ঢাকা ০৬:১৪ পূর্বাহ্ন, শুক্রবার, ২৯ মার্চ ২০২৪, ১৫ চৈত্র ১৪৩০ বঙ্গাব্দ
বাংলা বাংলা English English हिन्दी हिन्दी
আজকের সেহরি ও ইফতার ::
ঢাকায় সেহেরি ৪:৩৩ মি. ইফতার ৬:১৭ মি.:: চট্টগ্রামে সেহেরি ৪:২৮ মি. ইফতার ৬:১১ মি. :: রাজশাহীতে সেহেরি ৪:৩৯ মি. ইফতার ৬:২৪ মি. :: খুলনায় সেহেরি ৪:৩৭ মি. ইফতার ৬:২০ মি. :: বরিশালে সেহেরি ৪:৩৪ মি. ইফতার ৬:১৭ মি. :: সিলেটে সেহেরি ৪:২৬ মি. ইফতার ৬:১১ মি. :: রংপুরে সেহেরি ৪:৩৭ মি. ইফতার ৬:২২ মি. :: ময়মনসিংহে সেহেরি ৪:৩২ মি. ইফতার ৬:১৭ মি. ::::

আশ্রয়ণ প্রকল্পের জরাজীর্ণ ঘরে ঝুঁকিপূর্ণ বসবাস!

প্রতিনিধির নাম
  • আপডেট সময় : ০৭:১৩:১২ অপরাহ্ন, বৃহস্পতিবার, ১ ডিসেম্বর ২০২২
  • / ৪৬১ বার পড়া হয়েছে

উল্লাপাড়ার বনবাড়িয়া আশ্রয়ণ প্রকল্পের জরাজীর্ণ ঘরে ১শ’ ১০ পরিবার বসবাস করছে

বাংলা খবর বিডি অনলাইনের সর্বশেষ নিউজ পেতে অনুসরণ করুন গুগল নিউজ (Google News) ফিডটি

সিরাজগঞ্জ প্রতিনিধিঃ

সিরাজগঞ্জ জেলার উল্লাপাড়া উপজেলার সলঙ্গা ইউনিয়নের বনবাড়িয়া আশ্রয়ণ প্রকল্পের ঘরের টিনের চালে মরিচা ধরে কিছু জায়গায় ছিদ্র হয়ে গেছে। বেড়ার টিন, কাঠ, টিনের দরজা ও জানালা ঘরের বিভিন্ন অংশ ভেঙ্গে গেছে। এমন জরাজীর্ণ ঘরগুলোতে ঝুঁকি নিয়ে বসবাস করছে আশ্রয়ন প্রকল্পের বাসিন্দারা।

সংশ্লিষ্ট অফিস সূত্রে জানায়, ২০০৩-২০০৪ ও ২০০৫-২০০৬ অর্থবছরে দুই ধাপে ভূমিহীন পরিবারের জন্য আশ্রয়ন প্রকল্প-১ ও ২ নির্মাণ কাজ করা হয়। প্রথম ধাপে ২০০৩-২০০৪ অর্থবছরে ৬০টি ও ২০০৫-২০০৬ অর্থবছরে ৫০টি পরিবারের বসবাসের জন্য ঘর নির্মাণ করা হয়। দুই ধাপে মোট ১শ’ ১০টি ঘর, ১১টি নলকূপ ও ১১টি শৌচাগার নির্মাণ করা হয়।

সরেজমিনে দেখা যায়, বনবাড়িয়া আশ্রয়ণ প্রকল্পের মাঝখানে বড় একটি পুকুর। পুকুরের পুর্ব, পশ্চিম, উত্তর ও দক্ষিণ পাড়ে মোট ১শ’ ১০ টি ঘর রযেছে। অধিকাংশ ঘরগুলোর অবস্থাই জরাজীর্ণ। কিছ ুকিছু ঘরের বেড়ার টিন, দরজা জানালা ভেঙ্গে ঝুলছে। নলকূপ অকেঁজো হয়ে গেছে। নষ্ট টিউবওয়েল নিজেদের অর্থে মেরামত করেছেন বাসিন্দারা। শৌচাগারগুলোও ব্যবহার অনুপযোগী হওয়ায় পলিথিনের বেড়া দিয়ে শৌচাগার বানিয়ে ব্যবহার করছেন তারা।

