ঢাকা ০৫:০৯ অপরাহ্ন, বৃহস্পতিবার, ২৫ এপ্রিল ২০২৪, ১২ বৈশাখ ১৪৩১ বঙ্গাব্দ
বাংলা বাংলা English English हिन्दी हिन्दी

আমরা গণতন্ত্রকে মুক্ত করব, দেশনেত্রীকে মুক্ত করব : মির্জা ফখরুল

প্রতিনিধির নাম
  • আপডেট সময় : ০৩:২৪:৪৩ অপরাহ্ন, সোমবার, ৭ নভেম্বর ২০২২
  • / ৪৩৯ বার পড়া হয়েছে
বাংলা খবর বিডি অনলাইনের সর্বশেষ নিউজ পেতে অনুসরণ করুন গুগল নিউজ (Google News) ফিডটি

নিজস্ব প্রতিবেদক : 
আজকে আমাদের শপথ হচ্ছে আমরা গণতন্ত্র ফিরিয়ে আনার যে লড়াই করছি- সেই লড়াইকে চূড়ান্ত পর্যায়ে নিয়ে যাব। আমরা গণতন্ত্রকে মুক্ত করব, দেশনেত্রীকে মুক্ত করব। সেইসঙ্গে সমগ্র দেশের মানুষকে মুক্ত করে একটা সত্যিকার অর্থে গণতান্ত্রিক রাষ্ট্র ও গণতান্ত্রিক সমাজ প্রতিষ্ঠা করব বলে জানান বিএনপি মহাসচিব মির্জা ফখরুল ইসলাম আলমগীর।

সোমবার (৭ নভেম্বর) সকাল ১১টার দিকে ‘জাতীয় বিপ্লব ও সংহতি দিবস’ উপলক্ষে জিয়াউর রহমানের কবরে শ্রদ্ধা জানানো শেষে তিনি এসব কথা বলেন।

৭ নভেম্বরকে ‘জাতীয় বিপ্লব ও সংহতি দিবস’ হিসেবে পালন করে বিএনপি। আর আওয়ামী লীগ ‘মুক্তিযোদ্ধা সৈনিক হত্যা দিবস’ এবং জাসদ ‘সিপাহী-জনতার অভ্যুত্থান দিবস’ হিসেবে পালন করে।

বিএনপি মহাসচিব বলেন, আমরা আজও বাংলাদেশের হারিয়ে যাওয়া গণতন্ত্র ও বাংলাদেশকে ফিরে পাওয়ার জন্য এবং অর্থনীতিকে টিকিয়ে রাখার জন্য লড়াই করছি। দেশনেত্রী খালেদা জিয়ার মুক্তি ও দেশনায়ক তারেক রহমানকে দেশে ফিরিয়ে আনা এবং ৩৫ লাখ নেতাকর্মীর মামলা থেকে মুক্তি ও সমৃদ্ধ অর্থনীতির জন্য লড়াই করছি। এ লড়াইকে আমরা আরও এগিয়ে নেব। আজকের দিনে আমাদের শপথ— দেশনেত্রীকে মুক্তি, তারেক রহমানকে ফিরিয়ে আনব। দেশের মানুষের ভোটাধিকার ফিরিয়ে আনব। এবং একটি গণতান্ত্রিক বাংলাদেশ প্রতিষ্ঠা করব।

তিনি বলেন, ৭ নভেম্বর ঐতিহাসিক জাতীয় বিপ্লব ও সংহতি দিবস, দেশপ্রেমিক সৈনিক ও জনতার ঐক্যবদ্ধ প্রচেষ্টার লড়াইয়ের মধ্য দিয়ে সেদিন স্বাধীনতার ঘোষক জিয়াউর রহমানকে মুক্ত করে নতুন করে বাংলাদেশের স্বাধীনতাকে ফিরিয়ে এনেছিল। বিপ্লবের সফলতার সিঁড়ি বেয়েই আমরা বহুদলীয় গণতন্ত্র এবং অর্থনৈতিক মুক্তির পথ পেয়েছি। আইনের শাসন, বাক, ব্যক্তি ও সংবাদপত্রের স্বাধীনতা ফিরে এসেছিল।

