ঢাকা ০৯:৪১ অপরাহ্ন, বুধবার, ০৯ অক্টোবর ২০২৪, ২৪ আশ্বিন ১৪৩১ বঙ্গাব্দ
বাংলা বাংলা English English हिन्दी हिन्दी

৯১ থেকে ৯৬ রাজপথে নামলেই বিএনপির হামলা হতো : জাতীয় পার্টি

প্রতিনিধির নাম
  • আপডেট সময় : ০৬:৫৮:৩১ অপরাহ্ন, শনিবার, ২২ অক্টোবর ২০২২
  • / ৪৮১ বার পড়া হয়েছে

পার্টির মহাসচিব মো. মুজিবুল হক চুন্নু এমপি

বাংলা খবর বিডি অনলাইনের সর্বশেষ নিউজ পেতে অনুসরণ করুন গুগল নিউজ (Google News) ফিডটি

নিজস্ব প্রতিবেদক : 
১৯৯১ সাল থেকে ১৯৯৬ সাল পর্যন্ত জাতীয় পার্টি রাজপথে নামলেই বিএনপির হামলা হতো বলে অভিযোগ করেছেন পার্টির মহাসচিব মো. মুজিবুল হক চুন্নু এমপি।

মুজিবুল হক চুন্নু বলেন, বিএনপির অভিযোগ, সমাবেশ করলে সরকার সমর্থক ও পুলিশ তাদের ওপর হামলা করছে। ১৯৯১ সাল থেকে ১৯৯৬ সাল পর্যন্ত জাতীয় পার্টি রাজপথে নামলেই বিএনপির হামলা হতো।বিএনপির হামলায় জাতীয় পার্টি কোনো রাজনৈতিক কর্মসূচি পালন করতে পারেনি। বিএনপিই জাতীয় পার্টির ওপর হামলা করে মানুষের রাজনৈতিক অধিকার হরণ করেছে। এখন সেই ধারাবাহিকতা চলছে। জাতীয় পার্টি মানুষের রাজনৈতিক অধিকারে বিশ্বাস করে।

আজ শনিবার দুপুরে জাতীয় পার্টি চেয়ারম্যানের বনানী কার্যালয় মিলনায়তনে জাতীয় পার্টি মহানগর উত্তরের সম্মেলন প্রস্তুতি সভায় প্রধান অতিথির বক্তব্যে চুন্নু এসব কথা বলেন।

আগামী ২৬ নভেম্বর জাতীয় পার্টি মহানগর উত্তরের কাউন্সিল অনুষ্ঠিত হবে।

এ সময় জাতীয় পার্টির মহাসচিব বলেন, দেশের সব ক্ষমতা এখন এক ব্যক্তির হাতে। দেশে ক্ষমতার ভারসাম্য নেই। অতিরিক্ত ক্ষমতা মানুষকে অন্ধ করে দেয়। অস্বাভাবিক ক্ষমতায় দুর্নীতি বেড়ে যায়। দেশের এমন বাস্তবতা থেকে মুক্তি দিতে হবে। দেশের মানুষকে মুক্তি দিতেই জাতীয় পার্টির রাজনীতি।

তিনি বলেন, সরকারের সদিচ্ছা না থাকলে সুষ্ঠু নির্বাচন সম্ভব নয়। আওয়ামী লীগ ও বিএনপি প্রমাণ করেছে তত্ত্বাবধায়ক সরকারের অধীনে সুষ্ঠু নির্বাচন সম্ভব নয়। ১৯৯৬, ২০০১ ও ২০০৮ সালে তত্ত্বাবধায়ক সরকারের অধীনে নির্বাচন হয়েছে। কিন্তু ওই সব নির্বাচনে যারাই হেরেছে, তারাই অভিযোগ করেছে নির্বাচন সুষ্ঠু হয়নি।

চুন্নু বলেন, আমরা চাই আনুপাতিক হারে নির্বাচন হোক। আনুপাতিক হারে নির্বাচন হলে ভোটে কারচুপি হবে না, মানুষের ভোটাধিকার নিশ্চিত হবে।

জাতীয় পার্টি মহাসচিব আরো বলেন, প্রতিবন্ধী নেতাদের ষড়যন্ত্রে জাতীয় পার্টি ভাগ হবে না। লোভ-লালসায় কেউ কেউ দালালি করতে পারে কিন্তু পল্লীবন্ধু এরশাদের লাখ লাখ কর্মী কোনো ষড়যন্ত্রের ফাঁদে পা দেবে না। ২৬ নভেম্বর জাতীয় পার্টি মহানগর উত্তরের সম্মেলনে হাজার হাজার কর্মীর ঢল প্রমাণ করবে জাতীয় পার্টি জিএম কাদেরের নেতৃত্বে ঐক্যবদ্ধ।

