ঢাকা ০৭:১৯ অপরাহ্ন, শুক্রবার, ২৯ মার্চ ২০২৪, ১৫ চৈত্র ১৪৩০ বঙ্গাব্দ
বাংলা বাংলা English English हिन्दी हिन्दी
আজকের সেহরি ও ইফতার ::
ঢাকায় সেহেরি ৪:৩৩ মি. ইফতার ৬:১৭ মি.:: চট্টগ্রামে সেহেরি ৪:২৮ মি. ইফতার ৬:১১ মি. :: রাজশাহীতে সেহেরি ৪:৩৯ মি. ইফতার ৬:২৪ মি. :: খুলনায় সেহেরি ৪:৩৭ মি. ইফতার ৬:২০ মি. :: বরিশালে সেহেরি ৪:৩৪ মি. ইফতার ৬:১৭ মি. :: সিলেটে সেহেরি ৪:২৬ মি. ইফতার ৬:১১ মি. :: রংপুরে সেহেরি ৪:৩৭ মি. ইফতার ৬:২২ মি. :: ময়মনসিংহে সেহেরি ৪:৩২ মি. ইফতার ৬:১৭ মি. ::::

অতীতের ভুল থেকে শিক্ষা নিয়ে নব উদ্যমে যাত্রা শুরু করতে হবে : ওবায়দুল কাদের

প্রতিনিধির নাম
  • আপডেট সময় : ০৮:১৪:৩৪ অপরাহ্ন, শুক্রবার, ৬ জানুয়ারী ২০২৩
  • / ৪৪১ বার পড়া হয়েছে
বাংলা খবর বিডি অনলাইনের সর্বশেষ নিউজ পেতে অনুসরণ করুন গুগল নিউজ (Google News) ফিডটি

নিজস্ব প্রতিবেদক : 

আওয়ামী লীগ সাধারণ সম্পাদক এবং সড়ক পরিবহন ও সেতুমন্ত্রী ওবায়দুল কাদের  বলেন, আমরা আজকে অঙ্গীকার করব, ছাত্রলীগে সুবাস ছড়াব, আলো ছড়াব। যাদের হাতে ছাত্রলীগের নেতৃত্ব তাদের আমি বলব, অতীতের ভুল থেকে শিক্ষা নিয়ে নব উদ্যমে যাত্রা শুরু করতে হবে।

শুক্রবার (৬ জানুয়ারি) বিকেলে ঢাবির অপরাজেয় বাংলায় ছাত্রলীগের প্রতিষ্ঠাবার্ষিকীর শোভাযাত্রার উদ্বোধনী অনুষ্ঠানে এসব কথা বলেন ছাত্রলীগের সাবেক এ সভাপতি। ছাত্রলীগ সভাপতি সাদ্দাম হোসেনের সভাপতিত্বে অনুষ্ঠান সঞ্চালনা করেন সাধারণ সম্পাদক শেখ ওয়ালী আসিফ ইনান।

শোভাযাত্রা পূর্ব বক্তব্যে ওবায়দুল কাদের বলেন, এই জনপদে দুইজন মানুষ কোনোদিন মরবেন না। একজন বঙ্গবন্ধু। তার স্বাধীনতার মাধ্যমে যে উত্তরাধিকার, সেই উত্তরাধিকারের মৃত্যু নেই। মৃত্যু নেই শেখ হাসিনার। মুক্তির কান্ডারি তিনি। বাঙালি জাতিকে মুক্তি দিয়েছেন এবং মুক্তির পথে অনেক দূর এগিয়ে নিয়ে গেছেন। লিগ্যাসি অব বঙ্গবন্ধু উইল নেভার ডাই। লিগ্যাসি অব শেখ হাসিনা উইল নেভার ডাই।

