ঢাকা ০৩:২২ অপরাহ্ন, বুধবার, ২৪ এপ্রিল ২০২৪, ১১ বৈশাখ ১৪৩১ বঙ্গাব্দ
বাংলা বাংলা English English हिन्दी हिन्दी

৭৭-এ পা রাখলেন মির্জা ফখরুল

প্রতিনিধির নাম
  • আপডেট সময় : ০১:৫০:১০ অপরাহ্ন, বৃহস্পতিবার, ২৬ জানুয়ারী ২০২৩
  • / ৪৩৬ বার পড়া হয়েছে
বাংলা খবর বিডি অনলাইনের সর্বশেষ নিউজ পেতে অনুসরণ করুন গুগল নিউজ (Google News) ফিডটি

নিজস্ব প্রতিবেদক : 

বিএনপির মহাসচিব মির্জা ফখরুল ইসলাম আলমগীরের জন্মদিন বৃহস্পতিবার (২৬ জানুয়ারি)। ১৯৪৮ সালের এই দিনে ঠাকুরগাঁওয়ে জন্ম নেন তিনি। ৭৭ বছরে পা দেওয়া এই রাজনীতিকের জন্মদিনে শুভেচ্ছা জানিয়েছেন দলের সিনিয়র এবং তরুণ নেতারা। সামাজিক যোগাযোগমাধ্যমে সিক্ত হয়েছেন ভক্ত-অনুসারীদের শুভেচ্ছাবার্তায়।

বিএনপি চেয়ারপারসনের মিডিয়া উইংয়ের কর্মকর্তা শায়রুল কবির খান জানান, ১৯৪৮ সালের ২৬ জানুয়ারি জন্মগ্রহণ করেন মির্জা ফখরুল। ২০১৬ সালে তিনি বিএনপির মহাসচিব হন। এর আগে তিনি দলটির সিনিয়র যুগ্ম মহাসচিব ছিলেন।

পরিবারের একটি ঘনিষ্ঠ সূত্র এই প্রতিবেদককে জানিয়েছেন, সহধর্মিনীর অসুস্থতায় নিজেও স্বাচ্ছন্দ্যবোধ করছেন না মির্জা ফখরুল। বৃহস্পতিবার সকালে দলের কার্যক্রমে অংশগ্রহণ করেন। শারীরিকভাবে মির্জা ফখরুল অসুস্থ বলেও জানায় সূত্রটি।

২০১১ সালের মার্চে দলের মহাসচিব খন্দকার দেলোয়ার হোসেনের মৃত্যুর পর ভারপ্রাপ্ত মহাসচিব হন মির্জা ফখরুল। এর আগে তিনি বিএনপি সরকারের কৃষি, পর্যটন ও বেসরকারি বিমান চলাচলবিষয়ক প্রতিমন্ত্রীর দায়িত্ব পালন করেন।

২০১৮ সালের ৩০ ডিসেম্বর অনুষ্ঠিত একাদশ জাতীয় সংসদ নির্বাচনে বগুড়ার একটি আসন থেকে সংসদ সদস্য হিসেবে নির্বাচিত হলেও সংসদে যোগ দেননি ফখরুল। তার দলের বাকি নির্বাচিতরা শপথ নিলেও বিএনপির মহাসচিব তা এড়িয়ে যান।

ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয় থেকে অর্থনীতিতে স্নাতক (সম্মান)ও স্নাতকোত্তর করেছেন মির্জা ফখরুল। তিনি তৎকালীন পূর্ব পাকিস্তান ছাত্র ইউনিয়নের (পরবর্তী সময়ে বাংলাদেশ ছাত্র ইউনিয়ন) সদস্য এবং সংগঠনটির এসএম হল শাখার সাধারণ সম্পাদক ছিলেন। ঊনসত্তরের গণঅভ্যুত্থানের সময় তিনি সংগঠনটির ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয় শাখার সভাপতি ছিলেন।

শিক্ষক হিসেবে কর্মজীবন শুরু হয় মির্জা ফখরুলের। ১৯৮০-এর দশকে তিনি মূলধারার রাজনীতিতে আসেন।

ব্যক্তিগত জীবনে মির্জা ফখরুল বিবাহিত এবং দুই মেয়ের বাবা। তার বড় মেয়ে মির্জা শামারুহ ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয়ে পড়ালেখা শেষে সেখানেই শিক্ষকতা করেছেন। বর্তমানে অস্ট্রেলিয়ায় পোস্ট ডক্টরাল ফেলো হিসেবে কর্মরত আছেন। আর ছোট মেয়ে মির্জা সাফারুহ ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয়ে পড়ালেখা শেষে একটি স্কুলে শিক্ষকতা করছেন। তার স্ত্রী রাহাত আরা বেগম কলকাতা বিশ্ববিদ্যালয়ের ডিগ্রিধারী। বর্তমানে বেসরকারি একটি প্রতিষ্ঠানে উচ্চপদস্থ কর্মকর্তা হিসেবে দায়িত্ব পালন করছেন।

