ঢাকা ০৭:৪৪ অপরাহ্ন, মঙ্গলবার, ২৩ এপ্রিল ২০২৪, ১০ বৈশাখ ১৪৩১ বঙ্গাব্দ
বাংলা বাংলা English English हिन्दी हिन्दी

আজ ৮ মে গলাচিপার চিকনিকান্দি গনহত্যা দিবস 

প্রতিনিধির নাম
  • আপডেট সময় : ০৭:৫৪:৪৪ অপরাহ্ন, সোমবার, ৮ মে ২০২৩
  • / ৪৫৪ বার পড়া হয়েছে
বাংলা খবর বিডি অনলাইনের সর্বশেষ নিউজ পেতে অনুসরণ করুন গুগল নিউজ (Google News) ফিডটি
মোঃ মাজহারুল ইসলাম মলি, গলাচিপা (পটুয়াখালী) প্রতিনিধি :
৮ মে আসলেই গুমড়ে কেঁদে ওঠে চিকনিকান্দি ইউনিয়নের সুতাবাড়িয়া গ্রামের মানুষ। এই দিন পাক হানাদার বাহিনীর নির্মম হত্যাকাণ্ডের শিকার হয়েছিল ৩৩ জন নিরীহ মানুষ। আহত হয়েছে অসংখ্য নারী পুরুষ। যার ক্ষত চিহ্ন নিয়ে এখনো ঘুরে বেড়াচ্ছেন। লাঞ্ছনা আর নির্মমতার শিকার হয়েছেন গ্রামের প্রায় সবাই। কিন্তু স্বাধীনতার অর্ধ শতাব্দী অতিক্রম করলেও আজ পর্যন্ত এ এলাকায় গণহত্যার শিকার বীরদের জন্য কোন স্মৃতিস্তম্ভ স্থাপন করা হয়নি। জীর্ণশির্ণ পুকুর পাড়ে মাটির ইট দিয়ে তৈরি করা ‘মঠ’ এ শ্রদ্ধা নিবেদন  করা হয় দিবসটি এলে। এর পর আর কেউ খবর রাখেন না বলে অভিযোগ এলাকাবাসীর। তবে গত ২০২১ সালের ফেব্রুয়ারি পটুয়াখালী-৩ আসনের সংসদ সদস্য এসএম শাহজাদা মুক্তিযুদ্ধ বিষয়ক মন্ত্রণালয়ের মন্ত্রীকে সুতাবাড়িয়া এলাকায় গণহত্যায় নিহত শহিদদের স্মৃতি রক্ষার জন্য একটি ডিও লেটার দেন। মন্ত্রণালয় থেকে এ বছর কাজ হওয়ার আশ্বাস প্রদান করেছেন বলে এমপি শাহাজাদা নিশ্চিত করেন।
সূত্র জানায়, গলাচিপার চিকনিকান্দির উত্তর সুতাবাড়িয়া গ্রামে ১৯৭১ সালে দেশ স্বাধীন করার লক্ষে পাক হানাদার বাহিনীর সাথে যুদ্ধ করে লক্ষ বাঙ্গালী প্রাণ দিয়েছে। পাক হানাদার ও তাদের দোসরদের নির্মমতা থেকে রক্ষা পায়নি উপকূলীয় গলাচিপার চিকনিকান্দি ইউয়িনের সুতাবাড়িয়া গ্রামের নারী পুরুষরাও। স্বাধীনতার অর্ধশতাব্দি পরেও সেই নির্মমতার চিহ্ন ধরে রাখতে আজ পর্যন্ত গড়ে ওঠেনি কোন নির্দশন বা স্মৃতিস্তম্ভ। ক্ষয়ে যাওয়া মাটির ঢিবিতে ফুল দিয়ে শ্রদ্ধা জানানো হয় গণহত্যায় নিহতদের স্মরণে। সম্প্রতি স্থানীয় সংসদ সদস্য এসএম শাহজাদা সুতাবাড়িয়া গ্রামে স্মৃতিস্তম্ভ স্থাপনের জন্য মুক্তিযুদ্ধ বিষয়ক মন্ত্রণালয়ে ডিও লেটার দিলেও আজ পর্যন্ত তা আলোর মুখ দেখেনি। এ নিয়ে একলাকবাসীদের মধ্যে ক্ষোভের সৃষ্টি হয়েছে।