ছাত্রলীগের কর্মীরা হতাশ কেন হয়, প্রশ্ন রেখে সেতুমন্ত্রী বলেন, রাজনীতি কমিটমেন্টের বিষয়। রাজনীতিতে কমিটমেন্ট থাকলে রেজাল্ট একদিন আসবেই। মূল্যায়ন একদিন হবেই। অনেক সংগ্রাম এবং আন্দোলনের বাঁধ পেরিয়ে আজ আমি আওয়ামী লীগের তিন তিনবারের সাধারণ সম্পাদক। আমি আজ মোট সতেরো বছরের একজন মন্ত্রী। কে আমি? ছাত্রলীগ। আমি শেখ হাসিনার একজন নিবেদিতপ্রাণ কর্মী।

ছাত্রলীগের অতীত ঐতিহ্যের কথা স্মরণ করে ওবায়দুল কাদের বলেন, কে বলে ছাত্রলীগের গৌরব রবি অস্তাচলে? আমরা আজকে অঙ্গীকার করবো, ছাত্রলীগের গৌরব রবিকে আমরা সৌরভ ছড়াবো। অস্তাচলে যেতে দিতে পারি না। ছাত্রলীগের বর্তমান নেতৃত্বকে বলবো, অতীতের ভুল থেকে শিক্ষা নিয়ে নবতর পথযাত্রার সূচনা করতে হবে। সারাবিশ্বে আমরা অত্যন্ত চ্যালেঞ্জিং টাইম পার করছি। সামনে আরও কঠিন চ্যালেঞ্জ। এসব চ্যালেঞ্জ আমাদের অতিক্রম করতে হবেই।

এসময় ছাত্রলীগের পূর্ণাঙ্গ কমিটি দ্রুত করার ইঙ্গিত দিয়ে আওয়ামী লীগের সাধারণ সম্পাদক বলেন, ছাত্রলীগকে আজ শপথ নিতে হবে। কমিটি হয়েছে প্রেসিডেন্ট সেক্রেটারির। বাকি কমিটি পূর্ণাঙ্গ করতে যেন প্রলম্বিত হয়ে না যায়। অনেক কর্মী আশা নিয়ে বসে আছে। তাদের নিয়ে আসুন। দেরি করার কোনো সুযোগ নেই। উই হ্যাভ নো টাইম। আমরা প্রতিকূল স্রোতে সাঁতার কেটে চলছি। এই যুদ্ধে জয়ী হতে হবে।

ওবায়দুল কাদের বলেন, আমরা শেখ হাসিনার নেতৃত্বের আত্মশক্তিতে বলিয়ান। তিনি ক্রাইসিস ম্যান, বিনা পয়সায় ভ্যাকসিন দিয়ে করোনা মোকাবিলা করে তিনি তা প্রমাণ করেছেন। এ ছাত্রলীগ কৃষকের ধান কেটে ঘরে পোঁছে দিয়েছে, করোনার সময় চিকিৎসা সামগ্রী পৌঁছে দিয়েছে। এখনো আমাদের অনেক পথ চলার বাকি। ছাত্রলীগকে সফল হতে হবে। কমিটি হয়েছে প্রেসিডেন্ট সেক্রেটারি, বাকি কমিটি পূর্ণাঙ্গ করতে হবে দ্রুত। অনেক কর্মী আশা নিয়ে বসে আছে, দেরি করার সুযোগ নেই।

তিনি বলেন, আমাদের সময় বেশি নেই। আমাদের অনেক চ্যালেঞ্জ, ষড়যন্ত্রের মধ্য দিয়ে এগিয়ে যেতে হচ্ছে। আমরা প্রতিকূল স্রোতের মধ্য দিয়ে সাঁতার কেটে যাচ্ছি, কাজেই এ যুদ্ধে জয়ী হতে হবে। সাম্প্রদায়িকতার বিরুদ্ধে, জঙ্গিবাদের বিরুদ্ধে, তাদের পৃষ্ঠপোষক বিএনপির বিরুদ্ধে আমাদের বিজয়ী হতে হবে। এ বিজয়ের তরী নিয়ে যেতে হবে ২০২৪ সালের নির্বাচনে শেখ হাসিনার জয় নিশ্চিত করা পর্যন্ত। আজকে আমরা সে শপথ নিলাম।

