ঢাকা ০৯:৪৪ অপরাহ্ন, বৃহস্পতিবার, ২৫ এপ্রিল ২০২৪, ১২ বৈশাখ ১৪৩১ বঙ্গাব্দ
বাংলা বাংলা English English हिन्दी हिन्दी

অসম্ভবকে সম্ভব করাই বাঙালির চরিত্র : প্রধানমন্ত্রী

প্রতিনিধির নাম
  • আপডেট সময় : ০১:১২:৪৭ অপরাহ্ন, সোমবার, ৫ ডিসেম্বর ২০২২
  • / ৪৩৩ বার পড়া হয়েছে
বাংলা খবর বিডি অনলাইনের সর্বশেষ নিউজ পেতে অনুসরণ করুন গুগল নিউজ (Google News) ফিডটি

নিজস্ব প্রতিবেদক : 
অসম্ভবকে সম্ভব করাই বাঙালির চরিত্র উল্লেখ করে প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনা বলেন, সন্ত্রাস, উগ্রবাদ-জঙ্গিবাদ, মাদক ও দুর্নীতি থেকে দেশকে মুক্ত রেখে আত্মসামাজিকভাবে উন্নতি করাই আমাদের লক্ষ্য।

সোমবার (৫ ডিসেম্বর) সকালে রাজধানীর মিরপুরে ন্যাশনাল ডিফেন্স কোর্স- ২০২২ ও আর্মড ফোর্সেস ওয়ার কোর্স -২০২২ এর গ্রাজুয়েশন সেরেমনি অনুষ্ঠানে প্রধান অতিথির বক্তব্যে তিনি এসব কথা বলেন।

পদ্মা সেতুর দুর্নীতি প্রসঙ্গে শেখ হাসিনা বলেন, আমার ও আমার পরিবারের সবার বিরুদ্ধে পদ্মা সেতু নিয়ে অনেক অপবাদ দেয়ার চেষ্টা হয়েছিল। কিন্তু প্রমাণিত হয়েছে এখানে কোনো দুর্নীতি হয়নি। যখন আমরা সিদ্ধান্ত নিয়েছিলাম নিজের অর্থে পদ্মা সেতু করব, তখন অনেকে বলেছে এটা কখনও সম্ভব না। অনেক দেশের সরকারপ্রধানের সঙ্গে যখন আলোচনা করেছি, তারাও বলেছেন, এটা সম্ভব না। অসম্ভবকে সম্ভব করাই বাঙালির চরিত্র। এটা আমরা করতে পারব, আমরা করেছি।

শেখ হাসিনা বলেন, আমরা কারও সঙ্গে যুদ্ধ চাই না, শান্তি চাই। বঙ্গবন্ধু আমাদের একটা প্রতিরক্ষা নীতিমালা দিয়ে গেছেন; সেখানে বলা আছে সবার সঙ্গে বন্ধুত্ব কারও সঙ্গে বৈরিতা নয়। বাংলাদেশ একটি মাত্র দেশ পৃথিবীতে, যে দেশ প্রতিটি দেশের সঙ্গে সম্পর্ক রেখে চলেছে এবং আমরা তা ধরে রাখতে পেরেছি। আমরা সেভাবেই এগিয়ে যাচ্ছি; কারণ যুদ্ধ চাই না, আমরা শান্তি চাই।

বিভিন্ন রাজনৈতিক দলের সমালোচনা করে প্রধানমন্ত্রী বলেন, যখনই বাংলাদেশ এগিয়ে যায় তখনই একটি মহল বিভ্রান্তি ছড়ানোর অপচেষ্টা করে।

গুজব ছড়িয়ে মানুষকে ভয়ভীতি দেখিয়ে বিভ্রান্ত করছে একটি মহল বলে জানিয়েছেন প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনা বলেন, দেশ যখন শান্তিপূর্ণভাবে সামনের দিকে এগিয়ে যাচ্ছে, তখন কিছু মানুষ তা পছন্দ করছে না। দেশকে এগিয়ে নিতে কাজ করছে সরকার, অন্যথায় স্বাধীনতার চেতনা ধরে রাখা যেতো না। জঙ্গিবাদ ও দুর্নীতি থেকে বাংলাদেশকে মুক্ত রেখে এগিয়ে যেতে হবে।

