময় নেই, অতিদ্রুত আমরা এই সরকারকে বিদায় দিতে সক্ষম হব।

ড. মোশাররফ বলেন, বিএনপি যখনই কর্মসূচি দেয় তখনই গায়ের জোরের সরকার যারা দিনের ভোট রাতে ডাকাতি করে সরকারে আছে, যারা স্বৈরাচারী, ফ্যাসিস্ট তারা বলে আমরা নাকি বিশৃঙ্খলার সৃষ্টি করবো কিন্তু আমরা বিভাগীয় সমাবেশগুলো শান্তিপূর্ণভাবে করেছি। কয়েকদিন যাবত শান্তিপুর্ণ পদযাত্রা করছি।

ড. মোশাররফ বলেন, যারা অর্থনীতি ধ্বংস করেছে তারা মেরামত করতে পারবে না। আজকে আদালত স্বাধীনভাবে বিচার করতে পারে না। আমাদের নেত্রীকে বানোয়াট মামলায় সাজা দিয়েছে। ভারপ্রাপ্ত চেয়ারম্যানকে মিথ্যা মামলায় সাজা দিয়ে দেশে আসতে দিচ্ছে না। লাখের বেশি মামলায় বিএনপির ৩৭ লাখ নেতাকর্মী আসামি। এভাবে মামলার আসামি করে বিএনপিকে দাবিয়ে রাখার চেষ্টা করছে সরকার। সরকারকে বিদায় দেওয়ার জন্য জনগণ রাস্তায় নেমেছে। মনে করেছিলেন মামলা নির্যাতন করে বিএনপিকে দমন করবেন। কিন্তু জনগণ জেগে উঠেছে, আপনারা দমন করতে পারবে না।

ঢাকা মহানগর উত্তর বিএনপির আহবায়ক ও ডাকসুর সাবেক ভিপি আমান উল্লাহ আমানের সভাপতিত্বে এবং সদস্য সচিব আমিনুল হকের পরিচালনায় পদযাত্রাপূর্ব সমাবেশে আরও উপস্থিত ছিলেন, বিএনপির স্থায়ী কমিটির সদস্য নজরুল ইসলাম খান, বিএনপি নেতা আবদুল আউয়াল মিন্টু, হাবিবুর রহমান হাবিব, আবদুস সালাম আজাদ, নাজিম উদ্দিন আলম, মীর সরাফত আলী সপু, ডা. রফিকুল ইসলাম, মোস্তাফিজুর রহমান বাবুল, সাইফুল আলম নীরব, মুনসী বজলুল বাসিত আনজু, এসএ সিদ্দিক সাজু, এসএম জাহাঙ্গীর আলম, আনোয়ারুজ্জামান আনোয়ার হাজী ইউসুফ, যুবদল নেতা মামুন হাসান, মোনায়েম মুন্না, স্বেচ্ছাসেবক দলের এসএম জিলানী, রাজিব আহসান, শ্রমিক দলের মোস্তাফিজুল করিম মজুমদার, ছাত্রদলের কাজী রওনকুল ইসলাম শ্রাবন, সাইফ মাহমুদ জুয়েল প্রমুখ।
পরে বিকেল তিনটা ২০ মিনিটের সময় গাবতলী থেকে মীরপুর-১০ নম্বর অভিমুখে পদযাত্রা শুরু হয়। এতে দলের কয়েক হাজার নেতাকর্মী ব্যানার-ফেস্টুন নিয়ে অংশ নেন।

 

নিউজটি শেয়ার করুন

আ.লীগের বিদায়ের অগ্রযাত্রাই বিএনপির এ পদযাত্রা: মোশাররফ

আপডেট সময় : ০৫:৩৯:০১ অপরাহ্ন, মঙ্গলবার, ৩১ জানুয়ারী ২০২৩

নিজস্ব প্রতিবেদক : 