তিনি আরো বলেন, ৭ নভেম্বর শুধু দিবস নয় এটা ছিল বাংলাদেশের মানুষের ১৯৭১ সালে যে যুদ্ধ করেছিল সেই যুদ্ধের পরবর্তীতে স্বাধীনতা সার্বভৌমত্বকে সুসংগত করবার জন্য বাংলাদেশের শত্রুদের বিরুদ্ধে স্বাধীনতার মূলমন্ত্রে উজ্জীবিত হয়ে দেশ রক্ষা করার শপথ। এর ধারাবাহিকতায় জিয়াউর রহমান ভয়াবহ একদলীয় শাসন ব্যবস্থাকে পরিবর্তন করে দেশে বহুদলীয় গণতন্ত্র প্রতিষ্ঠা করেছিলেন। আধুনিক বাংলাদেশ গড়ে তুলতে মুক্তবাজার অর্থনীতি শুরু হয়েছিল, একই সঙ্গে তার দেওয়া বাংলাদেশি জাতীয়তাবাদের দর্শন জাতিকে ঐক্যবদ্ধ করেছিল।

মির্জা ফখরুল বলেন, হারিয়ে যাওয়া গণতন্ত্র, বাংলাদেশ ও অর্থনীতিকে রক্ষা করতে আজকে গোটা বাংলাদেশ ঐক্যবদ্ধ হয়ে লড়াই করছি। আমরা সেই লড়াই করছি খালেদা জিয়াকে মুক্ত করতে এবং সুদূরে নির্বাসিত অবস্থায় থেকে এই দেশে গণতন্ত্র প্রতিষ্ঠা করতে নেতৃত্ব দিচ্ছেন দলের ভারপ্রাপ্ত চেয়ারম্যান তারেক রহমান, তাকে দেশে ফিরিয়ে আনতে। সামগ্রিক অর্থে গণতন্ত্র ও ভোটাধিকার ফিরে পাওয়া, বেঁচে থাকার অধিকারকে ফিরে পাওয়া, মুক্ত সমাজ অর্থনীতি, একটা সুখী সমৃদ্ধ অর্থনীতি গড়ে তোলার জন্যই আজকে লড়াই করছি। আজকের এই দিনের শপথ হচ্ছে এই যে লড়াই, তাকে আমরা চূড়ান্ত পর্যায়ে নিয়ে যাব এবং বেগম খালেদা জিয়াকে মুক্ত করব, তারেক রহমানকে দেশে ফিরিয়ে আনব এবং দেশের মানুষকে মুক্ত করে সত্যিকার অর্থে একটা গণতান্ত্রিক রাষ্ট্র প্রতিষ্ঠা করব।

এদিকে, সকাল ১১টায় দলটির স্থায়ী কমিটির সদস্য খন্দকার মোশাররফ হোসেন, মির্জা আব্বাস, আবদুল মঈন খান, নজরুল ইসলাম খান, আমীর খসরু মাহমুদ চৌধুরী, ইকবাল হাসান মাহমুদ টুকুকে নিয়ে শেরে বাংলা নগরে বিএনপির প্রতিষ্ঠাতা জিয়াউর রহমানের কবরে পুস্পস্তবক অর্পণ করেন মহাসচিব মির্জা ফখরুল ইসলাম আলমগীর।

এ সময় আরো উপস্থিত ছিলেন বিএনপির কেন্দ্রীয় নেতা আমানউল্লাহ আমান, আবদুস সালাম, অধ্যাপক ডা. ফরহাদ হালিম ডোনার, রুহুল কবির রিজভী, খায়রুল কবির খোকন, ফজলুল হক মিলন, মীর সরফত আলী সপু, মীর নেওয়াজ আলী নেওয়াজ, কৃষিবিদ গোলাম হাফিজ কেনেডি, শামীমুর রহমান শামীম, আমিনুল হক, আমিনুল ইসলাম প্রমুখ।