প্রধানমন্ত্রী বলেন, ডিজিটাল বাংলাদেশ করা নিয়ে নির্বাচনী ইশতেহারে ঘোষণা দিয়েছিলাম। তখনও অনেকে মুচকি হেসেছিল। আজকে ডিজিটাল বাংলাদেশ সারা বিশ্বের কাছে একটা দৃষ্টান্ত। আজ গ্রামে বসে ছেলে-মেয়েরা ফ্রিল্যান্সিং করে ডলার আয় করে। এই সুযোগটা আমরা করে দিয়েছি।

অত্যন্ত দক্ষতার সঙ্গে আমাদের সশস্ত্র বাহিনী বিশ্ব দরবারে কাজ করে যাচ্ছে জানিয়ে শেখ হাসিনা বলেন, ফোর্সেস গোল ২০৩০ সালে বাংলাদেশ সশস্ত্র বাহিনীর আধুনিকায়নের জন্য সরকার একটি দীর্ঘমেয়াদি পরিকল্পনা গ্রহণ করেছে। সে অনুসারে সরকার কাজ করে যাচ্ছে। এ পরিকল্পনার মধ্যে রয়েছে সশস্ত্র বাহিনীর আকার বৃদ্ধি, আধুনিক যুদ্ধ সরঞ্জাম সংগ্রহ ও সর্বোচ্চ পর্যায়ের প্রশিক্ষণ প্রদান, যা বর্তমান সরকার বাস্তবায়ন করে যাচ্ছে। এছাড়াও আমরা জাতীয় প্রতিরক্ষা আইন ২০১৮ উন্নয়ন করেছি।

শেখ হাসিনা বলেন, জাতির পিতা ১৯৭৪ সালে আমাদের সমুদ্রসীমা আইন করে কিন্তু জাতিসংঘ করে ’৮২ সালে। আমাদের ল্যান্ড বাউন্ডারি, অর্থাৎ বাংলাদেশের যে ভূখণ্ডের অধিকার রয়েছে সেই আইনটাও কিন্তু জাতির পিতা করে দিয়েছিলেন। সেই মোতাবেক সংবিধান ঠিক করে দিয়ে যান। ভারতের সঙ্গে ছিটমহলের বিষয়ে কথা হয়। কিন্তু দুভার্গ্যের বিষয়, মাঝখানে যারা ক্ষমতায় ছিল তারা কেউ কোনো উদ্যোগ নেয়নি। আওয়ামী লীগ ক্ষমতা এসে উদ্যোগ নেয়। আজকে আমরা ভারতের সঙ্গে ছিটমহলগুলো অত্যন্ত শান্তিপূর্ণভাবে বিনিময় করতে পেরেছি। আমাদের যে ভূখণ্ড, আমাদের যে সীমারেখা তা ঠিক করতে পেরেছি। এখন আমরা সীমান্ত সড়কও নির্মাণ করছি।

সরকারপ্রধান বলেন, আজকের বাংলাদেশ উন্নয়নশীল দেশের মর্যাদা পেয়েছে। এটা সম্ভব হয়েছে গণতান্ত্রিক ধারা অব্যাহত আছে বলেই। আমরা সরকার গঠন করার পর থেকে আমাদের আর্থসামাজিক উন্নয়নের দিকে দৃষ্টি দিয়েছি।

আওয়ামী লীগ সভাপতি বলেন, যে কোনো বিপদে, দুর্যোগে আমাদের সশস্ত্র বাহিনী সব সময় মানুষের পাশে দাঁড়ায়। মানুষের আস্থা-বিশ্বাস তারা অর্জন করেছে। বিদেশের শান্তিরক্ষা মিশনেও অত্যন্ত দক্ষতার সাথে ভূমিকা রাখছে আমাদের সশস্ত্রবাহিনী। আমাদের মেয়েরা জাতিসংঘে প্রসংশা পাচ্ছে।