‘স্মার্ট বাংলাদেশ’ বিনির্মাণ করতে হবে উল্লেখ করে তিনি বলেন, আমরা অত্যন্ত চ্যালেঞ্জিং সময় পার করছি, সামনে আরও কঠিন চ্যালেঞ্জ। এ চ্যালেঞ্জ আমাদের অতিক্রম করতেই হবে। আমাদের প্রস্তুত থাকতে হবে, ঘুরে দাঁড়াতে হবে, শেখ হাসিনার নেতৃত্বে ‘স্মার্ট বাংলাদেশ’ বিনির্মাণ করতে হবে। বৈশ্বিক সমস্যা থেকে ঘুরে দাঁড়ানো আমাদের চ্যালেঞ্জ, এ চ্যালেঞ্জ আমাদের অতিক্রম করতেই হবে। আমি ছাত্রলীগকে বলতে চাই, তোমাদের কাছে ‘স্মার্ট’ নেতৃত্ব চাই।

ছাত্রলীগকে অভিনন্দন জানিয়ে ওবায়দুল কাদের বলেন, ছাত্রলীগ আমাদের প্রথম প্রেম, ৭৫তম জন্ম দিবসে ৭৫ বার অভিনন্দন জানাই। রাজনীতি কমিটমেন্টের বিষয়, কমিটমেন্ট থাকলে মূল্যায়ন একদিন হবেই। অনেক সংগ্রাম আন্দোলনের বাঁক পেরিয়ে আজ আমি তিন তিনবারের সাধারণ সম্পাদক। আজ ১৭ বছরের মন্ত্রী। কে আমি? আমি ছাত্রলীগ। আমরা বঙ্গবন্ধুর আদর্শের সৈনিক, আমরা শেখ হাসিনার নিবেদিত প্রাণ কমিটমেন্ট কর্মী, এটাই আমাদের পরিচয়।

সাম্প্রদায়িকতার বিরুদ্ধে, জঙ্গিবাদের বিরুদ্ধে, তাদের পৃষ্টপোষক বিএনপির বিরুদ্ধে আমদের বিজয়ী হতে হবে উল্লেখ করে ওবায়দুল কাদের বলেন, এই বিজয়ের তরী নিয়ে যেতে হবে। ২০২৪ সালের নির্বাচনে বিজয়ের আসল বন্দরে আমাদের পৌঁছাতে হবে। শেখ হাসিনার নেতৃত্বে স্মার্ট বাংলাদেশে আমাদের ঘুরে দাঁড়াতে হবে। ঘুরে দাঁড়ানোই আমাদের চ্যালেঞ্জ। এই চ্যালেঞ্জ আমাদের অতিক্রম করতে হবে। ছাত্রলীগকে বলতে চাই, আমি তোমাদের কাছে স্মার্ট বাংলাদেশ। (এরপরই মঞ্চ ভেঙে পড়ে যান ওবায়দুল কাদেরসহ মঞ্চে উপস্থিত ছাত্রলীগের সাবেক ও বর্তমান নেতারা)।

এ ঘটনার পরে ওবায়দুল কাদের ক্ষোভের সুরে বলেন, এতো নেতা কেনো? নেতা উৎপাদনের এতো বড় কারখানা আমাদের দরকার নাই। স্টেজভর্তি নেতা থাকে, আমাদের স্মার্ট কর্মী দরকার।

তিনি বলেন, স্টেজ ভেঙে পড়েছে, এটা স্বাভাবিক একটা ব্যাপার। তবে আমি বলবো, এইযে নেতাদের মঞ্চে ওঠা, এতো নেতা আমাদের দরকার নাই। যে কোনো মঞ্চে গেলে সামনের লোকের থেকে মঞ্চে লোক বেশি। কেন? এতো নেতা কেন?