চিকনিকান্দির সুতাবাড়িয়া গ্রামবাসী সূত্রে জানা গেছে, ১৯৭১ সালে জাতির জনক বঙ্গবন্ধু শেখ মুজিবুর রহমানের ডাকে বাংলাদেশকে স্বাধীন  করার লক্ষে পাক হানাদার বাহিনীর সাথে যুদ্ধ করে লক্ষ বাঙ্গালী প্রাণ দিয়েছে। এসময় পাক হানাদার বাহিনী ও তাদের দোসর আলসাম, রাজাকাররা নিরীহ সাধারণ নারী পুরুষকে নির্বিচারে হত্যা করে মালামাল লুট করে নিয়ে যায়। সম্ভ্রমহানি করে অগনিত নারী-যুবতীদের। উত্তর সুতাবাড়িয়া গলাচিপা উপজেলাসদর থেকে প্রায় ১০ কিমি উত্তর পূর্বে চিকনিকান্দি ইউনিয়নের অন্তর্গত চিকনিকান্দি বাজার থেকে ২ কিলোমিটার উত্তর পূর্ব দিকে অবস্থিত হিন্দু অধ্যুষিত একটি বর্ধিষ্ণু গ্রাম। তৎকালীন সময়ে গ্রামটিতে প্রায় ৪০০ হিন্দু পরিবার বসবাস করতো। তেঁতুলিয়া নদীর শাখা নদী গোপালদী নদীর কোল ঘেঁষে অবস্থিত এ গ্রামে প্রায় দুই শত বছরের পুরাতন একটি মন্দির রয়েছে যা দয়াময়ী দেবীর মন্দির নামে পরিচিত। ১২০৮ বঙ্গাব্দে জমিদার ভবানীশংকর সেন দয়াময়ী দেবীর মন্দিরটি প্রতিষ্ঠা করেন।
সুতাবাড়িয়া গ্রামে গণহত্যা সম্পর্কে অবনলী ভূষণ শীল বলেন, ‘ তখনকার ঘটনা আমার স্পষ্ট মনে আছে। ওই হত্যাকাণ্ডে ৩৩ জন শহিদের সঙ্গে আমি আমার বাবা, মা ও শিশু বোনকে হারিয়েছি। সেদিন ছিলো ৮ মে ১৯৭১ রোজ শুক্রবার। ওই দিন সকাল ১১ টায় বৃষ্টি হয়েছিলো। আনুমানিক সকাল সাড়ে ১০ টার দিকে পাকিস্তানি বাহিনীর ২০-২৫ সদস্যের একটি দল গানবোট নিয়ে চিকনিকান্দি বন্দরে আসে। বৃষ্টির ঠিক পর পরই স্থানীয় একজন মুসলিমলীগ নেতা ও কতিপয় দোসরদের সহায়তায় পাকিস্তানি বাহিনী  রাস্তা ধরে সরাসরি উত্তর সুতাবাড়িয়ার দিকে অগ্রসর হয়। দলের পিছনে থাকা বাহিনীর একটি অংশ হঠাৎ করে রাস্তার দু’পাশে অবস্থিত বাড়িগুলো লক্ষ্য করে গুলি চালায়। গুলির শব্দ পেয়ে গ্রামের সকল মানুষ রাস্তার উত্তর দিকে ধান ক্ষেতের দিকে অগ্রসর হয় এবং প্রবল খড় স্রোতা মৌজা খালের মধ্যে আশ্রয় নেয়ার জন্য পালানোর চেষ্টা করছিলো। কিন্তু পলায়নরত নারী-পুরুষ শিশু বৃদ্ধ সকলকে সেখানেই গুলি করে হত্যা করা হয়। এছাড়া তারা বাড়ি ঘরে আগুন ধরিয়ে দেয়।’
