ঢাকা ১১:৫১ অপরাহ্ন, মঙ্গলবার, ০৩ অক্টোবর ২০২৩, ১৮ আশ্বিন ১৪৩০ বঙ্গাব্দ
বাংলা বাংলা English English हिन्दी हिन्दी

৩০ বছরে ৭০ নারীকে খুন!

প্রতিনিধির নাম
  • আপডেট সময় : ১০:৩২:১৮ পূর্বাহ্ন, বৃহস্পতিবার, ২৭ অক্টোবর ২০২২
  • / ৪০৭ বার পড়া হয়েছে
বাংলা খবর বিডি অনলাইনের সর্বশেষ নিউজ পেতে অনুসরণ করুন গুগল নিউজ (Google News) ফিডটি

আন্তর্জাতিক ডেস্ক : 
এ যেন বিশ্বের তাবড় সিরিয়াল কিলারদের কাহিনিকেও হার মানাবে। ৩০ বছর ধরে একাই ৭০জন নারীকে খুন করেন। নিজের বাবার বিরুদ্ধে বিস্ফোরক অভিযোগ আনলেন মার্কিন যুক্তরাষ্ট্রের এক নারী। ঘটনাটি মার্কিন যুক্তরাষ্ট্রের লোয়া শহরের।

গোটা ঘটনা শুনে স্তম্ভিত দেশটির লোয়া অঞ্চলের স্থানীয় পুলিশ কর্মকর্তারা। তাদের মতে, যদি এই অভিযোগ সত্য প্রমাণিত হয়, তাহলে আমেরিকার ইতিহাসে সবচেয়ে বেশি খুন করার রেকর্ড গড়বেন ওই ব্যক্তি।
অভিযুক্তের মেয়ের নাম লুসি স্টাডি। তিনি জানান, প্রায় ৩০ বছর ধরে অন্তত ৭০ জন নারীকে খুন করেন তার বাবা ডোনাল্ড ডিন স্টাডি। শুধু খুনই নয়, নিজের ছেলেমেয়েদের দিয়ে সেই মরদেহ কবরও দেওয়াতেন ডোনাল্ড। প্রাথমিকভাবে স্থানীয় পুলিশের অনুমান, মূলত যৌনকর্মীদের খুন করা হত। নানাভাবে লোভ দেখিয়ে এই নারীদের নিজের বাড়িতে ডেকে আনতেন ডোনাল্ড। তারপরেই খুন করতেন তাদের।

লুসি বলেন, মূলত ভারী জিনিস দিয়ে মাথায় আঘাত করে খুন করা হত ওই নারীদের। তারপরেই ছেলেমেয়েদের ডেকে নিতেন ডোনাল্ড। ঠেলাগাড়িতে সেই মরদেহ তুলে নিয়ে কাছেরই একটি কুয়োর মধ্যে ফেলে দেওয়া হত। মৃতদেহগুলোর উপরে মাটি চাপা দেওয়ার কাজ ছিল লুসি ও তার ভাইবোনদের।

ভয়াবহ সেই অভিজ্ঞতার কথা বলতে গিয়ে লুসি জানান, বাবা শুধু বলতেন, কুয়োর কাছে চলে যাও। ব্যস, তারপর জানতাম আমাদের কী করতে হবে। ঠিক কোন জায়গায় মরদেহগুলো পোঁতা হয়েছিল, সেই জায়গাটিও দেখিয়ে দিয়েছেন লুসি। শুধু প্রাণের ভয়ে বাবার বিরুদ্ধে মুখ খুলতে পারেননি তিনি।
তবে এখনো এই অভিযোগ নিয়ে পুলিশের তরফ থেকে বিস্তারিত কিছু বলা হয়নি। স্থানীয় পুলিশের প্রধান কেভিন এইস্ট্রোপ বলেন, আপাতত ওই জায়গায় কুকুরদের নিয়ে গিয়ে তল্লাশি চালানো হচ্ছে। প্রাথমিকভাবে মনে হচ্ছে, ওই জায়গাটিতে সত্যিই প্রচুর মরদেহ রয়েছে। কিন্তু এখনই কোনো প্রমাণ পাওয়া যায়নি। যদি এই দাবি সত্য প্রমাণিত হয়, তাহলে আমেরিকার ইতিহাসে সর্বাধিক খুনের অভিযোগ থাকবে ডোনাল্ডের নামে।