 

নিউজটি শেয়ার করুন

আমরা গণতন্ত্রকে মুক্ত করব, দেশনেত্রীকে মুক্ত করব : মির্জা ফখরুল

আপডেট সময় : ০৩:২৪:৪৩ অপরাহ্ন, সোমবার, ৭ নভেম্বর ২০২২

নিজস্ব প্রতিবেদক : 
আজকে আমাদের শপথ হচ্ছে আমরা গণতন্ত্র ফিরিয়ে আনার যে লড়াই করছি- সেই লড়াইকে চূড়ান্ত পর্যায়ে নিয়ে যাব। আমরা গণতন্ত্রকে মুক্ত করব, দেশনেত্রীকে মুক্ত করব। সেইসঙ্গে সমগ্র দেশের মানুষকে মুক্ত করে একটা সত্যিকার অর্থে গণতান্ত্রিক রাষ্ট্র ও গণতান্ত্রিক সমাজ প্রতিষ্ঠা করব বলে জানান বিএনপি মহাসচিব মির্জা ফখরুল ইসলাম আলমগীর।

সোমবার (৭ নভেম্বর) সকাল ১১টার দিকে ‘জাতীয় বিপ্লব ও সংহতি দিবস’ উপলক্ষে জিয়াউর রহমানের কবরে শ্রদ্ধা জানানো শেষে তিনি এসব কথা বলেন।

৭ নভেম্বরকে ‘জাতীয় বিপ্লব ও সংহতি দিবস’ হিসেবে পালন করে বিএনপি। আর আওয়ামী লীগ ‘মুক্তিযোদ্ধা সৈনিক হত্যা দিবস’ এবং জাসদ ‘সিপাহী-জনতার অভ্যুত্থান দিবস’ হিসেবে পালন করে।

বিএনপি মহাসচিব বলেন, আমরা আজও বাংলাদেশের হারিয়ে যাওয়া গণতন্ত্র ও বাংলাদেশকে ফিরে পাওয়ার জন্য এবং অর্থনীতিকে টিকিয়ে রাখার জন্য লড়াই করছি। দেশনেত্রী খালেদা জিয়ার মুক্তি ও দেশনায়ক তারেক রহমানকে দেশে ফিরিয়ে আনা এবং ৩৫ লাখ নেতাকর্মীর মামলা থেকে মুক্তি ও সমৃদ্ধ অর্থনীতির জন্য লড়াই করছি। এ লড়াইকে আমরা আরও এগিয়ে নেব। আজকের দিনে আমাদের শপথ— দেশনেত্রীকে মুক্তি, তারেক রহমানকে ফিরিয়ে আনব। দেশের মানুষের ভোটাধিকার ফিরিয়ে আনব। এবং একটি গণতান্ত্রিক বাংলাদেশ প্রতিষ্ঠা করব।

তিনি বলেন, ৭ নভেম্বর ঐতিহাসিক জাতীয় বিপ্লব ও সংহতি দিবস, দেশপ্রেমিক সৈনিক ও জনতার ঐক্যবদ্ধ প্রচেষ্টার লড়াইয়ের মধ্য দিয়ে সেদিন স্বাধীনতার ঘোষক জিয়াউর রহমানকে মুক্ত করে নতুন করে বাংলাদেশের স্বাধীনতাকে ফিরিয়ে এনেছিল। বিপ্লবের সফলতার সিঁড়ি বেয়েই আমরা বহুদলীয় গণতন্ত্র এবং অর্থনৈতিক মুক্তির পথ পেয়েছি। আইনের শাসন, বাক, ব্যক্তি ও সংবাদপত্রের স্বাধীনতা ফিরে এসেছিল।

