ঢাকা ০৯:০৮ পূর্বাহ্ন, শনিবার, ২০ এপ্রিল ২০২৪, ৭ বৈশাখ ১৪৩১ বঙ্গাব্দ
বাংলা বাংলা English English हिन्दी हिन्दी

আবারও কাজীপুরে বৈদ্যুতিক মিটার চুরি, চিরকুটে বিকাশ নম্বর

প্রতিনিধির নাম
  • আপডেট সময় : ০৭:০৬:৩২ অপরাহ্ন, রবিবার, ২০ নভেম্বর ২০২২
  • / ৪৫৭ বার পড়া হয়েছে
বাংলা খবর বিডি অনলাইনের সর্বশেষ নিউজ পেতে অনুসরণ করুন গুগল নিউজ (Google News) ফিডটি
কাজীপুর (সিরাজগঞ্জ) প্রতিনিধিঃ
‘ভাই, এটা কোন কাজ করলেন! দুই তিন বছরের মধ্যে তো আমাদের মিটার চুরি করার কথা ছিল না। আগের বার যখন ৫ হাজার করে টাকা নিয়ে মিটার ফেরত দিলেন তখন তো এমনই কথা দিয়েছিলেন। উত্তরে মোবাইল ফোনের অপর প্রান্ত থেকে চোরচক্রের একজন বলছেন, ভাই ভুলে আপনাদেরটা নিয়ে এসেছে। পাঠিয়েছিলাম অন্য জায়গায়। ১৫ হাজার টাকা পাঠান ফেরত দিয়ে দেব।’
গত শুক্রবার দিবাগত রাতে সিরাজগঞ্জের কাজীপুরের হরিনাথপুর গ্রাম থেকে ৫টি বৈদ্যুতিক মিটার চুরি করে যোগাযোগ (০১৮৭৮৯৮৬৭০৯)ও টাকা পরিশোধের জন্য বিকাশ নম্বর (০১৭৩০০৬৮৮২৭) রেখে গেছেন চোরচক্র। ওই নম্বরে যোগাযোগ করেন মিটারের মালিক উপজেলা চালকল মালিক সমিতির সাধারণ সম্পাদক আব্দুর রাজ্জাক।ওপরের ওই কথোপকথনটিই ছিল চোর ও মিটার মালকের।
জানা গেছে, গত শুক্রবার দিবাগত রাতে সোনামুখী ইউনিয়নের হরিনাথপুর উত্তরপাড়ার একই জায়গা থেকে ৫টি বৈদ্যুতিক মিটার চুরি হয়। এগুলোর মধ্যে কাজীপুর উপজেলা চালকল মালিক সমিতির সাধারণ সম্পাদক আব্দুর রাজ্জাকের চালকলের ২টি,  শাহাদত হোসেন রাজের ১টি, রুবেল মিয়ার ১টি ও অন্যটি বরেন্দ্র বহুমুখী সেচ প্রকল্পের। মিটারগুলো লোহার খাঁচা দিয়ে আটকানো ছিল। ওই খাঁচা ভেঙে চুরি করে মিটার। চুরি করে সেখানে একটি যোগাযোগের নম্বর ও টাকা পরিশোধের জন্য বিকাশ নম্বর রেখে যান চোরচক্র। এর আগে চলতি বছরের জানুয়ারিতেও ওই মিটারগুলোই একই কায়দায় চুরি করেছিল চোরচক্র। তখন মিটার প্রতি ৫ হাজার টাকা দিয়ে ফেরত নিয়েছিলেন তারা।
চালকল মালিক সমিতির সাধারণ সম্পাদক আব্দুর রাজ্জাক বলেন, শনিবার সকালে শ্রমিকরা চালকলে গিয়ে দেখেন মিটার নাই। একটি কাগজে মোবাইল নম্বর লিখে রেখে গেছে। এর আগেও আমাদের মিটার চুরি করেছিল চোরচক্র। তখন মিটার প্রতি ৫ হাজার টাকা দিয়ে ফেরত নিয়েছিলাম।
তিনি আরও বলেন, প্রতিটা মিটারের দাম ২০ থেকে ২৫ হাজার টাকা। দশ হাজার টাকায় মিটিয়েছি। সবগুলো মিটারই ফেরত দেবে। তাছাড়া বিদ্যুৎ অফিস থেকে নতুন মিটার কিনতে হবে। থানায় অভিযোগ দেয়ার প্রস্তুতি চলছে।
কাজীপুর থানার ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তা (ওসি) শ্যামল কুমার দত্ত জানান, শুনেছি মিটার চুরি হয়েছে। এখন পর্যন্ত কেউ অভিযোগ করেননি। অভিযোগ পেলে ব্যবস্থা নেব।

