ঢাকা ০১:১২ অপরাহ্ন, শুক্রবার, ২৯ মার্চ ২০২৪, ১৫ চৈত্র ১৪৩০ বঙ্গাব্দ
বাংলা বাংলা English English हिन्दी हिन्दी
আজকের সেহরি ও ইফতার ::
ঢাকায় সেহেরি ৪:৩৩ মি. ইফতার ৬:১৭ মি.:: চট্টগ্রামে সেহেরি ৪:২৮ মি. ইফতার ৬:১১ মি. :: রাজশাহীতে সেহেরি ৪:৩৯ মি. ইফতার ৬:২৪ মি. :: খুলনায় সেহেরি ৪:৩৭ মি. ইফতার ৬:২০ মি. :: বরিশালে সেহেরি ৪:৩৪ মি. ইফতার ৬:১৭ মি. :: সিলেটে সেহেরি ৪:২৬ মি. ইফতার ৬:১১ মি. :: রংপুরে সেহেরি ৪:৩৭ মি. ইফতার ৬:২২ মি. :: ময়মনসিংহে সেহেরি ৪:৩২ মি. ইফতার ৬:১৭ মি. ::::

আজকের মিল্ক ভিটা সুদূরপ্রসারী উদ্যোগের ফসল : প্রধানমন্ত্রী

প্রতিনিধির নাম
  • আপডেট সময় : ০৯:৩৩:৪৬ অপরাহ্ন, শুক্রবার, ৪ নভেম্বর ২০২২
  • / ৪৩৯ বার পড়া হয়েছে
বাংলা খবর বিডি অনলাইনের সর্বশেষ নিউজ পেতে অনুসরণ করুন গুগল নিউজ (Google News) ফিডটি

নিজস্ব প্রতিবেদক : 

দেশের বিশাল জনগোষ্ঠীকে স্বাবলম্বী করতে সমবায় আন্দোলন অবদান রাখছে। পাশাপাশি সরকারের লক্ষ্য পূরণে জাতীয় অর্থনীতিতে অগ্রণী ভূমিকা রাখছে বলে মন্তব্য করেছেন প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনা।

তিনি বলেন, ২০৩০ সালের মধ্যে জাতিসংঘ ঘোষিত টেকসই উন্নয়নের লক্ষ্যমাত্রা অর্জন এবং ২০৪১ সালের মধ্যে উন্নত বাংলাদেশ গড়ে তোলার জন্য সমবায় আন্দোলন সব শ্রেণির মানুষের সমতাভিত্তিক উন্নয়ন ঘটিয়ে আমাদের সরকারের লক্ষ্য পূরণে অগ্রণী ভূমিকা রাখবে।

বৃহস্পতিবার (৪ নভেম্বর) জাতীয় সমবায় দিবস উপলক্ষে দেয়া এক বাণীতে এসব কথা বলেন প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনা।

বঙ্গবন্ধুর দর্শন, সমবায়ে উন্নয়ন প্রতিপাদ্যকে সামনে রেখে বিভিন্ন কর্মসূচির মধ্য দিয়ে শনিবার (৫ নভেম্বর) সারা দেশে যথাযোগ্য মর্যাদায় ৫১তম ‘জাতীয় সমবায় দিবস’ পালিত হবে। বিষয়টিতে সন্তোষ প্রকাশ করে শেখ হাসিনা এ উপলক্ষে দেশের সব সমবায়ী ও সমবায়বান্ধব জনগণকে আন্তরিক শুভেচ্ছা ও অভিনন্দন জানান।

তিনি বলেন, জাতির পিতা বঙ্গবন্ধু শেখ মুজিবুর রহমান সংবিধানের ১৩(খ) অনুচ্ছেদে সমবায়কে সম্পদের মালিকানার দ্বিতীয় খাত হিসেবে স্বীকৃতি দিয়েছিলেন এবং সমবায়কে গণমুখী আন্দোলনে পরিণত করার ডাক দিয়েছিলেন। শুধু তাই নয়, তিনি দেশের জনগণের পুষ্টি চাহিদা পূরণের লক্ষ্যে দরিদ্র, ভূমিহীন, নিম্নবিত্ত দুগ্ধ উৎপাদনকারীদের স্বার্থ সংরক্ষণপূর্বক তাদেরকে সমবায়ের মাধ্যমে সুসংগঠিত করতে ১৯৭৩ সালে ‘সমবায় দুগ্ধ প্রকল্প’ নামে একটি দুগ্ধ শিল্প উন্নয়ন প্রকল্প গ্রহণ করে পাঁচটি দুগ্ধ উৎপাদনকারী এলাকায় দুগ্ধ প্রক্রিয়াজাতকরণ কারখানা স্থাপন করেন। আজকের মিল্ক ভিটা তারই সুদূরপ্রসারী উদ্যোগের ফসল।