বিরোধীদের কর্মসূচি দেখে আওয়ামী লীগ ভীত-সন্ত্রস্ত হয়ে পড়েছে বলে দাবি করে বিএনপির স্থায়ী কমিটির সদস্য খন্দকার মোশাররফ হোসেন বলেন, বিএনপি রাজনৈতিক কর্মসূচি দিলে আওয়ামী লীগ পাল্টা কর্মসূচি দেয়। আওয়ামী লীগের বিদায়ের অগ্রযাত্রা হচ্ছে বিএনপির এ পদযাত্রা। ইস্পাত কঠিন গণঐক্য সৃষ্টি করে দ্রুত সরকারকে বিদায় দিতে সক্ষম হবো।

মঙ্গলবার (৩১ জানুয়ারি) বিকেলে রাজধানীর গাবতলী এলাকায় বিএনপির ঢাকা মহানগর উত্তর শাখা আয়োজিত পদযাত্রা কর্মসূচির উদ্বোধন কালে এসব কথা বলেন তিনি। সরকারের পদত্যাগসহ ১০ দফা দাবিতে এই পদযাত্রা কর্মসূচি পালন করা হচ্ছে। চার দিনের পদযাত্রা কর্মসূচির আজ ছিল তৃতীয় দিন।

খন্দকার মোশাররফ হোসেন বলেন, বিগত দিনে বিএনপির কর্মসূচিতে কোনো বিশৃঙ্খলা হয়নি। পদযাত্রা কর্মসূচিতেও কোনো বিশৃঙ্খলা হয়নি। সরকারের সময় শেষ, পায়ের নিচে মাটি নেই। বিএনপির কর্মসূচি দেখে আওয়ামী লীগ ভীত-সন্ত্রস্ত হয়ে পড়েছে।

সরকারের সমালোচনা করে খন্দকার মোশারফ বলেন, আমরা বলতে চাই আপনাদের সময় শেষ; আগামীতে হবে খালেদা জিয়া ও তারেক রহমানের বাংলাদেশ। সেজন্য আমরা আপনাদের বিদায়ের অগ্রীম শোভাযাত্রা হিসেবে এই পদযাত্রা করছি। দেশের জনগণ এ সরকারকে আর দেখতে চায় না। গণতন্ত্রকে বার বার হত্যা করেছে আওয়ামী লীগ। তাদেরকে জনগণ আর ভোট দিতে চায় না। অর্থনীতিকে ধ্বংস করেছে, ব্যাংকে তারল্য (নগদ টাকার) সংকট দেখা দিয়েছে।

তিনি বলেন, এই সরকারের মেগা প্রকল্পের নামে মেগা দুর্নীতি আর বিদেশে টাকা পাচার, লুটপাটের কারণে ব্যাংকে তারল্য সংকট দেখা দিয়েছে। দুর্নীতি যারা করে তারা আওয়ামী লীগ ও আওয়ামী লীগের সিন্ডিকেট। তারপরও বলে অর্থনীতি সবদিকে ভাল। তাহলে দ্রব্যমূল্য বাড়ে কেন? ১৯ দিন আগে বিদ্যুতের দাম বাড়িয়েছিল, আজকে ফের ৫ শতাংশ বাড়িয়েছে। আবার বলেছে মাসে মাসে নাকি দাম বাড়াবে। তার মানে সরকারের হাতে টাকা নেই। জাহাজ এসে বসে আছে, টাকা দিতে পারে না সেজন্য মাল খালাস হয় না।

তিনি বলেন, মেগা প্রকল্পের নামে মেগা দুর্নীতি করে বিদেশে টাকা পাচার করছে। গ্যাস, বিদ্যুতের দাম বাড়িয়ে মানুষের কাছ থেকে টাকা নিচ্ছে। দ্রব্যমূল্য বাড়ায় মানুষ দুর্বিষহ অবস্থায় রয়েছে। বিচার বিভাগে বিচারকরা স্বাধীনভাবে কাজ করতে পারেন না।