নিউজটি শেয়ার করুন

অসম্ভবকে সম্ভব করাই বাঙালির চরিত্র : প্রধানমন্ত্রী

আপডেট সময় : ০১:১২:৪৭ অপরাহ্ন, সোমবার, ৫ ডিসেম্বর ২০২২

নিজস্ব প্রতিবেদক : 
অসম্ভবকে সম্ভব করাই বাঙালির চরিত্র উল্লেখ করে প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনা বলেন, সন্ত্রাস, উগ্রবাদ-জঙ্গিবাদ, মাদক ও দুর্নীতি থেকে দেশকে মুক্ত রেখে আত্মসামাজিকভাবে উন্নতি করাই আমাদের লক্ষ্য।

সোমবার (৫ ডিসেম্বর) সকালে রাজধানীর মিরপুরে ন্যাশনাল ডিফেন্স কোর্স- ২০২২ ও আর্মড ফোর্সেস ওয়ার কোর্স -২০২২ এর গ্রাজুয়েশন সেরেমনি অনুষ্ঠানে প্রধান অতিথির বক্তব্যে তিনি এসব কথা বলেন।

পদ্মা সেতুর দুর্নীতি প্রসঙ্গে শেখ হাসিনা বলেন, আমার ও আমার পরিবারের সবার বিরুদ্ধে পদ্মা সেতু নিয়ে অনেক অপবাদ দেয়ার চেষ্টা হয়েছিল। কিন্তু প্রমাণিত হয়েছে এখানে কোনো দুর্নীতি হয়নি। যখন আমরা সিদ্ধান্ত নিয়েছিলাম নিজের অর্থে পদ্মা সেতু করব, তখন অনেকে বলেছে এটা কখনও সম্ভব না। অনেক দেশের সরকারপ্রধানের সঙ্গে যখন আলোচনা করেছি, তারাও বলেছেন, এটা সম্ভব না। অসম্ভবকে সম্ভব করাই বাঙালির চরিত্র। এটা আমরা করতে পারব, আমরা করেছি।

শেখ হাসিনা বলেন, আমরা কারও সঙ্গে যুদ্ধ চাই না, শান্তি চাই। বঙ্গবন্ধু আমাদের একটা প্রতিরক্ষা নীতিমালা দিয়ে গেছেন; সেখানে বলা আছে সবার সঙ্গে বন্ধুত্ব কারও সঙ্গে বৈরিতা নয়। বাংলাদেশ একটি মাত্র দেশ পৃথিবীতে, যে দেশ প্রতিটি দেশের সঙ্গে সম্পর্ক রেখে চলেছে এবং আমরা তা ধরে রাখতে পেরেছি। আমরা সেভাবেই এগিয়ে যাচ্ছি; কারণ যুদ্ধ চাই না, আমরা শান্তি চাই।

বিভিন্ন রাজনৈতিক দলের সমালোচনা করে প্রধানমন্ত্রী বলেন, যখনই বাংলাদেশ এগিয়ে যায় তখনই একটি মহল বিভ্রান্তি ছড়ানোর অপচেষ্টা করে।

গুজব ছড়িয়ে মানুষকে ভয়ভীতি দেখিয়ে বিভ্রান্ত করছে একটি মহল বলে জানিয়েছেন প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনা বলেন, দেশ যখন শান্তিপূর্ণভাবে সামনের দিকে এগিয়ে যাচ্ছে, তখন কিছু মানুষ তা পছন্দ করছে না। দেশকে এগিয়ে নিতে কাজ করছে সরকার, অন্যথায় স্বাধীনতার চেতনা ধরে রাখা যেতো না। জঙ্গিবাদ ও দুর্নীতি থেকে বাংলাদেশকে মুক্ত রেখে এগিয়ে যেতে হবে।