প্রধানমন্ত্রী উল্লেখ করেন, জাতির পিতার পদাঙ্ক অনুসরণ করে আওয়ামী লীগ সরকার সমবায়ের মাধ্যমে দারিদ্র্য বিমোচনের সঙ্গে পল্লী উন্নয়নে নিবিড়ভাবে কাজ করে যাচ্ছে।

২০০৯ সালে সরকার গঠনের পর ‘আমার বাড়ি, আমার খামার প্রকল্প’ গ্রহণ করার কথা স্মরণ করিয়ে দিয়ে তিনি বলেন, ‘এ প্রকল্পের আওতায় পল্লী সঞ্চয় ব্যাংক প্রতিষ্ঠা করি, যেখানে মোট ১ লাখ ২০ হাজার ১৩৮টি সক্রিয় গ্রাম উন্নয়ন সমিতি গঠন করা হয়েছে এবং যার উপকারভোগী সক্রিয় সদস্য সংখ্যা প্রায় সাড়ে ৫২ লাখ।’

প্রধানমন্ত্রী বলেন, গ্রামের সাধারণ মানুষের আয় বৃদ্ধি, কর্মসংস্থান সৃষ্টি, অবকাঠামো উন্নয়নের মাধ্যমে উন্নত গ্রামীণ জীবনযাপনের সুযোগ সৃষ্টি এবং গ্রাম থেকে শহরমুখী জনস্রোত কমাতে প্রাথমিকভাবে দেশের নয়টি জেলার দশটি গ্রামে ‘বঙ্গবন্ধুর গণমুখী সমবায় ভাবনার আলোকে বঙ্গবন্ধু মডেল গ্রাম প্রতিষ্ঠা পাইলট প্রকল্প’ গ্রহণ করা হয়েছে। তাছাড়া দুগ্ধ উৎপাদন ও দুগ্ধ শিল্পের প্রসারে ‘দুগ্ধ  ঘাটতি উপজেলায় দুগ্ধ সমবায়ের কার্যক্রম সম্প্রসারণ’ প্রকল্প গ্রহণ করা হয়েছে।

তিনি সমবায় আন্দোলন জোরদার হওয়ার পাশপাশি ৫১তম জাতীয় সমবায় দিবস উপলক্ষে গৃহীত সব কর্মসূচির সর্বাঙ্গীন সাফল্য কামনা করেন। ।

The short URL of the present article is: https://banglakhaborbd.com/jjza

নিউজটি শেয়ার করুন

আজকের মিল্ক ভিটা সুদূরপ্রসারী উদ্যোগের ফসল : প্রধানমন্ত্রী

আপডেট সময় : ০৯:৩৩:৪৬ অপরাহ্ন, শুক্রবার, ৪ নভেম্বর ২০২২

নিজস্ব প্রতিবেদক : 

দেশের বিশাল জনগোষ্ঠীকে স্বাবলম্বী করতে সমবায় আন্দোলন অবদান রাখছে। পাশাপাশি সরকারের লক্ষ্য পূরণে জাতীয় অর্থনীতিতে অগ্রণী ভূমিকা রাখছে বলে মন্তব্য করেছেন প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনা।

তিনি বলেন, ২০৩০ সালের মধ্যে জাতিসংঘ ঘোষিত টেকসই উন্নয়নের লক্ষ্যমাত্রা অর্জন এবং ২০৪১ সালের মধ্যে উন্নত বাংলাদেশ গড়ে তোলার জন্য সমবায় আন্দোলন সব শ্রেণির মানুষের সমতাভিত্তিক উন্নয়ন ঘটিয়ে আমাদের সরকারের লক্ষ্য পূরণে অগ্রণী ভূমিকা রাখবে।

বৃহস্পতিবার (৪ নভেম্বর) জাতীয় সমবায় দিবস উপলক্ষে দেয়া এক বাণীতে এসব কথা বলেন প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনা।

