ঢাকা ০২:৩৮ অপরাহ্ন, বুধবার, ২৪ এপ্রিল ২০২৪, ১১ বৈশাখ ১৪৩১ বঙ্গাব্দ
বাংলা বাংলা English English हिन्दी हिन्दी

অবৈধ ভিসা বাণিজ্য, বাংলাদেশিসহ কয়েকজনকে গ্রেফতার করল সৌদি

প্রতিনিধির নাম
  • আপডেট সময় : ১১:১৭:০৬ অপরাহ্ন, রবিবার, ৫ মার্চ ২০২৩
  • / ৪৭২ বার পড়া হয়েছে
বাংলা খবর বিডি অনলাইনের সর্বশেষ নিউজ পেতে অনুসরণ করুন গুগল নিউজ (Google News) ফিডটি

আন্তর্জাতিক ডেস্ক : 

ঘুষ নিয়ে বাংলাদেশি শ্রমিকদের ভিসা দেওয়ার অভিযোগে ঢাকার সৌদি দূতাবাসের দুই সাবেক কূটনীতিক ও ৮ বাংলাদেশিসহ ১৩ জনকে গ্রেফতার করেছে দেশটির তদারকি ও দুর্নীতি দমন কর্তৃপক্ষ।

রোববার (৫ মার্চ) সৌদি আরবের গণমাধ্যম সৌদি গ্যাজেট ও আল-আরাবিয়া এক প্রতিবেদনে গ্রেফতারের খবর জানায়।

গ্রেফতার বাংলাদেশিদের মধ্যে আছেন- মোহাম্মদ নাসির আল-দ্বীন নূর, আল-আমিন খান, শহিদুল্লাহ খান, সৈয়দ মুফতি, আবুল কালাম মোহাম্মদ রফিক।

গ্রেফতার বাংলাদেশিরা ভিসা বাণিজ্যের কথা স্বীকার করেছেন বলে প্রতিবেদনে বলা হয়েছে। গ্রেফতারের সময় তাদের বাসভবন থেকে বিপুল পরিমাণ সৌদি মুদ্রাও জব্দ করা হয়েছে।

অন্যদিকে গ্রেফতার ঢাকার সৌদি দূতাবাসের দুই সাবেক কূটনীতিক হলেন- ঢাকার সৌদি দূতাবাসের কনস্যুলার বিভাগের সাবেক প্রধান ও উপরাষ্ট্রদূত আবদুল্লাহ ফালাহ আল-শামারি এবং কনস্যুলার বিভাগের উপপ্রধান খালেদ নাসের আল-কাহতানি।

এছাড়া দুর্নীতির অভিযোগে সৌদির স্বরাষ্ট্র মন্ত্রণালয়ের দুই কর্মচারী ও একজন ফিলিস্তিনি বিনিয়োগকারীকে গ্রেফতার করা হয়েছে বলেও প্রতিবেদনে বলা হয়েছে।

দেশটির তদারকি ও দুর্নীতি দমন কর্তৃপক্ষ নাজাহা বলেছে, সৌদি আরবের স্বরাষ্ট্র মন্ত্রণালয়ের দুই কর্মকর্তা ৬০ হাজার রিয়ালের বিনিময়ে একজন বিদেশি বিনিয়োগকারীর সাথে সৌদির এক নাগরিককে ২ কোটি ৩০ লাখ রিয়ালের আর্থিক চুক্তিতে স্বাক্ষর করতে বাধ্য করেছিলেন।

অভিযোগ উঠেছে, সৌদি দুই কূটনীতিক বাংলাদেশি শ্রমিকদের কাছ থেকে ৫ কোটি ৪০ লাখ সৌদি রিয়াল ঘুষ হিসেবে নিয়েছেন যা বাংলাদেশের মুদ্রায় প্রায় ১৫৪ কোটি টাকার সমান।

গণমাধ্যম দুটির প্রতিবেদনে বলা হয়, শ্রমিকদের ভিসা দেওয়ার বিনিময়ে ওই দুই সাবেক কর্মকর্তা ৫ কোটি ৪০ লাখ রিয়াল ঘুষ হিসেবে আদায় করেছেন। এই অর্থের একটি অংশ সৌদি আরবে পাঠানোর কথা স্বীকারও করেছে তারা। বাকি অর্থ সৌদি আরবের বাইরে বিনিয়োগ করেছেন।

সৌদি দূতাবাসের অবৈধ ভিসা বাণিজ্যের ব্যাপারে দেশটির রিক্রুটিং এজেন্সিগুলো নাজাহা কর্তৃপক্ষকে তথ্য দিয়েছে। সংস্থাটি বলেছে, সরকারি পদের ব্যবহার করে কেউ ব্যক্তিগত লাভ বা জনস্বার্থের ক্ষতিসাধন করলে তাকে আইনের আওতায় আনা হবে। এক্ষত্রে অবসরে যাওয়া দূতাবাসের কর্মকর্তারাও ছাড় পাবেন না। সূত্র: আরব নিউজ, আল-আরাবিয়া।