পরে দাঁড়িয়ে আবার বক্তব্য দিয়ে ওবায়দুল কাদের ছাত্রলীগের র‌্যালি উদ্ধোধন করেন। র‌্যালিটি অপরাজেয় বাংলা থেকে শাহবাগ, মৎস্য ভবন, প্রেসক্লাব, পুরান পল্টন মোড়, জিরো পয়েন্ট হয়ে ২৩, বঙ্গবন্ধু এভিনিউয়ে বাংলাদেশ ছাত্রলীগের কেন্দ্রীয় কার্যালয়ের সামনে গিয়ে শেষ হয়।

এসময় বাংলাদেশ ছাত্রলীগের সভাপতি সাদ্দাম হোসেন, সাধারণ সম্পাদক শেখ ওয়ালী আসিফ ইনানসহ সাবেক ও বর্তমান নেতাকর্মীরা উপস্থিত ছিলেন।

The short URL of the present article is: https://banglakhaborbd.com/5vbr

নিউজটি শেয়ার করুন

অতীতের ভুল থেকে শিক্ষা নিয়ে নব উদ্যমে যাত্রা শুরু করতে হবে : ওবায়দুল কাদের

আপডেট সময় : ০৮:১৪:৩৪ অপরাহ্ন, শুক্রবার, ৬ জানুয়ারী ২০২৩

নিজস্ব প্রতিবেদক : 

আওয়ামী লীগ সাধারণ সম্পাদক এবং সড়ক পরিবহন ও সেতুমন্ত্রী ওবায়দুল কাদের  বলেন, আমরা আজকে অঙ্গীকার করব, ছাত্রলীগে সুবাস ছড়াব, আলো ছড়াব। যাদের হাতে ছাত্রলীগের নেতৃত্ব তাদের আমি বলব, অতীতের ভুল থেকে শিক্ষা নিয়ে নব উদ্যমে যাত্রা শুরু করতে হবে।

শুক্রবার (৬ জানুয়ারি) বিকেলে ঢাবির অপরাজেয় বাংলায় ছাত্রলীগের প্রতিষ্ঠাবার্ষিকীর শোভাযাত্রার উদ্বোধনী অনুষ্ঠানে এসব কথা বলেন ছাত্রলীগের সাবেক এ সভাপতি। ছাত্রলীগ সভাপতি সাদ্দাম হোসেনের সভাপতিত্বে অনুষ্ঠান সঞ্চালনা করেন সাধারণ সম্পাদক শেখ ওয়ালী আসিফ ইনান।

শোভাযাত্রা পূর্ব বক্তব্যে ওবায়দুল কাদের বলেন, এই জনপদে দুইজন মানুষ কোনোদিন মরবেন না। একজন বঙ্গবন্ধু। তার স্বাধীনতার মাধ্যমে যে উত্তরাধিকার, সেই উত্তরাধিকারের মৃত্যু নেই। মৃত্যু নেই শেখ হাসিনার। মুক্তির কান্ডারি তিনি। বাঙালি জাতিকে মুক্তি দিয়েছেন এবং মুক্তির পথে অনেক দূর এগিয়ে নিয়ে গেছেন। লিগ্যাসি অব বঙ্গবন্ধু উইল নেভার ডাই। লিগ্যাসি অব শেখ হাসিনা উইল নেভার ডাই।

ছাত্রলীগের কর্মীরা হতাশ কেন হয়, প্রশ্ন রেখে সেতুমন্ত্রী বলেন, রাজনীতি কমিটমেন্টের বিষয়। রাজনীতিতে কমিটমেন্ট থাকলে রেজাল্ট একদিন আসবেই। মূল্যায়ন একদিন হবেই। অনেক সংগ্রাম এবং আন্দোলনের বাঁধ পেরিয়ে আজ আমি আওয়ামী লীগের তিন তিনবারের সাধারণ সম্পাদক। আমি আজ মোট সতেরো বছরের একজন মন্ত্রী। কে আমি? ছাত্রলীগ। আমি শেখ হাসিনার একজন নিবেদিতপ্রাণ কর্মী।