তিনি আরো বলেন, এই দুর্নীতিবাজ, ফ্যাসিবাদী সরকারের পতন ঘটানোর জন্য এদেশের জনগণকে ঐক্যবদ্ধ করতে সবচেয়ে বেশি দায়িত্ব বিএনপির। আমাদের নেতা জিয়াউর রহমান বহুদলীয় গণতন্ত্র দিয়েছেন। আমাদের নেত্রী খালেদা জিয়া সংসদীয় গণতন্ত্র করেছেন। নির্বাচন যাতে সুষ্ঠু হয় সেজন্য তত্ত্বাবধায়ক সরকার করেছেন। এগুলো যারা ধ্বংস করে দিয়েছে তারা এদেশে কোনো সুষ্ঠু-নিরপেক্ষ নির্বাচন করতে পারবে না। সে জন্য এই সরকারকে বিদায় দিতে হবে। আমরা সরকারের সেই বিদায়ের আন্দোলনে বিএনপি ও অঙ্গ সংগঠনের নেতারা জনগণের সঙ্গে ইস্পাত কঠিন গণঐক্য সৃষ্টি করে ইনশআল্লাহ পতন ঘটাব। বেশি সময় নেই, অতিদ্রুত আমরা এই সরকারকে বিদায় দিতে সক্ষম হব।

ড. মোশাররফ বলেন, বিএনপি যখনই কর্মসূচি দেয় তখনই গায়ের জোরের সরকার যারা দিনের ভোট রাতে ডাকাতি করে সরকারে আছে, যারা স্বৈরাচারী, ফ্যাসিস্ট তারা বলে আমরা নাকি বিশৃঙ্খলার সৃষ্টি করবো কিন্তু আমরা বিভাগীয় সমাবেশগুলো শান্তিপূর্ণভাবে করেছি। কয়েকদিন যাবত শান্তিপুর্ণ পদযাত্রা করছি।

ড. মোশাররফ বলেন, যারা অর্থনীতি ধ্বংস করেছে তারা মেরামত করতে পারবে না। আজকে আদালত স্বাধীনভাবে বিচার করতে পারে না। আমাদের নেত্রীকে বানোয়াট মামলায় সাজা দিয়েছে। ভারপ্রাপ্ত চেয়ারম্যানকে মিথ্যা মামলায় সাজা দিয়ে দেশে আসতে দিচ্ছে না। লাখের বেশি মামলায় বিএনপির ৩৭ লাখ নেতাকর্মী আসামি। এভাবে মামলার আসামি করে বিএনপিকে দাবিয়ে রাখার চেষ্টা করছে সরকার। সরকারকে বিদায় দেওয়ার জন্য জনগণ রাস্তায় নেমেছে। মনে করেছিলেন মামলা নির্যাতন করে বিএনপিকে দমন করবেন। কিন্তু জনগণ জেগে উঠেছে, আপনারা দমন করতে পারবে না।

ঢাকা মহানগর উত্তর বিএনপির আহবায়ক ও ডাকসুর সাবেক ভিপি আমান উল্লাহ আমানের সভাপতিত্বে এবং সদস্য সচিব আমিনুল হকের পরিচালনায় পদযাত্রাপূর্ব সমাবেশে আরও উপস্থিত ছিলেন, বিএনপির স্থায়ী কমিটির সদস্য নজরুল ইসলাম খান, বিএনপি নেতা আবদুল আউয়াল মিন্টু, হাবিবুর রহমান হাবিব, আবদুস সালাম আজাদ, নাজিম উদ্দিন আলম, মীর সরাফত আলী সপু, ডা. রফিকুল ইসলাম, মোস্তাফিজুর রহমান বাবুল, সাইফুল আলম নীরব, মুনসী বজলুল বাসিত আনজু, এসএ সিদ্দিক সাজু, এসএম জাহাঙ্গীর আলম, আনোয়ারুজ্জামান আনোয়ার হাজী ইউসুফ, যুবদল নেতা মামুন হাসান, মোনায়েম মুন্না, স্বেচ্ছাসেবক দলের এসএম জিলানী, রাজিব আহসান, শ্রমিক দলের মোস্তাফিজুল করিম মজুমদার, ছাত্রদলের কাজী রওনকুল ইসলাম শ্রাবন, সাইফ মাহমুদ জুয়েল প্রমুখ।
পরে বিকেল তিনটা ২০ মিনিটের সময় গাবতলী থেকে মীরপুর-১০ নম্বর অভিমুখে পদযাত্রা শুরু হয়। এতে দলের কয়েক হাজার নেতাকর্মী ব্যানার-ফেস্টুন নিয়ে অংশ নেন।