আশ্রয়ণ প্রকল্পের বাসিন্দা শতবর্ষী আব্দুল কাদের বলেন, ‘মেরামতের অভাবে অধিকাংশ ঘরের বিভিন্ন অংশ ভেঙ্গে গেছে। বৃষ্টিতে ঘরের ভেতরে পানি পড়ে। যাদের আর্থিক অবস্থা ভালো তারা নিজ অর্থায়নে মেরামত করছে। আবার অনেকেই আর্থিক সংকটে ঘর মেরামত করতে না পেরে ভাঙা ঘরে ঝুঁকি নিয়ে কষ্টে বসবাস করছে।’

বনবাড়িয়া আশ্রয়ন প্রকল্প-২ এর সাবেক সভাপতি আমজাদ হোসেন বলেন, ‘আশ্রয়ণ প্রকল্পের ঘরগুলো পুকুর পাড়ে নির্মাণ করা হয়েছে। আস্তে আস্তে পুকুরের পাড় ভাঙছে। পাড় ভাঙতে ভাঙতে এখন ঘরের কাছে এসে ঠেকেছে। অনতিবিলম্বে পুকুরের পাড় না বাঁধলে ঘর ভেঙে পুকুরে পড়বে। তাছাড়া ঘরগুলো বসবাসের অযোগ্য হয়ে পড়েছে। এগুলো দ্রæত মেরামতের প্রাণের দাবী এখানকার বাসিন্দাদের।’

সলঙ্গা ইউনিয়নের ১ওয়ার্ডের মেম্বার রফিকুল ইসলাম মুন্টু বলেন, ‘বনবাড়িয়া আশ্রয়ণ প্রকল্পের ঘরগুলো জরাজীর্ণ। টিউবওয়েল শৌচাগার সবগুলোই নষ্ট হয়ে গেছে। বাসিন্দারা তাদের নিজস্ব অর্থায়নে কোনমতে মেরামত করে এখানে মানবেতরভাবে দিনাতিপাত করছে । এমন অবস্থায় তাদের বসবাস করা কঠিন হয়ে পড়েছে। ঘরগুলো মেরামত করা খুবই জরুরী।’

সলঙ্গা ইউপি চেয়ারম্যান মোখলেছুর রহমান তালুকদার বলেন, ‘আশ্রয়ণ প্রকল্পের বাসিন্দারা আমাকে তাদের সমস্যার কথা জানায়নি। তারা জানালে আমি সংশ্লিষ্ট অফিসে কথা বলবো।’

উল্লাপাড়া উপজেলা নির্বাহী অফিসার উজ্জল হোসেন বলেন, ‘প্রধানমন্ত্রীর কার্যালয়ের একটি টিম ওখানে পরিদর্শন করেছেন। আমাদের বাজেট দেয়া হলে এগুলো সংস্কার করা হবে।’

The short URL of the present article is: https://banglakhaborbd.com/0uyp

নিউজটি শেয়ার করুন

আশ্রয়ণ প্রকল্পের জরাজীর্ণ ঘরে ঝুঁকিপূর্ণ বসবাস!

আপডেট সময় : ০৭:১৩:১২ অপরাহ্ন, বৃহস্পতিবার, ১ ডিসেম্বর ২০২২

সিরাজগঞ্জ প্রতিনিধিঃ

সিরাজগঞ্জ জেলার উল্লাপাড়া উপজেলার সলঙ্গা ইউনিয়নের বনবাড়িয়া আশ্রয়ণ প্রকল্পের ঘরের টিনের চালে মরিচা ধরে কিছু জায়গায় ছিদ্র হয়ে গেছে। বেড়ার টিন, কাঠ, টিনের দরজা ও জানালা ঘরের বিভিন্ন অংশ ভেঙ্গে গেছে। এমন জরাজীর্ণ ঘরগুলোতে ঝুঁকি নিয়ে বসবাস করছে আশ্রয়ন প্রকল্পের বাসিন্দারা।