আইন প্রয়োগকারী কর্তৃপক্ষের প্রাথমিক ধারণা অনুযায়ী, ডোনাল্ড স্টুডি হত্যার পূর্বে নারীদের ধর্ষণ করেছিল। তার শিকার নারীদের মধ্যে বেশিরভাগই ছিল যৌনকর্মী বা ট্রানজিয়েন্ট, এদেরকে নেব্রাস্কার ওমাহা থেকে তুলে আনা হতো। তদন্তে প্রমাণিত হলে ডোনাল্ড ডিন স্টাডি হবেন আমেরিকান ইতিহাসে সবচেয়ে কুখ্যাত সিরিয়াল কিলারদের মধ্যে একজন।

লুসি স্টুডি বলেন, আমি চাই এই জায়গাগুলি খনন করা হোক এবং জনসাধারণের জন্য প্রবেশাধিকার নিষিদ্ধ করা হোক। পাশাপাশি খুন হওয়া প্রতিটা মহিলাকে যেন সঠিকভাবে কবর দেওয়া হয়। পরবর্তী পদক্ষেপে যেন সোনার প্রযুক্তি ব্যবহার করে মানুষের দেহাবশেষ অনুসন্ধানের জন্য সাইটগুলি খনন করা হয়।

আগামী দিনে আরো বিশদে এই অভিযোগের তদন্ত করা হবে, সেকথাও জানান এইস্ট্রোপ। তবে ২০১৩ সালে ডোনাল্ডের মৃত্যু হয়। ফলে এহেন ভয়াবহ খুনির শাস্তি হওয়ার কোনো সম্ভাবনা নেই। সূত্র : নিউজউইক, এনডিটিভি।

নিউজটি শেয়ার করুন

আপনার মন্তব্য

Your email address will not be published. Required fields are marked *

আপনার ইমেইল এবং অন্যান্য তথ্য সংরক্ষন করুন

৩০ বছরে ৭০ নারীকে খুন!

আপডেট সময় : ১০:৩২:১৮ পূর্বাহ্ন, বৃহস্পতিবার, ২৭ অক্টোবর ২০২২

আন্তর্জাতিক ডেস্ক : 
এ যেন বিশ্বের তাবড় সিরিয়াল কিলারদের কাহিনিকেও হার মানাবে। ৩০ বছর ধরে একাই ৭০জন নারীকে খুন করেন। নিজের বাবার বিরুদ্ধে বিস্ফোরক অভিযোগ আনলেন মার্কিন যুক্তরাষ্ট্রের এক নারী। ঘটনাটি মার্কিন যুক্তরাষ্ট্রের লোয়া শহরের।

গোটা ঘটনা শুনে স্তম্ভিত দেশটির লোয়া অঞ্চলের স্থানীয় পুলিশ কর্মকর্তারা। তাদের মতে, যদি এই অভিযোগ সত্য প্রমাণিত হয়, তাহলে আমেরিকার ইতিহাসে সবচেয়ে বেশি খুন করার রেকর্ড গড়বেন ওই ব্যক্তি।
অভিযুক্তের মেয়ের নাম লুসি স্টাডি। তিনি জানান, প্রায় ৩০ বছর ধরে অন্তত ৭০ জন নারীকে খুন করেন তার বাবা ডোনাল্ড ডিন স্টাডি। শুধু খুনই নয়, নিজের ছেলেমেয়েদের দিয়ে সেই মরদেহ কবরও দেওয়াতেন ডোনাল্ড। প্রাথমিকভাবে স্থানীয় পুলিশের অনুমান, মূলত যৌনকর্মীদের খুন করা হত। নানাভাবে লোভ দেখিয়ে এই নারীদের নিজের বাড়িতে ডেকে আনতেন ডোনাল্ড। তারপরেই খুন করতেন তাদের।

