ঢাকা ০৪:৪৯ অপরাহ্ন, শনিবার, ২০ এপ্রিল ২০২৪, ৭ বৈশাখ ১৪৩১ বঙ্গাব্দ
বাংলা বাংলা English English हिन्दी हिन्दी

অসহায় পরিবারের পাশে দাঁড়ালেন পাবনা পুলিশ সুপার

প্রতিনিধির নাম
  • আপডেট সময় : ১২:১৭:৩৮ অপরাহ্ন, বৃহস্পতিবার, ১ ডিসেম্বর ২০২২
  • / ৪৩৭ বার পড়া হয়েছে
বাংলা খবর বিডি অনলাইনের সর্বশেষ নিউজ পেতে অনুসরণ করুন গুগল নিউজ (Google News) ফিডটি

আল এহসান হক মাসুক, পাবনা প্রতিনিধি :

সড়ক দুর্ঘটনায় একমাত্র উপার্জনক্ষম মানুষটিকে হারিয়ে অসহায় হয়ে পড়েছিল পরিবারটি। মানবেতর জীবন-যাপন করা পরিবারটির পাশে দাড়িয়ে মানবতার উজ্জল দৃষ্টান্ত স্থাপন করলেন পাবনা পুলিশ সুপার আকবর আলী মুন্সী। জেলা পুলিশের পক্ষ থেকে পরিবারটিকে একটি নতুন অটোরিকশা ও নগদ টাকা সহায়তা প্রদান করা হয়েছে।

গতকাল বুধবার (৩০ শে নভেম্বর) জেলা পুলিশ সুপারের কার্যালয়ে পরিবারের সদস্যদের কাছে অটোরিক্সা এবং নগত ৪৫ হাজার টাকা তুলে দেন পুলিশ সুপার আকবর আলী মুনসী। এ সময় অতিরিক্ত পুলিশ সুপার (অপরাধ) মাসুদ আলম , অতিরিক্ত পুলিশ সুপার ( প্রশাসন অর্থ) , লিমনের স্ত্রী আফসানা বেগম , বোন নাজমুস সাবা খুশরু , মা জীবন নাহার বেগমসহ জেলা পুলিশের উধ্বর্তন কর্মকর্তা ও পরিবারের সদস্যরা উপস্থিত ছিলেন।

পুলিশের পক্ষ থেকে জানানো হয় , গত ২৮ সেপ্টেম্বর সিএনজি অটোরিক্সা লিয়ে হেমায়েতপুর এলাকায় বের হন লিমন। রাত ১ টার দিকে শাহাদিয়ার নামক স্থানে খড়ি বোঝাই একটি ট্রলি সিএনজি অটোরিকশাকে ধাক্কা দিলে ঘটনাস্থলেই চালক শাহেদ আল মাহমুদ লিমন (২৫) নিহত হন। লিমন ছিলেন তার পরিবারের একমাত্র উর্পাজনক্ষম ব্যাক্তি। বাবা প্যারালাইসিস রোগী সেই সাথে ২ বছরের শিশু সুজন সন্তান নিয়ে লিমনের পরিবারের তার স্ত্রী এবং মা চরম দূর্দশাগ্রস্থ জীবন যাপন করছেন। অর্থনৈতিক দিক দিয়ে তার পরিবার খুব অস্বচ্ছল। বিষয়টি পুলিশ সুপারের নজরে আসলে তিনি মানবিক দিক বিবেচনা করে পরিবারটির পাশে দাড়ানোর উদ্যেগ গ্রহণ করেন। এবং তার আন্তরিক চেষ্টায় ও উদ্যেগে লিমনের পরিবারের সদস্যদের মাঝে একটি অটোরিক্সা ও নগদ ৪৫ হাজার টাকা হস্তান্তর করেন। এ ছাড়াও দূর্ঘটনার পতিত ব্যাপক ক্ষতিগ্রস্থা সিএনজি মেরামতের জন্য পুলিশ সুপার আশ^াস প্রদান করেন। যাতে করে সিএনজি ও অটোরিক্সা ভাড়া দিয়ে লিমনের পরিবার স্বচ্ছলভাবে চলতে পারে।

পুলিশ সুপারের প্রতি কৃতজ্ঞতা প্রকাশ করে লিমনে স্ত্রী আফসানা বেগম বলেন , আমার শশুর-শাশুড়ি ও আমার ২ বছরের অসহায় মেয়ের দিক তাকিয়ে এসপি স্যার যে উপকার আমাদের করলেন তা কোন দিন ভুলবোনা । আমরা দোয়া করি স্যার যেন এভাবে আরও অনেক মানুষের পাশে থাকতে পারেন। আল্লাহ স্যারকে অসহায় মানুষের পাশের দাড়ানোর তৌফিক দান করেন। সুস্থ হায়াত দান করেন। পুলিশ সুপার আকবর আলী মুনসী বলেন , যে চলে গেছেন তাকে তোর আর ফিরানো সম্ভব নয় কিন্তু তার চলে যাওয়াতে সে পরিবারটি খুবই অসহায় হয়ে পড়েছে। তাদের পাশে দাড়ানোর সুযোগ রয়েছে। আমরা দেখলাম পরিবারটি খুবই অসহায়। লিমনই একমাত্র উপার্জন সক্ষম ব্যাক্তি ছিলো। সেজন্য আমরা এই উদ্যোগ গ্রহণ করি। যাতে অসহায় বাবা-মা ও তার স্ত্রী অন্তত দুমোঠো খাবার খেয়ের বেঁচে থাকতে পারে।