প্রধানমন্ত্রী বলেন, ডিজিটাল বাংলাদেশ করা নিয়ে নির্বাচনী ইশতেহারে ঘোষণা দিয়েছিলাম। তখনও অনেকে মুচকি হেসেছিল। আজকে ডিজিটাল বাংলাদেশ সারা বিশ্বের কাছে একটা দৃষ্টান্ত। আজ গ্রামে বসে ছেলে-মেয়েরা ফ্রিল্যান্সিং করে ডলার আয় করে। এই সুযোগটা আমরা করে দিয়েছি।

অত্যন্ত দক্ষতার সঙ্গে আমাদের সশস্ত্র বাহিনী বিশ্ব দরবারে কাজ করে যাচ্ছে জানিয়ে শেখ হাসিনা বলেন, ফোর্সেস গোল ২০৩০ সালে বাংলাদেশ সশস্ত্র বাহিনীর আধুনিকায়নের জন্য সরকার একটি দীর্ঘমেয়াদি পরিকল্পনা গ্রহণ করেছে। সে অনুসারে সরকার কাজ করে যাচ্ছে। এ পরিকল্পনার মধ্যে রয়েছে সশস্ত্র বাহিনীর আকার বৃদ্ধি, আধুনিক যুদ্ধ সরঞ্জাম সংগ্রহ ও সর্বোচ্চ পর্যায়ের প্রশিক্ষণ প্রদান, যা বর্তমান সরকার বাস্তবায়ন করে যাচ্ছে। এছাড়াও আমরা জাতীয় প্রতিরক্ষা আইন ২০১৮ উন্নয়ন করেছি।

শেখ হাসিনা বলেন, জাতির পিতা ১৯৭৪ সালে আমাদের সমুদ্রসীমা আইন করে কিন্তু জাতিসংঘ করে ’৮২ সালে। আমাদের ল্যান্ড বাউন্ডারি, অর্থাৎ বাংলাদেশের যে ভূখণ্ডের অধিকার রয়েছে সেই আইনটাও কিন্তু জাতির পিতা করে দিয়েছিলেন। সেই মোতাবেক সংবিধান ঠিক করে দিয়ে যান। ভারতের সঙ্গে ছিটমহলের বিষয়ে কথা হয়। কিন্তু দুভার্গ্যের বিষয়, মাঝখানে যারা ক্ষমতায় ছিল তারা কেউ কোনো উদ্যোগ নেয়নি। আওয়ামী লীগ ক্ষমতা এসে উদ্যোগ নেয়। আজকে আমরা ভারতের সঙ্গে ছিটমহলগুলো অত্যন্ত শান্তিপূর্ণভাবে বিনিময় করতে পেরেছি। আমাদের যে ভূখণ্ড, আমাদের যে সীমারেখা তা ঠিক করতে পেরেছি। এখন আমরা সীমান্ত সড়কও নির্মাণ করছি।

সরকারপ্রধান বলেন, আজকের বাংলাদেশ উন্নয়নশীল দেশের মর্যাদা পেয়েছে। এটা সম্ভব হয়েছে গণতান্ত্রিক ধারা অব্যাহত আছে বলেই। আমরা সরকার গঠন করার পর থেকে আমাদের আর্থসামাজিক উন্নয়নের দিকে দৃষ্টি দিয়েছি।

আওয়ামী লীগ সভাপতি বলেন, যে কোনো বিপদে, দুর্যোগে আমাদের সশস্ত্র বাহিনী সব সময় মানুষের পাশে দাঁড়ায়। মানুষের আস্থা-বিশ্বাস তারা অর্জন করেছে। বিদেশের শান্তিরক্ষা মিশনেও অত্যন্ত দক্ষতার সাথে ভূমিকা রাখছে আমাদের সশস্ত্রবাহিনী। আমাদের মেয়েরা জাতিসংঘে প্রসংশা পাচ্ছে।