লুসি বলেন, মূলত ভারী জিনিস দিয়ে মাথায় আঘাত করে খুন করা হত ওই নারীদের। তারপরেই ছেলেমেয়েদের ডেকে নিতেন ডোনাল্ড। ঠেলাগাড়িতে সেই মরদেহ তুলে নিয়ে কাছেরই একটি কুয়োর মধ্যে ফেলে দেওয়া হত। মৃতদেহগুলোর উপরে মাটি চাপা দেওয়ার কাজ ছিল লুসি ও তার ভাইবোনদের।

ভয়াবহ সেই অভিজ্ঞতার কথা বলতে গিয়ে লুসি জানান, বাবা শুধু বলতেন, কুয়োর কাছে চলে যাও। ব্যস, তারপর জানতাম আমাদের কী করতে হবে। ঠিক কোন জায়গায় মরদেহগুলো পোঁতা হয়েছিল, সেই জায়গাটিও দেখিয়ে দিয়েছেন লুসি। শুধু প্রাণের ভয়ে বাবার বিরুদ্ধে মুখ খুলতে পারেননি তিনি।
তবে এখনো এই অভিযোগ নিয়ে পুলিশের তরফ থেকে বিস্তারিত কিছু বলা হয়নি। স্থানীয় পুলিশের প্রধান কেভিন এইস্ট্রোপ বলেন, আপাতত ওই জায়গায় কুকুরদের নিয়ে গিয়ে তল্লাশি চালানো হচ্ছে। প্রাথমিকভাবে মনে হচ্ছে, ওই জায়গাটিতে সত্যিই প্রচুর মরদেহ রয়েছে। কিন্তু এখনই কোনো প্রমাণ পাওয়া যায়নি। যদি এই দাবি সত্য প্রমাণিত হয়, তাহলে আমেরিকার ইতিহাসে সর্বাধিক খুনের অভিযোগ থাকবে ডোনাল্ডের নামে।

আইন প্রয়োগকারী কর্তৃপক্ষের প্রাথমিক ধারণা অনুযায়ী, ডোনাল্ড স্টুডি হত্যার পূর্বে নারীদের ধর্ষণ করেছিল। তার শিকার নারীদের মধ্যে বেশিরভাগই ছিল যৌনকর্মী বা ট্রানজিয়েন্ট, এদেরকে নেব্রাস্কার ওমাহা থেকে তুলে আনা হতো। তদন্তে প্রমাণিত হলে ডোনাল্ড ডিন স্টাডি হবেন আমেরিকান ইতিহাসে সবচেয়ে কুখ্যাত সিরিয়াল কিলারদের মধ্যে একজন।

লুসি স্টুডি বলেন, আমি চাই এই জায়গাগুলি খনন করা হোক এবং জনসাধারণের জন্য প্রবেশাধিকার নিষিদ্ধ করা হোক। পাশাপাশি খুন হওয়া প্রতিটা মহিলাকে যেন সঠিকভাবে কবর দেওয়া হয়। পরবর্তী পদক্ষেপে যেন সোনার প্রযুক্তি ব্যবহার করে মানুষের দেহাবশেষ অনুসন্ধানের জন্য সাইটগুলি খনন করা হয়।

আগামী দিনে আরো বিশদে এই অভিযোগের তদন্ত করা হবে, সেকথাও জানান এইস্ট্রোপ। তবে ২০১৩ সালে ডোনাল্ডের মৃত্যু হয়। ফলে এহেন ভয়াবহ খুনির শাস্তি হওয়ার কোনো সম্ভাবনা নেই। সূত্র : নিউজউইক, এনডিটিভি।