নিউজটি শেয়ার করুন

অসহায় পরিবারের পাশে দাঁড়ালেন পাবনা পুলিশ সুপার

আপডেট সময় : ১২:১৭:৩৮ অপরাহ্ন, বৃহস্পতিবার, ১ ডিসেম্বর ২০২২

আল এহসান হক মাসুক, পাবনা প্রতিনিধি :

সড়ক দুর্ঘটনায় একমাত্র উপার্জনক্ষম মানুষটিকে হারিয়ে অসহায় হয়ে পড়েছিল পরিবারটি। মানবেতর জীবন-যাপন করা পরিবারটির পাশে দাড়িয়ে মানবতার উজ্জল দৃষ্টান্ত স্থাপন করলেন পাবনা পুলিশ সুপার আকবর আলী মুন্সী। জেলা পুলিশের পক্ষ থেকে পরিবারটিকে একটি নতুন অটোরিকশা ও নগদ টাকা সহায়তা প্রদান করা হয়েছে।

গতকাল বুধবার (৩০ শে নভেম্বর) জেলা পুলিশ সুপারের কার্যালয়ে পরিবারের সদস্যদের কাছে অটোরিক্সা এবং নগত ৪৫ হাজার টাকা তুলে দেন পুলিশ সুপার আকবর আলী মুনসী। এ সময় অতিরিক্ত পুলিশ সুপার (অপরাধ) মাসুদ আলম , অতিরিক্ত পুলিশ সুপার ( প্রশাসন অর্থ) , লিমনের স্ত্রী আফসানা বেগম , বোন নাজমুস সাবা খুশরু , মা জীবন নাহার বেগমসহ জেলা পুলিশের উধ্বর্তন কর্মকর্তা ও পরিবারের সদস্যরা উপস্থিত ছিলেন।

পুলিশের পক্ষ থেকে জানানো হয় , গত ২৮ সেপ্টেম্বর সিএনজি অটোরিক্সা লিয়ে হেমায়েতপুর এলাকায় বের হন লিমন। রাত ১ টার দিকে শাহাদিয়ার নামক স্থানে খড়ি বোঝাই একটি ট্রলি সিএনজি অটোরিকশাকে ধাক্কা দিলে ঘটনাস্থলেই চালক শাহেদ আল মাহমুদ লিমন (২৫) নিহত হন। লিমন ছিলেন তার পরিবারের একমাত্র উর্পাজনক্ষম ব্যাক্তি। বাবা প্যারালাইসিস রোগী সেই সাথে ২ বছরের শিশু সুজন সন্তান নিয়ে লিমনের পরিবারের তার স্ত্রী এবং মা চরম দূর্দশাগ্রস্থ জীবন যাপন করছেন। অর্থনৈতিক দিক দিয়ে তার পরিবার খুব অস্বচ্ছল। বিষয়টি পুলিশ সুপারের নজরে আসলে তিনি মানবিক দিক বিবেচনা করে পরিবারটির পাশে দাড়ানোর উদ্যেগ গ্রহণ করেন। এবং তার আন্তরিক চেষ্টায় ও উদ্যেগে লিমনের পরিবারের সদস্যদের মাঝে একটি অটোরিক্সা ও নগদ ৪৫ হাজার টাকা হস্তান্তর করেন। এ ছাড়াও দূর্ঘটনার পতিত ব্যাপক ক্ষতিগ্রস্থা সিএনজি মেরামতের জন্য পুলিশ সুপার আশ^াস প্রদান করেন। যাতে করে সিএনজি ও অটোরিক্সা ভাড়া দিয়ে লিমনের পরিবার স্বচ্ছলভাবে চলতে পারে।

পুলিশ সুপারের প্রতি কৃতজ্ঞতা প্রকাশ করে লিমনে স্ত্রী আফসানা বেগম বলেন , আমার শশুর-শাশুড়ি ও আমার ২ বছরের অসহায় মেয়ের দিক তাকিয়ে এসপি স্যার যে উপকার আমাদের করলেন তা কোন দিন ভুলবোনা । আমরা দোয়া করি স্যার যেন এভাবে আরও অনেক মানুষের পাশে থাকতে পারেন। আল্লাহ স্যারকে অসহায় মানুষের পাশের দাড়ানোর তৌফিক দান করেন। সুস্থ হায়াত দান করেন। পুলিশ সুপার আকবর আলী মুনসী বলেন , যে চলে গেছেন তাকে তোর আর ফিরানো সম্ভব নয় কিন্তু তার চলে যাওয়াতে সে পরিবারটি খুবই অসহায় হয়ে পড়েছে। তাদের পাশে দাড়ানোর সুযোগ রয়েছে। আমরা দেখলাম পরিবারটি খুবই অসহায়। লিমনই একমাত্র উপার্জন সক্ষম ব্যাক্তি ছিলো। সেজন্য আমরা এই উদ্যোগ গ্রহণ করি। যাতে অসহায় বাবা-মা ও তার স্ত্রী অন্তত দুমোঠো খাবার খেয়ের বেঁচে থাকতে পারে।