নিউজটি শেয়ার করুন

অবৈধ ভিসা বাণিজ্য, বাংলাদেশিসহ কয়েকজনকে গ্রেফতার করল সৌদি

আপডেট সময় : ১১:১৭:০৬ অপরাহ্ন, রবিবার, ৫ মার্চ ২০২৩

আন্তর্জাতিক ডেস্ক : 

ঘুষ নিয়ে বাংলাদেশি শ্রমিকদের ভিসা দেওয়ার অভিযোগে ঢাকার সৌদি দূতাবাসের দুই সাবেক কূটনীতিক ও ৮ বাংলাদেশিসহ ১৩ জনকে গ্রেফতার করেছে দেশটির তদারকি ও দুর্নীতি দমন কর্তৃপক্ষ।

রোববার (৫ মার্চ) সৌদি আরবের গণমাধ্যম সৌদি গ্যাজেট ও আল-আরাবিয়া এক প্রতিবেদনে গ্রেফতারের খবর জানায়।

গ্রেফতার বাংলাদেশিদের মধ্যে আছেন- মোহাম্মদ নাসির আল-দ্বীন নূর, আল-আমিন খান, শহিদুল্লাহ খান, সৈয়দ মুফতি, আবুল কালাম মোহাম্মদ রফিক।

গ্রেফতার বাংলাদেশিরা ভিসা বাণিজ্যের কথা স্বীকার করেছেন বলে প্রতিবেদনে বলা হয়েছে। গ্রেফতারের সময় তাদের বাসভবন থেকে বিপুল পরিমাণ সৌদি মুদ্রাও জব্দ করা হয়েছে।

অন্যদিকে গ্রেফতার ঢাকার সৌদি দূতাবাসের দুই সাবেক কূটনীতিক হলেন- ঢাকার সৌদি দূতাবাসের কনস্যুলার বিভাগের সাবেক প্রধান ও উপরাষ্ট্রদূত আবদুল্লাহ ফালাহ আল-শামারি এবং কনস্যুলার বিভাগের উপপ্রধান খালেদ নাসের আল-কাহতানি।

এছাড়া দুর্নীতির অভিযোগে সৌদির স্বরাষ্ট্র মন্ত্রণালয়ের দুই কর্মচারী ও একজন ফিলিস্তিনি বিনিয়োগকারীকে গ্রেফতার করা হয়েছে বলেও প্রতিবেদনে বলা হয়েছে।

দেশটির তদারকি ও দুর্নীতি দমন কর্তৃপক্ষ নাজাহা বলেছে, সৌদি আরবের স্বরাষ্ট্র মন্ত্রণালয়ের দুই কর্মকর্তা ৬০ হাজার রিয়ালের বিনিময়ে একজন বিদেশি বিনিয়োগকারীর সাথে সৌদির এক নাগরিককে ২ কোটি ৩০ লাখ রিয়ালের আর্থিক চুক্তিতে স্বাক্ষর করতে বাধ্য করেছিলেন।

অভিযোগ উঠেছে, সৌদি দুই কূটনীতিক বাংলাদেশি শ্রমিকদের কাছ থেকে ৫ কোটি ৪০ লাখ সৌদি রিয়াল ঘুষ হিসেবে নিয়েছেন যা বাংলাদেশের মুদ্রায় প্রায় ১৫৪ কোটি টাকার সমান।

গণমাধ্যম দুটির প্রতিবেদনে বলা হয়, শ্রমিকদের ভিসা দেওয়ার বিনিময়ে ওই দুই সাবেক কর্মকর্তা ৫ কোটি ৪০ লাখ রিয়াল ঘুষ হিসেবে আদায় করেছেন। এই অর্থের একটি অংশ সৌদি আরবে পাঠানোর কথা স্বীকারও করেছে তারা। বাকি অর্থ সৌদি আরবের বাইরে বিনিয়োগ করেছেন।

সৌদি দূতাবাসের অবৈধ ভিসা বাণিজ্যের ব্যাপারে দেশটির রিক্রুটিং এজেন্সিগুলো নাজাহা কর্তৃপক্ষকে তথ্য দিয়েছে। সংস্থাটি বলেছে, সরকারি পদের ব্যবহার করে কেউ ব্যক্তিগত লাভ বা জনস্বার্থের ক্ষতিসাধন করলে তাকে আইনের আওতায় আনা হবে। এক্ষত্রে অবসরে যাওয়া দূতাবাসের কর্মকর্তারাও ছাড় পাবেন না। সূত্র: আরব নিউজ, আল-আরাবিয়া।