জাতীয় পার্টির প্রেসিডিয়াম সদস্য ও ঢাকা মহানগর উত্তরের সভাপতি শফিকুল ইসলাম সেন্টু অনুষ্ঠানের সভাপতির বক্তব্যে বলেন, কোনো ষড়যন্ত্রই জাতীয় পার্টির ঐক্যে ফাটল ধরাতে পারবে না। জাতীয় পার্টি জিএম কাদেরের নেতৃত্বে ঐক্যবদ্ধ আছে। জাতীয় পার্টির বিরুদ্ধে ষড়যন্ত্রকারীরা ইতিহাসের আঁস্তাকুড়ে নিক্ষিপ্ত হবে।

এ সময় অন্যদের মধ্যে বক্তব্য দেন- জাতীয় পার্টির প্রেসিডিয়াম সদস্য মীর আবদুস সবুর আসুদ, চেয়ারম্যানের উপদেষ্টা আমানত হোসেন আমানত, মাহাবুবুর রহমান লিপটন, ভাইস চেয়ারম্যান ও ঢাকা মহানগর উত্তরের সদস্য সচিব জাহাঙ্গীর আলম পাঠান, যুগ্ম মহাসচিব সামছুল হক, আমির হোসেন ভূঁইয়া, সৈয়দ মঞ্জুর হোসেন মঞ্জু, সাংগঠনিক সম্পাদক নাসির উদ্দিন সরকার, বিভিন্ন থানার নেতারা।

আরো বক্তব্য দেন- মাহফুজ মোল্লা, সিরাজুল ইসলাম, মোহাম্মদ আলী, আবুল বাশার, আব্দুস সাত্তার, এমএ হাশেম, খলিল মোল্লা, মেহেদী হাসান রিয়াজ, কাজল, ড. মোহাম্মদ নাসির উদ্দিন বকুল, রাজ মোহাম্মদ ওমর ফারুক, নজরুল ইসলাম সরদার, আব্দুল আজিজ, আলাল মেম্বর, বজলুর রহমান মৃধা, আলমগীর হোসেন, নয়ন, নুরুল হক নুরু, আব্দুল বারেক, সাখাওয়াত হোসেন দুলাল, নুরুল ইসলাম মিন্টু, লিপু।

উপস্থিত ছিলেন- সাংগঠনিক সম্পাদক আনিস উর রহমান খোকন, কাজী আবুল খায়ের, দপ্তর সম্পাদক এমএ রাজ্জাক খান, যুগ্ম সাংগঠনিক সম্পাদক আজহারুল ইসলাম সরকার, যুগ্ম দপ্তর সম্পাদক সমরেশ মন্ডল মানিক, কেন্দ্রীয় নেতা কাজী মামুন, মোতাহার হোসেন শাহীন, প্রিন্সিপাল মোস্তফা চৌধুরী, ফারুক আহমেদ, চিশতী খায়রুল আবরার শিশির।

নিউজটি শেয়ার করুন

৯১ থেকে ৯৬ রাজপথে নামলেই বিএনপির হামলা হতো : জাতীয় পার্টি

আপডেট সময় : ০৬:৫৮:৩১ অপরাহ্ন, শনিবার, ২২ অক্টোবর ২০২২

নিজস্ব প্রতিবেদক : 
১৯৯১ সাল থেকে ১৯৯৬ সাল পর্যন্ত জাতীয় পার্টি রাজপথে নামলেই বিএনপির হামলা হতো বলে অভিযোগ করেছেন পার্টির মহাসচিব মো. মুজিবুল হক চুন্নু এমপি।

মুজিবুল হক চুন্নু বলেন, বিএনপির অভিযোগ, সমাবেশ করলে সরকার সমর্থক ও পুলিশ তাদের ওপর হামলা করছে। ১৯৯১ সাল থেকে ১৯৯৬ সাল পর্যন্ত জাতীয় পার্টি রাজপথে নামলেই বিএনপির হামলা হতো।বিএনপির হামলায় জাতীয় পার্টি কোনো রাজনৈতিক কর্মসূচি পালন করতে পারেনি। বিএনপিই জাতীয় পার্টির ওপর হামলা করে মানুষের রাজনৈতিক অধিকার হরণ করেছে। এখন সেই ধারাবাহিকতা চলছে। জাতীয় পার্টি মানুষের রাজনৈতিক অধিকারে বিশ্বাস করে।

আজ শনিবার দুপুরে জাতীয় পার্টি চেয়ারম্যানের বনানী কার্যালয় মিলনায়তনে জাতীয় পার্টি মহানগর উত্তরের সম্মেলন প্রস্তুতি সভায় প্রধান অতিথির বক্তব্যে চুন্নু এসব কথা বলেন।

