আমতলীর দলিলের বালাম ১৯০১-১৯৯২ সাল পর্যন্ত আজো বরগুনা জেলায় পৌঁছেনি
- আপডেট সময় : ০৪:২৮:৫৬ অপরাহ্ন, মঙ্গলবার, ২৮ মার্চ ২০২৩
- / ৪৪২ বার পড়া হয়েছে
মো: কামাল হোসেন তালুকদার, বরগুনাঃ পটুয়াখালী জেলা রেজিষ্ট্রার অফিসের অসাধু কর্মকর্তা-কর্মচারীদের ষড়যন্ত্রে আমতলীর দলিলের বালাম বই ও থাম বই আজো বরগুনা জেলা অফিসে এসে পৌঁছেনি। আমতলী ও তালতলীবাসী চরম ভোগান্তির মধ্যে রয়েছে।
বৃটিশ আমলে আমতলীতে ভূমি রেজিস্ট্রার অফিস প্রতিষ্ঠা হয়। তখন থেকে ভূমি রেজিষ্ট্রেশনের দলিলপত্র বালামভুক্ত হয়ে বালাম ও থাম বই তৎকালীন জেলা সদর বরিশাল জেলা রেজিষ্ট্রার অফিসে প্রেরিত এবং সেখানে বালামসমূহ সংরক্ষিত হত। পটুয়াখালী জেলা সৃষ্টি হলে স্বাভাবিক নিয়মেই বরিশাল থেকে আমতলী, বরগুনাসহ দলিলপত্রের বালামসমূহ পটুয়াখালী জেলা রেজিস্ট্রার অফিসে প্রেরণ করা হয়। বরগুনা জেলা হওয়ার পূর্ব পর্যন্ত আমতলীবাসী তাদের রেজিষ্ট্রিকৃত দলিলপত্রের সইমোহর পটুয়াখালী জেলা রেজিস্ট্রার অফিস থেকে উত্তোলন করত। কিন্তু ১৯৮৪ ইং সনে বরগুনায় জেলা সৃষ্টি হলেও পটুয়াখালী জেলা রেজিস্ট্রার অফিস থেকে স্বাভাবিক নিয়মে আমতলীর সকল দলিলের বালাম ও থাম বই বরগুনা জেলা রেজিস্ট্রার অফিসে প্রেরণ করা হয়নি। ১৯০১ সাল থেকে ১৯৯২ সাল পর্যন্ত দীর্ঘ প্রায় শতাব্দিকালের দলিলের বালাম ও থাম বই পটুয়াখালী জেলা রেজিস্ট্রার অফিসে সংরক্ষিত নয়, অরক্ষিত অবস্থায় যত্রতত্র ছড়িয়ে ছিটিয়ে রয়েছে। যে ভবনে বালাম বইগুলো অরক্ষিত অবস্থায় রয়েছে, সেই ভবনটি ব্রিটিশ আমলের নির্মিত। বাইরে থেকে দেখলে মনে হয় যেন ‘ভুতুরেবাড়ি’। দেয়ালে ফাটল, দেয়াল ও ছাদের প্লাস্টার খসে পড়ে রড বেড়িয়ে পড়েছে। আর্দ্রতায় ছেয়ে গেছে পুরো ভবন। যে কোন সময় ধসে পড়ে দুর্ঘটনা ঘটতে পারে। এই পরিবেশে মেঝেতে অরক্ষিত অবস্থায় ফেলে রাখা হয়েছে বালামগুলো। বালামের পাতা ছেঁড়ার অভিযোগ আছে অসাধু কর্মচারিদের বিরুদ্ধে। অসৎ কোন লোকের কাছ থেকে মোটা অংকের উৎকোচ গ্রহণ করে বালামের পাতা ছিঁড়ে ফেলে। বালামের পাতা ছেঁড়ার কারণে অসাধু কর্মচারীদের বিরুদ্ধে ফৌজদারী মামলাও চলমান রয়েছে পটুয়াখালী থানায়। পটুয়াখালী জেলা রেজিস্ট্রার অফিসে রক্ষিত বালাম বই বরগুনা জেলা রেজিস্ট্রার অফিসে প্রেরণের উর্ধ্বতন কর্তৃপক্ষের নির্দেশনা থাকা সত্বেও পটুয়াখালীর অসাধু কর্মকর্তা-কর্মচারীরা তা বানচাল করার উদ্দেশ্যে পটুয়াখালী জজ আদালত থেকে আদেশের বিরুদ্ধে হাইকোর্টে স্থগিতাদেশ জারী করান। এর মূল উদ্দেশ্য হচ্ছে আমতলী-তালতলীর জনসাধারণকে খদ্দের হিসেবে আজীবন ধরে রাখা। তাদের কাছ থেকে মোটা অংকের টাকা নিয়ে সইমোহর প্রদান করার সুযোগ হাতছাড়া না করা।
বরগুনা জেলা রেজিষ্ট্রার মো: সেরাজুল করিম, জানান, আমি আপনাকে পরে রিং দিয়ে জানাবো। আবার গতকাল ২৭ মার্চ রিং দিলে তিনি মোবাইল রিসিভ করেন না।
পটুয়াখালী জেলা রেজিষ্ট্রার মো: কামাল হোসেন জানান, আমি যতটুকু জানি হাইকোর্টে এস্ট্রে আছে। যদি রায় হয়ে থাকে তাহলে আমাকে কপি দিলে তাড়াতাড়ি পাঠিয়ে দিব।
বা/খ : এসআর।