হত্যাকাণ্ডের নির্মমতা বোঝাতে সত্য রঞ্জন দাসের ছেলে তাপস চন্দ্র দাস (৪৫) বলেন, ‘আমি আমার জ্যাঠা মশায়ের (মনরঞ্জন দাস যার বয়স এখন ৯০ বছর। তার ছেলে নীলরঞ্জন দাস ওরফে নিলু দাস শহিদ হন) কাছ থেকে শুনেছি আমার বাড়ির পাশে যখন পাকিস্তানি হানাদার বাহিনী আক্রমন চালায় তখন পালিয়ে থাকা এক মায়ের শিশুর কান্না শুনে পাকিস্তানি বাহিনী তাঁকেসহ ৫ জনকে খুঁজে বের করে তাদেরকে এক সাথে গুলি চলিয়ে হত্যা করে।’
অতর্কিত হামলায় স্থানীয় বাসিন্দাসহ পার্শ্ববর্তী চিকনিকান্দি, ডাকুয়া, মাঝগ্রাম, গলাচিপা ও পটুয়াখালী থেকে আশ্রয় নিতে আসা কয়েকজন ব্যক্তিও হত্যাকাণ্ডের শিকার হন। ওই দিন হত্যাকাণ্ডের পর পাক বাহিনী এলাকা ছেড়ে চলে যায়। কিন্তু আজ পর্যন্ত সে হত্যাকাণ্ডের দাগ মুছেনি।
এ প্রসঙ্গে সংসদ সদস্য এসএম শাহজাদা বলেন, আগামী  কয়েক মাসের মধ্যে সুতাবাড়িয়া গ্রামে শহিদদের স্মৃতি ধরে রাখার জন্য বিভিন্ন কর্মসূচি নেওয়া হয়েছে। স্মৃতি স্তম্ভের জন্য নকশা তৈরি করা হয়েছে, যা বাস্তবায়নের জন্য স্থানীয় ও সরকারিভাবে কাজ চলছে।
বা/খ: জই

নিউজটি শেয়ার করুন

আজ ৮ মে গলাচিপার চিকনিকান্দি গনহত্যা দিবস 

আপডেট সময় : ০৭:৫৪:৪৪ অপরাহ্ন, সোমবার, ৮ মে ২০২৩
মোঃ মাজহারুল ইসলাম মলি, গলাচিপা (পটুয়াখালী) প্রতিনিধি :
৮ মে আসলেই গুমড়ে কেঁদে ওঠে চিকনিকান্দি ইউনিয়নের সুতাবাড়িয়া গ্রামের মানুষ। এই দিন পাক হানাদার বাহিনীর নির্মম হত্যাকাণ্ডের শিকার হয়েছিল ৩৩ জন নিরীহ মানুষ। আহত হয়েছে অসংখ্য নারী পুরুষ। যার ক্ষত চিহ্ন নিয়ে এখনো ঘুরে বেড়াচ্ছেন। লাঞ্ছনা আর নির্মমতার শিকার হয়েছেন গ্রামের প্রায় সবাই। কিন্তু স্বাধীনতার অর্ধ শতাব্দী অতিক্রম করলেও আজ পর্যন্ত এ এলাকায় গণহত্যার শিকার বীরদের জন্য কোন স্মৃতিস্তম্ভ স্থাপন করা হয়নি। জীর্ণশির্ণ পুকুর পাড়ে মাটির ইট দিয়ে তৈরি করা ‘মঠ’ এ শ্রদ্ধা নিবেদন  করা হয় দিবসটি এলে। এর পর আর কেউ খবর রাখেন না বলে অভিযোগ এলাকাবাসীর। তবে গত ২০২১ সালের ফেব্রুয়ারি পটুয়াখালী-৩ আসনের সংসদ সদস্য এসএম শাহজাদা মুক্তিযুদ্ধ বিষয়ক মন্ত্রণালয়ের মন্ত্রীকে সুতাবাড়িয়া এলাকায় গণহত্যায় নিহত শহিদদের স্মৃতি রক্ষার জন্য একটি ডিও লেটার দেন। মন্ত্রণালয় থেকে এ বছর কাজ হওয়ার আশ্বাস প্রদান করেছেন বলে এমপি শাহাজাদা নিশ্চিত করেন।
