৭৫ শতাংশ মাইক্রোপ্লাস্টিক নিউজিল্যান্ডের মাছে
- আপডেট সময় : ০৬:৪৭:৫৫ অপরাহ্ন, বৃহস্পতিবার, ১৩ অক্টোবর ২০২২
- / ৪৪৬ বার পড়া হয়েছে
আন্তর্জাতিক ডেস্ক :
বিশ্বজুড়ে পরিবেশ দূষণ বৃদ্ধির ফলে বিলুপ্তির হুমকিতে রয়েছে সামুদ্রিক বিভিন্ন প্রজাতি। অফুরন্ত প্রাণের আশ্রয় উষ্ণ মহাসাগরগুলো এখন স্থানীয় প্রজাতির জন্য বসবাসের অযোগ্য হয়ে উঠছে। মূলত মানুষের খামখেয়ালিপনা ও স্বেচ্ছাচারের দায় শোধ করতে হচ্ছে প্রাণ-প্রকৃতিকে। যার মধ্যে বড় একটি উপদ্রব মাইক্রোপ্লাস্টিক বা প্লাস্টিকের কণা।
দ্য গার্ডিয়ানের এক প্রতিবেদনে বলা হচ্ছে, নিউজিল্যান্ডে প্রতি চারটি মাছের মধ্যে তিনটিতে পাওয়া গিয়েছে মাইক্রোপ্লাস্টিক। এর ফলে বড় ধরনের হুমকিতে পড়েছে দেশটির সামুদ্রিক পাখিদের বৃহৎ অংশ। এসব পাখি মাছসহ সমুদ্র থেকেই বিভিন্ন ধরনের খাবার সংগ্রহ করে। সে সব খাবারের মাধ্যমেই মাইক্রোপ্লাস্টিক তাদের শরীরের প্রবেশ করছে।
আশঙ্কাজনক এ তথ্যের উৎস নিউজিল্যান্ডের মহাসাগরের অবস্থা সম্পর্কিত নতুন সরকারী প্রতিবেদন। যেখানে ৯০ শতাংশ দেশীয় সামুদ্রিক পাখি, ৮২ শতাংশ দেশীয় উপকূলীয় পাখি, ৮১ শতাংশ সামুদ্রিক অমেরুদণ্ডী প্রজাতি ও ২২ শতাংশ সামুদ্রিক স্তন্যপায়ী প্রজাতিকে বিলুপ্তির হুমকির সম্মুখীন বা বিলুপ্তির হুমকিতে পরিণত হয়েছে এমন তালিকায় রাখা হয়েছে।
প্রতিবেদনে বলা হয়, এক বছরে মাছ শিকারের কারণে মারা গেছে ৪ হাজার ১০০টিরও বেশি সামুদ্রিক পাখি। জলবায়ু পরিবর্তনের কারণে ক্রমশ উষ্ণতর আর অম্লীয় হয়ে ওঠা মহাসাগর মূল্যবান টাওঙ্গার (পাখি) প্রজাতির জন্য নতুন করে হুমকি তৈরি করেছে। তথ্য অনুসারে, ১৯৯৮ থেকে ২০২০ সালের মধ্যে সমুদ্রে অম্লকরণ বেড়েছে ৮ দশমিক ৬ শতাংশ। বাড়ছে সামগ্রিক জলের তাপমাত্রাও। সামুদ্রিক তাপপ্রবাহের মাত্রা বেড়েছে, ক্রমশ তা আরো গুরুতর হয়ে উঠছে।
দেশটির পরিবেশ মন্ত্রী ডেভিড পার্কার মনে করেন, এ প্রতিবেদন একটি মর্মান্তিক চিত্র তুলে ধরেছে। তিনি সমুদ্রের পরিবেশের ওপর চাপ উপশমের জন্য সরকারী পদক্ষেপের উদাহরণ হিসেবে কার্বন নির্গমন হ্রাস, একক-ব্যবহারের প্লাস্টিকের ব্যাগের ওপর নিষেধাজ্ঞা এবং স্বাদু পানি ব্যবস্থাপনা পরিকল্পনার দিকে ইঙ্গিত করেছেন।
প্রতিবেদনটি সমুদ্র স্বাস্থ্য বিষয়ে নিউজিল্যান্ড সরকারের কয়েক দশকের অবহেলার গল্প বলছে, এমন মন্তব্য করেছেন দেশটির গ্রিন পার্টির মুখপাত্র ইউজেনি।
অন্যদিকে কনজারভেশন গ্রুপ ফরেস্ট অ্যান্ড বার্ড এ প্রতিবেদনের ফলাফলকে ‘একটি সংকট’ বলে অভিহিত করেছে। এক বিবৃতিতে সংগঠনটির পক্ষ থেকে বলা হয়, সমুদ্রকে প্রভাবিত করছে এমন সংকটের প্রকৃত মাত্রা আরো খারাপ হতে পারে। কারণ গবেষণার অভাবে বেশিরভাগ সামুদ্রিক স্তন্যপায়ী প্রাণী, মাছ ও অমেরুদণ্ডী প্রাণীদের বিলুপ্তির ঝুঁকি অজানা রয়ে গিয়েছে।