ছাত্রলীগের অতীত ঐতিহ্যের কথা স্মরণ করে ওবায়দুল কাদের বলেন, কে বলে ছাত্রলীগের গৌরব রবি অস্তাচলে? আমরা আজকে অঙ্গীকার করবো, ছাত্রলীগের গৌরব রবিকে আমরা সৌরভ ছড়াবো। অস্তাচলে যেতে দিতে পারি না। ছাত্রলীগের বর্তমান নেতৃত্বকে বলবো, অতীতের ভুল থেকে শিক্ষা নিয়ে নবতর পথযাত্রার সূচনা করতে হবে। সারাবিশ্বে আমরা অত্যন্ত চ্যালেঞ্জিং টাইম পার করছি। সামনে আরও কঠিন চ্যালেঞ্জ। এসব চ্যালেঞ্জ আমাদের অতিক্রম করতে হবেই।

এসময় ছাত্রলীগের পূর্ণাঙ্গ কমিটি দ্রুত করার ইঙ্গিত দিয়ে আওয়ামী লীগের সাধারণ সম্পাদক বলেন, ছাত্রলীগকে আজ শপথ নিতে হবে। কমিটি হয়েছে প্রেসিডেন্ট সেক্রেটারির। বাকি কমিটি পূর্ণাঙ্গ করতে যেন প্রলম্বিত হয়ে না যায়। অনেক কর্মী আশা নিয়ে বসে আছে। তাদের নিয়ে আসুন। দেরি করার কোনো সুযোগ নেই। উই হ্যাভ নো টাইম। আমরা প্রতিকূল স্রোতে সাঁতার কেটে চলছি। এই যুদ্ধে জয়ী হতে হবে।

ওবায়দুল কাদের বলেন, আমরা শেখ হাসিনার নেতৃত্বের আত্মশক্তিতে বলিয়ান। তিনি ক্রাইসিস ম্যান, বিনা পয়সায় ভ্যাকসিন দিয়ে করোনা মোকাবিলা করে তিনি তা প্রমাণ করেছেন। এ ছাত্রলীগ কৃষকের ধান কেটে ঘরে পোঁছে দিয়েছে, করোনার সময় চিকিৎসা সামগ্রী পৌঁছে দিয়েছে। এখনো আমাদের অনেক পথ চলার বাকি। ছাত্রলীগকে সফল হতে হবে। কমিটি হয়েছে প্রেসিডেন্ট সেক্রেটারি, বাকি কমিটি পূর্ণাঙ্গ করতে হবে দ্রুত। অনেক কর্মী আশা নিয়ে বসে আছে, দেরি করার সুযোগ নেই।

তিনি বলেন, আমাদের সময় বেশি নেই। আমাদের অনেক চ্যালেঞ্জ, ষড়যন্ত্রের মধ্য দিয়ে এগিয়ে যেতে হচ্ছে। আমরা প্রতিকূল স্রোতের মধ্য দিয়ে সাঁতার কেটে যাচ্ছি, কাজেই এ যুদ্ধে জয়ী হতে হবে। সাম্প্রদায়িকতার বিরুদ্ধে, জঙ্গিবাদের বিরুদ্ধে, তাদের পৃষ্ঠপোষক বিএনপির বিরুদ্ধে আমাদের বিজয়ী হতে হবে। এ বিজয়ের তরী নিয়ে যেতে হবে ২০২৪ সালের নির্বাচনে শেখ হাসিনার জয় নিশ্চিত করা পর্যন্ত। আজকে আমরা সে শপথ নিলাম।

‘স্মার্ট বাংলাদেশ’ বিনির্মাণ করতে হবে উল্লেখ করে তিনি বলেন, আমরা অত্যন্ত চ্যালেঞ্জিং সময় পার করছি, সামনে আরও কঠিন চ্যালেঞ্জ। এ চ্যালেঞ্জ আমাদের অতিক্রম করতেই হবে। আমাদের প্রস্তুত থাকতে হবে, ঘুরে দাঁড়াতে হবে, শেখ হাসিনার নেতৃত্বে ‘স্মার্ট বাংলাদেশ’ বিনির্মাণ করতে হবে। বৈশ্বিক সমস্যা থেকে ঘুরে দাঁড়ানো আমাদের চ্যালেঞ্জ, এ চ্যালেঞ্জ আমাদের অতিক্রম করতেই হবে। আমি ছাত্রলীগকে বলতে চাই, তোমাদের কাছে ‘স্মার্ট’ নেতৃত্ব চাই।