তিনি আরো বলেন, ৭ নভেম্বর শুধু দিবস নয় এটা ছিল বাংলাদেশের মানুষের ১৯৭১ সালে যে যুদ্ধ করেছিল সেই যুদ্ধের পরবর্তীতে স্বাধীনতা সার্বভৌমত্বকে সুসংগত করবার জন্য বাংলাদেশের শত্রুদের বিরুদ্ধে স্বাধীনতার মূলমন্ত্রে উজ্জীবিত হয়ে দেশ রক্ষা করার শপথ। এর ধারাবাহিকতায় জিয়াউর রহমান ভয়াবহ একদলীয় শাসন ব্যবস্থাকে পরিবর্তন করে দেশে বহুদলীয় গণতন্ত্র প্রতিষ্ঠা করেছিলেন। আধুনিক বাংলাদেশ গড়ে তুলতে মুক্তবাজার অর্থনীতি শুরু হয়েছিল, একই সঙ্গে তার দেওয়া বাংলাদেশি জাতীয়তাবাদের দর্শন জাতিকে ঐক্যবদ্ধ করেছিল।

মির্জা ফখরুল বলেন, হারিয়ে যাওয়া গণতন্ত্র, বাংলাদেশ ও অর্থনীতিকে রক্ষা করতে আজকে গোটা বাংলাদেশ ঐক্যবদ্ধ হয়ে লড়াই করছি। আমরা সেই লড়াই করছি খালেদা জিয়াকে মুক্ত করতে এবং সুদূরে নির্বাসিত অবস্থায় থেকে এই দেশে গণতন্ত্র প্রতিষ্ঠা করতে নেতৃত্ব দিচ্ছেন দলের ভারপ্রাপ্ত চেয়ারম্যান তারেক রহমান, তাকে দেশে ফিরিয়ে আনতে। সামগ্রিক অর্থে গণতন্ত্র ও ভোটাধিকার ফিরে পাওয়া, বেঁচে থাকার অধিকারকে ফিরে পাওয়া, মুক্ত সমাজ অর্থনীতি, একটা সুখী সমৃদ্ধ অর্থনীতি গড়ে তোলার জন্যই আজকে লড়াই করছি। আজকের এই দিনের শপথ হচ্ছে এই যে লড়াই, তাকে আমরা চূড়ান্ত পর্যায়ে নিয়ে যাব এবং বেগম খালেদা জিয়াকে মুক্ত করব, তারেক রহমানকে দেশে ফিরিয়ে আনব এবং দেশের মানুষকে মুক্ত করে সত্যিকার অর্থে একটা গণতান্ত্রিক রাষ্ট্র প্রতিষ্ঠা করব।

এদিকে, সকাল ১১টায় দলটির স্থায়ী কমিটির সদস্য খন্দকার মোশাররফ হোসেন, মির্জা আব্বাস, আবদুল মঈন খান, নজরুল ইসলাম খান, আমীর খসরু মাহমুদ চৌধুরী, ইকবাল হাসান মাহমুদ টুকুকে নিয়ে শেরে বাংলা নগরে বিএনপির প্রতিষ্ঠাতা জিয়াউর রহমানের কবরে পুস্পস্তবক অর্পণ করেন মহাসচিব মির্জা ফখরুল ইসলাম আলমগীর।

এ সময় আরো উপস্থিত ছিলেন বিএনপির কেন্দ্রীয় নেতা আমানউল্লাহ আমান, আবদুস সালাম, অধ্যাপক ডা. ফরহাদ হালিম ডোনার, রুহুল কবির রিজভী, খায়রুল কবির খোকন, ফজলুল হক মিলন, মীর সরফত আলী সপু, মীর নেওয়াজ আলী নেওয়াজ, কৃষিবিদ গোলাম হাফিজ কেনেডি, শামীমুর রহমান শামীম, আমিনুল হক, আমিনুল ইসলাম প্রমুখ।