আগামী ২৬ নভেম্বর জাতীয় পার্টি মহানগর উত্তরের কাউন্সিল অনুষ্ঠিত হবে।

এ সময় জাতীয় পার্টির মহাসচিব বলেন, দেশের সব ক্ষমতা এখন এক ব্যক্তির হাতে। দেশে ক্ষমতার ভারসাম্য নেই। অতিরিক্ত ক্ষমতা মানুষকে অন্ধ করে দেয়। অস্বাভাবিক ক্ষমতায় দুর্নীতি বেড়ে যায়। দেশের এমন বাস্তবতা থেকে মুক্তি দিতে হবে। দেশের মানুষকে মুক্তি দিতেই জাতীয় পার্টির রাজনীতি।

তিনি বলেন, সরকারের সদিচ্ছা না থাকলে সুষ্ঠু নির্বাচন সম্ভব নয়। আওয়ামী লীগ ও বিএনপি প্রমাণ করেছে তত্ত্বাবধায়ক সরকারের অধীনে সুষ্ঠু নির্বাচন সম্ভব নয়। ১৯৯৬, ২০০১ ও ২০০৮ সালে তত্ত্বাবধায়ক সরকারের অধীনে নির্বাচন হয়েছে। কিন্তু ওই সব নির্বাচনে যারাই হেরেছে, তারাই অভিযোগ করেছে নির্বাচন সুষ্ঠু হয়নি।

চুন্নু বলেন, আমরা চাই আনুপাতিক হারে নির্বাচন হোক। আনুপাতিক হারে নির্বাচন হলে ভোটে কারচুপি হবে না, মানুষের ভোটাধিকার নিশ্চিত হবে।

জাতীয় পার্টি মহাসচিব আরো বলেন, প্রতিবন্ধী নেতাদের ষড়যন্ত্রে জাতীয় পার্টি ভাগ হবে না। লোভ-লালসায় কেউ কেউ দালালি করতে পারে কিন্তু পল্লীবন্ধু এরশাদের লাখ লাখ কর্মী কোনো ষড়যন্ত্রের ফাঁদে পা দেবে না। ২৬ নভেম্বর জাতীয় পার্টি মহানগর উত্তরের সম্মেলনে হাজার হাজার কর্মীর ঢল প্রমাণ করবে জাতীয় পার্টি জিএম কাদেরের নেতৃত্বে ঐক্যবদ্ধ।

জাতীয় পার্টির প্রেসিডিয়াম সদস্য ও ঢাকা মহানগর উত্তরের সভাপতি শফিকুল ইসলাম সেন্টু অনুষ্ঠানের সভাপতির বক্তব্যে বলেন, কোনো ষড়যন্ত্রই জাতীয় পার্টির ঐক্যে ফাটল ধরাতে পারবে না। জাতীয় পার্টি জিএম কাদেরের নেতৃত্বে ঐক্যবদ্ধ আছে। জাতীয় পার্টির বিরুদ্ধে ষড়যন্ত্রকারীরা ইতিহাসের আঁস্তাকুড়ে নিক্ষিপ্ত হবে।

এ সময় অন্যদের মধ্যে বক্তব্য দেন- জাতীয় পার্টির প্রেসিডিয়াম সদস্য মীর আবদুস সবুর আসুদ, চেয়ারম্যানের উপদেষ্টা আমানত হোসেন আমানত, মাহাবুবুর রহমান লিপটন, ভাইস চেয়ারম্যান ও ঢাকা মহানগর উত্তরের সদস্য সচিব জাহাঙ্গীর আলম পাঠান, যুগ্ম মহাসচিব সামছুল হক, আমির হোসেন ভূঁইয়া, সৈয়দ মঞ্জুর হোসেন মঞ্জু, সাংগঠনিক সম্পাদক নাসির উদ্দিন সরকার, বিভিন্ন থানার নেতারা।

আরো বক্তব্য দেন- মাহফুজ মোল্লা, সিরাজুল ইসলাম, মোহাম্মদ আলী, আবুল বাশার, আব্দুস সাত্তার, এমএ হাশেম, খলিল মোল্লা, মেহেদী হাসান রিয়াজ, কাজল, ড. মোহাম্মদ নাসির উদ্দিন বকুল, রাজ মোহাম্মদ ওমর ফারুক, নজরুল ইসলাম সরদার, আব্দুল আজিজ, আলাল মেম্বর, বজলুর রহমান মৃধা, আলমগীর হোসেন, নয়ন, নুরুল হক নুরু, আব্দুল বারেক, সাখাওয়াত হোসেন দুলাল, নুরুল ইসলাম মিন্টু, লিপু।

উপস্থিত ছিলেন- সাংগঠনিক সম্পাদক আনিস উর রহমান খোকন, কাজী আবুল খায়ের, দপ্তর সম্পাদক এমএ রাজ্জাক খান, যুগ্ম সাংগঠনিক সম্পাদক আজহারুল ইসলাম সরকার, যুগ্ম দপ্তর সম্পাদক সমরেশ মন্ডল মানিক, কেন্দ্রীয় নেতা কাজী মামুন, মোতাহার হোসেন শাহীন, প্রিন্সিপাল মোস্তফা চৌধুরী, ফারুক আহমেদ, চিশতী খায়রুল আবরার শিশির।