সংশ্লিষ্ট অফিস সূত্রে জানায়, ২০০৩-২০০৪ ও ২০০৫-২০০৬ অর্থবছরে দুই ধাপে ভূমিহীন পরিবারের জন্য আশ্রয়ন প্রকল্প-১ ও ২ নির্মাণ কাজ করা হয়। প্রথম ধাপে ২০০৩-২০০৪ অর্থবছরে ৬০টি ও ২০০৫-২০০৬ অর্থবছরে ৫০টি পরিবারের বসবাসের জন্য ঘর নির্মাণ করা হয়। দুই ধাপে মোট ১শ’ ১০টি ঘর, ১১টি নলকূপ ও ১১টি শৌচাগার নির্মাণ করা হয়।

সরেজমিনে দেখা যায়, বনবাড়িয়া আশ্রয়ণ প্রকল্পের মাঝখানে বড় একটি পুকুর। পুকুরের পুর্ব, পশ্চিম, উত্তর ও দক্ষিণ পাড়ে মোট ১শ’ ১০ টি ঘর রযেছে। অধিকাংশ ঘরগুলোর অবস্থাই জরাজীর্ণ। কিছ ুকিছু ঘরের বেড়ার টিন, দরজা জানালা ভেঙ্গে ঝুলছে। নলকূপ অকেঁজো হয়ে গেছে। নষ্ট টিউবওয়েল নিজেদের অর্থে মেরামত করেছেন বাসিন্দারা। শৌচাগারগুলোও ব্যবহার অনুপযোগী হওয়ায় পলিথিনের বেড়া দিয়ে শৌচাগার বানিয়ে ব্যবহার করছেন তারা।

আশ্রয়ণ প্রকল্পের বাসিন্দা শতবর্ষী আব্দুল কাদের বলেন, ‘মেরামতের অভাবে অধিকাংশ ঘরের বিভিন্ন অংশ ভেঙ্গে গেছে। বৃষ্টিতে ঘরের ভেতরে পানি পড়ে। যাদের আর্থিক অবস্থা ভালো তারা নিজ অর্থায়নে মেরামত করছে। আবার অনেকেই আর্থিক সংকটে ঘর মেরামত করতে না পেরে ভাঙা ঘরে ঝুঁকি নিয়ে কষ্টে বসবাস করছে।’

বনবাড়িয়া আশ্রয়ন প্রকল্প-২ এর সাবেক সভাপতি আমজাদ হোসেন বলেন, ‘আশ্রয়ণ প্রকল্পের ঘরগুলো পুকুর পাড়ে নির্মাণ করা হয়েছে। আস্তে আস্তে পুকুরের পাড় ভাঙছে। পাড় ভাঙতে ভাঙতে এখন ঘরের কাছে এসে ঠেকেছে। অনতিবিলম্বে পুকুরের পাড় না বাঁধলে ঘর ভেঙে পুকুরে পড়বে। তাছাড়া ঘরগুলো বসবাসের অযোগ্য হয়ে পড়েছে। এগুলো দ্রæত মেরামতের প্রাণের দাবী এখানকার বাসিন্দাদের।’

সলঙ্গা ইউনিয়নের ১ওয়ার্ডের মেম্বার রফিকুল ইসলাম মুন্টু বলেন, ‘বনবাড়িয়া আশ্রয়ণ প্রকল্পের ঘরগুলো জরাজীর্ণ। টিউবওয়েল শৌচাগার সবগুলোই নষ্ট হয়ে গেছে। বাসিন্দারা তাদের নিজস্ব অর্থায়নে কোনমতে মেরামত করে এখানে মানবেতরভাবে দিনাতিপাত করছে । এমন অবস্থায় তাদের বসবাস করা কঠিন হয়ে পড়েছে। ঘরগুলো মেরামত করা খুবই জরুরী।’

সলঙ্গা ইউপি চেয়ারম্যান মোখলেছুর রহমান তালুকদার বলেন, ‘আশ্রয়ণ প্রকল্পের বাসিন্দারা আমাকে তাদের সমস্যার কথা জানায়নি। তারা জানালে আমি সংশ্লিষ্ট অফিসে কথা বলবো।’

উল্লাপাড়া উপজেলা নির্বাহী অফিসার উজ্জল হোসেন বলেন, ‘প্রধানমন্ত্রীর কার্যালয়ের একটি টিম ওখানে পরিদর্শন করেছেন। আমাদের বাজেট দেয়া হলে এগুলো সংস্কার করা হবে।’

The short URL of the present article is: https://banglakhaborbd.com/0uyp