নিউজটি শেয়ার করুন

আবারও কাজীপুরে বৈদ্যুতিক মিটার চুরি, চিরকুটে বিকাশ নম্বর

আপডেট সময় : ০৭:০৬:৩২ অপরাহ্ন, রবিবার, ২০ নভেম্বর ২০২২
কাজীপুর (সিরাজগঞ্জ) প্রতিনিধিঃ
‘ভাই, এটা কোন কাজ করলেন! দুই তিন বছরের মধ্যে তো আমাদের মিটার চুরি করার কথা ছিল না। আগের বার যখন ৫ হাজার করে টাকা নিয়ে মিটার ফেরত দিলেন তখন তো এমনই কথা দিয়েছিলেন। উত্তরে মোবাইল ফোনের অপর প্রান্ত থেকে চোরচক্রের একজন বলছেন, ভাই ভুলে আপনাদেরটা নিয়ে এসেছে। পাঠিয়েছিলাম অন্য জায়গায়। ১৫ হাজার টাকা পাঠান ফেরত দিয়ে দেব।’
গত শুক্রবার দিবাগত রাতে সিরাজগঞ্জের কাজীপুরের হরিনাথপুর গ্রাম থেকে ৫টি বৈদ্যুতিক মিটার চুরি করে যোগাযোগ (০১৮৭৮৯৮৬৭০৯)ও টাকা পরিশোধের জন্য বিকাশ নম্বর (০১৭৩০০৬৮৮২৭) রেখে গেছেন চোরচক্র। ওই নম্বরে যোগাযোগ করেন মিটারের মালিক উপজেলা চালকল মালিক সমিতির সাধারণ সম্পাদক আব্দুর রাজ্জাক।ওপরের ওই কথোপকথনটিই ছিল চোর ও মিটার মালকের।
জানা গেছে, গত শুক্রবার দিবাগত রাতে সোনামুখী ইউনিয়নের হরিনাথপুর উত্তরপাড়ার একই জায়গা থেকে ৫টি বৈদ্যুতিক মিটার চুরি হয়। এগুলোর মধ্যে কাজীপুর উপজেলা চালকল মালিক সমিতির সাধারণ সম্পাদক আব্দুর রাজ্জাকের চালকলের ২টি,  শাহাদত হোসেন রাজের ১টি, রুবেল মিয়ার ১টি ও অন্যটি বরেন্দ্র বহুমুখী সেচ প্রকল্পের। মিটারগুলো লোহার খাঁচা দিয়ে আটকানো ছিল। ওই খাঁচা ভেঙে চুরি করে মিটার। চুরি করে সেখানে একটি যোগাযোগের নম্বর ও টাকা পরিশোধের জন্য বিকাশ নম্বর রেখে যান চোরচক্র। এর আগে চলতি বছরের জানুয়ারিতেও ওই মিটারগুলোই একই কায়দায় চুরি করেছিল চোরচক্র। তখন মিটার প্রতি ৫ হাজার টাকা দিয়ে ফেরত নিয়েছিলেন তারা।
চালকল মালিক সমিতির সাধারণ সম্পাদক আব্দুর রাজ্জাক বলেন, শনিবার সকালে শ্রমিকরা চালকলে গিয়ে দেখেন মিটার নাই। একটি কাগজে মোবাইল নম্বর লিখে রেখে গেছে। এর আগেও আমাদের মিটার চুরি করেছিল চোরচক্র। তখন মিটার প্রতি ৫ হাজার টাকা দিয়ে ফেরত নিয়েছিলাম।
তিনি আরও বলেন, প্রতিটা মিটারের দাম ২০ থেকে ২৫ হাজার টাকা। দশ হাজার টাকায় মিটিয়েছি। সবগুলো মিটারই ফেরত দেবে। তাছাড়া বিদ্যুৎ অফিস থেকে নতুন মিটার কিনতে হবে। থানায় অভিযোগ দেয়ার প্রস্তুতি চলছে।
কাজীপুর থানার ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তা (ওসি) শ্যামল কুমার দত্ত জানান, শুনেছি মিটার চুরি হয়েছে। এখন পর্যন্ত কেউ অভিযোগ করেননি। অভিযোগ পেলে ব্যবস্থা নেব।