ছাত্রলীগকে অভিনন্দন জানিয়ে ওবায়দুল কাদের বলেন, ছাত্রলীগ আমাদের প্রথম প্রেম, ৭৫তম জন্ম দিবসে ৭৫ বার অভিনন্দন জানাই। রাজনীতি কমিটমেন্টের বিষয়, কমিটমেন্ট থাকলে মূল্যায়ন একদিন হবেই। অনেক সংগ্রাম আন্দোলনের বাঁক পেরিয়ে আজ আমি তিন তিনবারের সাধারণ সম্পাদক। আজ ১৭ বছরের মন্ত্রী। কে আমি? আমি ছাত্রলীগ। আমরা বঙ্গবন্ধুর আদর্শের সৈনিক, আমরা শেখ হাসিনার নিবেদিত প্রাণ কমিটমেন্ট কর্মী, এটাই আমাদের পরিচয়।

সাম্প্রদায়িকতার বিরুদ্ধে, জঙ্গিবাদের বিরুদ্ধে, তাদের পৃষ্টপোষক বিএনপির বিরুদ্ধে আমদের বিজয়ী হতে হবে উল্লেখ করে ওবায়দুল কাদের বলেন, এই বিজয়ের তরী নিয়ে যেতে হবে। ২০২৪ সালের নির্বাচনে বিজয়ের আসল বন্দরে আমাদের পৌঁছাতে হবে। শেখ হাসিনার নেতৃত্বে স্মার্ট বাংলাদেশে আমাদের ঘুরে দাঁড়াতে হবে। ঘুরে দাঁড়ানোই আমাদের চ্যালেঞ্জ। এই চ্যালেঞ্জ আমাদের অতিক্রম করতে হবে। ছাত্রলীগকে বলতে চাই, আমি তোমাদের কাছে স্মার্ট বাংলাদেশ। (এরপরই মঞ্চ ভেঙে পড়ে যান ওবায়দুল কাদেরসহ মঞ্চে উপস্থিত ছাত্রলীগের সাবেক ও বর্তমান নেতারা)।

এ ঘটনার পরে ওবায়দুল কাদের ক্ষোভের সুরে বলেন, এতো নেতা কেনো? নেতা উৎপাদনের এতো বড় কারখানা আমাদের দরকার নাই। স্টেজভর্তি নেতা থাকে, আমাদের স্মার্ট কর্মী দরকার।

তিনি বলেন, স্টেজ ভেঙে পড়েছে, এটা স্বাভাবিক একটা ব্যাপার। তবে আমি বলবো, এইযে নেতাদের মঞ্চে ওঠা, এতো নেতা আমাদের দরকার নাই। যে কোনো মঞ্চে গেলে সামনের লোকের থেকে মঞ্চে লোক বেশি। কেন? এতো নেতা কেন?

পরে দাঁড়িয়ে আবার বক্তব্য দিয়ে ওবায়দুল কাদের ছাত্রলীগের র‌্যালি উদ্ধোধন করেন। র‌্যালিটি অপরাজেয় বাংলা থেকে শাহবাগ, মৎস্য ভবন, প্রেসক্লাব, পুরান পল্টন মোড়, জিরো পয়েন্ট হয়ে ২৩, বঙ্গবন্ধু এভিনিউয়ে বাংলাদেশ ছাত্রলীগের কেন্দ্রীয় কার্যালয়ের সামনে গিয়ে শেষ হয়।

এসময় বাংলাদেশ ছাত্রলীগের সভাপতি সাদ্দাম হোসেন, সাধারণ সম্পাদক শেখ ওয়ালী আসিফ ইনানসহ সাবেক ও বর্তমান নেতাকর্মীরা উপস্থিত ছিলেন।

The short URL of the present article is: https://banglakhaborbd.com/5vbr