দলীয় সূত্র জানিয়েছে, বিএনপির মহাসচিব তার জন্মদিনকে কেন্দ্র করে দলের চেয়ারপারসন খালেদা জিয়ার সঙ্গে সাক্ষাৎ হতে পারে। কয়েকদিন আগেও তিনি দলীয় প্রধানের সঙ্গে কথা বলে এসেছেন।

নিউজটি শেয়ার করুন

৭৭-এ পা রাখলেন মির্জা ফখরুল

আপডেট সময় : ০১:৫০:১০ অপরাহ্ন, বৃহস্পতিবার, ২৬ জানুয়ারী ২০২৩

নিজস্ব প্রতিবেদক : 

বিএনপির মহাসচিব মির্জা ফখরুল ইসলাম আলমগীরের জন্মদিন বৃহস্পতিবার (২৬ জানুয়ারি)। ১৯৪৮ সালের এই দিনে ঠাকুরগাঁওয়ে জন্ম নেন তিনি। ৭৭ বছরে পা দেওয়া এই রাজনীতিকের জন্মদিনে শুভেচ্ছা জানিয়েছেন দলের সিনিয়র এবং তরুণ নেতারা। সামাজিক যোগাযোগমাধ্যমে সিক্ত হয়েছেন ভক্ত-অনুসারীদের শুভেচ্ছাবার্তায়।

বিএনপি চেয়ারপারসনের মিডিয়া উইংয়ের কর্মকর্তা শায়রুল কবির খান জানান, ১৯৪৮ সালের ২৬ জানুয়ারি জন্মগ্রহণ করেন মির্জা ফখরুল। ২০১৬ সালে তিনি বিএনপির মহাসচিব হন। এর আগে তিনি দলটির সিনিয়র যুগ্ম মহাসচিব ছিলেন।

পরিবারের একটি ঘনিষ্ঠ সূত্র এই প্রতিবেদককে জানিয়েছেন, সহধর্মিনীর অসুস্থতায় নিজেও স্বাচ্ছন্দ্যবোধ করছেন না মির্জা ফখরুল। বৃহস্পতিবার সকালে দলের কার্যক্রমে অংশগ্রহণ করেন। শারীরিকভাবে মির্জা ফখরুল অসুস্থ বলেও জানায় সূত্রটি।

২০১১ সালের মার্চে দলের মহাসচিব খন্দকার দেলোয়ার হোসেনের মৃত্যুর পর ভারপ্রাপ্ত মহাসচিব হন মির্জা ফখরুল। এর আগে তিনি বিএনপি সরকারের কৃষি, পর্যটন ও বেসরকারি বিমান চলাচলবিষয়ক প্রতিমন্ত্রীর দায়িত্ব পালন করেন।

২০১৮ সালের ৩০ ডিসেম্বর অনুষ্ঠিত একাদশ জাতীয় সংসদ নির্বাচনে বগুড়ার একটি আসন থেকে সংসদ সদস্য হিসেবে নির্বাচিত হলেও সংসদে যোগ দেননি ফখরুল। তার দলের বাকি নির্বাচিতরা শপথ নিলেও বিএনপির মহাসচিব তা এড়িয়ে যান।

ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয় থেকে অর্থনীতিতে স্নাতক (সম্মান)ও স্নাতকোত্তর করেছেন মির্জা ফখরুল। তিনি তৎকালীন পূর্ব পাকিস্তান ছাত্র ইউনিয়নের (পরবর্তী সময়ে বাংলাদেশ ছাত্র ইউনিয়ন) সদস্য এবং সংগঠনটির এসএম হল শাখার সাধারণ সম্পাদক ছিলেন। ঊনসত্তরের গণঅভ্যুত্থানের সময় তিনি সংগঠনটির ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয় শাখার সভাপতি ছিলেন।

শিক্ষক হিসেবে কর্মজীবন শুরু হয় মির্জা ফখরুলের। ১৯৮০-এর দশকে তিনি মূলধারার রাজনীতিতে আসেন।

ব্যক্তিগত জীবনে মির্জা ফখরুল বিবাহিত এবং দুই মেয়ের বাবা। তার বড় মেয়ে মির্জা শামারুহ ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয়ে পড়ালেখা শেষে সেখানেই শিক্ষকতা করেছেন। বর্তমানে অস্ট্রেলিয়ায় পোস্ট ডক্টরাল ফেলো হিসেবে কর্মরত আছেন। আর ছোট মেয়ে মির্জা সাফারুহ ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয়ে পড়ালেখা শেষে একটি স্কুলে শিক্ষকতা করছেন। তার স্ত্রী রাহাত আরা বেগম কলকাতা বিশ্ববিদ্যালয়ের ডিগ্রিধারী। বর্তমানে বেসরকারি একটি প্রতিষ্ঠানে উচ্চপদস্থ কর্মকর্তা হিসেবে দায়িত্ব পালন করছেন।

দলীয় সূত্র জানিয়েছে, বিএনপির মহাসচিব তার জন্মদিনকে কেন্দ্র করে দলের চেয়ারপারসন খালেদা জিয়ার সঙ্গে সাক্ষাৎ হতে পারে। কয়েকদিন আগেও তিনি দলীয় প্রধানের সঙ্গে কথা বলে এসেছেন।