সূত্র জানায়, গলাচিপার চিকনিকান্দির উত্তর সুতাবাড়িয়া গ্রামে ১৯৭১ সালে দেশ স্বাধীন করার লক্ষে পাক হানাদার বাহিনীর সাথে যুদ্ধ করে লক্ষ বাঙ্গালী প্রাণ দিয়েছে। পাক হানাদার ও তাদের দোসরদের নির্মমতা থেকে রক্ষা পায়নি উপকূলীয় গলাচিপার চিকনিকান্দি ইউয়িনের সুতাবাড়িয়া গ্রামের নারী পুরুষরাও। স্বাধীনতার অর্ধশতাব্দি পরেও সেই নির্মমতার চিহ্ন ধরে রাখতে আজ পর্যন্ত গড়ে ওঠেনি কোন নির্দশন বা স্মৃতিস্তম্ভ। ক্ষয়ে যাওয়া মাটির ঢিবিতে ফুল দিয়ে শ্রদ্ধা জানানো হয় গণহত্যায় নিহতদের স্মরণে। সম্প্রতি স্থানীয় সংসদ সদস্য এসএম শাহজাদা সুতাবাড়িয়া গ্রামে স্মৃতিস্তম্ভ স্থাপনের জন্য মুক্তিযুদ্ধ বিষয়ক মন্ত্রণালয়ে ডিও লেটার দিলেও আজ পর্যন্ত তা আলোর মুখ দেখেনি। এ নিয়ে একলাকবাসীদের মধ্যে ক্ষোভের সৃষ্টি হয়েছে।
চিকনিকান্দির সুতাবাড়িয়া গ্রামবাসী সূত্রে জানা গেছে, ১৯৭১ সালে জাতির জনক বঙ্গবন্ধু শেখ মুজিবুর রহমানের ডাকে বাংলাদেশকে স্বাধীন  করার লক্ষে পাক হানাদার বাহিনীর সাথে যুদ্ধ করে লক্ষ বাঙ্গালী প্রাণ দিয়েছে। এসময় পাক হানাদার বাহিনী ও তাদের দোসর আলসাম, রাজাকাররা নিরীহ সাধারণ নারী পুরুষকে নির্বিচারে হত্যা করে মালামাল লুট করে নিয়ে যায়। সম্ভ্রমহানি করে অগনিত নারী-যুবতীদের। উত্তর সুতাবাড়িয়া গলাচিপা উপজেলাসদর থেকে প্রায় ১০ কিমি উত্তর পূর্বে চিকনিকান্দি ইউনিয়নের অন্তর্গত চিকনিকান্দি বাজার থেকে ২ কিলোমিটার উত্তর পূর্ব দিকে অবস্থিত হিন্দু অধ্যুষিত একটি বর্ধিষ্ণু গ্রাম। তৎকালীন সময়ে গ্রামটিতে প্রায় ৪০০ হিন্দু পরিবার বসবাস করতো। তেঁতুলিয়া নদীর শাখা নদী গোপালদী নদীর কোল ঘেঁষে অবস্থিত এ গ্রামে প্রায় দুই শত বছরের পুরাতন একটি মন্দির রয়েছে যা দয়াময়ী দেবীর মন্দির নামে পরিচিত। ১২০৮ বঙ্গাব্দে জমিদার ভবানীশংকর সেন দয়াময়ী দেবীর মন্দিরটি প্রতিষ্ঠা করেন।