বঙ্গবন্ধুর দর্শন, সমবায়ে উন্নয়ন প্রতিপাদ্যকে সামনে রেখে বিভিন্ন কর্মসূচির মধ্য দিয়ে শনিবার (৫ নভেম্বর) সারা দেশে যথাযোগ্য মর্যাদায় ৫১তম ‘জাতীয় সমবায় দিবস’ পালিত হবে। বিষয়টিতে সন্তোষ প্রকাশ করে শেখ হাসিনা এ উপলক্ষে দেশের সব সমবায়ী ও সমবায়বান্ধব জনগণকে আন্তরিক শুভেচ্ছা ও অভিনন্দন জানান।

তিনি বলেন, জাতির পিতা বঙ্গবন্ধু শেখ মুজিবুর রহমান সংবিধানের ১৩(খ) অনুচ্ছেদে সমবায়কে সম্পদের মালিকানার দ্বিতীয় খাত হিসেবে স্বীকৃতি দিয়েছিলেন এবং সমবায়কে গণমুখী আন্দোলনে পরিণত করার ডাক দিয়েছিলেন। শুধু তাই নয়, তিনি দেশের জনগণের পুষ্টি চাহিদা পূরণের লক্ষ্যে দরিদ্র, ভূমিহীন, নিম্নবিত্ত দুগ্ধ উৎপাদনকারীদের স্বার্থ সংরক্ষণপূর্বক তাদেরকে সমবায়ের মাধ্যমে সুসংগঠিত করতে ১৯৭৩ সালে ‘সমবায় দুগ্ধ প্রকল্প’ নামে একটি দুগ্ধ শিল্প উন্নয়ন প্রকল্প গ্রহণ করে পাঁচটি দুগ্ধ উৎপাদনকারী এলাকায় দুগ্ধ প্রক্রিয়াজাতকরণ কারখানা স্থাপন করেন। আজকের মিল্ক ভিটা তারই সুদূরপ্রসারী উদ্যোগের ফসল।

প্রধানমন্ত্রী উল্লেখ করেন, জাতির পিতার পদাঙ্ক অনুসরণ করে আওয়ামী লীগ সরকার সমবায়ের মাধ্যমে দারিদ্র্য বিমোচনের সঙ্গে পল্লী উন্নয়নে নিবিড়ভাবে কাজ করে যাচ্ছে।

২০০৯ সালে সরকার গঠনের পর ‘আমার বাড়ি, আমার খামার প্রকল্প’ গ্রহণ করার কথা স্মরণ করিয়ে দিয়ে তিনি বলেন, ‘এ প্রকল্পের আওতায় পল্লী সঞ্চয় ব্যাংক প্রতিষ্ঠা করি, যেখানে মোট ১ লাখ ২০ হাজার ১৩৮টি সক্রিয় গ্রাম উন্নয়ন সমিতি গঠন করা হয়েছে এবং যার উপকারভোগী সক্রিয় সদস্য সংখ্যা প্রায় সাড়ে ৫২ লাখ।’

প্রধানমন্ত্রী বলেন, গ্রামের সাধারণ মানুষের আয় বৃদ্ধি, কর্মসংস্থান সৃষ্টি, অবকাঠামো উন্নয়নের মাধ্যমে উন্নত গ্রামীণ জীবনযাপনের সুযোগ সৃষ্টি এবং গ্রাম থেকে শহরমুখী জনস্রোত কমাতে প্রাথমিকভাবে দেশের নয়টি জেলার দশটি গ্রামে ‘বঙ্গবন্ধুর গণমুখী সমবায় ভাবনার আলোকে বঙ্গবন্ধু মডেল গ্রাম প্রতিষ্ঠা পাইলট প্রকল্প’ গ্রহণ করা হয়েছে। তাছাড়া দুগ্ধ উৎপাদন ও দুগ্ধ শিল্পের প্রসারে ‘দুগ্ধ  ঘাটতি উপজেলায় দুগ্ধ সমবায়ের কার্যক্রম সম্প্রসারণ’ প্রকল্প গ্রহণ করা হয়েছে।

তিনি সমবায় আন্দোলন জোরদার হওয়ার পাশপাশি ৫১তম জাতীয় সমবায় দিবস উপলক্ষে গৃহীত সব কর্মসূচির সর্বাঙ্গীন সাফল্য কামনা করেন। ।

The short URL of the present article is: https://banglakhaborbd.com/jjza