সুতাবাড়িয়া গ্রামে গণহত্যা সম্পর্কে অবনলী ভূষণ শীল বলেন, ‘ তখনকার ঘটনা আমার স্পষ্ট মনে আছে। ওই হত্যাকাণ্ডে ৩৩ জন শহিদের সঙ্গে আমি আমার বাবা, মা ও শিশু বোনকে হারিয়েছি। সেদিন ছিলো ৮ মে ১৯৭১ রোজ শুক্রবার। ওই দিন সকাল ১১ টায় বৃষ্টি হয়েছিলো। আনুমানিক সকাল সাড়ে ১০ টার দিকে পাকিস্তানি বাহিনীর ২০-২৫ সদস্যের একটি দল গানবোট নিয়ে চিকনিকান্দি বন্দরে আসে। বৃষ্টির ঠিক পর পরই স্থানীয় একজন মুসলিমলীগ নেতা ও কতিপয় দোসরদের সহায়তায় পাকিস্তানি বাহিনী  রাস্তা ধরে সরাসরি উত্তর সুতাবাড়িয়ার দিকে অগ্রসর হয়। দলের পিছনে থাকা বাহিনীর একটি অংশ হঠাৎ করে রাস্তার দু’পাশে অবস্থিত বাড়িগুলো লক্ষ্য করে গুলি চালায়। গুলির শব্দ পেয়ে গ্রামের সকল মানুষ রাস্তার উত্তর দিকে ধান ক্ষেতের দিকে অগ্রসর হয় এবং প্রবল খড় স্রোতা মৌজা খালের মধ্যে আশ্রয় নেয়ার জন্য পালানোর চেষ্টা করছিলো। কিন্তু পলায়নরত নারী-পুরুষ শিশু বৃদ্ধ সকলকে সেখানেই গুলি করে হত্যা করা হয়। এছাড়া তারা বাড়ি ঘরে আগুন ধরিয়ে দেয়।’
হত্যাকাণ্ডের নির্মমতা বোঝাতে সত্য রঞ্জন দাসের ছেলে তাপস চন্দ্র দাস (৪৫) বলেন, ‘আমি আমার জ্যাঠা মশায়ের (মনরঞ্জন দাস যার বয়স এখন ৯০ বছর। তার ছেলে নীলরঞ্জন দাস ওরফে নিলু দাস শহিদ হন) কাছ থেকে শুনেছি আমার বাড়ির পাশে যখন পাকিস্তানি হানাদার বাহিনী আক্রমন চালায় তখন পালিয়ে থাকা এক মায়ের শিশুর কান্না শুনে পাকিস্তানি বাহিনী তাঁকেসহ ৫ জনকে খুঁজে বের করে তাদেরকে এক সাথে গুলি চলিয়ে হত্যা করে।’
অতর্কিত হামলায় স্থানীয় বাসিন্দাসহ পার্শ্ববর্তী চিকনিকান্দি, ডাকুয়া, মাঝগ্রাম, গলাচিপা ও পটুয়াখালী থেকে আশ্রয় নিতে আসা কয়েকজন ব্যক্তিও হত্যাকাণ্ডের শিকার হন। ওই দিন হত্যাকাণ্ডের পর পাক বাহিনী এলাকা ছেড়ে চলে যায়। কিন্তু আজ পর্যন্ত সে হত্যাকাণ্ডের দাগ মুছেনি।
এ প্রসঙ্গে সংসদ সদস্য এসএম শাহজাদা বলেন, আগামী  কয়েক মাসের মধ্যে সুতাবাড়িয়া গ্রামে শহিদদের স্মৃতি ধরে রাখার জন্য বিভিন্ন কর্মসূচি নেওয়া হয়েছে। স্মৃতি স্তম্ভের জন্য নকশা তৈরি করা হয়েছে, যা বাস্তবায়নের জন্য স্থানীয় ও সরকারিভাবে কাজ চলছে।
বা/খ: জই